অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity – Economic Geography (Geography) Question and Answer in Bengali
শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography) : অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (ভূগোল – Geography) শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব – Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity প্রশ্ন Oও উত্তর নিচে দেওয়া হল। এই (শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব – Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity – অর্থনৈতিক ভূগোল Economic Geography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব – Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity – অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।
শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity) অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
1. শিল্প কাকে বলে ? ( INDUSTRY )
Ans: যখন মানুষ তার শ্রম ও বুদ্ধির দ্বারা প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানকে কাজে লাগিয়ে যন্ত্র দ্বারা অধিকা ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে , তখন ঐ প্রক্রিয়াকে শিল্প বলে । A manufacturing industry that where mechanical method , usually on a large scale , converts primary produc into more useful forms and produces finished or partly finished products , বৈশিষ্ট্য : i ) শিল্প বাণিজ্যিক ভিত্তি সংগঠনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে । ii ) শ্রমিকের দ্বারা অধিকতর কার্যকর ও মূল্যবান দ্রব্যে পরিণত করা হয় । উদাহরণ : প্রাথমিক কাজ কৃষি ; কৃষিতে উৎপন্ন হয় তুলা : তুলা থেকে উৎপন্ন হয় সূতো ; সুতো থেকে অধিক – ব্যবহার উপযোগী বস্ত্রে রূপান্তরিত করা হয় । সুতরাং , তুলা থেকে বস্তু নির্মাণের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে শ্রমশিল্প বলে ।
2. শল্পায়ন বা INDUSTRIALISATION কী ?
Ans: ব্যাপকমাত্রায় শিল্প স্থাপন বা শিল্প গড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে শিল্পায়ন বলে । পূর্ণাঙ্গ বাজার তাঁর প্রতিযোগিতামূলক ; এরুপ বাজারে শিল্পায়নের কাজ শিল্পের দক্ষতা , বাজার , চাহিদা , লাভের উপর নির্ভর করে । সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শিল্পায়নের কাজ রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত । ভারতবর্ষে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় শিল্পায়নের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী শিল্প গড়ে ওঠে ; বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের ফলে বিভিন্ন স্থানে নানান ধরনের শিল্প স্থাপিত হচ্ছে । তবে বর্তমানে শিল্পায়নের আদর্শ রূপ দেখা যাচ্ছে গুজরাট রাজ্যে ।
3. কৃষিভিত্তিক শিল্প কী ?
Ans: যে শিল্পব্যবস্থা কৃষিকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠে তাকে কৃষিভিত্তিক শিল্প বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) কৃষি সহায়ক সামগ্রী উৎপন্ন হয় । ii ) কৃষির উন্নয়ন ঘটে । যেমন : রাসায়নিক সার , কীটনাশক , ট্রাক্টর নির্মাণ প্রভৃতি । ২২২ শিল্পভিত্তিক কৃ षি । যে কৃষিব্যবস্থা কেবলমাত্র শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে তাকে শিল্পভিত্তিক কৃষি বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা মূল উদ্দেশ্য । ii ) কৃষিভিত্তিক শিল্পের কাঁচামাল উৎপন্ন হয় । উদাহরণ : তুলা , রেশম , পাট প্রভৃতি । প্রভাব : শিল্পভিত্তিক কৃষির বিস্তারের ফলে খাদ্যফসল উৎপাদন কমে যাবার সম্ভাবনা দেখা যায় । সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলো শিল্পভিত্তিক কৃষিতে জোর দেওয়ার ফলে খাদ্য ফল উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ।
4. শিল্পভিত্তিক সমাজ ও কৃষিভিত্তিক সমাজ এর পার্থক্য লেখো ।
শিল্পভিত্তিক সমাজ | কৃষিভিত্তিক সমাজ |
1. শিল্পজাত দ্রব্য উৎপাদন করে যে অর্থনৈতিক উন্নতির স্তর নির্ধারক সমাজ গড়ে ওঠে তাকে শিল্পভিত্তিক সমাজ বলে । | 1. জমি ও কৃশিকার্যকে কেন্দ্র করে যে সমাজ গড়ে ওঠে তাকে কৃষি ভিত্তিক সমাজ বলে । |
2. এইরূপ সমাজ নগর কেন্দ্রিক হয় । | 2. কৃষি ভিত্তিক সমাজ মূলত গ্রাম কেন্দ্রিক হয় । |
3. উন্নত প্রকৃতির হয় । | 3. সমাজ ও অর্থনীতি দুর্বল প্রকৃতির হয় । |
4. কম জন্মহার, মৃত্যহার, অধিক আয়, শিক্ষা ও উন্নত জীবন যাপন প্রণালী এই সমাজের বৈশিষ্ট্য । | 4. এই সমাজে বাল্যবিবাহ, অধিক জন্মহার, কম আয়, অশিক্ষা ও কুসংস্কার দেখা যায় । |
5. উদাহরণসহ শিল্পের শ্রেণীবিভাগ ?
Ans: বৈশিষ্ট্য , ব্যবহার , আয়তন , কাঁচামাল প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে শিল্পের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ করা যায় । যেমন 7 ক ) ব্যবহারভিত্তিক শিল্প : i ) ভোগ্যপণ্য শিল্প , উদাহরণ— বস্ত্র , কাগজ , চিনি শিল্প । ii ) নির্মাণ শিল্প , উদাহরণ- লৌহ – ইস্পাত । iii ) মূলধনী দ্রব্য শিল্প , উদাহরণ- যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্প । খ ) কাঁচামাল অনুসারে শিল্প : i ) কৃষিভিত্তিক শিল্প , উদাহরণ- চা , পাট শিল্প । ii ) বনভিত্তিক শিল্প , উদাহরণ দেশলাই , কাগজ শিল্প । iii ) খনিজভিত্তিক শিল্প , উদাহরণ- অ্যালুমিনিয়াম শিল্প । iv ) প্রাণীভিত্তিক শিল্প । উদাহরণ পশম , দোেহ শিল্প ! গ ) আয়তন অনুসারে শিল্প : i ) বৃহৎ শিল্প , উদাহরণ— লৌহ – ইস্পাত , মোটর গাড়ি শিল্প ii ) ক্ষুদ্র শিল্প , উদাহরণ- তাঁত , মৃৎ , বাসন শিল্প ।
6. কুটির শিল্প কী ?
Ans: যে সকল শিল্প আয়তনে ক্ষুদ্র এমনকি ছোট ঘরে বা কুটিরেও গড়ে ওঠে তাদের কুটির শিল্প বলে । বৈশিষ্ট্যঃ ( ক ) কম জায়গাতে গড়ে ওঠে । ( খ ) বাড়ীর সকল সদস্যই একাজে যুক্ত থাকে । ( গ ) মাথাপিছু উৎপাদন কম হয় । ( খ ) কম মূলধনে গড়ে ওঠে । উদাহরণ : মৃৎশিল্প , রেশম শিল্প , তাঁত শিল্প , বাসন শিল্প প্রভৃতি । ( পাঁচমুড়া , ধনিয়াখালি , কেকুেড়া ) ( ক ) বড় শিল্পকে চাঙ্গা করে । গুরুত্ব : ( খ ) সব জায়গাতেই গড়ে ওঠা সম্ভব । ( গ ) অনেক মানুষের কর্মসংস্থান ঘটে । যেমন – বাংলার তাঁত , কাশ্মীরের পশম শিল্প এ হিসাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
7. বিশুদ্ধ ও অবিশুদ্ধ কাঁচামাল কী ?
Ans: বিশুদ্ধ কাঁচামাল : যে কাঁচামালের ওজন সর্বত্র একই থাকে ; এদের পণ্যসূচক বা MI- এর কম হয় ; ফলে সেক্ষেত্রে শিল্পটি কাঁচামাল উৎপাদক অঞ্চল ও দূরে বাজারের নিকট গড়ে ওঠে । যেমন- বস্ত্র ও রেশম । উদাহরণ — যুক্তরাজ্যে ও জাপানে কার্পাস বজ্র উৎপাদিত না হলেও প্রচুর বস্ত্রশিল্প গড়ে উঠেছে । বা কাঁচামাল উৎসের নিকট গড়ে ওঠে । অবিশৃদ্ধ কাঁচামাল : যে সকল কাঁচামাল ওজন হ্রাসমান হয় ; ওয়েবারের মতে পণ্যসূচক I- এর বেশি উদাহরণ – উত্তরপ্রদেশে ইক্ষু উৎপাদক অঞ্চলের মধ্যেই অধিকাংশ চিনি কল গড়ে উঠেছে ।
8. পরিকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা কী ?
Ans: প্রাথমিক দ্রব্য থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কার্যকলাপ সম্পাদনের জন্য যে সুযোগ সুবিধা দরকার , ডাকে পরিকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বলে । যেমন— ( 1 ) শ্রমশিল্পের পরিকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা হল কাঁচামালের সহজ লভ্যতা , অনুকূল জলবায়ু , দক্ষ শ্রমিক , বিদ্যুৎ ও মূলধনের সুবিধা , উন্নত পরিবহন , উপযুক্ত মানব সম্পদ , পানীয় জল , নিরাপত্তা প্রভৃতি । ( ii ) পরিষেবা ক্ষেত্রে কর্ম পরিবেশ , পারস্পরিক সহাবস্থান , বাড়ি ও সরঞ্জাম উন্নত মানসিকতা প্রভৃতি ।
9. শিল্পের অবস্থান নির্ণায়ক তত্ত্ব কী ?
Ans: শিল্প অবস্থান সংক্রান্ত তত্ত্বগুলো হল নিম্নরূপ অর্থনীতিবিদদের তত্ত্ব : i ) আলফ্রেড ওয়েবারের শিল্প – স্থানিকতার নতম ব্যয় তত্ত্ব । ii ) টর্ড প্যালেন্ডারের বাজারের অবস্থান বিষয়ক তত্ত্ব । iii ) এডগার হুভারের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব । iv ) অগাষ্ট লাসের বাজারের অবস্থান বা মুনাফা সর্বাধিকীকরণ তত্ত্ব । v ) মেলভিন গ্রীন হাটের— শিল্প প্রতিষ্ঠানের অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব । ভৌগোলিকদের তত্ত্ব : i ) রিচার্ড হার্টসোর্নের আপেক্ষিক অবস্থান তত্ত্ব । ii ) ওয়াল্টার ক্রাইসটেলারের সেন্ট্রাল প্লেস তত্ত্ব । iii ) জর্জ রেনারের শ্রমশিল্পের অবস্থানের নীতি ।
10. Economics of seale বা শিল্পে ব্যয় সংকোচ কী ?
Ans: সংজ্ঞা : শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রচুর মূলধন , উন্নত প্রযুক্তি , আধুনিক যন্ত্রপাতি , উন্নত পরিকাঠামো দ্বারা প্রচুর ও উন্নত পণ্য উৎপাদনের ফলে ইউনিট প্রতি ব্যয় হ্রাস পেলে তাকে শিল্পে ব্যয় সংকোচ বলে । প্রবক্তা : অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শাল শিল্পে ব্যয় সংকোচের কথা বলেন ; তাঁর মতে এরূপ বায় সংকোচ দু’ধরনের— ( ক ) আভ্যন্তরীন ( খ ) বাহ্যিক ব্যয়সংকোচ । গুরুত্ব ও সুবিধা : ( i ) শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমে যায় ( প্রচুর উৎপাদন হয় বলে ) । ( ii ) পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন হয় ( উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ বলে ) । ( iii ) উৎপাদন ব্যয় কম ও শিল্পজাত পণ্যউন্নত মানের হয় বলে বাজারে চাহিদা বাড়ে । বাজার প্রসারিত হয় । প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বাড়ে বলে শিল্প দীর্ঘস্থায়ী হয় ( অগষ্ট লসের মতে ) ।
11. ওয়েবার নীতির প্রাথমিক নীতি কী ?
