উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | HS History Question and Answer
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর : ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) HS History Question and Answer : উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 History Question and Answer, Suggestion, Notes – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Twelve XII History Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12th History Question and Answer
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- কে বাংলায় দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটান ?
(A) ক্লাইভ
(B) ভেরেলেস্ট
(C) ওয়ারেন হেস্টিংস
(D) কর্নওয়ালিশ ।
Ans: (C) ওয়ারেন হেস্টিংস
- পাঁচসালা বন্দোবস্ত চালু করেন—
(A) ক্লাইভ
(B) ভেরেলেস্ট
(C) ওয়ারেন হেস্টিংস
(D) কর্নওয়ালিশ ।
Ans: (C) ওয়ারেন হেস্টিংস
- মিরকাশিম বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন—
(A) মুঙ্গেরে
(B) দৌলতাবাদে
(C) দেবগিরিতে
(D) পলাশিতে ।
Ans: (A) মুঙ্গেরে
- অমৃতসরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল—
(A) ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে ।
Ans: (C) ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে
- পোর্তুগিজ নাবিকরা প্রথম চিনের কোন বন্দরে তাদের বাণিজ্যঘাটি নির্মাণের অনুমতি পায় ?
(A) ম্যাকাও
(B) ক্যান্টন
(C) পোর্ট আর্থার
(D) হংকং ।
Ans: (A) ম্যাকাও
- দ্বিতীয় আফিমের যুদ্ধ শুরু হয়—
(A) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে ।
Ans: (A) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে
- শিমনোসকির সন্ধি কাদের মধ্যে হয়েছিল ?
(A) রুশ – চিন
(B) রুশ – জাপান
(C) জার্মান – রুশ
(D) চিন – জাপান ।
Ans: (D) চিন – জাপান ।
- ক্যান্টন বাণিজ্যের অবসান ঘটে-
(A) ১৭৫৭ .
(B) ১৭৫৯ খ্র .
(C) ১৮৪১ খ্রি .
(D) ১৮৪২ খ্রি .
Ans: (D) ১৮৪২ খ্রি .
- ভারতে সিভিল সার্ভিসের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হলেন—
(A) লর্ড কর্নওয়ালিশ
(B) ডালহৌসি
(C) হেস্টিংস
(D) লর্ড ক্লাইভ ।
Ans: (A) লর্ড কর্নওয়ালিশ
- চিন ও ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূত্রপাত হয়—
(A) ম্যাকাও
(B) সাংহাই
(C) ক্যান্টন
(D) নানকিং বন্দরের মধ্য দিয়ে ।
Ans: (C) ক্যান্টন
- পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল—
(A) ১৭৫৭
(B) ১৭৬৫
(C) ১৭৭২
(D) ১৭৭৫ খ্রিঃ ।
Ans: (A) ১৭৫৭
- ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করে –
(A) ১৭৬০
(B) ১৭৬৩
(C) ১৭৬৫
(D) ১৭৭০
Ans: (C) ১৭৬৫
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অ্যাক্ট কবে পাশ হয় ?
(A) ১৭৮৪ সালে
(B) ১৭৮২ সালে
(C) ১৭৮০ সালে
(D) ১৭৭৮ সালে ।
Ans: (D) ১৭৭৮ সালে ।
- পাঁচসালা বন্দোবস্ত কবে চালু হয় ?
(A) ১৭৭২
(B) ১৭৭৩
(C) ১৭৭৭
(D) ১৭৮০ খ্রি .।
Ans: (A) ১৭৭২
- ভারতে প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়—
(A) মহারাষ্ট্রে
(B) পাঞ্জাবে
(C) মাদ্রাজে
(D) বাংলায় ।
Ans: (A) মহারাষ্ট্রে
- কলকাতা সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন–
(A) ক্লেভারিং
(B) হেস্টিংস
(C) ফ্রান্সিস
(D) এলিজা ইম্পে
Ans: (D) এলিজা ইম্পে ।
- বাংলায় স্বাধীন নবাবির সূচনা করেন—
(A) মুর্শিদকুলি খাঁ
(B) আলিবর্দি খাঁ
(C) সিরাজউদদৌলা
(D) মিরকাশিম ।
Ans: (A) মুর্শিদকুলি খাঁ
- ব্রিটিশ ভারতে কোন বিষয়কে ভারতের ব্রিটিশ শাসনের ইস্পাত কাঠামো বলা হতো ?
