অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
সম্পদ | Resource – Economic Geography (Geography) Question and Answer in Bengali
সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography) : অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (ভূগোল – Geography) সম্পদ – Resource প্রশ্ন Oও উত্তর নিচে দেওয়া হল। এই (সম্পদ – Resource – অর্থনৈতিক ভূগোল Economic Geography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা সম্পদ – Resource – অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।
সম্পদ (Resource) অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
1. সম্পদ ( RESOURCE ) কী ?
Ans: 1950 খ্রিস্টাব্দের পূর্বে পৃথিবীর সমস্ত বস্তুকেই সম্পদ বলে মনে করা হত , যা সম্পদের স্থিতিশীল সংজ্ঞা নামে পরিচিত । কিন্তু 1950 খ্রিস্টাব্দের পর বর্তমানে সম্পদের গতিশীল সংজ্ঞা দ্বারা যা চাহিদা মেটানোর জন্য সৃষ্ট বা আহৃত সামগ্রী এবং যা জীবমণ্ডলের সংরক্ষণে সহায়তা করে , তাকেই সম্পদ বলে । জিমারম্যানের মতে , ( 1951 খ্রিস্টাব্দে ) সম্পদ হল বস্তুর সেই কাম্য শক্তি যা মানুষের অভাবমোচন করে , চাহিদা মেটায় ‘ অর্থাৎ সম্পদ কোন বস্তু বা পদার্থ নয় , বস্তু বা পদার্থের মধ্যস্থিত কার্যকরী শক্তি ।
2. সম্পদের বৈশিষ্ট্য লেখো । ( CHARACTERISTICS OF RESOURCE )
Ans: যে সকল বৈশিষ্ট্যের জন্য কোন বস্তুকে সম্পদরূপে গণ্য করা হয় , সেগুলি নিম্নরূপ i ) সম্পদের উপযোগিতা থাকবে ( উদাহরণ- লোহা , কয়লা ) । ii ) সম্পদের কার্যকারিতা থাকবে । iii ) সম্পদের প্রয়োগযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা থাকবে । iv ) সম্পদের কার্যকারিতা ও উপযোগিতা একমুখী বা বহুমুখী ( যেমন— জল ) । v ) ম্যালথাস , মেডোস ও অ্যাডাম স্মিথের মতে , সম্পদ সীমাবদ্ধ । vi ) সম্পদের জীবমণ্ডল সংরক্ষণ করার ক্ষমতা আছে । vii ) সম্পদের পরিবেশমিত্রতা ধর্ম থাকা প্রয়োজন ।
3. সম্পদের প্রকৃতি লেখো । ( NATURE OF RESOURCE )
Ans: সম্পদের নিম্নলিখিত প্রকৃতি দেখা যায় । যথা – ( i ) সম্পদ পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ ; ( ii ) কোন বস্তু বা পদার্থের কার্যকারিতাই সম্পদ ; ( iii ) কেবল স্পর্শযোগ্য বস্তুই নয় , স্পর্শ করা যায় না এমন ( যেমন জ্ঞান , দক্ষতা , গুণ ) উপাদানও সম্পদ ; ( iv ) সম্পদের ধারণা আপেক্ষিক স্থান – কাল নির্ভর ; ( v ) সম্পদ প্রকৃতি ও মানুষের নিরন্তর সংগ্রামের ফল : ( vi ) সম্পদ মানুষের অর্থনৈতিক প্রগতির ভিত্তি ; ( vii ) আজ যা নিরপেক্ষ বস্তু তা কাল সম্পদে পরিণত হতে পারে ; ( viii ) কিছু সম্পদ বারবার ব্যবহার করা যায় ।
4. নিরপেক্ষ উপাদান কী ? ( NEUTRAL STAFF ) ।
Ans: পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত যে সব বস্তু বা পদার্থ সম্পদ নয় আবার সম্পদ উৎপাদনে কোন বাধা বা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে না , সেইসব সামগ্রীকেই নিরপেক্ষ উপাদান বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) মানুষের উপর নিরপেক্ষ উপাদানের কোন অনুকুল বা প্রতিকূল প্রভাব নেই । ii ) আজ যা নিরপেক্ষ উপাদান তা আগামী দিনে সম্পদে পরিণত হতে পারে । iii ) সম্পদ ও নিরপেক্ষ উপাদানের সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতী ।
