জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ | Soil Factors And Processes Of Formation – Biogeography (Geography) Question and Answer in Bengali
মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography) : জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ – Soil Factors And Processes Of Formation প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হল। এই (মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ – Soil Factors And Processes Of Formation – জীব ভূগোল Biogeography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ – Soil Factors And Processes Of Formation – জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।
মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (Soil Factors And Processes Of Formation) জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
1. ‘ পেডোলজি ‘ কী ? (What is PEDOLOGY ) ।
Ans: গ্রীক শব্দ ‘ Pedon ‘ কথাটির অর্থ ‘ মৃত্তিকা ’ ও ‘ Logy ’ কথার অর্থ আলোচনা । অর্থাৎ , মৃত্তিকা বিজ্ঞানের যে শাখায় মৃত্তিকার উৎপত্তি , গঠন , গ্রথন , বৈশিষ্ট্য , বন্টন ও শ্রেণীবিভাগ সম্বন্ধে অধ্যয়ন করা হয় , তাকে পেডোলজি বলে । এই ধারণায় বলা হয় , আবহাওয়া ও জৈবিক প্রক্রিয়ার ফলে বিশ্লিষ্ট শিলাকণা
থেকে মৃত্তিকার উৎপত্তি হয় । এখানে প্রাকৃতিক বস্তু হিসাবে মৃত্তিকার ব্যবহার কীরকম , তা ব্যাখ্যা করা হয় । কিন্তু , মৃত্তিকায় যে উদ্ভিদ জন্মায় সে ধারণা এই শাখা ব্যাখ্যা করে না । মাটি যেহেতু জীবনদায়ী ও জীবন উন্মেষের সহায়ক ; সেইজন্য এই শাখার গুরুত্ব অপরিসীম ।
2. ‘ ইডাফোলজি ’ কী ? ( What is EDAPHOLOGY ) ।
Ans: মৃত্তিকা বিজ্ঞানের ( Soil Science ) একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা বা চিন্তাধারা হল ইডাফোলজি । যে বিজ্ঞানে উদ্ভিদের উৎপত্তি , বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের সম্পর্কে অধ্যয়ন করা হয় , সেই বিজ্ঞানকে ইডাফোলজি বলে । এখানে মৃত্তিকা ও জীবাণুর সাথে উদ্ভিদের পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্ক অধ্যয়ন করা হয় ; অর্থাৎ মৃত্তিকার বিভিন্ন ধর্ম কিভাবে উদ্ভিদের উৎপত্তি , বৃদ্ধি ও সর্বোপরি সংরক্ষণে সাহায্য করে তা ইডাফোলজিবিদ্রা অনুসন্ধান করেন । এই বিজ্ঞান অনেকটা ব্যবহারিক । উদ্ভিদের জীবন ও চরিত্রকে প্রতিপালন ও পোষণ — এই বিজ্ঞান সমৃদ্ধি লাভ করে ।
-
মৃত্তিকার C স্তরের বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans:
( a ) মাতৃশিলা : মৃত্তিকার C স্তর থেকেই মৃত্তিকার সৃষ্টি , তাই একে জনক শিলা বা মাতৃশিলা বলে
( b ) আবহবিকার : মৃত্তিকার A ও B স্তরের নিচে থাকা জলে আবহবিকার তীব্রতা সবচেয়ে বহু
( c ) জৈবিক বিক্রিয়া : মাটির গভীরে অবস্থান করায় জৈবিক কার্যাবলী সক্রিয় নয় ।
( d ) অনুরন্জ : মৃত্তিকাতে এখানে রন্ধ্র পরিসর বা অনুরন্স কম থাকে । AC
( e ) উপাদান : ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , কাঁকর ও মৃত্তিকা কণার প্রলেপ থাকে ।
4. যান্ত্রিক আবহবিকার মরু অঞ্চলে অধিক ঘটে ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা ।
Ans: আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা শিলার বিকারকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে ; মরু অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া অধিক ঘটে ।
কারণ i ) অধিক উয়তার প্রসার এখানে দিন – রাত্রির উন্নতার পার্থক্য খুব বেশী বলে শিলাতে সংকোচন ও প্রসারণ বেশী তাই এই আবহবিকারও বেশী । ii ) শুষ্ক অঞ্চল কম আর্দ্রতা ও বৃষ্টিহীন বলে শিলাতে ফাটল হয় বেশী , যা আবহবিকারে সাহায্য করে । iii ) অধিক উন্নতা মরু অঞ্চলে গড় উন্নতা বেশী বলে বিভিন্ন খনিজের সমন্বয়ে গঠিত অসম পীড়নে যান্ত্রিক আবহবিকারের হার বেশী । ( iv ) মৃত্তিকার আলগা বন্ধনঃ মরু অঞ্চলে উদ্ভিদ হীনতার কারণে মৃত্তিকাস্তর দৃঢ় বন্ধনযুক্ত হয় না মাটিতে দ্রুত ফাটল সৃষ্টি হয় ও অবাধ বায়ুপ্রবাহ অনেক সময় আবহবিকারের কারণ হয় ।
5. মৃত্তিকা কী ? ( What is SOIL ) ?
