আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer : আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer, Suggestion, Notes – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
শ্রেণী | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10) |
বিষয় | মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) |
বিষয় | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Adrata o Adakhapan ) |
অধ্যায় | বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায় (2nd Chapter) |
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer
MCQ | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer :
- বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা প্রকাশ করা হয় –
(A) গ্রাম এককে
(B) শতকরা এককে
(C) মিটার গ্রাম এককে
(D) ঘনমিটার এককে
Ans: (B) শতকরা এককে
- বায়ুর আর্দ্রতা মাপার যন্ত্রের নাম –
(A) হাইগ্রোমিটার
(B) ব্যারোমিটার
(C) অ্যানিমোমিটার
(D) সাইক্রোমিটার
Ans: (A) হাইগ্রোমিটার
- পর্বতের ঢালে যে বৃষ্টি হয় তাকে বলে—
(A) পরিচলন বৃষ্টি
(B) ঘূর্ণ বৃষ্টি
(C) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
(D) শিলা বৃষ্টি
Ans: (C) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ সর্বাধিক হয়—
(A) সকালে
(B) দুপুরে
(C) সন্ধ্যায়
(D) রাত্রিবেলায়
Ans: (B) দুপুরে
- যেটি অধঃক্ষেপণের রূপ নয় সেটি হল-
(A) কুয়াশা
(B) শিলাবৃষ্টি
(C) তুষারপাত
(D) বৃষ্টিপাত
Ans: A) কুয়াশা
- যে ঘূর্ণবৃষ্টি সবচেয়ে বিধ্বংসী তার উৎস স্থল-
(A) ক্রান্তীয় অঞ্চল
(B) নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল
(C) হিমমণ্ডল
(D) মরু অঞ্চল
Ans: (A) ক্রান্তীয় অঞ্চল
- নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে পরিচলন বৃষ্টি হয়—
(A) শীতের শুরুতে
(B) শরতের শুরুতে
(C) গ্রীষ্মের শুরুতে
(D) বসন্তের শুরুতে
Ans: (C) গ্রীষ্মের শুরুতে
- মানচিত্রে সমান বৃষ্টিপাত রেখাকে কী বলে ? –
(A) সমবর্ষণ রেখা
(B) সমোয় রেখা
(C) সমষে রেখা
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (A) সমবর্ষণ রেখা
- মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কী প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিপাত ঘটে ?
(A) পরিচলন
(B) শৈলোৎক্ষেপ
(C) কোনোটিই নয়
(D) ঘূর্ণবাত
Ans: (B) শৈলোৎক্ষেপ
- বৃষ্টিপাত মাপক যন্ত্র হল –
(A) রেনগজ
(B) অল্টিমিটার
(C) সাইক্লোমিটার
(D) ব্যারোমিটার
Ans: (B) অল্টিমিটার
- যে উষ্ণতায় জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ঘনীভূত হয় তা হল—
(A) হিমাঙ্ক
(B) শিশিরাঙ্ক
(C) অধঃক্ষেপণ
(D) বাষ্পীভবন
Ans: (B) শিশিরাঙ্ক
- শিশিরাঙ্ক আপেক্ষিক আর্দ্রতা হয়—
(A) ৫০ %
(B) ৮৫ %
(C) ১২০ %
(D) ১০০ %
Ans: (D) ১০০ %
- কোনো স্থানে জলীয় বাষ্পের জোগান অপরিবর্তিত থেকে উষ্ণতা বাড়লে আপেক্ষিক আর্দ্রতার কীরূপ পরিবর্তন হয় ?
(A) বাড়ে
(B) কমে
(C) একই থাকে
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (B) কমে
- কোন্টি মেঘ থেকে ঘটে না ?
(A) বৃষ্টি
(B) শিলাবৃষ্টি
(C) কুয়াশা
(D) ধোঁয়াশা
Ans: C) কুয়াশা
- কোনটি অধঃক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত ?
(A) শিলাবৃষ্টি
(B) তুষারপাত
(C) শিশির
(D) কুয়াশা
Ans: (A) শিলাবৃষ্টি
- শিশিরকণা বরফরূপে জমাটবদ্ধ হলে তা হল –
(A) মেঘ
(B) তুষারপাত
(C) তুহিন
(D) শিলাবৃষ্টি
Ans: (C) তুহিন
- কোন্ বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনাটি স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর ?
(A) ধোঁয়াশা
(B) কুয়াশা
(C) শিশির
(D) শিলাবৃষ্টি
Ans: A) ধোঁয়াশা
- বৃষ্টির সঙ্গে বড়ো বড়ো বরফকণা ঝরে পড়লে তা হল –
(A) শিলাবৃষ্টি
(B) শিট
(C) তুষারপাত
(D)কোনোটিই নয়
Ans: (A) শিলাবৃষ্টি
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে কোন প্রকার বৃষ্টি সর্বাধিক ঘটে ?
(A) ক্রান্তীয় ঘূর্ণবৃষ্টি
(B) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
(C) পরিচলন বৃষ্টি
(D) নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবৃষ্টি
- পরিচলন বৃষ্টির কোন্ প্রকার মেঘ থেকে উৎপত্তি ঘটে । পরিলিখিত মেঘ থেকে উৎপত্তি ঘটে ?
