পি. টি. উষা এর জীবনী
P. T. Usha Biography in Bengali
পি. টি. উষা এর জীবনী – P. T. Usha Biography in Bengali : এশিয়ার দ্রুততমা নারী পি.টি. উষা তাকে বলা হয় ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা এ্যাথলেট । শুধু ভারত নয় একসময় বিশ্বের প্রথম সারির এ্যাথলেটদের সঙ্গে পি. টি. উষা (P. T. Usha) এর নাম একই সঙ্গে উচ্চারিত হত , তিনি হলেন পি . টি . উষা ।
এশিয়ার দ্রুততমা নারী পি. টি উষা এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । পি. টি উষা এর জীবনী – P. T. Usha Biography in Bengali বা পি. টি উষা এর আত্মজীবনী বা (P. T. Usha Jivani Bangla. A short biography of P. T. Usha. P. T. Usha Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) পি. টি উষা এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পি. টি উষা কে ? Who is P. T. Usha ?
পি. টি. উষা (P. T. Usha) হলেন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় ট্র্যাক এবং ফিল্ড ক্রীড়াবিদ। ১৯৭৯ সাল থেকে পি. টি. উষা (P. T. Usha) ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের সাথে যুক্ত আছেন। পি. টি. উষা (P. T. Usha) ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অন্যতম। পি. টি. উষাকে (P. T. Usha) ভারতীয় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের রাণী বলে অভিহিত করা হয়।
এশিয়ার দ্রুততমা নারী পি.টি. উষা এর জীবনী – P. T. Usha Biography in Bengali :
নাম (Name) | পিলাভুলাকান্দি তেক্কেরাপারাম্বিল উষা বা পি. টি. উষা (P. T. Usha) |
জন্ম (Birthday) | ২৭ জুন ১৯৬৪ (27th June 1964) |
জন্মস্থান (Birthplace) | কেরালা, ভারত |
ডাকনাম | স্বর্ণ কন্যা, পায়োলি এক্সপ্রেস |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
কার্যকাল | ১৯৭৬ – ২০০০ |
নিয়োগকর্তা | ভারতীয় রেল |
উচ্চতা | ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি |
পি টি উষা এর জন্ম ও শৈশবকাল – P T Usha Birthday and Childhood :
দক্ষিণ ভারতের কেরালার এক অখ্যাত গ্রামে ২৭ শে জুন ১৯৬৪ সালে পি.টি. ঊষার জন্ম হয়েছিল , মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসাবে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন । যেখানে পি. টি. উষা (P. T. Usha) থাকতেন সেখানকার প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ তাঁকে প্রভাবিত করেছিল । সেখানে চারপাশে বড় বড় পাহাড় , তারই মাঝে ছোটো ছোটো সমতল ভূমি , আর সেই সমতল ভূমিতে কিছু মানুষের বসবাস । পায়ে হেঁটে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয় । এভাবেই প্রকৃতি বোধহয় সেখানকার মানুষদের শক্ত সামর্থ্য করে তুলেছে ।
পি টি উষা কে নাম্বিয়ার কোচের কাছে শিক্ষাজীবন – P T Usha Education Life With Coach Nambiya :
পি . টি . উষা দৌড়তে ভালোবাসতেন । সেই দৌড়ের মধ্যে কোন বাধা নিষেধ ছিল না , ছিল না কোন নিয়ম শৃঙ্খলার বেড়াজাল । তারপর হঠাৎ একদিন স্থানীয় এক কোচের নজরে পড়ে গেলেন পি. টি. উষা (P. T. Usha) । সেই কোচ পি.টি উষাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ভারত বিখ্যাত কোচ নাম্বিয়ারের কাছে । নাম্বিয়ারের ছিল জহুরীর চোখ । সেদিনের ছিপছিপে কৃষ্ণাঙ্গিনী সেই কিশোরীকে দেখে নাম্বিয়া বুঝতে পেরেছিলেন এর মধ্যে অশেষ সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে । এবার শুরু হল কঠিন কঠোর অনুশীলন পি . টি . উযার , তিনি বুঝতে পারলেন মনের আনন্দে ছটে যাওয়া আর প্রতিযোগিতার আসরে দৌড়ানোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ আছে । সেখানে সেকেন্ডের কোন এক ভগ্নাংশের তফাতে পদক হাত ছাড়া হতে পারে । সেখানে পৃথিবীর সেরা দৌড়বিদদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছুটতে হবে।
পি টি উষা এর একজন আদর্শ অ্যাথলেট এ পরিণত হওয়া :
অসম্ভব মনঃসংযোগ ছিল পি টি উষার । শারীরিক কাঠিন্যের সাথে মানসিক দৃঢ়তা মিশে পি. টি. উষাকে (P. T. Usha) এক আদর্শ এ্যাথলেটে পরিণত করেছিল । নাম্বিয়া বলতেন এইভাবেই বোধহয় ঈশ্বর তাঁর প্রিয় এ্যাথলেট শিষ্যাকে গড়ে তুলেছেন । এমন স্বচ্ছন্দ চলার গতি কজনের মধ্যে আছে ?