(A) পুলিশি ব্যবস্থাকে
(B) আমলাতন্ত্রকে
(C) সেনাবাহিনীকে
(D) বিচার ব্যবস্থাকে ।
Ans: (B) আমলাতন্ত্রকে
- চিনে আফিম যুদ্ধ হয়েছিল—
(A) ১ টি
(B) ৪ টি
(C) ৩ টি
(D) ২ টি
Ans: (D) ২ টি
- তাইপিং কথাটির অর্থ হলো –
(A) মহাশান্তি
(B) চরম শান্তি
(C) অতি শান্তি
(D) অশান্তি ।
Ans: (A) মহাশান্তি
- চিনে বক্সার বিদ্রোহ ঘটেছিল—
(A) ১৭০০
(B) ১৮০০
(C) ১৯০০
(D) ২০০০
Ans: (C) ১৯০০
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন—
(A) ওয়ারেন হেস্টিংস
(B) উইলিয়াম পিট
(C) উইলিয়াম বেন্টিং
(D) লর্ড ডালহৌসি ।
Ans: (B) উইলিয়াম পিট
- ভাস্কো – দা – গামা কোন দেশের নাবিক ছিলেন ?
(A) পোর্তুগালের
(B) স্পেনের
(C) জাপানের
(D) ফ্রান্সের ।
Ans: (A) পোর্তুগালের
- স্বাধীন হায়দ্রাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়—
(A) ১৭২১
(B) ১৭২৪
(C) ১৭২৬ খ্রি :
(D) ১৭২৮ খ্রিঃ ।
Ans: (B) ১৭২৪
- সর্বশেষ সনদ আইন বা চার্টার অ্যাক্ট কবে পাশ হয় ?
(A) ১৭৯৩ খ্রি .
(B) ১৮১৫
(C) ১৮৩৩
(D) ১৮৫৩
Ans: (D) ১৮৫৩
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অ্যাক্ট ( ১৭৮৪ খ্রি . ) কার উদ্যোগে পাশ হয় ?
(A) রিপনের
(B) ক্লাইভের
(C) পিটের
(D) কর্নওয়ালিশের ।
Ans: (C) পিটের
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- বিদরার যুদ্ধ কবে , কাদের মধ্যে হয় ?
Ans: ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে ওলন্দাজদের সাথে ইংরেজদের । ওলন্দাজরা পরাজিত হয় ।
- কবে , কাদের মধ্যে বন্দিবাসের যুদ্ধ হয় ?
Ans: ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ইংরেজ ও ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে হয় ।
- দ্বৈত শাসন বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ কোম্পানি দেওয়ানি লাভের পর আইনগত দিক বাংলার নবাবের হাতে থাকলেও শাসনক্ষমতা চলে যায় কোম্পানির হাতে । তা দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা নামে পরিচিত ।
- কবে , কার দ্বারা দ্বৈত শাসনের অবসান হয় ?
Ans: ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস – এর দ্বারা ।
- সলবাইয়ের সন্ধি কবে , কাদের মধ্যে হয় ?
Ans: ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের সাথে মারাঠা পেশোয়াদের ।
- স্যার টমাস রো কবে ভারতে আসেন ?
Ans: ব্রিটিশরাজ প্রথম জেমসের দূত টমাস রো ১৬১৫ খ্রিঃ জাহাঙ্গিরের রাজদরবারে আসেন । মোগল সম্রাটের থেকে বাণিজ্যিক সুযোগ লাভই ছিল তার উদ্দেশ্য ।
- অব – শিল্পায়ন বলতে কী বোঝো ?
Ans: ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন ভারতের বাজারে প্রভূত পরিমাণে ব্রিটিশ শিল্পপণ্য চলে আসায় প্রতিযোগিতার জেরে বাংলার কুটিরশিল্প ধ্বংস হয় । এটাই অব – শিল্পায়ন ।
- এদেশে কোথায় প্রথম পাটকল স্থাপিত হয় ?
Ans: ১৮৫৫ খ্রিঃ ব্রিটিশ কর্মচারী জর্জ অকল্যান্ড রিষড়ায় দেশের প্রথম পাটকল গড়ে তোলেন ।
- কবে স্বাক্ষরিত হয় পুরন্দরের সন্ধি ?
Ans: ১৭৭৬ সালে মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও ও হেস্টিংসের মধ্যে হয়েছিল পুরন্দরের সন্ধি ।
- কবে হয় বেসিনের সন্ধি ? এর দু’টি শর্ত লেখো ।
Ans: দ্বিতীয় বাজিরাও ও ইংরেজদের মধ্যে ১৮০২ সালে হয় বেসিনের সন্ধি । দু’টি শর্ত : 1. পেশোয়া অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি মেনে নেন । 2. পুণায় ইংরেজ সেনাবাহিনী নিয়োজিত হয় ।
- এজেন্সি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৭৫৩– ৭৫ পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধীনস্থ কর্মচারীদের এজেন্ট বানিয়ে | তাদের থেকেই পণ্যসামগ্রী কিনত । এটাই এজেন্সি ব্যবস্থা ।
- ব্রিটিশ ভারতে ‘ সম্পদের বহির্গমন ‘ কাকে বলা হতো ?