(A) সিরোস্ট্যাটাস
(B) অল্টোকিউমুলাস
(C) কিউমুলোনিম্বাস
(D) সিরাস
Ans: (C) কিউমুলোনিম্বাস
- নিম্নলিখিত কোন্ বিষয়টি পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢালের সাথে সম্পর্কিত ?
(A) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল
(B) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি অঞ্চল
(C) পরিচলন বৃষ্টি অঞ্চল
(D) কিউমুলোনিম্বাস
Ans: (D) কিউমুলোনিম্বাস
- ঘূর্ণবৃষ্টি অঞ্চল হহ্ কোন্ প্রকার বৃষ্টিকে সীমান্তবৃষ্টি বলা হয় ?
(A) পরিচলন বৃষ্টি
(B) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
(C) ক্রান্তীয় ঘূর্ণবৃষ্টি
(D) নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবৃষ্টি
Ans: A) পরিচলন বৃষ্টি
- নিম্নলিখিত জলচক্রের কোন্ ঘটনাটি বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়া নয় –
(A) ঘনীভবন
(B) অধঃক্ষেপণ
(C) বাষ্পীভবন
(D) প্রস্রবণ
Ans: (D) প্রস্রবণ
- কোন্ প্রক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প সরাসরি বরফকণায় পরিণত হয় –
(A) ঘনীভবন
(B) বাষ্পীভবন
(C) অধঃক্ষেপণ
(D) ঊর্ধ্বপাতন
Ans: (D) ঊর্ধ্বপাতন
- কোন্ উষ্ণতায় বায়ু সম্পৃক্ত হয়—
(A) শিশিরাঙ্ক
(B) আর্দ্র গুণাঙ্ক
(C) হিমাঙ্ক
(D) ঘনীভবন
Ans: (A) শিশিরাঙ্ক
- কোটি দূষণের ফল –
(A) শিশির
(B) ধোঁয়াশা
(C) কুয়াশা
(D) অধঃক্ষেপণ
Ans: (B) ধোঁয়াশা
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion Click here ]
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer :
- নির্দিষ্ট ওজনের বায়ুতে যত পরিমাণে জলীয় বাষ্প আছে , তাকে কী বলে ?
Ans: বিশেষ বা নির্দিষ্ট আর্দ্রতা ।
- ঘূর্ণবাতের প্রভাবে যে বৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: ঘূর্ণবৃষ্টি ।
- দিনের কোন সময়ে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি হয় ?
Ans: ভোরবেলায় ।
- কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে তাকে কী বলে ?
Ans: নিরপেক্ষ বা চরম আর্দ্রতা ।
- কোন্ এককের দ্বারা চরম আর্দ্রতা প্রকাশ করা হয় ?
Ans: গ্রাম / ঘনসেমি ।
- নির্দিষ্ট চাপে যে উষ্ণতায় জল বরফে পরিণত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: হিমাঙ্ক ।
- যে – কোনো দুটি অধঃক্ষেপণের নাম লেখো ।
Ans: বৃষ্টি ও তুষারপাত ।
- শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতে পাহাড়ের কোন্ ঢালে বৃষ্টিপাত হয় ?
Ans: প্রতিবাত ঢালে ।
- ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের নাম লেখো ।
Ans: শিলং ।
- বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয় কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে ?
Ans: রেনগজ ( Rain Gauge ) ।
- বায়ুমুখী ঢালের বিপরীত দিকের প্রায় বৃষ্টিহীন অনুবাত ঢালকে কী বলে ?
Ans: বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল ।
- বৃষ্টি পরিমাপের একক কী ?
Ans: সেমি বা মিমি একক ।
- জমাটবদ্ধ শিশির কী নামে পরিচিত ?
Ans: তুহিন ।
- শিশিরাঙ্কের উষ্ণতা কত হলে তুহিন সৃষ্টি হয় ?
Ans: 0 ° C বা 0 ° সে – এর কম ।
- মেঘাচ্ছন্নতা কোন্ এককে প্রকাশ করা হয় ?
Ans: অক্টাস ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer :
- জলচক্রে বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়াগুলি কী কী ?
Ans: জলচক্রে বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়াগুলি হল— ( i ) বাষ্পীভবন , ( ii ) ঘনীভবন , ( iii ) অধঃক্ষেপণ ।
- বাষ্পীভবন ( Evaporation ) কাকে বলে ?
Ans: যে প্রক্রিয়ায় জল , তরল বা কঠিন ( তুষার , বরফ , হিমবাহ ) অবস্থা থেকে উষ্ণতার প্রভাবে বাষ্পীভূত হয় এবং তা বায়ুমণ্ডলে মেশে তাকে বাষ্পীভবন বলে ।
- মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয় ?
Ans: ঊর্ধ্ব বায়ুস্তরে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস লীনতাপ ত্যাগ করে জলকণায় পরিণত হয় । কোটি কোটি জলকণা একসাথে হয়ে আকাশে ভেসে বেড়ালে সৃষ্টি হয় মেঘ ।
- বিশেষ আর্দ্রতা কী ?