Ans: মৃত্তিকার সংজ্ঞা সম্পর্কে নানা বিজ্ঞানীর নানা মত । ‘ Soil ‘ একটি ল্যাটিন শব্দ ‘ Solum ‘ থেকে এসেছে , যার অর্থ ‘ Floor ‘ বা ‘ মেঝে ‘ । মৃত্তিকার আধুনিক সংজ্ঞা হল- ‘ পৃথিবীর উপরিভাগে এক পরিবর্তনশীল কঠিন তিনমাত্রা বিশিষ্ট প্রাকৃতিক আবরণী সত্তা , যা আবহাওয়ার প্রভাবে কোটি কোটি বৎসরের বিবর্তনের তালে তালে উৎপত্তি লাভ করে এবং খনিজ ও জৈব পদার্থের সু – সংমিশ্রণে গঠিত উদ্ভিদের আবাসস্থল । ‘ রামন , দবেনয়ার , হিলগার্ড ও শর্মা প্রমুখ বিজ্ঞানীরা মৃত্তিকার বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন । তবে ডব্লু . ডি . থর্নবারীর মতে , ‘ মৃত্তিকার সন্তোষজনক পরিভাষা এখনো স্থির করা যায়নি । ”
6. মৃত্তিকার উৎপত্তি ( ORIGIN OF SOIL ) ।
Ans: ভূ – তত্ত্ববিদ্গণের মতে , নিম্নলিখিত ভৌত প্রক্রিয়ায় শিলা মৃত্তিকা সৃষ্টি করে । যথা—
i ) আবহবিকার : প্রাকৃতিক কারণে ( সূর্যতাপ , বৃষ্টি , বায়ুপ্রবাহ ) শিলা চূর্ণ হয়ে মৃত্তিকা সৃষ্টি করে । নগ্নীভবন : এই প্রক্রিয়ায় ভূ – ত্বকের উপরিভাগ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা চূর্ণ – বিচূর্ণ হয়ে নগ্নীভূত হয় ।
iii ) ক্ষমীভবন : এই প্রক্রিয়ায় কতিপয় প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ( প্রবহমান নদী , বায়ুপ্রবাহ ) ক্ষয়ে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় ।
( iv ) বহন এই প্রক্রিয়ায় ভূ – ত্বকের ক্ষয়প্রাপ্ত অংশগুলি বায়ু , জল ও হিমবাহ প্রবাহে ব্যাহত হয় । অবক্ষেপন এই প্রক্রিয়ায় ভূ – পৃষ্ঠের ক্ষয়প্রাপ্ত বাহিত অংশগুলি জমা হয় দীর্ঘদিন ধরে অজৈব পদার্থের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে সংমিশ্রণের ফলে মৃত্তিকা বা মাটির উৎপত্তি হয় ।
7. মৃত্তিকা সৃষ্টির কারণ ( FACTORS OF SOIL FORMATION ) অথবা , মৃত্তিকা ( ACTIVE ) ও নষ্ক্রয় ( PASSIVE ) কারণ ।
Ans: মৃত্তিকা বিজ্ঞানের তিন দিকপাল — ডকুচেভ , জেনী ও জফি – র মতে নিম্নলিখিত কারণে মাটির সৃি হয়েছে ।
i ) ডকুচেভের মত ( 1954 ) তার সূত্র = f ( clop . th ) ( যেখানে মাটি , cl জলবায়ু , O = জীব , p = মূল উপকরণ ; 1 = সময় ও f = কার্যাবলী ) । তার মতে এগুলি যৌথ প্রভাবে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়েছে । ii ) এইচ . জেনীর মত ( 1958 ) তাঁর সূত্র s = f ( clop.T … ) ( যেখানে ৪ = মাটি , এ = জলবায়ু , o = জীব , p = জনকশিলা ; r = ভূ – প্রকৃতি ( Relief ) , t = সময় ও নিয়ন্ত্রককে দায়ী করেছেন ) । iii ) জফীর মত ( 1949 ) : ( a ) প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রক / সক্রিয় কারণ— জলবায়ু ও জীবজগতের ক্রিয়া । ( b ) পরোক্ষ নিয়ন্ত্রক / নিষ্ক্রিয় কারণ— মূল উপকরণ ( Parent Material ) ; ভূ – প্রকৃতি ও সময় ।
8. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে জলবায়ুর ভূমিকা ( INFLUENCE OF CLIMATE ) ।
Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সক্রিয় কারণ জলবায়ু । বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা প্রত্যক্ষভাবে মৃত্তিকা সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করে । যেমন a ) বৃষ্টিপাতের ভূমিকা : ( i ) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে অম্ল , অধিক কাদাযুক্ত , স্তরযুক্ত গভীর মাটি সৃষ্টি হয় । ( যেমন— নিরক্ষীয় অঞ্চলের এঁটেল মাটি ) ; ( ii ) স্বল্প বৃষ্টিযুক্ত অঞ্চলে ক্ষারীয় , পাতলা স্তরের অগভীর মাটি সৃষ্টি করে । ( যেমন— পশ্চিম প্রেইরীর [ আমেরিকা ] পেডোক্যাল মাটি ।
b ) তাপমাত্রার ভূমিকা : তাপমাত্রা বাড়লে আবহবিকার বৃদ্ধি পেয়ে পুরু রেগোলিথের সৃষ্টি করে । প্রতি 10 ° সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার দ্বিগুণ হয় । তাই শীতল মেরু অঞ্চলের তুলনায় উষু ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে মৃত্তিকা সৃষ্টির হার দ্রুত । এই আর্দ্রতা বা বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার সমন্বয়েই বিভিন্ন জলতাপীয় অঞ্চলে ( HYDROTHERMAL ZONE } বিভিন্ন আঞ্চলিক মাটি গড়ে ওঠে ।
9. ভ্যান্ট হফের ( VANT HOFF ) সূত্র ।
Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্রিয় নিয়ন্ত্রক হল তাপমাত্রা । বিজ্ঞানী ভ্যান্ট হফ ( VANT HOFF ) 1884 খ্রিস্টাব্দে বলেন প্রতি 10 ° সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় । এই সুত্রটিকেই ভ্যান্ট হফের সূত্র বলে ।
উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : এই তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্যই শীতল তুন্দ্রা অঞ্চলের তুলনায় উয় ক্লান্তীয় অঞ্চলে মৃত্তিকা সৃষ্টির হার কয়েকগুণ বেশি ।
10. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে জীবজগতের ভূমিকা ( INFLUENCE OF ORGANISMS ) ।
Ans: উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের প্রত্যক্ষ বা সক্রিয় প্রভাবে মৃত্তিকা সৃষ্টি করে। ক ) মৃত্তিকা সৃষ্টিতে উদ্ভিদের ভূমিকা : i ) সরলবর্গীয় বৃক্ষ থেকে আম্লিক পডজল মৃত্তিকার সৃষ্টি হয় ।
ii ) প্রেইরী ও ভেশ বনভূমি অঞ্চলে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ চারনোজোম মৃত্তিকার সৃষ্টি হয় । iii ) উদ্ভিদের বর্জ্য থেকে হিউমাস স্তর সঞ্চিত হয় । যেমন- পডজল মাটিতে সোর স্তর , অর্টারডি স্তর ।
খ ) মৃত্তিকা সৃষ্টিতে প্রাণীর ভূমিকা :
i ) মাটিতে বসবাসকারী কেঁচো , পিঁপড়ে , উই ইত্যাদি প্রাণী বিভিন্ন যান্ত্রিক ও রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপে মৃত্তিকার এথন ও রাসায়নিক গঠনে পরিবর্তন আনে । ii ) ব্যাকটিরিয়া , ফাঙ্গী , অ্যালগী , প্রোটোজোয়া , নেমাটোড প্রভৃতি ক্ষুদ্র প্রাণী জৈব পদার্থ পচন , হিউমাস গঠন , জারণ – বিজারণ দ্বারা মাটি গঠনে সাহায্য করে । iii ) আবার মানুষ বনচ্ছেদন , ভূমি কর্ষণ , টালী তৈরি , শয্যাবর্তন , উন্নত চাষ প্রথা দ্বারা মৃত্তিকার চরিত্রগত গঠনে সাহায্য করে ।