Ans: জার্মান অর্থনীতিবিদ ওয়েবারের ( 1909 ) শিল্প স্থানিকতার ন্যূনতম ব্যয় তত্ত্বের প্রাথমিক ভিত্তি হ অঞ্চলটি সম প্রকৃতির হবে । ভূ – প্রকৃতি , জলবায়ু , সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক শক্তি একই হালে 1 . স্থাপন সহজে হবে । 2 . শ্রমিকের যোগান , মজুরী প্রভৃতি নির্দিষ্ট হবে । 3 . পরিবহন ব্যয় ও ওজন এবং দূরত্বের সমানুপাতিক হবে । 4 . উৎপন্ন দ্রব্যের বিপুল চাহিদা থাকবে । 5 . শ্রমিক মজুরী কম হবে , একত্র অনেক শিল্পের সমাবেশ হবে । ফলে বিভিন্ন অর্থ সুযোগ – সুবিধা সর্বাধিক হবে । 6 . শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সহজপ্রাপ্য হবে ।
12. আইসোটিম কী ?
Ans: আইসোটিম আসলে ওয়েবার তত্ত্বের সমপরিবহন ব্যয়সম্পন্ন রেখার সংযোগকারী এক কাল্পনিং রেখা । এই রেখার দ্বারা কাঁচামালের পরিবহন বায় ও উৎপন্ন পণ্যের পরিবহন ব্যয়কে পৃথক পৃথকভার দেখানো হয় । কাঁচামালের উৎস থেকে কাঁচামাল পরিবহন করার জন্য বিভিন্ন দুরত্বে কাঁচামালের সমপরিম ব্যয়কে কাঁচামালের আইসোটিম বলে । উৎপন্ন পণ্য শিল্পকেন্দ্র থেকে বাজারে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন দুরত্বে উৎপন্ন পণ্যের সমপরিবহন ব রেখাকে উৎপাদিত পণ্যের আইসোটিম বলে ।
- আইসোডাপেন কী ?
Ans: কাঁচামাল ও আইসোডাপেন হল ওয়েবারের শিল্প স্থানিকতা তত্ত্বের এক কাল্পনিক রেখা ; যে উৎপাদিত শিল্পজাত পণ্যের মিলিত মোট পরিবহন ব্যয়যুক্ত স্থানসমূহের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে ।
14. ক্রিটিক্যাল আইসোডাপেন কী ?
Ans: কোন শিল্পের কোন এক অবস্থানে পরিবহন ব্যয় হবে ও অন্য একটি স্থানে মজুরী ব্যয় ন্যূনতম হবে । ন্যূনতম পরিবহন ব্যয় অবস্থান থেকে শিল্পটি যত ন্যূনতম মজুরী ব্যয় অবস্থানের দিকে সরে যাবে , পরিবহন ব্যয় তত বাড়বে ; মজুরী তত কমবে । যে রেখা বরাবর সস্তা শ্রমিকের মজুরীবাদে ব্যয় লাঘবের পরিমাণ কাঁচামাল ও উৎপন্ন পণ্যের মোট পরিবহন ব্যয় সমান হবে , তখন তাকে ক্রিটিক্যাল আইসোডাপেন বলে । . ক্রিটিক্যাল আইসোডাপেনের মধ্যে অবস্থিত শ্রমিকের তুলনায় ন্যূনতম পরিবহন ব্যয় অবস্থানের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ।
15. মজুরীসূচক ও শ্রমগুণক কী ?
Ans: মজুরীসূচক : কোন একটি শিল্পে উৎপন্ন একক প্রতি শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদনের জন্য গড় মজুরীর পরিমাণকে মজুরীসূচক বলে । কোন একটি শিল্পের মজুরীসূচক যতই বাড়বে তখন শিল্পটি ন্যূনতম পরিবহন ব্যয় অবস্থান থেকে ন্যূনতম মজুরী অবস্থানের দিকে সরে যাবে । যেখানে শ্রমিকের মজুরী কম সেদিকে শিল্প সরে গেলে মুনাফা বাড়বে । যেমন : বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে মুম্বাই অপেক্ষা আমেদাবাদে মজুরী কম বলে বস্ত্রকলগুলো মুম্বাই থেকে আমেদাবাদের দিকে সরে যাচ্ছে । শ্রমগুণক : যখন উৎপাদিত কোন শিল্পজাত পণ্যের একক ও জন প্রতি মজুরী যে পরিমাণ কাঁচামাল ও উৎপন্ন পণ্য কোন শিল্পে পরিবহন করার প্রয়োজন হয় তার সম্মিলিত ওজনের অনুপাতকে শ্রমগুর বলা হয় ।
16. শিল্পের অবস্থান সম্পর্কিত অগাস্ট লাসের তত্ত্বের মূল কথা ।
Ans: 1940 সালে জার্মান অর্থনীতিবিদ অগাস্ট লাস তাঁর মুনাফা সর্বাধিকরণ তত্ত্ব প্রকাশ করেন । মূল কথা : উৎপন্ন পণ্যের সর্বাধিক চাহিদা ও যেখানে সর্বাধিক মুনাফা অর্জিত হবে লাসের মতে । সেখানেই শিল্প স্থাপিত হবে । লাসের মতে , প্রত্যেক শিল্পের এক নিজস্ব বাজার থাকবে । অন্যান্য শিল্পের সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারের আয়তন নির্ধারিত হয় । শিল্পের সরবরাহ মূল্য কম হলেই তার বাজার বড় হবে । লাসের মতে , প্রকৃত অবস্থান নয় , শিল্পের জন্য ভাল অবস্থান হলে সেখানে সর্বাধিক মুনাফা আসবে ।
17. শ্রমবিভাগ কী ? ( Division of Labour )
Ans: কোন একটি পণ্য উৎপাদন করতে ছোট ছোট বহু ধরণের কাজ করতে হয় । এই সবকটি কাজের সব শ্রমিকের পক্ষে সমান দক্ষতায় সম্পাদন করা সম্ভব নয় । শ্রমবিভাগের মাধ্যমে উৎপাদনের মূলধারাটিকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে শ্রমিকের দক্ষতা অনুযায়ী মানুষের শ্রমের বিশেষায়নকে শ্রম বিভাগ বলে । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় একটি ছোট আলপিন তৈরী করতে 18 টি অসম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন । স্থাপনের প্রাথমিক অনুমান ।
18. অগাস্ট লাস – এর শিল্প স্থাপনের প্রাথমিক অনুমান কী ?
Ans: i ) সমতল ভূ – প্রকৃতি : শিল্পের জন্য সমতল প্রকৃতির জমি আদর্শ ; ফলে কাঁচামাল ও শিল্পজাত পণ্য পরিবহনের সুবিধা হয় । তাই সর্বাধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয় । ii ) কাঁচামালের যোগান শিল্প স্থাপনের জন্য কাঁচামালের সুষম বণ্টন থাকা আবশ্যিক হবে । iii ) সমপরিবহন ব্যয় : পরিবহন ব্যয় সর্বত্র সমান হলে শিল্প স্থাপনে অধিক সুবিধা পাওয়া যায় । iv ) সুষম জনবন্টন : জনসংখ্যার ভৌগোলিক বন্টনে তারতম্য না থাকলে মুনাফা বাড়বে । v ) কৃষিতে স্বনির্ভর অঞ্চল : উক্ত অঞ্চলটি কৃষিতে স্বনির্ভর ও উন্নত কৃষি অঞ্চলে পরিণত হবে । vi ) কম উৎপাদন ব্যয় : উৎপন্ন সামগ্রীর উৎপাদন ব্যয় কম হওয়া চাই । vii ) একচেটিয়া বাজার পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতাহীন একচেটিয়া বাজারের অবস্থান ঘটলে মুনাফা সর্বাধিক হবে ।
19. অগাস্ট লাস তত্ত্বের গুণ কী ?
Ans: i ) শিল্পের অবস্থান ও চাহিদার সম্পর্ক : শিল্পের অবস্থান নির্ণয়ে লাসের তত্ত্বেই চাহিদা ও ভৌগোলিক অবস্থানের মধ্যে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয় লাস তত্ত্বে ।। ii ) অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা : কোথায় শিল্প স্থাপিত হবে এর ব্যাপক অনুশীলনক্ষেত্র লাসের ‘ অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা ধারণা’র গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক সংযোজন । iii ) শিল্পের সঠিক অবস্থান : সংগঠকদের শিল্প কোথায় স্থাপিত হবে লাস সেই ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা সূত্র নির্ণয় করেছেন ।
20. লাস তত্ত্বের ত্রুটি কী ?
Ans: i ) ল্যস তত্ত্বে আদর্শ অবস্থানগুলো সর্বক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত নয় । ii ) শিল্প অবস্থান নির্ণয়ে ল্যস রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত , কাঁচামালের দাম , মজুরীর হার বিষয়ে কোন আলোকপাত করেননি । iii ) লাসের আদর্শ অবস্থান কৃষি অঞ্চলে সম্ভব হলেও শ্রমশিল্পের জটিল পরিস্থিতিতে খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয় । iv ) ল্যস প্রবর্তিত ‘ অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থার ধারণা ‘ প্রতিযোগিতামূলক ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে প্রযোজ্য নয় ; এই নীতি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থব্যবস্থাতেই সম্ভব ।
21. আগস্টস তত্ত্বের মূল বক্তব্য কী ?