Ans: ব্রিটিশ শাসকরা প্রচুর ভারতীয় সম্পদ শোষণ করে ইংল্যান্ডে নিয়ে যান । এটাই ‘ সম্পদের বহির্গমন ’ বলে চিহ্নিত ।
- গ্যারান্টি ব্যবস্থা কী ?
Ans: এদেশে রেলপথ নির্মাণে ইংরেজ কোম্পানিকে প্রলুব্ধ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাদের নিখরচায় জমি , বাৎসরিক বিনিয়োগে নির্দিষ্ট সুদ প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে আশ্বাস দেয় । এটাই গ্যারান্টি ব্যবস্থা ।
- কে , কবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন ? Ans: ১৭৯৩ – এর ২২ মার্চ বাংলা , বিহার , ওড়িশায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন লর্ড কর্নওয়ালিশ ।
- ইংরেজরা কার কাছ থেকে , কবে দেওয়ানি লাভ করে ?
Ans: ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে ।
- দস্তক বলতে কী বোঝো ?
Ans: মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ার ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানিকে বার্ষিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার যে অধিকার দেন তা দস্তক নামে পরিচিত ।
- কাও – তাও প্রথা কী ?
Ans: কোন বিদেশি চিন সম্রাটের দর্শন পেলে তাকে সম্রাটের সামনে ভূমি পর্যন্ত নত | হয়ে যাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম জানাতে হতো এই প্রথাই কাও – তাও প্রথা নামে পরিচিত ।
- কে , কবে , কী উদ্দেশ্যে আমিনি কমিশন গঠন করেন ?
Ans: ওয়ারেন হেস্টিংস – এর উদ্যোগে রাজস্ব সম্পর্কিত তথ্যের জন্য ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- ক্যান্টন বাণিজ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল ? এই বাণিজ্যের অবসান কেনো হয় ?
Ans: সূচনা : এশিয়া মহাদেশে আয়তনে এবং জনসংখ্যায় বৃহত্তম একটি রাষ্ট্র চিন যেখানে বাণিজ্যের অন্যতম দিক ছিল ক্যান্টন বাণিজ্য । চিনে বিদেশি বণিকের জন্য উন্মুক্ত একমাত্র বন্দর ক্যান্টনকে কেন্দ্র করে এক পৃথক বাণিজ্যপ্রথা গড়ে উঠেছিল যা ক্যান্টন বাণিজ্য নামে পরিচিত ।
বৈশিষ্ট্য : ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলি ছিল এইরকম—
- রুদ্ধদ্বার নীতি : রুদ্ধদ্বার নীতি অনুযায়ী বিদেশি বণিকরা চিনা ভাষা ও আদবকায়দা শিখতে পারত না । চিনের ফৌজদারি আইন ও বাণিজ্যিক নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য ছিল বিদেশি বণিকরা । এছাড়া কুঠিতে যে কোনো মহিলা ও আগ্নেয়াস্ত্রের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ।
- মূল শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ : শহরের মূল প্রবেশদ্বারের বাইরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বণিকরা বসবাস করত । তারা শহরে প্রবেশ করতে পারত না । ক্যান্টন বন্দরে বিদেশি বণিকরা স্ত্রী ও সন্তানদের রাখতে পারত না ।
- কো – হং প্রথা : বিদেশি বণিকরা ক্যান্টন বন্দরে স্বাধীনভাবে বা সরাসরি বাণিজ্যে অংশ নিতে পারত না । চিনা সরকার ‘ কো – হং ‘ নামক বণিক সংঘকে ক্যান্টন বন্দরে একচেটিয়া বাণিজ্য করতে দিত । বিদেশি বণিকদেরও কো – হং বণিকদের থেকেই পণ্য কিনতে হতো ।
- কো – হংদের দুর্নীতি : কো – হং বণিকদের দুর্নীতির অন্ত ছিল না । তারা চিনা রাজ দরবার , আদালত এবং শুষ্ক অধিকর্তাকে উৎকোচ দিত । বাণিজ্যের বেশিরভাগ মুনাফা তারাই আত্মসাৎ করত । বিদেশিদের বাণিজ্যের শর্তও কো – হং বণিকরা নির্ধারণ করত ।