11. মাটি গঠনে মানুষের প্রভাব ( IMPACT OF MAN ) ।
Ans: মৃত্তিকার ক্রমবিকাশে মানুষের ভূমিকা খুব বৈচিত্র্যময় । কারণ মানুষ যেমন একদিকে অবাধে জমি কর্ষণ , প্রচুর বনভূমি ধ্বংস ইত্যাদি নেতিবাচক কাজ দ্বারা মাটির গুণাগুণ পাল্টে দেয় ; তেমন বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাটির পরিচর্যা , শস্যাবর্তন , ধাপ চাষ ও ঝুম চাষ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি , ইতিবাচক কাজ দ্বারা প্রতিরোধ করার পদক্ষেপ নেয় ।
উদাহরণ : অনুন্নত আফ্রিকার টোগো , সোমালিয়া ইত্যাদি দেশের প্রাচীন অধিবাসীরা প্রকৃতি মায়ের কোল থেকে সরাসরি মৃত্তিকা তৈরি করে । আবার সাইবেরিয়া ও কানাডাতে প্রচুর বনভূমি ধ্বংসের ফলে মৃত্তিকাস্থলে জলাভূমি সৃষ্টি হয়েছে ।
12. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে আদি শিলার বা জনক শিলার ( PARENT MATERIAL ) প্রভাব ।
Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টিতে আদি শিলার ভূমিকা নিষ্ক্রিয় । আবহবিকার ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে আদি শিলা পরিবর্তিত হয়ে মৃত্তিকার সৃষ্টি করে । আদি শিলার উপর নির্ভর করে মাটির উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয় ।
যেমন— i ) গ্রানাইট ও রায়োনাইট থেকে মোটা এথনযুক্ত অম্লধর্মী বেলেমাটি সৃষ্টি হয় । ii ) ব্যাসল্ট থেকে মসৃণ , ক্ষারীয় এঁটেল মাটি সৃষ্টি হয় । iii ) গ্রাবরেখা বা হিমগ্রাব ( MORAINE ) থেকে বেলে – দোআঁশ মাটি উৎপন্ন হয় । iv ) চুনাপাথর থেকে রেনজিলা মাটি গড়ে ওঠে । মৃত্তিকা গঠনে আদি শিলার প্রভাব সর্বাধিক হলে এন্ডোডায়ানোমরফিক মৃত্তিকার সৃষ্টি করে । যেমন— দাক্ষিণাত্যের কৃষ্ণমৃত্তিকা ।
13. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে ভূ – প্রকৃতির প্রভাব ( INFLUENCE OF RELIEF ) ।
Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টিতে ভূ – প্রকৃতির প্রভাব নিষ্ক্রিয় । ভূমির উচ্চতা , বন্ধুরতা , ঢালের প্রকৃতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৃত্তিকা সৃষ্টিতে প্রভাবিত করে ।
যেমন— পাহাড়ী অঞ্চলে অধিক ভূমিঢালের জন্য ভূমিক্ষয় হওয়ায় এখানে পাতলা অগভীর মৃত্তিকা সৃষ্টি ( 50-100 সেমি ) করে ।
b ) আবার সমভূমি অঞ্চলে ঢাল কম হওয়ায় গভীর স্তরযুক্ত ( 200 সেমি বা তার বেশি ) মৃত্তিকার সৃষ্টি করে । ২৯৬ ভূগোলিকা
c ) ঢালের আকৃতি উত্তল হলে ক্ষয়কার্য বেশি হয় ও অবতল ঢালে সঞ্চয় বেশি ।
d ) উত্তর গোলার্ধে উচ্চভূমির ঢাল অধিক সূর্যতাপ ও সূর্যালোক পাওয়ায় মৃত্তিকা দ্রুত সৃষ্টি লাভ করে ।
14. মৃত্তিকা ক্যাটেনা ( SOIL CATENA ) ।
Ans: ভূ – পৃষ্ঠের উচ্চতা , বন্ধুরতা ও ঢাল ইত্যাদি বিষয় পরোক্ষভাবে মাটি গঠনে অন্যান্য নিয়ন্ত্রককে প্রভাবিত করে । ফলে একই প্রকার আদি শিলা ও জলবায়ুযুক্ত অঞ্চলে ভূ – প্রকৃতির পার্থক্যের জন্য স্থানীয় ভূমিরূপ অনুসারে ভূ – পৃষ্ঠের বিভিন্ন বন্ধুরতার পার্শ্বদেশে গতিমুখর হয়ে যে মৃত্তিকা গঠিত হয় , তাকে মৃত্তিকা ক্যাটেনা বলে । মুক্তিয়ার ক্যাটেলা উদ্ভাবক : বিজ্ঞানী মিলনে ( MILNE ) সর্বপ্রথম ক্যাটেনার উদ্ভাবন করেন ।