Ans: আগস্ট লসের তত্ত্ব হল কোন শিল্প কোন স্থানে গড়ে উঠবে তার এক বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা । এই তত্ত্বের মূল বক্তব্য হল— শিল্পের অবস্থান প্রভাবিত হয় একচেটিয়া প্রতিযোগিতার বৈশিষ্ট্য দ্বারা । অর্থ এই নিয়মে ( i ) সর্বাধিক মুনাফা অর্জন হবে এরূপ স্থানেই কেবল শিল্পকেন্দ্র স্থাপিত হবে । ( ii ) পণ্যের উৎপাদন ব্যয় যাতে কম হয় তার উপর জোর দিতে হবে । ( iii ) বিক্রয়ের সুবিধা ও বাজারের চাহিদার দিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কোন স্থানে শিল্প স্থাপিত । তার পন্থা থাকে ।
22. ভৌগোলিক জাধ্য কী ?
Ans: কোন ভৌগোলিক পরিবেশে সম্পদ বা উপাদানের ভৌগোলিক পরিবেশ নির্ভর অবস্থাকে ভৌগোলিক জাভ্য বলে ইহা দুই প্রকার ( i ) স্থিতিশীল ভৌগোলিক জাড্য কোন সম্পদ চিরদিন উপযোগিতাহীন বা নিরপেক্ষ থাকলে তাকে স্থিতিশীল ভৌগোলিক জাড্য বলে । ইহা আদিম , প্রান্তিক ও আবদ্ধ সম্পদ প্রণালী । বুম চাষ , ঋতুগত পরিব্রাজন এরূপ জাড়া । এর ফলে সমাজ ও অর্থনীতি দুর্বল এবং অনুন্নত হয় । ( ii ) গতিশীল ভৌগোলিক জাড্য সম্পদ বা উপাদানগুলো সতত কার্যকর থাকলে তাকে গতিশীল ভৌগোলিক জাড্য বলে । এতে সম্পদের উপযোগিতা ও কার্যকারিতা বাড়ে । যেমন — কাগজ ও বর্জ্যা কাগজের পুনর্ব্যাবহার । এর ফলে সমাজ ও অর্থনীতি দুর্বল হয় না ।
23. হুভারের শিল্প স্থাপনের প্রাথমিক অনুমান কী ?
Ans: হুতার ধারণা : 1 ) পণ্য উৎপাদক ও বিক্রেতাদের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতা থাকবে । ii ) কাঁচামাল , জ্বালানী ও শ্রমিক সহজ প্রাপ্তি ঘটবে । iii ) উৎপন্ন ভোগ্যপণ্য সহজে সরবরাহ করা যাবে । iv ) পরিবহন ব্যয় কম হবে । v ) শিল্পপণ্যের উৎপাদন ব্যয় কম হবে , যাতে বাজারমূল্য কম হবে , ফলে ক্রেতা বেশি হলেই মুনাফা বাড়বে বলে শিল্পবিকাশ সহজসাধ্য হবে ।
24. ভূমি ব্যবহার হিসাবে ভন ধুনেনের তত্ত্ব কী ?
Ans: তত্ত্বের নাম : ভূমি ব্যবহার প্রসঙ্গে ভন থুনেন ১৮২৬ সালে Isolated State তত্ত্ব প্রকাশ করেন । প্রাথমিক অনুমান : এই তত্ত্বের প্রাথমিক অনুমানগুলি হল ( i ) বর্হিজগতের সাথে সম্পর্কহীন অঞ্চলটির নিজস্ব সার্বভৌমত্ব থাকবে । ( ii ) অঞ্চলটি সমতল প্রকৃতির হবে । ( iii ) অঞ্চলটিতে জলবায়ু ও মাটির প্রকৃতি সমরূপ হবে । ( iv ) কেনাবেচা যুক্ত বাজার থাকবে । ( v ) কৃষকের কৃষিজমি থেকে সর্বাধিক মুনাফা হবে মূল লক্ষ্য । ভূমির ব্যবহারের নির্ধারক : ( i ) পরিবহন ব্যয় । ( ii ) বাজার ও জমির দুরত্ব ; অর্থাৎ এই দুইয়ের মধ্যে প্রত্যক্ষ অনুপাত এরকম যে দূরত্ব বাড়লে পরিবহন ব্যয়ও বাড়বে ; বাজার ও জমির দূরত্ব কম হলে লাভ বাড়বে ।
25. শিল্পের বৃত্তাকার সাযুজ্য কী ?
Ans: কোনও সরকারী বা বেসরকারী শিল্প সংস্থা যখন কোনও কেন্দ্রীয় পরিচালন ব্যবস্থায় অবস্থান করে দেশের বিভিন্ন অংশে ভিন্নধর্মী শিল্প স্থাপন করে তখন তাকে শিল্পের বৃত্তাকার সাযুজ্য বলে । এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিল্প সংস্থার উৎপাদন ও আয় বেশি হয় । একটি শিল্পে কোনও কারণে ক্ষতি হলে অপরটির দ্বারা তা পুরিত হয় । কেন্দ্রীয় অবস্থান থেকে শিল্প সংস্থা শিল্পকে পরিচালনা করে । উদাহরণঃ টাটা গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় অবস্থানে থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে মোটরগাড়ী চা , লবণ , লৌহ চুস্পাত ইত্যাদি তৈরী করে ।
26. শিল্পের পার্শ্বসংযুক্তি কী ?
Ans: কোন শিল্প কোন একটি বিশেষ অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হবার পর আস্তে আস্তে এই শিল্পের সাথে সম্পর্কিত শিল্পগুলি ওই শিল্পকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে চারিদিকে বিস্তার লাভ করে । এর ফলে এই শিল্পকেন্দ্রটির আয়তনে বৃদ্ধি ঘটে । একেই শিল্পের পার্শ্বসংযুক্তি বলে । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় , ময়দা শিল্পকে কেন্দ্র করে কেক , রুটি ইত্যাদি আনুষঙ্গিক শিল্প ।
27. শিল্পের উচ্চ – সংযুক্তি কী ?
Ans: কোন স্থানে ব্যাপক শিল্পোন্নতির পরবর্তী পর্যায়ে যখন ওই অঞ্চলে স্থানের সঙ্কুলান হয় না , তখন অপেক্ষাকৃত হালকা শিল্প দ্রব্য ওই শিল্পকেন্দ্রগুলির উপর প্রতিস্থাপিত হয় ও নতুন শিল্পের সংযুক্তি হয় এবং শিল্পকেন্দ্রটির উল্লম্ব বৃদ্ধি ঘটে । একে শিল্পের উচ্চ – সংযুক্তি বলে । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় , মুম্বাই পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পকেন্দ্রের উপর ন্যাপথা , নাইলন , পলিয়েস্টার ইত্যাদি হালকা প্রকৃতির শিল্পগুলি উন্নতি লাভ করে ।
28. মাসুল সমীকরণ নীতি কী ?
Ans: বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে দ্রব্য সামগ্রীর দেওয়া – নেওয়ার যে সকল কর প্রদান করা হয় , তাকে কর বা মাসুল বলে । কিন্তু যে রাজ্য যতদূরে অবস্থিত তার কর তত বেশি হয় । কিন্তু বর্তমানে সব রাজ্যে একই অতি প্রযুক্ত হয়েছে । একে মাসুল সমীকরণ নীতি বলে ।
29. কৃষ্ণ অঞ্চল বা BLACK COUNTRY কী ?
Ans: বৃটেনের মিডল্যান্ড অঞ্চলে সর্বপ্রথম লৌহ – ইস্পাত শিল্প বাকিংহাম শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই বাকিংহাম শহরে অত্যধিক শিল্পের সমাবেশের ফলে কারখানার চিমনীর ধোঁয়ায় আকাশ সর্বদা কালে থাকে বলে একে কৃয় অঞ্চল বা Black Country বলে ।
30. পরিবর্তনশীলতা কী ?
Ans: তাম্র সহজেই অত্যন্ত সবু ও সুগ্ধ তার ও অন্যান্য আকৃতির বস্তুতে রূপান্তরিত হয়ে বিভিন্ন আকৃদ্ধি গ্রহণ করতে সক্ষম । একেই রূপান্তরগ্রাহিতা বা পরিবর্তনশীলতা বলা হয় । তার গাতুকে 0.55 দি পাতে রূপান্তর করা সম্ভব ।
31. পিটসৰাগ প্লাস পদ্ধতি কী ?
Ans: কাঁচামাল পরিবহন অপেক্ষা U.S.A. তে ইস্পাত পরিবহনের খরচ অধিক । ইস্পাতের মূল্য তাই পরিবহনের বায় ধরেই নির্ধারণ করা হত । প্রাথমিকভাবে পিটসবার্গ অঞ্চলে অধিক শিল্পের বিকাশ হওয়ায় পিটসবার্গের পরিবহন ব্যয় অনুসারে তা নির্ধারণ করা হত । একে পিটসবার্গ গ্লাস পদ্ধতি বলে । এর ফলে পিটসবার্গ অঞ্চলে অন্যান্য অঞ্চল অপেক্ষা স্বল্প ব্যয়ে ইস্পাত বিক্রয় হত ।
32. শিল্পস্থাপনে প্রেডের ধারণা লেখো ।
Ans: প্রেড বলেছেন যে , কোন শিল্পের অবস্থান ওই শিল্প সম্পর্কিত তথ্যের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে । যে সকল উৎপাদন কেন্দ্র ওই শিল্প সম্পর্কে অধিক পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে তারা বিভিন্ন অবস্থানের মধ্যে পরস্পর তুলনা করে আদর্শ অবস্থা সৃষ্টি করে ।
33. শিল্পজাড়া ( INDUSTRIAL INERTIA ) কী ।
Ans: কোন শিল্প এলাকাতে কোন শিল্প প্রাথমিক অবস্থায় অবস্থান করলে উক্ত শিল্প সে অঞ্চল থেকে একেবারেই বিলুপ্ত হয় না ; শিল্পটির অবলুপ্তি পুরোপুরি না ঘটে তার কিছু ধারাবাহিকতা থাকেই । শিল্পের এরুপ ধারাবাহিকতা বজায় রাখাকে শিল্পজাড্য বলে ।
উদাহরণ : যুক্তরাজ্যের ম্যাঞ্চেস্টার একদা বস্ত্রশিল্পে বিশ্বশ্রেষ্ঠ ছিল ; বর্তমানে উক্ত স্থানে এর ক্রমাবনতি ঘটলেও উন্নত মানের বস্তু উৎপাদন দ্বারা তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হচ্ছে ।
34. BREAK OF BULK কী ?
Ans: দুই ধরনের পরিবহনগত সংযুক্তির অবস্থানকে Break of Bulk বলে । এর দ্বারা পণ্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করা যায় । উদাহরণ : যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপালেশিয়ান অঞ্চলের কয়লা রেল পরিবহনে শিকাগো শিল্পাঞ্চলে আসে , শিকাগো থেকে ওই কয়লা জাহাজ পরিবহন দ্বারা নিউইয়র্ক সন্নিহিত শিল্পাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয় । শিকাগো এখানে Break of Bulk . ফলে শিকাগোতে আনুপাতিক হারে দ্রব্যমূল্য কম হয় , উৎপাদন ব্যয় কম হয় । শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও পরিহ ম হয় বলে একুপ স্থানে শিল্প গড়ে ওঠে । পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া ও শিলিগুড়ি Break of Bulk এর উদাহরণ ।
35. নিজস্ব বাজার ( LTURE SHOLD MARKED OR M.I. ) কী ?