- ব্যক্তিগত বাণিজ্য : চিনের ক্যান্টন বন্দরে ব্রিটিশ সহ ইউরোপীয়রা নানা ধরনের ব্যক্তিগত বাণিজ্যে জড়িত ছিল । এর জন্য চিন সরকারের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে হতো না ।
- ইংরেজ বণিকদের প্রাধান্য : ক্যান্টন বন্দরে ব্রিটিশ বণিকদের প্রাধান্য ছিল । এর মধ্যে চা – এর বাণিজ্য ছিল উল্লেখযোগ্য । চিনের সঙ্গে ইংল্যান্ডের এই বাণিজ্যকে বলা হতো ‘ দেশীয় বাণিজ্য ‘ ।
ক্যান্টন বাণিজ্য অবসানের কারণ : কোনো একটি নির্দিষ্ট কারণে নয় একাধিক কারণের সমন্বয়ে ক্যান্টন বাণিজ্য ধীরে ধীরে অবসানের দিকে এগিয়ে যায় । একারণ ছিল এইরূপ —
- বাণিজ্যিক কার্যকলাপ : ক্যান্টনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিদেশি শক্তিসমূহ সচেষ্ট হয়েছিল । কিন্তু চিন বিদেশিদের প্রতি উদারতা প্রদর্শন তো দূরের কথা উপরন্তু সবরকম বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা f জানিয়ে দেয় ।
- আফিম যুদ্ধ : উনিশ শতকের প্রথম দিকে চোরাপথে ব্রিটিশ বণিকরা চিনে আফিম পাঠাতে থাকে । আফিম ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে চিন ও ব্রিটেনের মধ্যে হয় প্রথম আফি যুদ্ধ । এই যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে ক্যান্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে ।
- অন্যান্য বন্দরের উত্থান : ১৯৪২ – এর নানকিং চুক্তির মাধ্যমে সাংহাই , নানকিং বন্দরে বিদেশিদের প্রবেশ উন্মুক্ত হয় । ফলে বিদেশি বাণিজ্যে ক্যান্টন একাধিপত্য হারায় । ১৮৫৯ সালে ক্যান্টন বাণিজ্য শপিং দ্বীপে স্থানান্তরিত হয় । ১৮৬৬ – এর মধ্যে সব বিদেশি শক্তি ক্যান্টন থেকে ব্যাবসা সরিয়ে নেয় । ক্রমে ক্যান্টন বাণিজ্য প্রথার অবসান ঘটে ।
- ভারতে রেলপথ বিস্তারের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো ।
অথবা , ভারতে কে , কবে রেলপথ স্থাপন করেন ? রেলপথ স্থাপনের বিভিন্ন উদ্দেশ্য কী ছিল ?
Ans: রেলপথের স্থাপনা : ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব ওঠে , যার শেষ পরিণতি অর্থাৎ ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ নির্মিত হয় ।
- রেলপথ স্থাপনের উদ্দেশ্য : নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে কোম্পানি ভারতে রেলপথ স্থাপন করে । উদ্দেশ্যগুলি হলো—
ডালহৌসির উদ্দেশ্য : ডালহৌসির মতে , ভারতের দূরবর্তী অঞ্চলে দ্রুত সেনাবাহিনী পাঠানো , যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে বাণিজ্য ব্যবস্থার সম্প্রসারণে রেলপথ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।
পুঁজি বিনিয়োগ : শিল্পবিপ্লবের ফলে ব্রিটিশ শিল্পপতিরা বিপুল পরিমাণ পুঁজির মালিক হয়ে ওঠে । তারা ভারতে রেলপথ নির্মাণে মূলধন বিনিয়োগ করতে থাকে । কারণ এই বিনিয়োগ তাদের কাছে ছিল প্রচুর মুনাফা লাভের মাধ্যম ।
কাঁচামাল রপ্তানি : ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের দরুন প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দ্রুত সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজন ছিল রেলপথের ন্যায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা । ড . সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেছেন— “ এই সব লাভের লোভই ছিল আসল কথা , এদেশের অর্থনীতির আধুনিকীকরণ মোটেই নয় । ”