উদাহরণ : রকি , আল্লস , হিমালয় ইত্যাদি বৃহৎ পার্বত্য অঞ্চলে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেখা যায় ।
15. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে সময়ের ভূমিকা ( INFLUENCE OF TIME ) ।
Ans: প্রারম্ভিক থেকে পরিণত অবস্থায় একটি আদর্শ মৃত্তিকা সৃষ্টি হতে হাজার হাজার বছর সময় নেয় । মাত্র 2 সেমি , মৃত্তিকা সৃষ্টিতে 500 বছর সময় লাগে ।
i ) পরিণত মাটি সৃষ্টি : এই মাটি সৃষ্টি হতে দীর্ঘ সময় লাগে । যেমন— পডজল , চারনোজোম ও ল্যাটেরাইট । ii ) অপরিণত মাটি সৃষ্টি : অল্প সময়েই সৃষ্টি হয় ; কারণ A , B ও C তিনটি স্তর গঠিত হয় না । যেমন— রেন্ডজিনা । iii ) হিমকদম মাটি : হিমকদম মৃত্তিকা গঠন 100 বছরেই সম্পন্ন হয় । iv ) ব্যাসন্ট জাতীয় শক্ত শিলা : ব্যাসল্ট কঠিন ও জমজমাট বলে মৃত্তিকা সৃষ্টিতে দীর্ঘ সময় লাগে । v ) শেল জাতীয় কোমল শিলা : শেল নরম বলে মাটি দ্রুত সৃষ্টি হয় ।
16. ‘ আলোক বা উন্নতা একই স্থানে পৃথক মৃত্তিকার সৃষ্টি করে ‘ — কারণ ব্যাখ্যা ।
Ans: উন্নতার তারতম্যে মাটি গঠনেও প্রভেদ ঘটে । একই ভূ – প্রাকৃতিক অঞ্চলে উন্নতার পার্থক্যে পৃথক মাটি গঠিত হয় । যে ঢালে উন্নতা কম সেখানে আম্লিক পডসল মাটি সৃষ্টি হয় । আবার যে ঢালে উন্নতা বেশী সেখানে ক্ষারকীয় চুনময় মাটি সৃষ্টি হয় ।
উদাহরণ : সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ী অঞ্চলের উত্তর ঢালে উয়তা কম বলে আম্লিক পড়সল মাটি ও দক্ষিণ ঢালে উন্নতা বেশী বলে ক্ষারকীয় চুন মাটি সৃষ্টি হয়েছে ।
17. মুত্তিকা ক্যাটেনা ( SOIL CATENA ) ।
Ans: ভূ – পৃষ্ঠের উচ্চতা , বন্ধুরতা ও ঢাল ইত্যাদি বিষয় পরোক্ষভাবে মাটি গঠনে অন্যান্য নিয়ন্ত্রককে প্রভাবিত করে । ফলে একই প্রকার আদি শিলা ও জলবায়ুযুক্ত অঞ্চলে ভূ – প্রকৃতির পার্থক্যের জন্য স্থানীয় ভূমিরূপ অনুসারে ভূ – পৃষ্ঠের বিভিন্ন বন্ধুরতার পার্শ্বদেশে গতিমুখর হয়ে যে মৃত্তিকা গঠিত হয় , তাকে মৃত্তিকা ক্যাটেনা বলে । ক্যাক্তিয়ার ক্যাটেনা উদ্ভাবক : বিজ্ঞানী মিলনে ( MILNE ) সর্বপ্রথম ক্যাটেনার উদ্ভাবন করেন ।
উদাহরণ : রকি , আল্পস , হিমালয় ইত্যাদি বৃহৎ পার্বত্য অঞ্চলে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেখা যায় ।
18. মুত্তিকা সৃষ্টিতে সময়ের ভূমিকা ( INFLUENCE OF TIME ) ।
Ans: প্রারম্ভিক থেকে পরিণত অবস্থায় একটি আদর্শ মৃত্তিকা সৃষ্টি হতে হাজার হাজার বছর সময় নেয় । মাত্র 2 সেমি , মৃত্তিকা সৃষ্টিতে 500 বছর সময় লাগে । i ) পরিণত মাটি সৃষ্টি : এই মাটি সৃষ্টি হতে দীর্ঘ সময় লাগে । যেমন— পডজল , চারনোজোম ও ল্যাটেরাইট । ii ) অপরিণত মাটি সৃষ্টি : অল্প সময়েই সৃষ্টি হয় ; কারণ A , B ও C তিনটি স্তর গঠিত হয় না । যেমন – রেন্ডজিনা । iii ) হিমকদম মাটি : হিমকদম মৃত্তিকা গঠন 100 বছরেই সম্পন্ন হয় । iv ) ব্যাসল্ট জাতীয় শক্ত শিলা : ব্যাসন্ট কঠিন ও জমজমাট বলে মৃত্তিকা সৃষ্টিতে দীর্ঘ সময় লাগে । শেল জাতীয় কোমল শিলা : শেল নরম বলে মাটি দ্রুত সৃষ্টি হয় ।