উদাহরণ : একখণ্ড পতিত জমি আজ নিরপেক্ষ বস্তু হলেও জলসেচ , সার প্রয়োগ দ্বারা তাকে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব । পৃথিবীতে দিন দিন নিরপেক্ষ উপাদানের সংখ্যা কমছে ।
5. সম্পদ সৃষ্টির উপাদানগুলি কী কী ? বা , সম্পদ সৃষ্টিতে মানুষ ও সংস্কৃতির ভূমিকা ।
Ans: প্রকৃতি ( Nature ) , মানুষ ( Man ) সংস্কৃতি ( caplet ) – এই কি শান্তির সুষম সমন্টিতে সম্পদ সৃষ্টি হয় । ( A ) প্রকৃতি : প্রকৃতিই সম্পদ সৃষ্টির মূল উপাদান বা সম্পদ সৃষ্টির ভিত্তি । জিমারম্যানের মতে , ” প্রকৃতির সাহায্য নির্দেশ ও সম্মতি নিয়েই সম্পদ সৃষ্টি হয় । এক্ষেত্রে অনুর্গটিক প্রয়োজন মানুষ ও সংস্কৃতির । ( B ) মানুষ মানুষও সম্পদ সৃষ্টির অন্যতম উপাদান । মানুষের ভোগের মাধ্যমেই সম্পদের সার্থকতা । মানুষই আপন শ্রম ও বুদ্ধি বলে প্রাকৃতিক বস্তুকে সম্পদে পরিণত করে । যেমন প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও জাইরেতে মানুষের চেষ্টায় রবার উৎপাদিত হচ্ছে । কিন্তু মনুষ্য সম্পদের অভাবে ব্রাজিলে তা সম্ভব হয়নি । C ) সংস্কৃতি : জিমারম্যানের ভাষায়- “ শিক্ষা , পাণ্ডিত্য , অভিজ্ঞতা , ধর্ম , সভ্যতা , বু , যা ও ন্যায়বিচার এগুলিই সংস্কৃতি ” । প্রাকৃতিক বস্তুকে মানুষ সংস্কৃতি দ্বারা সম্পদে পরিণত করেছে ।
6. ফ্যানটম পাইল কী ? ( PHANTOM PILE ) ।
Ans: পৃথিবীতে পদার্থের সঞ্চয় নির্দিষ্ট হলেও কার্যকারিতা নির্দিষ্ট নয় । তাই একদিকে সম্পদের ওজন ও আয়তনগত সংকোচন ও অপরদিকে সম্পদের কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধির দ্বারা সেই সম্পদের প্রকৃত স্বরের ক্ষতিপুরণকে ফ্যানটম পাইল বলে । ধরিলাম , বর্তমানে 10 কোটি টন কয়লার সঞ্চয় আছে এবং করলার কার্যকারিতা 3 গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে 10 x 3 = 30 কোটি টন কয়লার সমান সম্পদ পাওয়া সম্ভব । এই অতিরিক্ত কয়লা সম্পদের কোন প্রকৃত অস্তিত্ব নেই বলে একে ফ্যানটম পাইল বা সম্পদের ভৌতিক সঞ্চয় বলা হয় ।
7. পুনর্ভব বা প্রবাহমান সম্পদ কী ? ( RENEWABLE বা FLOW RESOURCE )
Ans: প্রকৃতিতে এমন কিছু সম্পদ রয়েছে যাকে কোন দিনই ব্যবহার করে শেষ করা যাবে না অর্থাৎ যার কোন শেষ নেই— অসীম , তাদের প্রবাহমান সম্পদ বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) প্রকৃতি পরিবেশে বারবার ফিরিয়ে দেয় , তাই একে পুরণশীল সম্পদ বলে । ii ) প্রবাহমান সম্পদ পৃথিবীর সর্বত্র প্রাপ্য । iii ) প্রবাহমান সম্পদ কোন পরিবেশ দূষণ করে না ।
উদাহরণ : বাতাস , সৌরকিরণ ও সমুদ্রস্রোত ইত্যাদি প্রবাহমান সম্পদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
8. অপুনর্ভব বা গচ্ছিত সম্পদ ( NON – RENEWABLE বা FUND ) ।
Ans: প্রকৃতিতে যে সব সম্পদের ব্যবহার সীমিত ও সুনির্দিষ্ট এবং যে সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে শেষ হয়ে যায় , তাকে গচ্ছিত বা অপুনর্ভব সম্পদ বলে ।