বিলেতি পণ্যের সরবরাহ : ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদিত বিপুল পণ্যসামগ্রীর বিক্রির জন্য প্রয়োজন ছিল ভারতের মতো বৃহত্তর বাজার । ভারতের অভ্যন্তরে দূর দুরান্তে এই পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবার জন্য প্রয়োজন ছিল উন্নত রেল যোগাযোগের ।
রাজনৈতিক প্রয়োজন : বিশাল ভারতীয় সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক তদারকির জন্য প্রয়োজন ছিল উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার । আর রেলপথ সেসব অভাব পূরণে সক্ষম ছিল ।
সামরিক উদ্দেশ্য : ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহ দেখা দিলে দ্রুত সৈন্যবাহিনী পাঠানোর জন্য প্রয়োজন ছিল উন্নত রেল যোগাযোগ ।
অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য : শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ এবং উৎপাদিত দ্রব্য দ্রুত ভারতের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেবার জন্য অন্যতম মাধ্যম ছিল রেলপথ ।
ভারতে রেলপথ স্থাপনের ফলাফল / প্রভাব : ভারতীয় উপনিবেশিক অর্থনীতিতে রেলপথ নির্মাণে গভীর ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ছিল এইরকম –
প্রশাসনিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা : ভারতে রেলপথ বিস্তারের ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয় । ফলে দেশের বিভিন্ন অংশের মধ্যে প্রশাসনিক ঐক্য গড়ে ওঠে ও এদেশে ব্রিটিশ শাসনের ভীত আরও শক্ত হয় ।
পরিবহণ বৃদ্ধি : রেল ব্যবস্থা প্রসারের ফলে ভারতে মানুষ ও পণ্য উভয় পরিবহণের কাজে যোগযোগের মাধ্যম বৃদ্ধি পায় ।
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধি : রেলপথের মাধ্যমে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং এক অঞ্চলের পণ্য অন্য অঞ্চলে সহজেই সরবরাহ করা সম্ভব হয় ।
ভাষা , ধর্ম ও গোষ্ঠীগত বিভেদের প্রাচীর ভেঙে দিয়ে রেলপথের প্রসারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও মতামতের আদানপ্রদান দ্বারা জাতীয় ঐক্য ও জাতীয়তাবোধ বৃদ্ধি পায় ।
- ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ভারতের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।
Ans: সূচনা : কৃষিপ্রধান দেশ ভারতবর্ষের অর্থনীতি সুপ্রাচীন কাল থেকেই কৃষিনির্ভর । রাষ্ট্রীয় আয়ের সিংহভাগ আদায় হয় ভূমিরাজস্ব থেকে । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে কৃষককুলের স্বার্থ এদেশে চিরকালই অবহেলিত । কোম্পানির আমলে কৃষক সম্প্রদায় আরও শোষিত হয় ভূমিরাজস্বের মাধ্যমে ।
হেস্টিংস – এর পদক্ষেপ : লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস – এর শাসনকালকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার পরীক্ষা – নিরীক্ষার যুগ বলা হয়ে থাকে । ১৭৭২ খ্রি : তিনি জমি ইজারাদারদের নিলামে দেবার জন্য ‘ ভ্রাম্যমাণ ‘ কমিটি গঠন করেন । :
- পাঁচসালা বন্দোবস্ত : ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কোম্পানির আমলে প্রথম তাই এই ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্তকে বলা হয় পাঁচসালা বন্দোবস্ত বা ইজারাদারি বন্দোবস্ত ।
পাঁচসালা বন্দোবস্ত । এই বন্দোবস্ত অনুসারে জমি পাঁচ বছরের জন্য বন্দোবস্ত করা হতো ।
- একসালা বন্দোবস্ত : পাঁচসালা বন্দোবস্তের বিভিন্ন ত্রুটি দেখা দিলে তার অবসানে ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত – এর প্রবর্তন করেন । হেস্টিংস আমিনি কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ১৯৭৭ খ্রি .