Ans: কোন একটি নির্দিষ্ট শিল্পাঞ্চলে একটি মূল প্রাথমিক শিল্পের সাথে কিছু অনুস শিল্প স্থাপিত মা শিল্প থেকে সংগৃহীত হয় তখন তাকে এই শিল্পের নিজস্ব বা সৌহ – ইস্পাত কারখানার 27 % আদিত্যপুরে পরিবহন জ উৎপাদন রূপে এর জামসেদপুরের বাজার 27941 )
36. বস্তু স্থানাঙ্ক ( MATERIAL INDEX OR , M.L. ) কী ?
Ans: প্রাথমিক কাঁচামাল থেকে শিক্ষাকেন্দ্রে উৎপন্ন শিল্পজাত পণ্যের দুইয়ের যে ফজনের অনুপাত তাকে M । বলে । বিশুদ্ধ কাঁচামালের ক্ষেত্রে এই অনুপাত বা পণাসূচক কম বা প্রায় সমান হয় । যেমন- তুলা : মৃতা । এর মতো । অবিশুদ্ধ কাঁচামালের ক্ষেত্রে এ অনুপাত বেশি হয় । যেমন- 2.46 টন কয়লা , পৌহ আকরিক থেকে । টন ইস্পাত উৎপন্ন হয় বা 2,46:1
37. পরাসূচক ও শিল্পের অবস্থানের সম্পর্ক কী ?
Ans: পণ্যসূচক শিল্পের অবস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ । যেমন- ( i ) অবিশুদ্ধ কাঁচামালের পণ্যসূচক – এর বেশি বলে শিল্পটি কাঁচামাল উৎপাদক অঞ্চলের নিকটেই গড়ে ওঠে । উদাহরণ : উত্তরপ্রদেশে ইক্ষু উৎপাদক অঞ্চলের নিকটেই চিনি কলগুলো গড়ে উঠেছে । আবার বিশুদ্ধ কাঁচামালের পণ্যসূচক ( M.L. ) I- এর সমান বলে এক্ষেত্রে শিল্পের বিকেন্দ্রীভবন ঘাটে । উদাহরণ : ভারতে কেবলমাত্র দাক্ষিণাত্যের কৃয়মৃত্তিকা অঞ্চলে কার্পাস চাষ সীমাবদ্ধ হলেও ভারতে সর্বত্রই কার্পাস বস্ত্রশিল্পের বিকেন্দ্রীভবন ঘটেছে ।
38. পরিবহনের দোলক নীতি কী ?
Ans: যখন দুটি শিল্পাঞ্চলের মধ্যে পণ্য আদান – প্রদানের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় দুটি শিল্পাঞ্চল সমানভাবে ভাগ করে নেয় , তখন তাকে পরিবহনের দোলক নীতি বলে । সুবিধা : i ) রেলের পণ্য মাসুল কম পড়ে বলে কাঁচামাল আনতে কম খরচ পড়ে । ii ) পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কম বলে বাজার তৈরিতে সুবিধা হয় । উদাহরণ : আমেরিকার ইয়ংস্টাউনের সন্নিহিত কয়লা লৌহ সমৃদ্ধ হ্রদ অঞ্চলে আসে ; ঐ একই ওয়াগনগুলো ফেরার পথে হ্রদ অঞ্চলের লৌহ আকরিক পিটসবার্গ শিল্পাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয় । আবার ভারতের ওড়িশা থেকে লৌহ বার্ণপুর ও দুর্গাপুরে নিয়ে আসে এবং ফেরার পথে রানিগঞ্জের কয়লা ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হয় ।
39. চীনে কাগজ শিল্পের বন্টন ও উন্নতির কারণ ।
Ans: চীনে প্রথম কাগজ কল গড়ে ওঠে ; প্রধান কাগজ উৎপাদক অঞ্চল হলো- তিয়েনসিন , হ্যাচাট্ট , চেদুৎ , কিয়াংগু প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । উন্নতির কারণ : i ) পার্বত্য ও মালভূমি অঞ্চল থেকে নরম কাঠ , বাঁশ ও সাবাই ঘাসের প্রাচুর্য । ii ) প্রচুর আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চাহিদা । iii ) গুণগত মান বেশি ও কম উৎপাদন ব্যয় ( iv ) অনুকুল সরকারি নীতি কাগজ কল বিকাশের কারণ ।
40. জাপানের কাগজ কলের বন্টন ও শিল্পের উন্নতির কারণ কী ?
Ans: জাপান কাগজ , কাগজ মণ্ড ও নিউজপ্রিন্ট উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থান দখল করে । প্রধান কাগজ শিল্পকেন্দ্রগুলি হল — কুশিরো , সিমাদা , টোকিও , ইসিকাওয়া , ইব্যেসু , কাসুগাই , ইসিনোমাকি , টোকাকোমাই নাগাৎসুগাওয়া প্রভৃতি । F F উন্নতির কারণ : ii ) i ) উত্তর জাপানে প্রচুর সরলবর্গীয় অরণ্যে নরম কাঠের প্রাচুর্য । জাপানের অফুরন্ত জলবিদ্যুৎ শক্তির যোগান । সুদক্ষ , পরিশ্রমী , সুলভ শ্রমিক সরবরাহ । iii ) iv ) উন্নত বাজার , প্রচুর মূলধন , উন্নত সাংস্কৃতিক সম্পদ , রাসায়নিক উপাদানের যোগান এখানে কাগজ শিল্পের উন্নতির কারণ ।
41. জার্মানী ও ফিনল্যান্ডের কাগজ কলের অবস্থান ও উন্নতির কারণ কী ?
Ans: ইউরোপে প্রথম ও বিশ্বে পঞ্চম স্থানাধিকারী জার্মানীর প্রধান কাগজকলগুলি হল— ব্রেমেন , মিউনিখ , স্টুটগার্ট , লাইফজিগ , মুনসেন প্রভৃতি । উন্নতির কারণ : প্রচুর মূলধন , উন্নত কারিগরীবিদ্যা , আমদানী – রপ্তানির সুবিধা , প্রচুর চাহিদা , কাঁচামালের যোগান জার্মানীর কাগজশিল্পে উন্নতির কারণ ।
ফিনল্যান্ড : বিশ্বে ষষ্ঠ , প্রধান কাগজ শিল্পকেন্দ্র হল— ট্যাম্পি , কোটকা প্রভৃতি ।
42. কাগজ শিল্পের কাঁচামাল কী ?
Ans: তদ্ভুজ কাঁচামাল : পাইন , ফার , প্রুস , হেমলক প্রভৃতি নরম কাঠ । বাঁশ , ইউকেলিপটাস কাঠ , সাবাই ঘাস , মুখ ঘাস , এসপিরিটো , ছেঁড়া কাগজ , ছেঁড়া তুলো , শন ও পাটের তন্তু , ইক্ষুর ছিবড়া প্রভৃতি । রাসায়নিক কাঁচামাল : কস্টিক সোডা ও সোডা অ্যাশ : ব্লিচিং পাউডার , ক্লোরিন , গন্ধক , রং , চিনামাটি , সোডিয়াম , আলুমিনিয়াম সালফেট , সালফিউরিক অ্যাসিড প্রভৃতি ও প্রচুর জল ।
43. কার্পাস শিল্পের কাঁচামাল কী ?
Ans: কার্পাস বা তুলো , কস্টিক সোডা , ব্লিচিং পাউডার , রং প্রভৃতি কাঁচামাল দরকার ; তবে বর্তমানে টেরিলিন , পশম , রেয়নও কিছু পরিমাণে প্রয়োজন হয় টেরিকট , কটসউল প্রভৃতি তৈরির জন্য ।
44. ভারতে কাগজ শিল্পের কাঁচামাল কী ?
Ans: ভারতে কাগজ শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে সংগৃহীত হয় বাঁশ , সাবাই ঘাস , সলাই , পাইন , ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি । তার মধ্যে বাঁশ 70 % , সাবাই ঘাস 9 % ও অন্যান্য থেকে 21 % আসে । বাঁশ : আসাম , উড়িশা , অন্ধ্রপ্রদেশ , মহারাষ্ট্র , কর্ণাটক , মেঘালয় , মণিপুর ও মধ্যপ্রদেশ । সাবাই ঘাস : হিমালয়ের পাদদেশে , দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর অংশে ও তরাই অঞ্চলে । শলাই : মধ্যপ্রদেশ , বিহার , উড়িশা , মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের পর্ণমোচী অরণ্য থেকে সংগৃহীত হয় ।
45. পশ্চিমবঙ্গে কাগজ কল স্থাপনের কারণ কী ?
Ans: পশ্চিমবঙ্গে কাগজ কল গড়ে ওঠার কারণ হল নিম্নরূপ ( A ) কাঁচামালের যোগান : হিমালয়ের সাবাই ঘাস , তরাই অঞ্চলের বাঁশ । B ) শক্তি সরবরাহ : রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ও কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন থেকে বিদ্যুৎ – এর যোগান । C ) ( D ) জল সরবরাহ : ভাগীরথী , হুগলী , দামোদর থেকে প্রয়োজনীয় পরিশ্রুত জল ব্যবহৃত হয় । সুন্দর পরিবহন : পূর্ব ও দক্ষিণ – পূর্ব রেলপথ , 2 , 4 , 6 , 31 , 32 , 34 , 35 নং জাতীয় সড়ক হুগলী ও কলকাতার সুন্দর পরিবহন ব্যবস্থা । E ) মূলধনের সুবিধা : ব্যাঙ্ক , K.M.D.A. , অনাবাসী বাঙালি প্রচুর অর্থবিনিয়োগ করে । F ) চাহিদা ও বাজার স্কুল – কলেজ , অফিস , আদালত থাকার কারণে কাগজের ব্যাপক চাহিদা আছে ।
46. কানাডা কাগজ শিল্পে উন্নত কেন ?