বৈশিষ্ট্য : i ) এই সম্পদকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করে পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না । ii ) গচ্ছিত সম্পদে পরিবেশ দূষণ ব্যাপক হয় ।
উদাহরণ : কয়লা , লৌহ , বক্সাইট , খনিজ তেল ইত্যাদি ।
9. জৈব সম্পদ কী ? ( BIOTIC RESOURCE ) ।
Ansপ্রাকৃতিক সম্পদের একটি অন্যতম শ্রেণী জৈব সম্পদ । প্রকৃতিমাতার ক্লোড়ে পরম স্নেহে লালিত ও অবাধে বিচরিত যে সকল পদে জীবনের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয় , তাকে জৈব সম্পদ বলা হয় । উদাহরণস্বরূপ উদ্ভিদ , তৃণ , বিভিন্ন জীবজন্তু ও মৎস্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ।
10. অজৈব সম্পদ কী ? ( ABIOTIC RESOURCE ) ।
Ans: যে সকল প্রাকৃতিক অপুনর্ভব সম্পদের মধ্যে জীবনের ক্ষীণতম আলোটুকুও পরিলক্ষিত হয় না , তাকে অজৈব সম্পদ হিসাবে অভিহিত করা হয় । যেমন- জল , বায়ু , সূর্যালোক , বিভিন্ন খনিজ সম্পদ প্রভৃতি ।
11. সাংস্কৃতিক সম্পদের কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ( Cultural resource ) প্রভাব ।
Ans: সংজ্ঞা : সাংস্কৃতিক সম্পদ হল মানুষের মধ্যে বিদ্যা , বুদ্ধি , উদ্ভাবনী ক্ষমতা , সংগঠন , কারীগরী দক্ষতা প্রভৃতি । কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক ও মানবীয় সম্পদের সাথে সাংস্কৃতিক সম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । উদাহরণ : প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ব্রাজিল , দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশ সাংস্কৃতিক সম্পদের অভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে পশ্চাদপদ । অপরদিকে , জাপান সহ প্রভৃতি দেশ প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব থাকা সত্ত্বেও উদ্ভাবনী ক্ষমতা , বিদ্যা বুদ্ধি উন্নত কারিগরী দক্ষতার গুণে অর্থনৈতিক উন্নতিকে ত্বরান্বিত করেছে ।
12. সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্ব লেখো । ( FUNCTIONAL THEORY OF RESOURCES ) ।
Ans: 1933 খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক জিমারম্যান সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্ব দেন । মানুষের কাছে কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তুর প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠার কারণ ও পর্যায় ব্যাখ্যা করাই হল সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্বের মূল কথা । মানুষের চাহিদা , সাংস্কৃতিক স্তর ও আর্থ – সামাজিক লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে সম্পদ তৈরি হয় । আর মানুষের শ্রম , দক্ষতা , জ্ঞান , বুদ্ধি , সামর্থ্য ও গবেষণা সম্পদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে । তাই নিচেল বলেছেন- “ Greatest among human resources is knowledge . ” এই তত্ত্বের আবিস্কারের গতি আজও অব্যাহত । তাই বলা যায় , এই তত্ত্ব নিয়তই চিরপরিবর্তনশীল ।
13. সম্ভাব্য সম্পদ কী ? ( POTENTIAL RESOURCE )