- দশসালা বন্দোবস্ত : লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস – এর পরবর্তীতে লর্ড কর্নওয়াি গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর কৃষির উন্নতি , প্রজাপীড়ন বন্ধ করার জন্য এবং কোম্পানির বাৎসরিক আয়ের নিশ্চয়তা দান করতে ১৭৮৯ খ্রি : বাংলায় , ১৭৯০ খ্রি : উড়িষ্যায় দশ বছরের জন্য যে ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত করেন তা দশসালা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত ।
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত : ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ – এর পর পাকাপাকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ১৭৯০ খ্রি :। এইসময় লর্ড কর্নওয়ালিশ জমিদারদের সাথে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নামে এক ভূমিবন্দোবস্ত করেন । এই ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা অনুসারে স্থির হয় জমিদারগণ নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের পূর্বে ভূমিরাজস্ব প্রদান করতে বাধ্য থাকবে । তা না করতে পারলে তাদের জমিদারি স্বত্ব বাজেয়াপ্ত হবে । এছাড়া স্থির হয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় – এর সময়েও রাজস্ব মকুব হবে না , জমিদাররা ইচ্ছামতো জমিদান বা বিক্রয় ও বন্ধক রাখতে পারবে ।
- রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত : ১৮২০ খ্রি : ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার রিড ও টমাস মনরোর উদ্যোগে ভারতের দক্ষিণ ও দক্ষিণ – পশ্চিম অঞ্চলে যে ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্তু প্রবর্তন করা হয় তা রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত নামে পরিচিত । এই বন্দোবস্ত ৩০-৪০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতো । এই বন্দোবস্ত অনুসারে কোম্পানি সরাসরি জমিদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ।
- মহলওয়ারি বন্দোবস্ত : ১৮২২ খ্রি : এলফিনস্টোন ভারতবর্ষের উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত ও গাঙ্গেয় উপত্যকা অঞ্চলে কিছু কিছু গ্রাম নিয়ে একটি মহল বা তালুক সৃষ্টি করে ইজারা দেওয়ার যে রীতির প্রচলন ঘটান তা মহলওয়ারি বন্দোবস্ত নামে পরিচিত ।
- পলাশি ও বক্সার যুদ্ধের ফলাফলের তুলনামূলক আলোচনা করো ।
Ans: পলাশি যুদ্ধের ফলাফল : ঐতিহাসিক ম্যালেসন বলেছেন , “ পলাশির যুদ্ধের মতো আর কোনো যুদ্ধের ফলাফল এত ব্যাপক ও স্থায়ী হয়নি । ” এই যুদ্ধের ফলে –
- কোম্পানির সার্বভৌমত্ব : পলাশির যুদ্ধে জয়লাভ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি । ভারতে কোম্পানির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে ।
- রাজনীতিতে প্রাধান্য : এই যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার রাজনৈতিক পুতুলে পরিণত হন । ক্ষেত্রে প্রকৃত নিয়ন্ত্রকে পরিণত হয় কোম্পানি ।
- প্রশাসনিক শূন্যতা : পলাশির যুদ্ধে বাংলার নবাবের পরাজয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হয় । বাংলায় দেখা দেয় প্রশাসনিক শূন্যতা । কোম্পানি ইচ্ছামতো ব্যক্তিকে নবাব পদে বসায় ।
- একচেটিয়া বাণিজ্য : পলাশির যুদ্ধে জিতে কোম্পানি দস্তক বা বিনাশুল্কে বাণিজ্যিক অধিকার প্রয়োগ করে বাংলার বাণিজ্যে একচেটিয়া প্রাধান্য স্থাপন করে । ধ্বংস হয় দেশীয় ব্যাবসাবাণিজ্য ।
- বাংলার পরাধীনতা : পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজ – উদ – দৌলার পতনের ফলে বাংলা পরাধীন হয়ে পড়ে । ইংরেজরা মিরজাফরকে সিংহাসনে বসিয়ে নিজেরা সিংহাসনের পশ্চাৎ শক্তিতে পরিণত হয় ।
বক্সার যুদ্ধের ফলাফল : বক্সার যুদ্ধ ( ১৭৬৪ ) প্রসঙ্গে জেমস স্টিফেন বলেছেন , “ ভারতে ব্রিটিশ শক্তির উৎস হিসেবে বক্সারকে গণ্য করা হয় । ” এর ফলে—
- ভাগ্য নির্ণায়ক যুদ্ধ : বক্সারের যুদ্ধ ছিল ভারত ইতিহাসের ভাগ্য নির্ণায়ক যুদ্ধ । যে কারণে ঐতিহাসিক বিপান চন্দ্র বলেছেন , “ এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে সর্বাধিক নিষ্পত্তিমূলক নির্ণায়ক । ”
- বাংলায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা : বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির পথ থেকে সব বাধা দূর হলো । বাংলায় কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ হলো সহজ ।
- উত্তর ভারতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা : বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর কোম্পানি উত্তর ভারতে নজর দেয় । অযোধ্যার নবাব কোম্পানির অনুগত হন । উত্তর ভারতে কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয় ।
- আর্থিক লুণ্ঠন : বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের ফলে বাংলার বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে কোম্পানির একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয় । এই সুযোগে শুরু হয় আর্থিক লুণ্ঠন । মিরকাশিমের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উপঢৌকন আদায় করা হয় ।
- দেওয়ানি লাভ : বক্সারের যুদ্ধের পর বাংলা , বিহার , উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে কোম্পানি । এতে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব লাভের পাশাপাশি কোম্পানির আর্থিক লাভ হয়েছিল ।
মূল্যায়ন : ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের মতে , পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতে মধ্যযুগের অবসান হয় এবং আধুনিক যুগের সূচনা হয় । অবশ্য বক্সার যুদ্ধে জয়লাভের পরই ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সূচনা হয় । এ প্রসঙ্গে র্যামসে মুর বলেছেন , “ বঙ্গার বাংলার উপর কোম্পানির শাসন – শৃঙ্খলা চূড়ান্তভাবে স্থাপন করেছিল ।
- ভারতে রেলপথ স্থাপনের ঘটনা এদেশের অর্থনীতিতে কী ফেলেছিল ?