Ans: নির্দিষ্ট ওজনের বায়ুতে যত পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে তা বিশেষ বা নির্দিষ্ট আর্দ্রতা । একে আর্দ্রতার গুণাঙ্কও বলা হয় । প্রতি কেজি বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে তা গ্রামের দ্বারা । প্রকাশ করা হয় । যেমন – ৩০ গ্রাম / প্রতি কেজি ।
- উষ্ণতার সাথে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্পর্ক কী ?
Ans: উষ্ণতার সাথে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্পর্ক হল ব্যস্তানুপাতিক । উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায় । ফলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে যায় এবং উষ্ণতা কমলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা যেহেতু কমে তাই আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়ে ।
- শিশিরাঙ্ক ( Dew point ) বলতে কী বোঝ ?
Ans: যে বিশেষ তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত অবস্থায় পৌঁছায় , বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেড়ে হয় ১০০ % সেই তাপমাত্রা হল শিশিরাঙ্ক । বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কের নীচে নামলে ওই তাপমাত্রায় বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতার অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয় । শিশিরাঙ্কের উষ্ণতা হিমাঙ্কের ( ০ ° C ) উপরে থাকে । যদি শিশিরাঙ্কের উষ্ণতা হিমাঙ্কের ( ০ ° C ) নীচে নামে তাহলে জলীয় বাষ্প ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় বরফকণায় পরিণত হয় ।
- শিশিরাঙ্ক ও হিমাঙ্কের মধ্যে পার্থক্য লেখো ।
Ans: যে উষ্ণতায় জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সম্পৃক্ত হয় , তা হল শিশিরাঙ্ক । অপরদিকে নির্দিষ্ট চাপে যে উষ্ণতায় জল বরফে পরিণত হয় । তা হল হিমাঙ্ক ।
- ঘনীভবন ( Condensation ) কাকে বলে ?
Ans: যদি বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে পৌঁছায় তাহলে জলীয় 2 2 : বাষ্প লীনতাপ ত্যাগ করে জলকণা ( যদি শিশিরাঙ্কের উষ্ণতা ০ ° C- এর উপরে থাকে ) বা বরফকণায় ( যদি শিশিরাঙ্কের উষ্ণতা ০ ° C- এর নীচে থাকে ) পরিণত হয় । যে প্রক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প জলকণা বা বরফকণায় পরিণত হয় তা হল ঘনীভবন ।
- ঘনীভবনের বিভিন্ন রূপগুলি কী কী ?
Ans: ঘনীভবনের বিভিন্ন রূপগুলি হল- ( i ) শিশির , ( ii ) কুয়াশা , ( iii ) ধোঁয়াশা , ( iv ) মেঘ ইত্যাদি ।
- শিশির ( Dew ) কী ?
Ans: শরৎ , হেমন্ত বা শীতের মেঘমুক্ত রাত্রিতে যখন বায়ুস্থিত জলীয় বাষ্প শীতল ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে দ্রুত ঘনীভূত ( Condensation ) হয়ে ঘাস , পাতা প্রভৃতির ওপর জলবিন্দুর আকারে সঞ্চিত হয় , তখন এই জলবিন্দুগুলিকে শিশির বলে ।
- কুয়াশা ( Fog ) কী ?
Ans: শীতকালের দীর্ঘরাত্রে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে । শীতল হয়ে পড়লে সংলগ্ন বায়ুস্তরও শীতল হয়ে শিশিরাঙ্কে পৌঁছোলে বায়ু মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয়ে ভূমিসংলগ্ন হয়ে ভাসতে থাকে , তাকে কুয়াশা বলে । সাধারণত কলকারখানা বহুল শহরে ও শিল্পাঞ্চলগুলিতে ধূলিকণার আধিক্য থাকে বলে শীতের রাতে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয় ।
- ধোঁয়াশা ( Smog ) বলতে কী বোঝ ?
Ans: সালফার ডাইঅক্সাইড , নাইট্রিক অক্সাইড , নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড , কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতি দূষিত গ্যাস ও ভাসমান বস্তু । কণার সঙ্গে সূর্যরশ্মির আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সৃষ্ট ধোঁয়াপূর্ণ অবস্থা হল ধোঁয়াশা ।
- ধোঁয়াশা সৃষ্টির জন্য কোন্ কোন্ গ্যাস দায়ী ?
Ans: ধোঁয়াশা সৃষ্টির জন্য সালফার ডাইঅক্সাইড ( SO2 ) , নাইট্রিক অ্যাসিড ( NO ) , নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ( NO2 ) , কার্বন মনোক্সাইড ( CO ) প্রভৃতি গ্যাস দায়ী ।
- ধোঁয়াশার ক্ষতিকারক দিকগুলি কী কী ?
Ans: ধোঁয়াশার মধ্যে কিছুক্ষণ থাকলে চোখ জ্বালা বা বমি বমি ভাব সহ শরীরের অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে । ঘন ধোঁয়াশার ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে বহুলোকের প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে দেখা গিয়েছে ।
- মেঘ ( Cloud ) কাকে বলে ?
Ans: ভূপৃষ্ঠের ঊর্ধ্বাংশে কোটি কোটি ভাসমান সূক্ষ্ম জলকণা , একসাথে অবস্থান করে যে অস্বচ্ছ আবরণ সৃষ্টি করে , তাকে মেঘ বলে ।
- অধঃক্ষেপণ ( Precipitation ) কাকে বলে ?