Ans: সম্ভাব্য সম্পদ বলতে বোঝায় যে সমস্ত বস্তু বা উপাদানসমূহ কোন উপযোগিতা ব্যতিরেকেই প্রকৃতিতে অবস্থান করছে , কিন্তু সম্পদ হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে না । ভবিষ্যতে মানুষ ও সংস্কৃতির যৌথ মিলনক্ষেত্রে ঐ সমস্ত বস্তুর ত্রিসঙ্গমের ফলে উপযোগিতা সৃষ্টি করে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব , সেই সমস্ত উপাদান । বা বস্তু সমূহকে সম্ভাব্য সম্পদ বলে ।
উদাহরণ : উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে বিপুল পরিমাণ ভূমি বর্তমানে সম্ভাব্য সম্পদের অন্তর্গত । কারণ কৃত্রিম উপায়ে বরফমুক্ত করে ওখানে কিছু পরিমাণ ভূমিকে কৃষির আওতায় আনা সম্ভব ।
14. সম্পদ প্রত্যক্ষকরণ কী ?
Ans: বিশ্বে প্রাকৃতিক সম্পদের বন্টন অসাম্য । দেখা যায় কোন দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে খুবই সমৃদ্ধ ( যেমন ব্রাজিল ) হওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক উন্নতি খুব একটা সম্ভব হয়নি অথচ কোন দেশ ( যেমন- জাপান ) প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ না হওয়া সত্ত্বেও সেই দেশের উন্নয়ন অভাবনীয় । অর্থাৎ সম্পদের কার্যকারিতা নির্ভর করে মানুষ কীভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহার বা কাজে লাগাতে পেরেছে তার উপর । সম্পদ সম্পর্কে মানুষের এই ব্যবহারগত আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্পদ প্রত্যক্ষকরণ বলে ।
15. সম্পদ উপলব্ধি কী ? ( RESOURCE PERCEPTION )
Ans: কোন দেশের সম্পদের উপলব্ধিতা নির্ভর করে ওই দেশ কতটা তার প্রযুক্তিবিদ্যাকে কাজে লাগিয়েছে তার উপর । বুদ্ধি , বিদ্যা , প্রযুক্তি কৌশল ও উদ্ভাবনী শক্তি সম্পদের উপলব্ধিতা বাড়াতে সাহায্য করে । যেমন— আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন শহরতলীতে আবর্জনা হিসাবে থাকলেও ইউরোপ – আমেরিকার বিভিন্ন শহরে তা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে লাগে ।
16. সম্পদের বিকল্পিকরণ কী ? ( RESOURCE SUBSTITUTION )
Ans: কোন গচ্ছিত সম্পদকে ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার করার ফলে ওই সম্পদের আয়ু দিন দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে । তাই বিকল্প শক্তির দিকে মানুষকে ঝুঁকতে হয়েছে । কয়লার আয়ুষ্কাল মাত্র 240 বৎসর । তাই বর্তমানে কয়লার পরিবর্তে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে । আর এটিই সম্পদের বিকল্পিকরণ নামে পরিচিত । এর ফলে যেমন সম্পদের অপচয় কম হয় , তেমনি পরিবেশ দূষণও কম হয় ।
17. মানব সম্পদ কী ?
Ans: মানুষ তার বিদ্যা – বুদ্ধি কর্মকুশলতা , শ্রম দ্বারা খনিজ , বনজ , প্রাণীজ দ্রব্য গুলোকে চাহিদাপূরণের উপায়ে পরিণত করলে সেরূপ মানুষকে মানব সম্পদ বলে । MAN এর M হল Manger , Master and Manufacture A- Accommodating Adviser , Arpiratin , N – Neighbourly অর্থাৎ মানুষ সম্পদ হল , তার কৃষ্টি , শিক্ষা , বিজ্ঞান চেতনা , নৈপুণ্য প্রভৃতি গুণগত দিকগুলোর বিকাশ । তাই Zimmermann বলেছেন- Man plays a unique role in the over all scheme of resource development .