Ans: কানাডা কাষ্ঠমণ্ড ( 11409 হাজার মেট্রিক টন ) ও নিউজপ্রিন্ট ( 77.69 লক্ষ মেট্রিক টন ) উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম এবং কাগজ ও কাগজ বোর্ড ( 1.97 কোটি মেট্রিক টন ) উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম বা উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে । প্রধান কেন্দ্র : সেন্ট অ্যান্ড্রস , ম্যানিটোবা , আলবার্টা , থ্রি রিভার্স , ক্যুইব্রেক , কর্ণারব্রুক । উন্নতির কারণ : ( i ) সরলবর্গীয় বনভূমির প্রচুর নরম কাঠের যোগান ; ( ii ) প্রচুর সুলভ জলবিদ্যুৎ ; ( iii ) উন্নত পরিবহন ; ( iv ) উন্নত কাগজ বলে বিশ্বব্যাপী চাহিদা ; ( v ) প্রচুর রাসায়নিক দ্রব্যের যোগান ; ( vi ) উন্নত দক্ষ শ্রমিকের যোগান ।
47. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে কাগজকলের বন্টন ও উন্নতির কারণ কী ?
Ans: U.S.A. কাগজ ও বোর্ড তৈরিতে প্রথম , প্রধান কাগজ উৎপাদক কেন্দ্র হল— মিলওয়াকি , বাফেলো , ফিলাডেলফিয়া , উডল্যান্ড , জ্যাকসন , মোবাইল , সিফটল , লসএঞ্জেলস প্রভৃতি । এখানের ক্যালহাউন কাগজকলটি পৃথিবীর বৃহত্তম কাগজকল । উন্নতির কারণ : i ) স্থানীয় সরলবর্গীয় বনভূমি থেকে নরম কাঠ প্রাপ্তির সুবিধা । ii ) কানাডা থেকে প্রদত্ত লরেন্স জলপথে সুলভে কাষ্ঠমণ্ড আনার সুবিধা । iii ) নায়গ্রা সহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সুলভে বিদ্যুৎ প্রাপ্তি । iv ) উন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা । v ) রাসায়নিক শিল্পের প্রাচুর্য । vi ) পঞ্চহ্রদ , সেন্ট লরেন্স নদীর পরিসুত জল । এছাড়াও উন্নত প্রযুক্তি ও কারিগরি বিদ্যা , প্রচুর মূলধন , শ্রমিকের দক্ষতা এখানে কাগজকল গড়ে ওঠার সহায়ক ।
48. ভারতে কাগজ শিল্পের সমস্যা কী ?
Ans: ভারতীয় কাগজ শিল্পের কয়েকটি সমস্যা দেখা যায় । যেমন 1 . বনজ কাঁচামাল সংকট : ভারতে নরম কাঠ , সাবাই ঘাস প্রভৃতির অভাব ও দুর্গম অঞ্চল থেকে সংগ্রহের অভাবে কলগুলো পর্যাপ্ত কাঁচামাল পায় না । ৪.৫২ * ভূগোলিকা 2 . রাসায়নিক কাঁচামালের সংকট : কাগজ শিল্পের প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কাঁচামাল অধিক দামে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় বলে উৎপাদন ব্যয় বেশি পড়ে । -3 . 4 . অনুন্নত প্রযুক্তি : প্রযুক্তিগত অভাবের জন্য ভারতীয় কাগজের মান উন্নত হয় না । পরিবেশ দূষণ : শিল্পের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ নদীতে পড়ে ব্যাপক জলদূষণ ঘটায় । এছাড়া উন্নত পরিকাঠামোর অভাব , অধিক উৎপাদন ব্যয় , বিশ্ব বাজারে ভারতীয় কাগজের চাহিদার অভাব ভারতীয় কাগজ শিল্পের সমস্যা ।
49. ভারতীয় কাগজ শিল্পের সম্ভাবনা কী ?
Ans: সমস্যাগুলো দূরীকরণ সম্ভব হলে ভারতে কাগজ শিল্পের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল । যেমন— হিমালয় পার্বত্য ও বনাঞ্চল থেকে প্রচুর কাঁচামাল সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে । 1 . 2. বিকল্প কাঁচামাল হিসেবে খড় , তুষ , পাট ও আখের ছিবড়ার ব্যাপক ব্যবহার করতে হবে । 3 . কাগজ শিল্পের সহযোগী হিসেবে রাসায়নিক শিল্পের উন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে । পুরানো কলগুলোর আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে । 4 . 5 . নতুন নতুন কাগজকলের প্রবর্তন করে তাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে ।
- লৌহ – ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল কী ?
Ans: আকরিক লৌহ , বর্জ্য লৌহ বা স্ক্র্যাপ , স্পঞ্জ লৌহ , কোক কয়লা , অক্সিজেন ( লৌহ গলাতে ) , চুনাপাথর ও ডলোমাইট ( অপদ্রব্য দুর করতে ) ; ম্যাঙ্গানিজ , নিকেল , ক্রোমিয়াম , টাংস্টেন , মলিবডেনাম প্রভৃতি লৌহসংকর ধাতু ( লৌহকে দৃঢ় ও ইস্পাতে পরিণত করতে ) প্রভৃতি কাঁচামাল দরকার ।
51. POSCO INTEGRATED STEEL PLANT কী ?
Ans: দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত সংস্থা Posco ( Pohang steel company ) ওড়িশার জগৎসিংপুরে তাদের ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য 2005 সালে 22 জুন ওড়িশা সরকারের সাথে মউ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । এই স্টীল সংস্থার বার্ষিক উৎপাদন হবে 12 মিলিয়ন টন । 2010 সাল পর্যন্ত Posco প্রায় 16,650 কোটি টাকা লগ্নী করেছে ও তারা ধাপে ধাপে 51,000 কোটি টাকা লগ্নী করবে । Posco হল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্টিল কোম্পানী ।
52. শিল্প স্থাপনে কাঁচামালের ভূমিকা কী ?
Ans: শিল্প স্থাপনে কাঁচামালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ।
যেমন : i ) বিশুদ্ধ কাঁচামালের পণাসূচক সমান বলে শিল্পের বিকেন্দ্রীভবন ঘটে । উদাহরণ— বস্তু , রেশম , পাটশিল্পের ক্ষেত্রে এরুপ ঘটে । ii ) অবিশুখ কাঁচামালের ক্ষেত্রে শিল্পের কেন্দ্রীভবন ঘটে । উদাহরণ- চিনি , লৌহ – ইস্পাত শিল্প কাঁচামাল উৎপাদক অঞ্চলের নিকট গড়ে ওঠে । ( iii ) পচনশীল কাঁচামালের ক্ষেত্রে শিল্প কাঁচামাল উৎসের নিকট গড়ে ওঠে । উদাহরণ— ফল উৎপাদক অঞ্চলের নিকট জ্যাম , জেলি , উপকূল অঞ্চলে মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও পশুচারণযুক্ত অঞ্চলে ডেয়ারী শিল্প গড়ে ওঠে ।
53. শিল্প স্থাপনে পরিবহনের ভূমিকা লেখো ।
Ans: কাঁচামাল শিল্পকেন্দ্রে আনতে ও শিল্পজাত পণ্য বাজারে প্রেরণের ক্ষেত্রে পরিবহন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে । তাই শিল্প স্থাপনে পরিবহনের ভূমিকা খুবই প্রয়োজন । উদাহরণ : রেল ও সড়কপথের উন্নয়নে রুঢ় ও মস্কো শিল্পে উন্নত ; সুন্দর জলপথ পরিবহনের জন্য জাপান ও ব্রিটেন শিল্পে উন্নত । আবার পরিবহনের দোলক নীতির কারণে রুঢ় , শিকাগো , দুর্গাপুর – বার্ণপুর অঞ্চল শিল্পে উন্নত ।
54. শিল্প স্থাপনে বাজারের ভূমিকা লেখো ।
Ans: উৎপন্ন পণ্যের বিশ্বব্যাপী চাহিদা শিল্পকে প্রভাবিত করে । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : জাপানী বস্ত্রের বিশ্বব্যাপী চাহিদা , চীনের খেলনাসামগ্রীর বিশ্ববাজার , যুক্তরাষ্ট্রের পেট্রোরসায়ন ও ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী , ভারতের চা ও পাটজাত দ্রব্য , কিউবার চিনি , জাপান – ইতালির মোটরগাড়ি , কানাডা – যুক্তরাষ্ট্রের কাগজের বিশ্বব্যাপী ওইসকল শিল্পের বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে । বর্তমানে বিশ্বায়নের ফলে উন্মুক্ত বাজার নীতির ফলেও দেশে দেশে শিল্পের সম্ভাবনা বাড়ছে ।
55. শিল্প স্থাপনে জলবায়ুর ভূমিকা লেখো ।
Ans: জলবায়ুও কোন স্থানের শিল্প স্থাপনকে প্রভাবিত করে । যেমনঃ i ) শীতল জলবায়ুতে মৎস্য , ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে ওঠে — নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ভূ – মধ্যসাগরীয় অঞ্চল । ii ) নাতিশীতোয় অঞ্চলে মৎস্য ও ময়দা শিল্প গড়ে ওঠে — জাপান , নরওয়ে , কানাডা । iii ) আর্দ্র জলবায়ুতে বস্ত্রশিল্পের বিকাশ ঘটে — মুম্বাই , ল্যাঙ্কাশায়ার । iv ) সুন্দর ও রোদ ঝলমলে আবহাওয়াতে ফটো শিল্প গড়ে ওঠে— হলিউড । v ) উয় জলবায়ুতে শীতাতপ যন্ত্র শিল্প গড়ে ওঠে — ভারত ও ব্রাজিলে রেফ্রিজারেটর নির্মাণ শিল্প ।
56. বহুতন্তু চুক্তি ( MULTI – FIBRE AGREEMENT ) কী ?
Ans: ইউরোপ ও আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে কার্পাস – বস্ত্র শিল্পে ক্রমাবনতির দিকে যাচ্ছে ; এই দেশগুলোর বস্তু শিল্পের সমস্যা দূর করার জন্য গ্যাট চুক্তির শর্ত অনুসারে সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে সমান সুযোগ – সুবিধা দেওয়ার জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাকে বহুতন্তু চুক্তি বলে । এই চুক্তির ফলে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশ অপেক্ষা অধিক সুবিধা ভোগ করে ।
57. ‘ সানরাইজ ইন্ডাস্ট্রি কী ?
Ans: আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত পরিকাঠামোর উপর ভিত্তি করে যে শিল্প , খনিজ তৈল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপজাত দ্রব্য থেকে বিভিন্ন অনুসারী শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদন করে তাকে বলে পেট্রোরসায়ন শিল্প । এই শিল্পজাত দ্রব্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে একাধিক শিল্প গড়ে ওঠে বলে একে আধুনিক শিল্পদানব ‘ বলে । আবার এই শিল্প তার বৈচিত্র্যে ( প্রায় 500 মতো সামগ্রী দ্রব্য ) পরিমাণ ব্যবহারিক গুরুত্ব এত বেশি যে , এই শিল্পের অগ্রগতি দ্রুত হারে ঘটছে বিশ্বজুড়ে । তাই একে ‘ সূর্য উদয়ের শিল্প ‘ বলে ।
58. বাজারকেন্দ্রিকতা কী ?