Ans: মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে বায়ুমণ্ডল থেকে ( মেঘ থেকে ) জলীয় বাষ্প ঘনীভবনের মাধ্যমে কঠিন ও তরল অবস্থায় ভূপৃষ্ঠে নেমে আসাকে বলে অধঃক্ষেপণ ।
- অধঃক্ষেপণের প্রক্রিয়াগুলি কী কী ?
Ans: অধঃক্ষেপণের প্রক্রিয়াগুলি হল- ( i ) বৃষ্টিপাত , ( ii ) গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি , ( iii ) তুষারপাত , ( iv ) শিট , ( v ) শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি ।
- কুয়াশা , শিশির ও তুহিন কেন অধঃক্ষেপণ নয় ?
Ans: শিশির , কুয়াশা ও তুহিন ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চলের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে সৃষ্টি হয় । ঊর্ধ্বাকাশের মেঘ থেকে ঘনীভবনের মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ইহা নেমে আসে না । তাই এগুলি অধঃক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত নয় ।
- বৃষ্টিপাত ক – প্রকার ও কী কী ?
Ans: বায়ুর ঊর্ধ্বগমনের প্রকৃতি অনুসারে বৃষ্টিপাতকে তিনভাগে ভাগ করা যায় । যথা- ( i ) পরিচলন বৃষ্টি , ( ii ) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি ও ( iii ) ঘূর্ণবাত বৃষ্টি ।
- প্রতিবাত ও অনুবাত ঢাল কী ?
Ans: পাহাড়ের যে ঢালে বায়ু বাধা পায় সেই ঢাল হল প্রতিবাত ঢাল । প্রতিবাত ঢালেই জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধা পেয়ে শৈলোৎক্ষেপ পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত ঘটায় । বায়ু পাহাড়ের যে ঢালে বাধা পায় তার বিপরীত ঢাল হল অনুবাত ঢাল । অনুবাত ঢাল হল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল ।
- বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল ( Rain Shadow Area ) কাকে বলে ?
Ans: জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্রবায়ু কোনো উঁচু মালভূমি বা পর্বতে বাধা পেয়ে প্রতিবাত ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর তাতে জলীয় বাষ্প থাকে না বললেই চলে । ওই ‘ প্রায় শুষ্ক ’ বায়ু পাহাড় অতিক্রম করে পাহাড়ের অপর দিকে ( অনুবাত ঢালে ) পৌঁছোলে উষ্ণতা বাড়তে থাকে বলে এর প্রভাবে সেখানে বৃষ্টিপাত হয় খুবই কম । পাহাড়ের বায়ুমুখী ঢালের বিপরীত দিকের প্রায় বৃষ্টিহীন অনুবাত ঢালকে ‘ বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল ‘ বলা হয় । উদাহরণ : ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢাল , মেঘালয়ের শিলং প্রভৃতি অঞ্চল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল ।
- ঘূর্ণবৃষ্টি কাকে বলে ?
Ans: ভূপৃষ্ঠে কোনো কারণে উষ্ণতা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রে আকৃষ্ট হয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু ছুটে এসে কুণ্ডলী আকারে ঘুরতে ঘুরতে উপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে ঘূর্ণবাত জনিত বৃষ্টিপাত বলে ।
- সমবর্ষণ ( Isohyte ) রেখা কাকে বলে ?
Ans: ISO শব্দের অর্থ সমান এবং Hyet শব্দের অর্থ , বৃষ্টিপাত । পৃথিবীর একই বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় , তাকে সমবর্ষণ রেখা বলে ।
- মেঘাচ্ছন্নতা কী ?
Ans: আকাশে মেঘের অবস্থান বা পরিমাণকে মেঘাচ্ছন্নতা বলে , যা অক্টাস এককে প্রকাশ করা হয় ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer :
- আর্দ্রতার গুরুত্ব লেখো ।
Ans: আর্দ্রতার গুরুত্ব হল : ( i ) আর্দ্রতার উপস্থিতির কারণেই ঘনীভবন ঘটে , ( ii ) বিকিরিত শক্তিকে আর্দ্রতা শোষণ করে , ( iii ) জলচক্রে আর্দ্রতা গুরুত্বপূর্ণ , ( iv ) অতিরিক আর্দ্রতা স্যাঁতস্যাঁতে এবং কম আর্দ্রতা শুষ্ক অবস্থা সৃষ্টি করে , ( v ) অস্বস্তিসূচক মাত্রা আর্দ্রতা দ্বারা নির্ধারিত হয় ।
- চরম আর্দ্রতা বা নিরপেক্ষ আর্দ্রতা ( Absolute Humidity ) বলতে কী বোঝ ?
Ans: কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাকে চরম আর্দ্রতা বলে । অর্থাৎ , একটি নির্দিষ্ট । আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণই হল চরম আর্দ্রতা । সাধারণত প্রতি ঘনসেন্টিমিটার বায়ুতে যতগ্রাম জলীয় বাষ্প থাকে তার দ্বারা চরম আর্দ্রতার পরিমাণ বোঝানো হয় । যেমন —১৫ গ্রাম / ঘন সেন্টিমিটার ।
- আপেক্ষিক আর্দ্রতা ( Relative Humidity ) কাকে বলে ?