18. জমির বহন ক্ষমতা লেখো ।
Ans: জমিতে উৎপন্ন সম্পদ যখন মানুষের বিভিন্ন রকম চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয় , তখন তাকে ঐ জমির বহন ক্ষমতা বলে । অর্থাৎ , ঐ জমি তার নানান উৎপাদন দ্বারা যতখানি বহন বা ধারণ করতে পারে , তাকে ঐ জমির বহন ক্ষমতা বলে ।
বিভাগ : এটি দুই প্রকার ( i ) বাহ্যিক বহন ক্ষমতা ঃ ভূ – পৃষ্ঠে উৎপন্ন বিভিন্ন কৃষিজ , বনজ , ঘরবাড়ি , বাজার প্রভৃতি সম্পদ মানুষের যতখানি চাহিদা পূরণ করতে পারে তাকে জমির বাহ্যিক ক্ষমতা বলে । ( ii ) আভ্যন্তরীন বহন ক্ষমতা : ভূমির অভ্যন্তরভাগের খনিজ পদার্থ থেকে উৎপন্ন সম্পদ , জল মানুষের চাহিদা মিটিয়ে মানুষের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , তাকে জমির আভ্যন্তরীন বহন ক্ষমতা বলে ।
19. সম্পদ সংরক্ষণ কী ?
‘ সংরক্ষণ ’ কথাটির অর্থ ‘ বিশেষ উদ্দেশ্যে রক্ষা করা ” । সুতরাং সম্পদের পরিমিত ব্যবহার , অপচয় রোধ এবং বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদের ভাণ্ডার বৃদ্ধি করাকে সম্পদ সংরক্ষণ বলে । জিমারম্যানের মতে , ‘ Resources conservation involves a reduction in the rate of consumption and a corresponding increase in the unused surplus left at the end of a given period . ” সম্পদ ঠিকমতো ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ভবিষ্য বিজ্ঞান ( Futurology ) নামে একটি স্বতন্ত্র বিষয়ে অবতারণা ঘটেছে । যার একমাত্র লক্ষ্য সম্পদ সংরক্ষণের সঠিক পন্থা নির্ধারণ করা ।
20. সম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্য কী ?
Ans: ওডামের ( Odum , 1971 ) মতে , সংরক্ষণের দুটি লক্ষ্য রয়েছে । যেমন- ( i ) পরিবেশের গুণগতমান বজায় রাখা ( “ To insure the preservation of a quality environment ” ) । ( ii ) সম্পদের আহরণ ও নবীকরণের মধ্যে সাযুজ্য সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় গাছপালা , জীবজন্তু ও পণ্যসামগ্রীর যোগান অব্যাহত রাখা । এছাড়াও ( iii ) সম্পদের যথেষ্ট ব্যবহার বন্ধ করা ; ( iv ) সম্পদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা ; ( v ) সম্পদের অপচয় রোধ করা এবং ( vi ) ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্পদ সঞ্জিত রাখাও সম্পদ সংরক্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য ।
FILE INFO : সম্পদ – Resource | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)
File Details:
PDF Name : সম্পদ – Resource | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)
Price : FREE
Download Link : Click Here To Download
INFO : Geography – Economic Geography – Question and Answer | ভূগোল – অর্থনৈতিক ভূগোল – সম্পদ (Resource) প্রশ্নোত্তর
” ভূগোল (Geography) – অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – সম্পদ – Resource “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9, Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস ভূগোল (Geography) অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – সম্পদ – Resource / সম্পদ সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography) SAQ / Short Question and Answer / সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography) Quiz / সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography) QNA / সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।
সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography) Question and Answer in Bengali
স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।
সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography)
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” সম্পদ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Resource (Economic Geography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।