Ans: বাজার শিল্প স্থাপনকে প্রভাবিত করে । বাজারে পণ্যদ্রব্যের চাহিদার উপর করে সেই পণ্যশিল্প গড়ে ওঠে । কোন সময় বাজার আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকে । এভাবে বাজারের অধিক চাহিদাকে নির্ভর করে । যখন সেখানে কোন শিল্প গড়ে ওঠে তখন তাকে ‘ Market – orientation বলে । মহানগরে যেহেতু বহু মানুষের বসবাস তাই তাদের বিভিন্ন রকম চাহিদাকে নির্ভর করে সেখানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র , বৃহৎ শিল্পের বিকাশ ঘটে । যেমন- বেকারি শিল্প , লক্ষ্মী , মুড়ি , চিড়াকল প্রভৃতি ।
59. ল্যাম ও হুভারের শিল্প স্থাপনের প্রাথমিক অনুমান কী ?
Ans: অর্থনীতিবিদ অগাস্ট লস ও হুভার শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন লশের ধারণা : i ) অঞ্চলটি সমরূপ হবে এবং সমতল প্রকৃতির হবে । ii ) অঞ্চলটির সর্বত্র কাঁচামাল সহজলভ্য হবে । iii ) পরিবহন ব্যয় কম হবে ও এই ব্যয়ও সর্বত্র সমান হবে । ( iv ) অঞ্চলের সর্বত্র জনবন্টন সমরূপ হবে ।
60. বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ভারতে ইস্পাতকেন্দ্র কী ?
Ans: স্বাধীনতার পর বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত লৌহ – ইস্পাত কারখানাগুলো নিম্নরূপ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ছত্তিশগড়ের ভিলাই হিন্দুস্তান স্টীল লিমিটেড , উড়িষ্যার রাউরকেল্লার হিন্দুস্তান স্টীল লিমিটেড , পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে স্টীল প্ল্যান্ট স্থাপিত হয় । তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ঝাড়খণ্ডের বোকারো স্টীল প্ল্যান্ট স্থাপিত হয় । পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম স্টীল প্ল্যান্ট স্থাপিত হয় । এছাড়াও তামিলনাড়ুর সালেম ও কর্ণাটকের বিজয়নগরেও পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনাকালেই লৌহ – ইস্পাত শিল্পকেন্দ্র স্থাপিত ।
61. হ্রদ অঞ্চলে লৌহ – ইস্পাত শিল্পকেন্দ্র স্থাপনের কারণ কী ?
Ans: এখানের প্রধান লৌহ – ইস্পাত কেন্দ্র হল— শিকাগো – গ্যারি , ব্যাফেলো , ডুলুথ , ক্লিভল্যাঙ , লোরেন প্রভৃতি । অধিকমাত্রায় লৌহ – ইস্পাতকেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার কারণ হল ii ) i ) সুপিরিয়র হ্রদের নিকট মেসাবি , ভার মিলিয়ন , গোজেবিক , মিলোমিনির লৌহের অবস্থান । অ্যাপালেচিয়ান ও মধ্যাঞ্চলের কয়লার সুবিধা । iii ) নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে জলবিদ্যুৎ প্রাপ্তি । iv ) সেন্ট লরেন্স নদী সহ পঞ্চহ্রদের সংযুক্তির দ্বারা সুন্দর জলপরিবহন । v ) পঞ্চহ্রদ থেকে জল প্রাপ্তির সুবিধা । vi ) শিল্পকেন্দ্রগুলো বন্দরেরও সুবিধা পেয়ে থাকে । এছাড়া মূলধন , উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার এখানে এই শিল্পের উন্নতির কারণ ।
62. রুঢ় অঞ্চলে পৌঁহ – ইস্পাত শিল্পের উন্নতির কারণ কী ?
Ans: বুঢ় জার্মানীই নয় , সমগ্র ইওরোপ তথা বিশ্বের উল্লেখযোগ্য লৌহ – ইস্পাত কেন্দ্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য । ডুশেলডফ , এসেন , ডটমুক্ত , গেলসেনকার্ডেন , ডুইসবার্গ এখানকার লৌহ – ইস্পাত শিল্প কেন্দ্র । লৌহ – ইস্পাত শিল্পে অঞ্চলটির উন্নতির কারণ হল i ) ii ) কয়লার প্রাচুর্য : অল্প গভীরেই অতি উৎকৃষ্ট অ্যানথ্রোসাইট কয়লা পাওয়া যায় । লৌহ আনা যায় । লৌহের প্রাচুর্য : পরিবহনের দোলক নীতি দ্বারা ফ্রান্সের লোরেন ও সুইডেনের কিরুনা থেকে iii ) বিদ্যুতের যোগান কোলন , এসেন , আচেনের তাপবিদ্যুৎ শিল্পকেলে সহজেই পাওয়া যায় । iv ) জলের যোগান : রুঢ় , রাইন , লিপে ও উপার নদী থেকে জলের যোগান পাওয়া যায় । v ) উন্নত পরিবহন রেল , সড়ক পথ , রাইন , রুঢ় নদী জালের মতো যোগাযোগ রক্ষা করেছে । VI ) উন্নত বাজার উন্নত প্রযুক্তি ও অনুকূল সরকারি নীতি এই অঞ্চলে শিল্প বিকাশের কারণ ।
63. মস্কো টুলা অঞ্চলের লৌহ – ইস্পাত শিল্পের উন্নতির কারণ কী ?
Ans: রাশিয়ার মোট লৌহ – ইস্পাত উৎপাদনের 30 % -এর বেশি এই অঞ্চলে উৎপন্ন হয় । এখানের প্রধান লৌহ – ইস্পাত কেন্দ্রগুলো হল- মস্কো , টুলা , গোর্কি প্রভৃতি । উন্নতির কারণ হল- ( i ) কাস্ক অঞ্চলের আকরিক লৌহ ; ( ii ) কালিনিন , সাতুরার তাপবিদ্যুৎ ; ( iii ) উচ্চ ভষ্মার জলবিদ্যুৎ , ( iv ) ডনবাসের কয়লা ; ( v ) ট্রান্স – সাইবেরিয়ান রেলপথ ; ( vi ) কৃয় , কাস্পীয়ান , বাল্টিক , শ্বেত ও উত্তর সাগরের জলপথ শিল্পবিকাশে কারণ হয়েছে ; ( vii ) মস্কো অঞ্চলের বিরাট বাজার ; ( viii ) উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা ও ( ix ) নিপুণ ও সুলভ শ্রমিক এখানের লৌহ – ইস্পাত শিল্পকে তরান্বিত করেছে ।
64. কাঁচামালের অভাব সত্ত্বেও জাপান লৌহ – ইস্পাত শিল্পে উন্নত কেন ?
Ans: কয়লা , লৌহ আকরিক , ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি জাপানে না থাকা সত্ত্বেও জাপান লৌহ – ইস্পাত শিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ । কারণ i ) বন্দরের সুবিধা : দ্বীপময় দেশ জাপানের ভগ্ন উপকূল বলে প্রচুর বন্দর গড়ে উঠেছে ( যেমন হোক্কাইডো , চিরা ) । ii ) উন্নত দ্রব্য : এখানে শিল্পজাত দ্রব্যের মান খুবই উৎকৃষ্ট বলে বিশ্বব্যাপী চাহিদা আছে । iii ) সুলভ জলবিদ্যুৎ : পর্বতসঙ্কুল অবস্থানের জন্য মধ্যভাগে খরস্রোতা নদী থেকে জলবিদ্যুৎ পাওয়া যায় । iv ) আমদানি : ভারত , মালয়েশিয়া , ফিলিপাইন ও কানাডা থেকে লৌহ আকরিক আমদানি করে । v ) অন্যান্য : এছাড়া নিপুণ শ্রমিক , উগ্র জাতীয়তাবাদ , বিশ্বশ্রেষ্ঠ পরিবহন ব্যবস্থা জাপানের শিল্পোন্নতির কারণ । মেমরী গ্লাস : 2012 সালে সমগ্র বিশ্বে স্টীল উৎপাদনে ভারতের স্থান দ্বিতীয় ।
65. ভারতের চা কারখানাগুলো কেন চা বাগিচার নিকট গড়ে উঠেছে — ভৌগলিক ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: ভারতের অধিকাংশ চা শিল্প কেন্দ্রগুলো উঃ পুঃ ও দঃ ভারতের চা বাগিচার নিকট গড়ে উঠেছে । কারণ ওজন হ্রাসমান বা অবিশুদ্ধ কাঁচামাল ( MI – 1 এর বেশী ) বলে এই শিল্পের কেন্দ্রীভবন ঘটে ( ওয়েবার তত্ত্ব ) । i ) ii ) তা তোলা , শুকানো , জারিত করা , প্যাকিং , গ্লেডিং প্রভৃতির জন্য স্থানীয় শ্রমিকের আবশ্যিকতা থাকায় এই শিল্প বাগিচার নিকট গড়ে উঠেছে । iii ) ন্যূনতম পরিবহন ব্যয়ের জন্য বন্ধুর পার্বত্য অঞ্চল থেকে স্তূপীকৃত চা দুরে নিয়ে যাওয়া যেমন কষ্টসাধ্য , তেমনি ব্যয়বহুল । iv ) গুণমাণ বজায় রাখার জন্য পাতা তুলে অধিক দূরে না নিয়ে গিয়ে নিকটেই প্রক্রিয়াকরণ করা হয় ।
67. ভারতে কার্পাস বয়ন শিল্পের বিকাশ লেখো ।
Ans: ভারতের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কার্পাস বয়ন শিল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে বিকাশ ঘটেছে । i ) প্রথম পর্যায় : 1818 সালে ঘুসুড়িতে প্রথম যন্ত্রচালিত কল দিয়ে কুটীর শিল্প থেকে এর বৃহদায়তন শিল্পে রূপান্তর ঘটে । ii ) দ্বিতীয় পর্যায় : 1851-53 সালে মুম্বাই , আমেদাবাদে এই শিল্পের একদেশীভবনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত বিকাশের সূচনা ঘটে । iii ) তৃতীয় পর্যায় : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী চাহিদা বৃদ্ধির ফলে প্রায় 400 আধুনিক কল বিকাশের মধ্য দিয়ে চরম পর্যায় লাভ করে । iv ) চতুর্থ পর্যায় স্বাধীনতার পর দেশভাগের সময় কিছুটা সঙ্কট দেখা গেলেও বিভিন্ন পণ্যবাসিক । পরিকল্পনায় বর্তমানে 1824 টি আধুনিক বস্তু কল স্থাপনের মধ্য দিয়ে ।
68. দাক্ষিণাত্যে তুলা চাষ সীমাবদ্ধ হলেও ভারতের সর্বত্র কার্পাস শিল্প গড়ে উঠেছে — ভৌগলিক ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: দাক্ষিণাত্যে কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলে কার্পাস চায় সীমাবদ্ধ হলেও ভারতের সর্বত্র ( যেমন- তামিলনাড়ু 727 , অন্ধ্রপ্রদেশ 31 , ওড়িশা 6 , পঃ বঃ 41 , উঃ প্রদেশ 41 , আসাম 6 , হরিয়ানা 13. পাঞ্জাব 11 , দিল্লী 11 ) এই শিল্পের বিকেন্দ্রীভবন ঘটেছে । কারণ i ) বিশুদ্ধ কাঁচামাল বলে শিল্পটি কাঁচামাল উৎপাদক অঞ্চলের নিকট ছাড়াও MI – I বলে এই শিল্প বাজারের নিকট গড়ে ওঠে ( গঙ্গা সমভূমি ) । ii ) চাহিদা অপেক্ষা বেশী উৎপাদন হলে রপ্তানীকে লক্ষ্য করে বন্দর সন্নিহিত অঞ্চলে এই শিল্প বিকাশ লাভ করে ( তামিলনাড়ু ) । iii ) উপযুক্ত পরিবহনযুক্ত স্থানে এই শিল্প প্রসার লাভ করে ( কলকাতা শিল্পাঞ্চল ) । iv ) উন্নত কাঁচামাল ও রাসায়নিক কাঁচামাল আমদানী । v ) অনুকূল সমভাবাপন্ন জলবায়ুতেও এই শিল্পের বিকাশ ঘটেছে ( কেরালা , কর্ণাটক , তামিলনাড়ু , অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ) ।
69. লৌহ – ইস্পাত শিল্পে অবস্থানের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক পরিবর্তন করো ?