Ans: নির্দিষ্ট উষ্ণতা ও চাপে নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে প্রকৃত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এবং ওই নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুর সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা ( ওই বায়ুকে সম্পৃক্ত করার জন্য যত পরিমাণ জলীয় বাষ্পের প্রয়োজন ) —এই দুই এর অনুপাত হল আপেক্ষিক আর্দ্রতা । এটি প্রকাশ করা হয় শতকরা হিসেবে পূর্ণমানে ।
সূত্র : আপেক্ষিক আর্দ্রতা =
নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের ( চরম ) পরিমাণ
__________________________________________
ওই উষ্ণতায় সম্পৃক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ
উদাহরণ : ৩০ ° সেলসিয়াস উষ্ণতায় ৯৯০ মিলিমিটার বায়ুচাপে জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা ৩০ গ্রাম এবং বায়ুতে জলীয় বাষ্প আছে ২০ গ্রাম ।
অতএব , আপেক্ষিক আর্দ্রতা হব ২০ × ১০০ / ৩০ = ৬৬.৬৭ বা ৬৭ %
- কোন্ অবস্থায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিবর্তন ঘটে ?
Ans: যেসকল অবস্থায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিবর্তন ঘটে সেগুলি হল ( i ) বায়ুতে জলীয় বাষ্পের জোগান বাড়লে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়ে এবং জলীয় বাষ্পের জোগান কমলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে । ( ii ) উষ্ণতা বাড়লে জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বাড়ে বড় | আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে এবং উদ্বৃতা কমলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়ে ।
- সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত বায়ু কাকে বলে ?
Ans: উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বাড়ে এবং উদ্বৃতা কমলে ক্ষমতা কমে । যখন কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতর নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্প গ্রহণ করতে পারে , অ হল সম্পৃক্ত বায়ু এবং ওই নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বায়ুর সর্বোচ্চ ধারণ করার ক্ষমতা থেকে জলীয় বাষ্প কম থাকে তখন তা অসম্পূর বা অপরিপৃক্ত বায়ু ।
উদাহরণ : ধরো ৩০ ° সেলসিয়াস উষ্ণতায় ১ ঘনসেমি বায়ু ৪০ গ্রাম জলীয় বাষ্প নিতে পারে । সেই বায়ুতে জলীয় বাষ্প যদি ৪০ গ্রাম থাকে তা সম্পৃক্ত বায়ু এবং যদি ৪০ গ্রাম – এর কম থাকে তখন তা অসম্পৃক্ত বায়ু ।
- কী কী কারণে কুয়াশার সৃষ্টি হয় ?
Ans: শীতকালে দীর্ঘ রাতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণে ভোররাতে অধিক শীতল হলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর শীতল হয়ে শিশিরাষ্ট্রে পৌঁছালে জলীয় বাষ্প ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয়ে ভূমিসংলগ্ন নিম্ন বায়ুস্তরে ভাসতে থাকে । এটি হল কুয়াশা শহর , কলকারখানা অঞ্চলে বায়ুতে ধূলিকণা , ধোঁয়া বেশি হলে কুয়াশা বেশি হয় । নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলে উরু ও শীতল সমুদ্রস্রোতে সঙ্গে আগত উষ্ণ ও শীতল বায়ুপুঞ্জের মিলনেও কুয়াশা সৃষ্টি হয় । সেই কারণে নিউফাউন্ডল্যান্ড ও জাপান উপকূলে প্রায়শই কুয়াশার সৃষ্টি হয় ।
- মেঘমুক্ত আবহাওয়ায় শিশির জমে না — ব্যাখ্যা করে ।
Ans: ঊর্ধ্ববায়ু স্তরে শিশির জমে না । শীতকালে ঠান্ডা ভার বাতাস নীচে নেমে এলে তা ভূত্বকের শীতল স্পর্শে জলকণার পরিণত হয়ে শিশির জমে । আকাশ যদি মেঘমুক্ত হয় তাহলে সকাে আগত সৌররশ্মির সবটুকু বিকিরিত হবার সুযোগ পায় না । ফলে রাতে ভূপৃষ্ঠের উত্তাপ শিশিরাঙ্কে নামে না । আবার মেঘ থাকার কারণে ঠান্ডা ভারী বাতাসও নীচে নেমে স্থান দখল করতে পারে না । শিশির জমার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় না । মেঘমুক্ত আকাশে এই বাধা থাকে না । সকালের গৃহীত তাপ রাত্রে সবটুকু বিকিরিত হয়ে যায় , ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কে নেমে যায় ও শিশির জমে । শিশির জমার ফলে বাতাসের দুষিত ধূলিকণাও অনেকটা পরিশুদ্ধ হয় ও বাতাস নির্মল হয় ।
- পরিচলন বৃষ্টি কীভাবে ঘটে ?
Ans: দিনের বেলা প্রবল সূর্যতাপে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন জলভাগ থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে এবং লীনতাপ ত্যাগ করে ঘনীভূত হয় । এই লীনতাপ বায়ুকে আরও উপরে তুলে বজ্রগর্ভ ( কিউমুলোনিম্বাস ) মেঘ সৃষ্টি করে এবং এই মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয় । অতএব পরিচলন বৃষ্টি ঘটার দুটি প্রধান শর্ত হল— ( i ) ভূপৃষ্ঠের উত্তপ্তকরণ এবং ( ii ) বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্পের জোগান । নিরক্ষীয় অঞ্চলে অপরাহ্ণে এবং মধ্য অক্ষাংশীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মের শুরুতে এই বৃষ্টিপাত ঘটে ।
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টি কেন ঘটে ?