Ans: সূচনা : আধুনিক রেলপথ স্থাপন ভারতবর্ষে কেবলমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থারই যে উন্নতিসাধন করেছিল তা নয় , তৎকালীন ভারতীয় অর্থনীতিতেও এর সুদুরপ্রসারী ফলাফল লক্ষ করা যায় । ঐতিহাসিক বিপানচন্দ্রের মতে— “ The construction of railway had a revolutionary impact on the life , culture and economy of the Indian people . ”
ভারতের অর্থনীতিতে রেলপথের সুফল :
- বিদেশের বাজারে ভারতের পণ্যে সাফল্য : রেলপথের জন্য পরিবহণ খরচ | কমে যাওয়ায় ভারতের পণ্যগুলি বিদেশের বাজারে সাফল্যের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় । রপ্তানির সাথে আমদানির পরিমাণও বেড়ে যায় ।
- অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি : রেলপথ স্থাপনের ফলে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যায় । আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে ।
- ব্রিটেন – ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিন্যাস : ১৮৮০ খ্রি : মধ্যে ব্রিটেন ভারতের সবচেয়ে বড়ো ক্রেতা ও বিক্রেতার স্থান দখল করে যা ব্রিটেন ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিন্যাস ঘটায় ।
- নগরকেন্দ্রিক অর্থনীতির ব্যাপকতা : রেলপথ প্রসারের ফলে বন্দর নগরগুলির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় । নগরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় । এভাবেই গড়ে ওঠে নগরকেন্দ্রিক অর্থনীতি।
- কর্মসংস্থানের সুযোগ : ভারতীয় রেলপথের দ্রুত প্রসার কর্মবিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করেছিল । ১৮৬৫ খ্রি : রেলে নিযুক্ত কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩৪০০০ কিন্তু ১৯৮৫ খ্রি : এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭৩০০০ – এ ।
ভারতীয় অর্থনীতিতে রেলপথের কুফল :
- গ্যারান্টি প্রথার কুফল : গ্যারান্টি প্রথা অনুসারে রেল কোম্পানিগুলিকে প্রভুর ভরতুকি এবং পুঁজির লগ্নির ওপর পাঁচ শতাংশ হারে সুদও দেওয়া হচ্ছিল ।
- ধন নিষ্কাশন বৃদ্ধি : ব্যয়বহুল রেলপথ নির্মাণের জন্য ভারতীয় অর্থনীতির ওপর যথেষ্ট চাপ পড়ে । এককথায় বলতে গেলে গ্যারান্টি প্রথার দ্বারা ভারতীয় অর্থনীতির এক বিরাট অংশ বিদেশে চলে যায় ।
- জলপথ ও সড়কপথ অবহেলিত : রেলপথ চালু হওয়ায় তা যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে পড়ে । ফলে জলপথ ও সড়কপথ অনেকটাই অবহেলিত হয়ে পড়ে ।
মন্তব্য : রেলপথ স্থাপনের ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে গতিশীলতার সঞ্চার হয় । এবং ভারত শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয় । তবে এর ক্ষতিকারক দিকগুলিকে অস্বীকার করা যায় না ।
- কে , কবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন ? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল লেখো ।
Ans: সূচনা : ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৫ খ্রি : দেওয়ানি লাভের পর ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা নিয়ে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন । এই পরীক্ষানিরীক্ষার চূড়ান্ত ফলশ্রুতি ছিল চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । ১৭৯৩ খ্রি : মার্চ মাসে লর্ড কর্নওয়ালিশ এই ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন । এই ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্তের ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী যা সমকালীন আর্থ – সামাজিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল ।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের ফলে কোম্পানি , জমিদার ও কৃষক এই তিনটি শ্রেণিরই কিছু লাভ ও ক্ষতি হয়েছিল । যেমন—
সুফল : মার্শম্যানের মতে , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তু ছিল একটি দৃঢ় সাহসিকতাপূর্ণ ও বিচক্ষণ পদক্ষেপ । এর সুফলগুলি ছিল—
- বাজেট প্রস্তুতে সহায়ক : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দ্বারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বার্ষিক আয় সুনির্দিষ্ট হওয়ায় কোম্পানির বাজেট প্রস্তুতে তা সহায়ক হয়েছিল ।
- উৎখাতের সম্ভাবনা হ্রাস : কৃষকদের রাজস্বের পরিমাণ সুনির্দিষ্ট হওয়ায় কৃষকদের সুবিধা হয়েছিল । কারণ তারা ইজারাদারদের শোষণ ও জমি থেকে ঘন ঘন উৎখাতের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পায় । তবে সকল কৃষকেরই যে এমন হয়েছিল একথা বলা যায় না ।
- জমি ও প্রজাবর্গের উন্নতিসাধন : জমিদারদের চিরস্থায়ীভাবে জমির মালিকানার অধিকারদানের ফলে জমি এবং প্রজাসাধারণের উন্নতিসাধনের প্রেরণা পেয়েছিল ।
- আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে দেশে কৃষিযোগ্য আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে ফসলের উৎপাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায় ।
- ব্রিটিশদের অনুগত গোষ্ঠী : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দ্বারা জমিদাররা সরকারের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ব্রিটিশ সরকারের স্থায়িত্ব রক্ষার চেষ্টা করে । ফলে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয় ।
কুফল : ১৭৯৩ খ্রি : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কুফলগুলি ছিল অধিক প্রকট । যেমন — ঐতিহাসিক হোস চিরস্থায়ী বন্দোবস্তুকে ‘ একটি দুঃখজনক ভুল ’ বলে অভিহিত করেছেন । এডওয়ার্ড থর্নটন বলেন— “ চরম অজ্ঞতা থেকেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সৃষ্টি । ” এই ভূমিবন্দোবস্তের কুফলগুলি ছিল এইরকম—