Ans: পূর্বে লৌহ – ইস্পাত শিল্প প্রধান কাঁচামাল কাঠ ( যেমন— ব্রিটেনে ডিন অরণ্যকে কেন্দ্র করে ) , কয়লা ও লৌহ – আকরিককে ( যেমন- রূঢ় ও ভারতের শিল্পকেন্দ্র সমূহ ) কেন্দ্র করে লৌহ – ইস্পাত শিল্প গড়ে উঠেছিল । কিন্তু সাম্প্রতিককালে এই শিল্পের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে । কারণ— 1 ) ii ) কয়লা ও লৌহের প্রাচীন ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেছে ; তাই কারখানাগুলোর স্থানান্তর দরকার । কাঁচামাল আমদানি করতে হয় বলে বন্দর অঞ্চলে শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠছে ( যেমন- জাপানের কামাইসি ) । iii ) সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী দেশে শিল্পোন্নয়নের সুফল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে ।
70. লৌহ ইস্পাত শিল্প অবস্থানের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক পরিবর্তন – এর কারণ কী ?
Ans: পূর্বে অবস্থান : লৌহ – ইস্পাত শিল্পের প্রধান কাঁচামাল কয়লা ও লৌহ – আকরিককে কেন্দ্র করে অধিকাংশ লৌহ – ইস্পাত কেন্দ্রগুলো গড়ে উঠেছে । যেমন — রূঢ় অঞ্চল , ভারতের লৌহ – ইস্পাত কেন্দ্রগুলো । সাম্প্রতিককালের লৌহ – ইস্পাত শিল্প কেন্দ্রগুলো বন্দর ও বাজারকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে । কারণ : i ) কয়লা ও লৌহের প্রাচীন ভাণ্ডারগুলো প্রায় নিঃশেষ হতে চলেছে । ii ) কাঁচামাল আমদানী করতে হচ্ছে বলে বন্দর অঞ্চলে গড়ে উঠেছে । যেমন — জাপানের শিল্পকেন্দ্রগুলো । ( iii ) উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করতে সুবিধা । ( iv ) বন্দর ও বাজার অঞ্চলে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার সুবিধা পাওয়া যায় । ( v ) সহজে শ্রমিক , মূলধন ও প্রসাশনিক সুবিধা পাওয়া যায় ।
71. ভারতের পেট্রোরসায়ন শিল্পের অবস্থান লেখো ।
Ans: i ) IPCL বা ইন্ডিয়ান পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেডের অধীন যুজরাটের ভাদোদরা , মহারাষ্ট্রের রোহা । ii ) BRPL- এর অধীন– বঙ্গাইগাঁও । iii ) RPL- এর অধীন v ) গুজরাটের জামনগরে ভারতের বৃহত্তম পেট্রোরসায়ন শিল্পকেন্দ্র । iv ) MRPL HPCL- এর যৌথ উদ্যোগে ম্যাঙ্গালোরে পেট্রোরসায়ন শিল্প গড়ে উঠেছে । HPL , টাটা শিল্পগোষ্ঠী , IOC , WBIDC প্রচেষ্টায় হলদিয়াতে পেট্রোরসায়ন শিল্প গড়ে উঠেছে ।
72. ভারতে পেট্রোরসায়ন শিল্পের উন্নতির কারণ কী ?
Ans: i ) কাঁচামালের যোগান হলদিয়া , কয়ালি , ট্রুম্বে প্রভৃতি তৈলশোধনাগার থেকে প্রচুর ন্যাপথা পাওয়া যায় । ii ) উন্নত পরিবহন শিল্পকেন্দ্রগুলো রেল , সড়ক ও জলপথের নিকটে গড়ে উঠেছে । iii ) বৃহৎ বাজার : কলকাতা , মুম্বাই প্রভৃতি বড় শহরের বৃহৎ বাজার এই শিল্পের সহায়ক । iv ) দক্ষ শ্রমিক : বড় বড় নগরের শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিক এই শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে । v ) অন্যান্য : মূলধন , বিস্তীর্ণ জমির সুবিধা ও সরকারি সদিচ্ছা এই শিল্পের উন্নতির কারণ ।
73. ভারতে পেট্রোরসায়ন শিল্পের সমস্যা কী ?
Ans: ভারতে পেট্রোরসায়ন শিল্পে কয়েকটি সমস্যা দেখা যায় । যেমন 1. কাঁচামালের সমস্যা : ভারতে খনিজ তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না , তাই এই শিল্পের কাঁচামাল খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্যের জন্য ভারতকে বিদেশি রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করতে 2. অধিক উৎপাদন ব্যয় : ভারতে এই শিল্প আমদানি করা কাঁচামালের উপর নির্ভরশীল বলে উৎপাদন ব্যয় অধিক হয় । 3 . বাজারের সংকট : বাজারে এই পণ্যের দাম বেশি বলে আভ্যন্তরীণ বাজারের পণ্য বিক্রিজনিত সমস্যা দেখা যায় । 4 . সরকারি বিধিনিষেধ : পরিবেশ দূষণজনিত কারণে সরকারি বিধিনিষেধ থাকার জন্য এই শিল্পের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হয় । 5 . অনুন্নত প্রযুক্তি : ভারতে পেট্রোরসায়ন শিল্পের অনুন্নত প্রযুক্তির কারণে শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন কম হয় , দাম বেশি হয় ও গুণগত মানও উন্নত হয় না ।
74. ইওরোপ ও আমেরিকায় বস্ত্রশিল্পের অনুন্নতির কারণ কী ?
Ans: অতীতে উন্নতির সত্ত্বেও বর্তমানে ইওরোপ ও আমেরিকায় বস্ত্রশিল্পের অবনতি দেখা দিয়েছে । কারণ A ) রপ্তানি হ্রাস : ইওরোপ ও আমেরিকার প্রধান বাজার ভারত , চীন , জাপান প্রভৃতি দেশে বজ্র উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি কমে গেছে ; ফলে রপ্তানি হ্রাসে ওখানকার শিল্পে মন্দা এসেছে । B ) অধিক উৎপাদন ব্যয় : শ্রমিক ও পরিচালকমণ্ডলীর অধিক বেতনের জন্য উৎপাদন ব্যয় বেশি পড়ে । C ) প্রতিযোগিতা : ভারত , চীন ও জাপানের সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা করতে D ) উপনিবেশ ধ্বংস : ইওরোপ ও আমেরিকার উপনিবেশগুলো স্বাধীন হওয়ায় শিল্পে বুমতা এসেছে । E ) পুনরুজ্জীবনে অনাগ্রহ এই দেশসমূহ বস্ত্রশিল্পে আগ্রহ না দেখিয়ে অন্যান্য বৃহৎ শিল্পে অধিক উৎসাহ প্রদান করে ।
75. ল্যাঙ্কাশায়ার বস্ত্রশিল্পে উন্নত – এর কারণ কী ?
Ans: যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাশায়ারকে কেন্দ্র করে অধিক মাত্রায় বস্ত্রশিল্প স্থাপিত হয়েছে ।
কারণ— i ) এখানের সমুদ্র সমভাবাপন্ন আর্দ্র জলবায়ুতে সুতা কাটে না বলে উন্নত মানের বস্ত্র উৎপন্ন হয় । ii ) বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনীয় মৃদু জল পেনার নদী থেকে সরবরাহ হয় । iii ) খরস্রোতা পাহাড়ী নদীগুলো থেকে সস্তায় জলবিদ্যুৎ বস্ত্রশিল্পে পাওয়া যায় । iv ) কাঁচামাল আমদানি ও উৎপন্ন বস্ত্র সারা বিশ্বব্যাপী প্রেরণের জন্য বন্দরে সুবিধা পাওয়া যায় বৈপ অবস্থানের জন্য ।
76. ভারতের অর্থনীতিতে কার্পাস শিল্পের গুরুত্ব কী ?