Ans: নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের থেকে জলভাগ বা সমুদ্রের বিস্তার অনেক বেশি এবং সূর্যরশ্মির প্রভাব প্রায় সারাবছর অধিক থাকে । এখানে দিনের বেলা প্রবল সূর্যতাপে জল বাষ্পীভূত হয়ে উপরে ওঠে এবং বজ্রগর্ভ বা কিউমুলোনিম্বাস মেঘের সৃষ্টি হয় । এই মেঘ থেকে অপরাহ্নে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটে । অতএব অধিক উষ্ণতা এবং বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারণেই , নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত হয় ।
- শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি প্রক্রিয়া কীভাবে ঘটে ।
Ans: জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ( মেঘ ) ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সময় উঁচু পর্বত , মালভূমিতে বাধা পেয়ে আরও উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি ঘটালে তা শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি প্রক্রিয়া : মেঘ বাতাসে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বাধা পায় এবং উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে ( উষ্ণতা কমে বলে ) প্রতিবাত ঢালেই বৃষ্টিপাত ঘটায় । এই পদ্ধতিতে ( বিপরীত ঢাল ) বৃষ্টি কম হয় বলে অনুবাত ঢাল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল । শৈলোৎক্ষেপ পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত অধিক হয় যদি – ( i ) সমুদ্রের নিকটে পর্বত , উচ্চভূমি থাকে , ( ii ) উচ্চভূমির উপরি অংশ বরফাবৃত থাকে এবং ( iii ) বায়ু পর্বতের সাথে সমকোণে ধাক্কা খায় ।
- পর্বতের অনুবাত ঢালে বৃষ্টি কম হয় কেন ? অথবা , পর্বতের অনুবাত ঢাল কেন বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের অন্তর্গত ?
Ans: জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে অনুবাত ঢালের দিকে যায় । বায়ু যখন অনুবাত ঢালে পৌঁছোয় তখন বায়ুর মধ্যে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় । অনুবাত ঢাল বরাবর বায়ু নীচের দিকে নামতে থাকার কারণে উষ্ণতা বাড়তে থাকে । ফলে জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতাও বাড়তে থাকে , ফলে বৃষ্টি কম হয় । তাই অনুবাত ঢালে বৃষ্টি কম হয় বা বলা যায় যে , অনুবাত ঢাল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের অন্তর্গত ।
- ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত কীভাবে ঘটে ?
Ans: ক্রান্তীয় মণ্ডলে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু চক্রাকারে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে প্রবেশ করে অভিসরণ প্রক্রিয়ায় ঊর্ধ্বে উঠে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় । এটি হল ক্রান্তীয় ঘূর্ণবৃষ্টি ।
- নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত কীভাবে ঘটে ?
Ans: নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে স্থলভাগ থেকে আগত শুষ্ক – শীতল বায়ুপুঞ্জের সাথে সমুদ্র থেকে আগত উষ্ণ – আর্দ্র বায়ুপুঞ্জের সংঘর্ষ হয় । শুষ্ক – শীতল বায়ু ভারী বলে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ – আর্দ্র বায়ু শুষ্ক – শীতল বায়ুর ঢাল বরাবর চক্রাকারে উঠে পড়ে । এই অবস্থাকে অঙ্কুশন বলে । শীতল বায়ুপুঞ্জের মধ্যে উষ্ণ – আর্দ্র বায়ু চক্রাকারে ঢুকে পড়ার কারণে ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় । একেই নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বলে । নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে দীর্ঘসময় ধরে ঝিরঝির বৃষ্টি হয় এবং মাঝে মাঝে তুষারপাত ঘটে । এইপ্রকার বৃষ্টিকে সীমান্ত বৃষ্টিও বলা হয় ।
রচনা ধর্মী প্রশ্নোত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer :
1. চিত্রসহ বিভিন্ন বৃষ্টির প্রক্রিয়া সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: i ) পরিচলন বৃষ্টি : প্রবল সূর্যতাপে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হলে উষু ও আর্দ্র বায়ু উপরে উঠে প্রসারিত ও শীতল হয়ে ঘনীভবনের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত ঘটলে তা পরিচলন বৃষ্টি । প্রক্রিয়া : দিনের বেলা প্রবল সূর্যতাপে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন জলভাগ থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে উপরে ওঠে এবং লীনতাপ ত্যাগ করে ঘনীভূত হয় । এই লীনতাপ বায়ুকে আরও উপরে তুলে বজ্রগর্ভ ( কিউমুলোনিম্বাস ) মেঘ সৃষ্টি করে এবং এই মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয় । অতএব পরিচলন বৃষ্টি ঘটার দুটি প্রধান শর্ত হল ( i ) ভূপৃষ্ঠের উত্তপ্তকরণ এবং ( ii ) বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্পের জোগান । নিরক্ষীয় অঞ্চলে অপরাহ্ণে এবং মধ্য অক্ষাংশীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মের শুরুতে এই বৃষ্টিপাত ঘটে ।