- কৃষকদের দুর্দশা বৃদ্ধি : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের আগে জমির মালিক ছিল প্রজারা কিন্তু চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দ্বারা এই মালিকানা থেকে তারা বঞ্চিত হয় এবং কৃষকরা ব্যক্তিগতভাবে জমিদারদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে । ফলে কৃষকদের জীবন হয়ে ওঠে চরম দুর্দশাগ্রস্ত ।
- চড়া হারে খাজনা আদায় : চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্তে রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার পূর্বে জমি প্রকৃতপক্ষে জরিপ করা হয়নি । ফলে অনেক ক্ষেত্রে সেইসময়ের পক্ষে খাজনা অধিক হারে স্থির হয়েছিল ।
- মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির উদ্ভব : অনেক জমিদার রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জমি ইজারা দেয় । ফলে ইজারাদার , দর ইজারাদার , পাওনাদার প্রভৃতি মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির উদ্ভব হয় ।
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal HS Class 12th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :-
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
HS Suggestion 2025 | উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
HS Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Political Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Philosophy Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Sanskrit Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Education Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Sociology Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Physics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Biology Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Chemistry Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Computer Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS All Subjects Suggestion 2025 Click here
Info : Higher Secondary History Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (Class 12th) History Qustion and Answer
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
” উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Twelve XII / WB Class 12 / WBCHSE / Class 12 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 12 Exam / Class 12 Class 12th / WB Class 12 / Class 12 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন / উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । HS History Suggestion / HS History Question and Answer / Class 12 History Suggestion / Class 12 Pariksha History Suggestion / History Class 12 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / HS History Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (HS History Suggestion / West Bengal Twelve XII Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 12th History Suggestion / HS History Question and Answer / Class 12 History Suggestion / Class 12 Pariksha Suggestion / HS History Exam Guide / HS History Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / HS History Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / HS History Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | Higher Secondary History
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস (Higher Secondary History) – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | Higher Secondary History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | HS History Question and Answer Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সহায়ক – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর । HS History Question and Answer, Suggestion | HS History Question and Answer Suggestion | HS History Question and Answer Notes | West Bengal HS Class 12th History Question and Answer Suggestion.
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 History Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) । HS History Suggestion.
WBCHSE Class 12th History Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়)
WBCHSE HS History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | HS History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
HS History Question and Answer Suggestions | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
HS History Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর HS History Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 12 History Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 12 History Suggestion Download WBCHSE Class 12th History short question suggestion . HS History Suggestion download Class 12th Question Paper History. WB Class 12 History suggestion and important question and answer. Class 12 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the HS History Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
HS History Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 12 History Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Twelve XII History Suggestion | West Bengal Board WBCHSE Class 12 Exam
HS History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBCHSE Class 12 Twelve XII History Suggestion is provided here. HS History Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।