Ans: বস্ত্র শিল্প ভারতের প্রাচীনতম ও একক বৃহত্তম শিল্প বলে ভারতের অর্থনীতিতে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে । যেমন 1 ) একক কোন শিল্প বা পরিষেবা ক্ষেত্রে সব থেকে বেশী কর্মসংস্থান ঘটেছে এই শিল্পে । 3 কোটি মানুষ এই শিল্পে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত । ii ) ভারতের শিল্পজাত পণ্যের রপ্তানীর 25 % বস্ত্ৰ শিল্পজাত পণ্য । iii ) এর থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয় , ( বছরে 26,000 কোটি টাকা ) ।
77. ভারতের নিউজপ্রিন্ট তৈরীর কারখানাগুলোর অবস্থান ।
Ans: ভারত নিউজ প্রিন্ট কাগজ উৎপাদনে পুরোপুরি স্বয়ন্তর নয় । কানাডা , রাশিয়া , নরওয়ে প্রভৃতি দেশ থেকে আমদানি করতে হয় । তাই চাহিদাকে লক্ষ্য করে ভারতে প্রায় 70 টি নিউজ প্রিন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে । এদের মধ্যে প্রধান হল নেপানগর ( M.P. ) ( ভারতের বৃহত্তম ) , কারুর ( তামিলনাড়ু ) , ভদ্রাবতী ( কর্ণাটক ) , কোট্টায়াম ( কেরল ) ।
78. ইলেকট্রনিক্স শিল্প কী ?
Ans: নানা ধরনের বৈদ্যুতিক – বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি তৈরির শিল্পকে ইলেকট্রোনিক্স শিল্প বলে । 1940 সালে ভারতে এই শিল্পের সূচনা হয় । ITI ও BEL এই শিল্পের মুখ্য কেন্দ্র । € বিকাশ ও কেন্দ্র : ভারতে প্রায় 63 % ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য ব্যাঙ্গালুরুতে তৈরি হয় বলে একে ইলেকট্রোনিক্স সিটি বলে । E 1970 – এ হায়দ্রাবাদে ECI স্থাপিত হয় । নৈনীতে ITI ইউনিটে মাইক্রোওয়েভ যোগাযোগ দ্রব্য তৈরি হয় । দিল্লীতে টেলিকমিউনিকেশন রিসার্চ সেন্টার গড়ে ওঠে । F 1960 – এ চেন্নাইয়ে হিন্দুস্তান টেলিপ্রিন্টার্স Ltd. স্থাপিত হয় । তখন থেকে TV নির্মাণে প্রসার বাড়ে । হায়দ্রাবাদে HITEC- তে এশিয়ার বৃহত্তম Information Technology Park গড়ে ওঠে ।
79. ভারতের শিল্পায়নে কয়লার ভূমিকা লেখো ।
Ans: ii ) ভারতের শিল্প স্থাপন ও বিকাশে কয়লার যথেষ্ট ভূমিকা আছে । যেমন ভারতের অধিকাংশ লৌহ – ইস্পাত কেন্দ্রগুলো পূর্বভারতে কয়লাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে । পূর্বভারতে কয়লাখনির নিকটেই অধিকাংশ পূর্ত শিল্প গড়ে উঠেছে । iii ) কয়লা থেকে প্রাপ্ত তাপবিদ্যুৎ শক্তিই বস্তু , পাট – রাসায়নিক প্রভৃতি শিল্প বিকাশে সাহায্য করেছে । iv ) সিমেন্ট শিল্প বিকাশেও কয়লার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য । v ) উপজাত দ্রব্য থেকে রাসায়নিক শিল্পবিকাশ ঘটেছে । এছাড়াও মোটর গাড়ি , কাগজ , পরিবহন ও বিভিন্ন অনুসারী শিল্প বিকাশে কয়লার পরোক্ষ অবদান থাকেই ।
80. বিকল্প শিল্প ভারতে এর গুরুত্ব কী ?
Ans: যে সকল শিল্পের কাঁচামাল গচ্ছিত , পর্যাপ্ত ও সুলভ নয় , তাদের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে ওঠার প্রবণতা বেশি । তাই তাদের অন্য ব্যবস্থা দ্বারা প্রয়োজন মতো সামগ্রী উৎপাদনকে বিকল্প শিল্প বলে । উদাহরণ : প্লাস্টিক কাঠ স্বাভাবিক কাঠের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয় । গুরুত্ব এর ফলে অপুনর্ভব সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব , পরিবেশ সুস্থ থাকে । ভারতের মতো খনিজ তৈল , বনজ সম্পদ প্রভৃতি পরনির্ভর দেশের ক্ষেত্রে বিকল্প শিল্পের গুরুত্ব খুব বেশি । তাই প্রচুর প্লাস্টিক কাঠ , সূর্যশক্তির দ্বারা পরিবহন যান , বোট প্রভৃতি নির্মাণ করা হচ্ছে । ফলে যেমন বিদেশি নির্ভরতা কমবে , সাথে সাথে পরিবেশ সুরক্ষাও সম্ভব হবে ।
81. শিল্প স্থাপনে ভারতে কিরূপ জমি অধিগ্রহণ করা দরকার ?
Ans: ভারতের মতো বিকাশশীল দেশে কৃষি ও শিল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ ; অর্থনীতির বিকাশে কৃষির সাথে শিল্পায়নও জরুরী । তবে দ্রুত ও অধিক জনবৃদ্ধির কারণে খাদ্য যোগান অব্যাহত রাখার জন্য ভাল কৃষিজমিকে শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনে ব্যবহার করা ঠিক নয় । মূলত অকৃষিযোগ্য , বন্ধ্যা ও রুক্ম জমিকেই শিল্পজমি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত । একসময় ভারত খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর না থাকায় , অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেমে ছিল । বর্তমানে কৃষিতে উন্নয়নের ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনই নয় , প্রচুর খাদ্য ফসল ও কৃষিজাত শিল্প পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন দ্বারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে । আবার এখনো কৃষিই সর্বাধিক মানুষের কর্মসংস্থান যোগায় । তাই অধিক জনসংখ্যাযুক্ত দেশ ভারতে কৃষিজমির সংকোচন এক অশনিসংকেতবিশেষ । তবে শিল্প স্থাপনে জমির প্রকৃতি অপেক্ষা বাজার , পরিবহন , পরিবহন বায় , শ্রমিক , ভৌগোলিক অবস্থানও ( গ্যাস , হুভার , ওয়েবার , স্টাম্প গুরুত্বপূর্ণ । সেখানে জমি কৃষি বা অকৃষিযোগ্য জমি বিবেচ্য বিষয় নয় । শিল্প স্থাপনে জমি নির্বাচন মুনাফাভিত্তিক হবে , নইলে শিল্প টিকবে কেন । তবুও অনেক দেশ ( চীন ) কৃষিজমি সংরক্ষণ করেই শিক্ষার জোর দিয়েছে । ভারতেরও সেদিকে নজর দেওয়া আবশ্যিক ।
82. জম্মু – কাশ্মীর পশম শিল্পে উন্নত ভৌগলিক কারণ কী ?
Ans: শ্রীনগরকে কেন্দ্র করে জম্মু – কাশ্মীর পশম শিল্পে ব্যাপক উন্নতি করেছে । কারণ— কাঁচামালের প্রাচুর্য ঃ জম্মু – কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশের চারণ ভূমি অঞ্চল থেকে প্রচুর পশম সহজে পাওয়া যায় ।। অধিক চাহিদা : সারাবছর শীতযুক্ত জলবায়ুর জন্য পশমজাত বস্ত্রের চাহিদা বেশী । দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ঃ কাশ্মীরি মহিলাদের পশমজাত বস্তু উৎপাদনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ( 300-400 রয়েছে । 6 সরকারী আনুকূল্য ঃ এই শিল্পে সরকারী সাহায্য অধিবাসীদের প্রেরণা ও সহায়তা দান করে । অন্যান্য জীবিকার অভাব ঃ দীর্ঘ শৈত্য , অনুর্বর মৃত্তিকা , বন্ধুর ভূ – প্রকৃতি প্রভৃতি কারণে কৃষি ও শিল্পে প্রতিকূলতা দেখা যায় । তাই অন্যান্য জীবিকার অভাবে অধিবাসীরা পশমজাত দ্রব্য উৎপাদনের সিে অধিক মনোনিবেশ করে ।
83. W.B.I.D.C. কী ?
Ans: West Bengal Industrial Development Corporation এই সংস্থাটি 1967 সালে ওঠে , যা পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যের মুখ্য সংস্থা । সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হল ( i ) বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য দেওয়া । ( ii ) পঃ বঃ – এ শিল্প প্রসার উন্নয়নের দেখভাল করা । ( iii ) শিল্প স্থাপনের অনুকূল পরিবেশ খতিয়ে দেখা । ( iv ) শিল্পের সমস্যার সমাধান করা , বিনিয়োগ আহরণ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা করা । আসলে এই সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গে নতুন নতুন শিল্প বা প্রকল্প গড়ে উঠতে সাহায্য করে ।
84. ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কী ?
Ans: বিগত 50 বছরে অভাবনীয় সাফল্যের কারণে বিশ্বে ভারত তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে এক উল্লেখযোগ্য শে কম্পিউটার , সফ্টওয়ার , ইন্টারনেট , Remote Sensing প্রভৃতির ক্ষেত্রে ভারত এক অগ্রণী দেশ পৃথিবীর 500 টি অগ্রণী বিদেশী সংস্থার মধ্যে 380 টির আউট সোর্সিং এর কাজ ভারত থেকে পরিচালিত হয় । Infosis , TCS ও Wipro সংস্থা সম্মিলিতভাবে Software পরিষেবায় বছরে হাজার কৌ মার্কিন ডলার আয় করে । ভারতের ব্যাঙ্গালুরু , চেন্নাই , দিল্লী , হায়দ্রাবাদ , মুম্বাই ও কলকাতা তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ।
85. পশ্চিমবঙ্গের তথ্য প্রযুক্তি শিল্প কী ?
Ans: তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের ক্ষেত্রে পঃ বঃ ভারতের এক উল্লেখযোগ্য রাজ্য । Wipro , Infosis , TC সংস্থাগুলো পঃ বঃ – এ তথ্য প্রযুক্তি শিল্প কেন্দ্র নির্মাণ করেছে । রাজারহাটে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে 41 টি ছোঁ ও মাঝারি মাপের Software কোম্পানীকে জমি দেওয়া হয়েছে । Saltlake- এ পা বা এর বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র । শিলিগুড়ি , হলদিয়া , খড়গপুর ও দুর্গাপুরে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র গড়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে Saltlake ও রাজারহাটে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ার আউটসোসিং – এর কাজে ব্যস্ত রয়েছে ।
FILE INFO : শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব – Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)
File Details:
PDF Name : শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব – Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)
Price : FREE
Download Link : Click Here To Download
INFO : Geography – Economic Geography – Question and Answer | ভূগোল – অর্থনৈতিক ভূগোল – শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity) প্রশ্নোত্তর
” ভূগোল (Geography) – অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব – Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9, Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস ভূগোল (Geography) অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব – Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity / শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography) SAQ / Short Question and Answer / শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography) Quiz / শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography) QNA / শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।
শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography) Question and Answer in Bengali
স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।
শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography)
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Industry / Models Of Economic System Theory Of Location On Economic Activity (Economic Geography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।