( ii ) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি : জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ( মেঘ ) ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সময় উঁচু পর্বত , মালভূমিতে বাধা পেয়ে আরও উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি ঘটালে তা শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি । প্রক্রিয়া : বাতাসে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বাধা পায় এবং ওপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে ( উষ্ণতা কমে বলে ) প্রতিবাত ঢালেই বৃষ্টিপাত ঘটায় । এই পদ্ধতিতে ( বিপরীত ঢাল ) বৃষ্টি কম হয় বলে অনুবাত ঢাল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল । শৈলোৎক্ষেপ পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত অধিক হয় যদি — ( i ) সমুদ্রের নিকটে পর্বত , IT উচ্চভূমি থাকে , ( ii ) উচ্চভূমির উপরি অংশ বরফাবৃত থাকে এবং —ল (iii) বায়ু পর্বতের সাথে সমকোণে ধাক্কা খায় ।
উদাহরণ : ( i ) মৌসুম র বায়ু পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে বাধা পেয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় । এবং পূর্বঢালে বৃষ্টি কম হয় । অতএব পূর্বঢাল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল । —য় ( ii ) শিলং বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থানের কারণেই বৃষ্টি খুবই কম । ( iii ) ঘূর্ণবৃষ্টি : ঘূর্ণবাতের প্রভাবে যে বৃষ্টি ঘটে তা ঘূর্ণবৃষ্টি । এটি দু – প্রকার ।
( ক ) ক্রান্তীয় ঘূর্ণবৃষ্টি : ক্রান্তীয় মণ্ডলে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চারদিক থেকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু প্রবল বেগে নিম্নচাপ কেন্দ্রে প্রবেশ করে । অভিসরণের ফলে উষ্ণ – আর্দ্র বায়ু উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে বিশাল অঞ্চলজুড়ে মেঘের সৃষ্টি করে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টি ঘটায় । দুর্বল ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতে ( ডিপ্রেসন ) শুধুই বৃষ্টি হয় এবং সবল ঘূর্ণবাতে ঝড় ও বৃষ্টি একসাথে হয় ।
( খ ) নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবৃষ্টি : নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে উষু – আর্দ্র এবং শুষ্ক – শীতল — দুটি ভিন্নধর্মী বায়ুপুঞ্জ পরস্পর বিপরীত দিক থেকে এসে মিলিত হলে শীতল বায়ুর ( ভারী ) ঢাল বরাবর উষু – আর্দ্র বায়ু ( হালকা ) উপরে উঠে এবং ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় । এই বৃষ্টি ঝিরঝিরে এবং দীর্ঘস্থায়ী । এর অপর নাম সীমান্ত বৃষ্টি ।
2. অধঃক্ষেপণ কাকে বলে ? অধঃক্ষেপণের শ্রেণিবিভাগ করো ও বিবরণ দাও ।
Ans: জলীয় বাষ্প উপরে উঠে উষ্ণতা কমে যাওয়ার জন্য লীনতাপ ত্যাগ করে ঘনীভূত হয় এবং সৃষ্টি হয় মেঘ । মেঘ থেকে অভিকর্ষের টানে জলকণা তরল ( বৃষ্টি ) ও কঠিন ( তুষার ও শিলাবৃষ্টি ) আকারে ভূপৃষ্ঠে নেমে এলে তাকে বলি অধঃক্ষেপণ ।
প্রকৃতি অনুসারে অধঃক্ষেপণের বিভিন্ন রূপগুলি হল—
( ১ ) বৃষ্টিপাত ( Rainfall ) : পৃথিবীর মোট অধঃক্ষেপণের বেশিরভাগই ( প্রায় ৯০ শতাংশ ) হল বৃষ্টিপাত । শীতলতার স্পর্শে বায়ুর জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে প্রথমে জলকণায় পরিণত হয় এবং সৃষ্টি হয় মেঘ । মেঘের উষ্ণতা আরও কমলে বা মেঘ আলোড়িত হলে জলকণাগুলি একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত বড়ো আকার নেয় এবং অভিকর্ষের টানে জলকণা পৃথিবীপৃষ্ঠে নেমে আসে । একেই বলে বৃষ্টিপাত । চার
( ২ ) তুষারপাত ( Snowfall ) : জলীয় বাষ্প অতি শীতল । আবহাওয়ায় কঠিন গুঁড়ো গুঁড়ো তুষারকণায় পরিণত হয় । জলকণাকে তুষারকণায় পরিণত হতে গেলে হিমাঙ্কের নীচে – ৪০ ° সেলসিয়াস । উত্তাপ থাকা আবশ্যক । সূক্ষ্ম তুষারকণা তীব্র ঠান্ডায় ক্রমশ আয়তনে বাড়ে , ভারী হয় ও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় , একে বলে তুষারপাত । তুষারপাতের আদর্শ স্থল হল উচ্চ অক্ষাংশ বা উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল – বিশেষ ।
( ৩ ) শিলাবৃষ্টি ( Hail ) 2 প্রবল ঊর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের জলকণা আরও ওপরে উঠে বরফকণায় পরিণত হয় এবং প্রবল ঝড়ে মেঘের মধ্যে বরফকণা বারংবার ওঠানামা করতে থাকে বলে বরফকণার গায়ে প্রলেপ পড়ে সেগুলি আকারে বড়ো হয় । ঝড় থেমে গেলে কিংবা বরফকণা আকারে বেশ বড়ো হলে ওই বরফের টুকরো বৃষ্টির সাথে মাটিতে আছড়ে পড়ে । একেই বলে শিলাবৃষ্টি । আমাদের রাজ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয় ।
( 8 ) স্পিট ( sleet ) : মধ্য ও উচ্চ অক্ষাংশে শীতকালে স্লিট দেখা যায় । উপরের বায়ুস্তর থেকে নীচে ভূপৃষ্ঠের দিকে পতিত হওয়ার সময় তুষারকণা গলে জলকণায় পরিণত হয় । কিন্তু কোনো কারণে বৈপরীত্য উত্তাপের সৃষ্টি হলে তা কম উষ্ণতায় পুনরায় জমে বরফে পরিণত হয় ; একে বলে স্লিট । নিম্বোট্র্যাটাস , স্ট্র্যাটোকিউমুলাস , কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে এর সৃষ্টি হয় ।
( ৫ ) গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ( Drizzle ) : অতিসূক্ষ্ম জলকণা , যার ব্যাস < ০.৫ মিমি যখন গুঁড়ো গুঁড়ো আকারে পৃথিবীতে ঝরে পড়ে তাকে বলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি । স্ট্যাটাস ও স্ট্র্যাটোকিউমুলাস মেঘ থেকে এর সৃষ্টি হয় ।
