ফাইভ-জি! কলকাতায় বসে জগদীশ বসুই দেখিয়েছিলেন পথ
অনেকটা পথ পেরিয়ে গিয়েছে ইন্টারনেট। 3G, 4G-র পর এখন 5G-র দরজায় কড়া নাড়ছে। তবে অনেকেই বোধহয় জানেন না এই প্রযুক্তির সূত্রপাত ভারতেই। খোদ বাঙালির সন্তানই দেখিয়েছিলেন পথ। সেই পথেই আসছে 5G। জগদীশ চন্দ্র বসুই এর পথপ্রদর্শক ছিলেন। ১৮৯৫ সালে রেডিও কমিউনিকেশন সংক্রান্ত গবেষণা করছিলেন জগদীশচন্দ্র। আর তাতে ছিল মিলিমিটার ওয়েভলেংথ ফ্রিকোয়েন্সি প্রযুক্তি। কোনও যন্ত্রপাতি ছিল না। তার উপর ব্রিটিশ শাসিত ভারতে স্বদেশী বিজ্ঞানীরা জাতিবিদ্বেষের শিকার হতেন। সে সব উপেক্ষা করেই নিজের সাধনা চালিয়ে গিয়েছিলেন জগদীশ চন্দ্র।
এমন বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করেছিলেন, যা সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। সামান্য উপকরণ দিয়েও এমন কাজ করা যায়, আজ তা জেনেই বিস্মিত হচ্ছেন বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা। এমনকী সেদিন মার্কনি সাহেবও যে গবেষণা করেছিলেন, তা জগদীশচন্দ্রের আবিষ্কারের উপর ভিত্তি করেই। প্রায় ১২০ বছর আগে টাউন হলে এই মিলিমিটার ওয়েভের উপর একটি পরীক্ষা তিনি করে দেখান। যেখানে একদিকে বারুদ জ্বালানো হয়। অন্যদিকে মিমি ওয়েভকে কাজে লাগিয়ে দূরে থাকা একটি ঘণ্টাকে বাজানো হয়। ‘অদৃশ্য আলোক’ নামে এক প্রবন্ধে তিনি জানান, এই অদৃশ্য আলো দেওয়াল ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে চলে যেতে পারে। জগদীশ বোসের এই থিওরির উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। রেডিও টেলিস্কোপ, রাডার থেকে শুরু করে নতুন গাড়ি সবই চলছে এর উপরেই। সব জাতিবিদ্বেষ উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে একা হাতেই গবেষণা করতেন এই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। যদিও প্রয়োগ হয়েছে অনেক পরে। তবু সূত্রপাত কিন্তু এই কলকাতাতেই।