19. আলোক বা উন্নতা একই স্থানে পৃথক মৃত্তিকার সৃষ্টি করে ‘ — কারণ ব্যাখ্যা ।
Ans: উয়তার তারতম্যে মাটি গঠনেও প্রভেদ ঘটে । একই ভূ – প্রাকৃতিক অঞ্চলে উষ্ণতার পার্থক্যে পৃথক মাটি গঠিত হয় । যে ঢালে উন্নতা কম সেখানে আম্লিক পড়সল মাটি সৃষ্টি হয় । আবার যে ঢালে উষ্ণতা বেশী সেখানে ক্ষারকীয় চুনময় মাটি সৃষ্টি হয় ।
উদাহরণ : সুইজারল্যাণ্ডের পাহাড়ী অঞ্চলের উত্তর ঢালে উয়তা কম বলে আল্লিক পড়সল মাটি ও দক্ষিণ ঢালে উন্নতা বেশী বলে ক্ষারকীয় চুন মাটি সৃষ্টি হয়েছে ।
FILE INFO : মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ – Soil Factors And Processes Of Formation | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)
File Details:
PDF Name : মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ – Soil Factors And Processes Of Formation | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)
Price : FREE
Download Link : Click Here To Download
INFO : Geography – Biogeography – Question and Answer | ভূগোল – জীব ভূগোল – মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (Soil Factors And Processes Of Formation) প্রশ্নোত্তর
” ভূগোল (Geography) – জীব ভূগোল (Biogeography) – মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ – Soil Factors And Processes Of Formation “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9, Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস ভূগোল (Geography) জীব ভূগোল (Biogeography) – মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ – Soil Factors And Processes Of Formation / মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography) SAQ / Short Question and Answer / মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography) Quiz / মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography) QNA / মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।
মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography) Question and Answer in Bengali
আশা করি এই ” মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation – Biogeography Geography ” পোস্টটি থেকে উপকৃত হয়েছেন। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।
মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography)
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” মৃত্তিকা : সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াসমূহ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Factors And Processes Of Formation (Biogeography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।