( ৬ ) ফ্রিজিং রেন ( Freezing Rain ) : অতিশীতল জলবিন্দু পতিত হওয়ার সময় হিমাঙ্ক শীতল বায়ুস্তর অতিক্রম করে । তখন জলবিন্দু হালকা বরফ আকারে জমে । পাতলা বরফকণার ওই পতনকে বলে ফ্রিজিং রেন পরিণত হয় । ঘাস , খড়ের চাল , গাছপালায় জমা ওই জলকে বলে শিশির ।
( 2 ) কুয়াশা ( Fog ) : দীর্ঘ শীতের রাত্রে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে দ্রুত শীতল হয়ে পড়ে । বাতাসে ভাসমান জলীয় বাষ্প তখন ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয় ও ভূমিসংলগ্ন ঠান্ডা বাতাসে ভাসতে থাকে । শীতল , শান্ত বায়ুস্তরে কুয়াশা দ্রুত সৃষ্টি হয় । সাধারণত কলকারখানাসংলগ্ন শিল্পশহরে ধুলোকণা , কার্বনকণার প্রাচুর্যে শীতের রাতে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয় ।
( 3 ) ধোঁয়াশা ( Smog ) : শীতকালে সন্ধ্যায় ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তরে ধোঁয়া ও কুয়াশার সংমিশ্রণে যে বিশেষ অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে বলে ধোঁয়াশা । শহরাঞ্চলে যানবাহনের ধোঁয়া , কলকারখানার দূষিত বাতাসে মিশে থাকা N2O , অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন প্রখর সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে ।
( 4 ) মেঘ ( Cloud ) : বাতাসে ভাসমান ছোটো ছোটো জলকণা বা তুষারকণাকে বলে মেঘ । ছোটো জলকণার ব্যাস ০.০০১–০.০৬ মিমি . হয়ে থাকে ।
পার্থক্য নিরূপণ করো | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer :
- কুয়াশা ও ধোঁয়াশার মধ্যে পার্থক্য ।
বিষয় | কুয়াশা | ধোঁয়াশা |
সংজ্ঞা | ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চলে উষ্ণতা শিশিরারাঙ্কে পৌঁছলে কুয়াশা সৃষ্টি হয় । | SO²NO, NO² এবং ভাসমান বস্তুকনার সাথে সূর্যরস্মির আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সৃষ্ট । |
ফলাফল | যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায় । | পরিবেশ দূষণ ঘটায় , আমাদের স্বাস্থের ক্ষতি করে । |
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here
Info : আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) Geography Qustion and Answer Suggestion
” আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X / WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন / মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik Geography Suggestion / Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion / Geography Class 10 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik Geography Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion / Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Suggestion / Madhyamik Geography Exam Guide / Madhyamik Geography Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik Geography Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
FILE INFO : আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link 1 | Click Here To Download |
Download Link 2 | Click Here To Download |
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ভূগোল | Madhyamik Class 10 Geography Adrata o Adakhapan
দশম শ্রেণি ভূগোল (Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan ) – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Suggestion দশম শ্রেণি ভূগোল – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল সহায়ক – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer, Suggestion | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Notes | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer Suggestion.
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) । Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion.
WBBSE Class 10th Geography Adrata o Adakhapan Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)
WBBSE Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestions | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 Geography Adrata o Adakhapan Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 10 Geography Suggestion Download WBBSE Class 10th Geography short question suggestion . Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Suggestion download Class 10th Question Paper Geography. WB Class 10 Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Ten X Geography Adrata o Adakhapan Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam
Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X Geography Suggestion is provided here. Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” আদ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Adrata o Adakhapan Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।