পি . টি . উষা অ্যাথলেটিকসের প্রয়োজনীয় উন্নততর যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সুযোগ পাননি । অনেক সমালোচক বলে থাকেন পি.টি. ঊষা যদি পশ্চিম দেশে জন্মাতেন তাহলে দীর্ঘদিন ট্রাকের আসরে রানী রূপে বিরাজ করতেন । তবে আমাদের গৌরব যে পি . টি . উষা ভারতের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে জন্মেও নিজের প্রতিভার গুণে বিশ্বের সর্বত্র নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছিলেন । এ্যাথলেট হিসেবে তাঁর খ্যাতি একসময় কিংবদন্তীর চূড়ায় উঠে গিয়েছিল ।
[আরও দেখুন, মিলখা সিং এর জীবনী – Milkha Singh Biography in Bengali]
১৯৮৪ এর লস এঞ্জেলেস অলিম্পিক – 1984 Los Angeles Olympic :
পি.টি. উষার সব থেকে বড় কৃতিত্ব প্রথম ভারতীয় নারী এবং পঞ্চম ভারতীয় খেলোয়াড় হিসাবে ১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে অলিম্পিক ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন । তার দুর্ভাগ্য এক সেকেন্ডের একান্ন ভাগের এক ভাগের জন্য ব্রোঞ্জ পদক থেকে বঞ্চিত হন । তা যদি পেতেন তাহলে ভারতের অ্যাথলেট ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হত ।
পি.টি. উষা এক সময় ভারতীয় খেলোয়াড় জগতকে আপন বৈশিষ্ট্যের ছটায় আলোকিত করেছিলেন । দীর্ঘসময় পি. টি. উষা (P. T. Usha) ছিলেন এশিয়ার দ্রুততমা নারী ।
হরিণীর মত অনায়াস ভঙ্গিমায় একশো বা দুশো মিটার পার হতে পারতেন । হার্ডেল রেসেও তার গাতিবিধি ছিল চোখে পড়ার মত । যখন ট্রাকের আসরে নামতেন তখন মনে হত তিনি বোধহয় ঈশ্বর প্রেরিত কোন একজন দেবদূত । অথচ মানুষ হিসাবে ছিলেন অত্যন্ত সাধারণ ।
পি টি উষা এর অবসর জীবন – P T Usha Retirement Life :
মানুষের দৃঢ়তাকে পাথেয় করে একাধিক লড়াইতে নেমে জয়যুক্ত হয়েছিলেন এই পি . টি . উষা । দীর্ঘদিন রানীর মত বিচরণ করার পর বয়সের ভারে খেলাধুলার জগৎ থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন পি. টি. উষা (P. T. Usha) ।
[আরও দেখুন, মেরি কম এর জীবনী – Mary Kom Biography in Bengali]
বর্তমানে পি টি উষা – P T Usha Present Life :
এখন পি. টি. উষা (P. T. Usha) বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন । যুক্ত আছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে । তাঁর জীবনের একান্ত ব্রত , অনাথ শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো । এ ক্ষেত্রেও পি. টি. উষা (P. T. Usha) এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে চলেছেন ।
পি টি উষা এর জীবনী – P T Usha Biography in Bengali FAQ :
- পি টি উষা কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
Ans: পি টি উষা ২৭ জুন ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
- পি টি উষা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
Ans: পি টি উষা কেরালায় জন্মগ্রহণ করেন ।
- পি টি উষা কে ?
Ans: পি টি উষা হলেন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় ট্র্যাক এবং ফিল্ড ক্রীড়াবিদ ।
- পি টি উষা কে কি বলা হয় ?
Ans: পি টি উষা কে স্বর্নকন্যা বলা হয় ।
- পি টি উষা কত সালে ফাইনালে উত্তীর্ণ হন ?
Ans: পি টি উষা ১৯৮৪ সালে ফাইনালে উত্তীর্ণ হন ।
[আরও দেখুন, সুনীল গাভাস্কারের জীবনী – Sunil Gavaskar Biography in Bengali
আরও দেখুন, শচীন টেন্ডুলকারের জীবনী – Sachin Tendulkar Biography in Bengali
আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali
আরও দেখুন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali
আরও দেখুন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী – Sourav Ganguly Biography in Bengali]
পি. টি উষা এর জীবনী – P. T. Usha Biography in Bengali
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” পি. টি উষা এর জীবনী – P. T. Usha Biography in Bengali ” পােস্টটি পড়ার জন্য। পি. টি উষা এর জীবনী – P. T. Usha Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই পি. টি উষা এর জীবনী – P. T. Usha Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।