বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer : বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer, Suggestion, Notes – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
শ্রেণী | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10) |
বিষয় | মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) |
বিষয় | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan) |
অধ্যায় | বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায় (2nd Chapter) |
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer
MCQ | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer :
- সূর্যকিরণের যে – অংশ পৃথিবীকে উত্তপ্ত করতে পারে না তাকে বলে –
(A) অ্যালবেডা
(B) Solar Constant
(C) ইনসোলেশন
(D) Heat Budget
Ans: (A) অ্যালবেডা
- পৃথিবীর অ্যালবেডোর পরিমাণ—
(A) ৬৬ %
(B) ৩৪ %
(C) ১৯ %
(D) ৪৭ %
Ans: (B) ৩৪ %
- কার্যকারী সৌর বিকিরণের মোট পরিমাণ –
(A) ৪৭ %
(B) ৩৪ %
(C) ৬৬ %
(D) ১৯ %
Ans: (C) ৬৬ %
- কার্যকারী সৌর বিকিরণের যে অংশ সরাসরি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে তার পরিমাণ –
(A) ৪৭ %
(B) ১৫ %
(C) ৬৬ %
(D) ৩৪ %
Ans: (B) ১৫ %
- কার্যকারী সৌর বিকিরণের যে – অংশ ভূপৃষ্ঠ সরাসরি শোষণ করে তার পরিমাণ –
(A) ১৯ %
(B) ৬৬ %
(C) ৪৮ %
(D) ৩৪ %
Ans: (C) ৪৮ %
- পৃথিবীর অ্যালবেডোর যে – অংশ মেঘ দ্বারা প্রতিফলিত হয় তার পরিমাণ –
(A) ৭ %
(B) ২ %
(C) ২৫ %
(D) ৩৪ %
Ans: (C) ২৫ %
- পৃথিবীর অ্যালবেডোর যে অংশ বায়ুস্থিত ধূলিকণা দ্বারা প্রতিফলিত হয় তার পরিমাণ –
(A) ৭ %
(B) ৩৪ %
(C) ২৫ %
(D) ৩ %
Ans: (D) ৩ %
- পাশাপাশি অবস্থিত অণুগুলির সংস্পর্শের মাধ্যমে উত্তাপের অপসারণ প্রক্রিয়াকে বলে –
(A) পরিচলন
(B) বিকিরণ
(C) অ্যাডভেকশন
(D) পরিবহণ
Ans: (D) পরিবহণ
- যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো জড়মাধ্যম ছাড়াও ঠান্ডা স্থানে সঞ্চালিত হয় তাকে বলে –
(A) পরিবহণ
(B) বিকিরণ
(C) অ্যাডভেকশন
(D) পরিচলন
Ans: (C) অ্যাডভেকশন
- চন্দ্র যে পদ্ধতিতে সূর্যকিরণ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে সরাসরি ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে তাকে বলে –
(A) পরিচলন
(B) পরিবহণ
(C) বিকিরণ
(D) অ্যাডভেকশন
Ans: (C) বিকিরণ
- নীচ থেকে উপরে ও উপর থেকে নীচে বায়ু চলাচলের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল উষ্ণ হবার পদ্ধতিকে বলে –
(A) পরিবহণ
(B) পরিচলন
(C) বিকিরণ
(D) তাপশোষণ
Ans: (B) পরিচলন
- বায়ুর তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রের নাম –
(A) থার্মোমিটার
(B) হাইগ্রোমিটার
(C) ফারেনহাইট
(D) অ্যানিমোমিটার
Ans: (A) থার্মোমিটার
- ফারেনহাইট স্কেলের হিমাঙ্ক –
(A) ১২ ° F
(B) ২১২ ° F
(C) ৩২ ° F
(D) 0 ° F
Ans: (C) ৩২ ° F
- সেন্টিগ্রেড স্কেলের স্ফুটনাঙ্ক –
(A) ৩২ ° C
(B) ২১২ ° C
(C) ১০০ ° C
(D) ১২ ° C
Ans: (C) ১০০ ° C
- সমান উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে যে রেখার মাধ্যমে যুক্ত করা হয় তাকে বলে –
(A) সমপ্রেষ রেখা
(B) সমবর্ষণ রেখা ।
(C) সমোন্নতি রেখা
(D) সমষ্ণরেখা
Ans: (D) সমষ্ণরেখা
- ( ২৩ ,১/২ ° – ৬৬ ১ / ২ ° উত্তর অক্ষরেখার মধ্যবর্তী স্থান যে তাপবলয়ের অন্তর্গত তাকে বলে –
(A) উত্তর নাতিশীতোয়মণ্ডল
(B) দক্ষিণ নাতিশীতোয়মণ্ডল
(C) উত্তর হিমমণ্ডল
(D) উষ্ণমণ্ডল
Ans: (A) উত্তর নাতিশীতোয়মণ্ডল
- ৪৫ ° – ৬৬ ১ / ২ ° পর্যন্ত অঞ্চল—
(A) শীতল নাতিশীতোয়মণ্ডল
(B) উষ্ণ নাতিশীতোয়মণ্ডল
(C) উষ্ণমণ্ডল
(D) উত্তর হিমণ্ডলের অন্তর্গত
Ans: (A) শীতল নাতিশীতোয়মণ্ডল
- কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ উষ্ণতায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের মোট পরিমাণকে বলে –
(A) আপেক্ষিক
(B) বিশেষ আর্দ্রতা
(C) সাপেক্ষ
(D) নিরপেক্ষ
Ans: (D) নিরপেক্ষ
- প্রতি ৩০০ ফুট উচ্চতায় উষ্ণতা হ্রাস পায়—
(A) ১ ° F হারে
(B) ২ ° F হারে
(C) ৩ ° F হারে
(D) ৬.৪ ° F হারে
Ans: (C) ৩ ° F হারে
- নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ জলরাশি তার সমপরিমাণ স্থলভাগ অপেক্ষা বেশি তাপ গ্রহণ করে ।
(A) 1/4 গুণ
(B) 1/3 গুণ
(C) ½ গুন
(D) 1 গুন
Ans: (A) 1/4 গুণ
- দক্ষিণ গোলার্ধের উষ্ণতম মাস হল –
(A) জুলাই
(B) সেপ্টেম্বর
(C) জানুয়ারি
(D) নভেম্বর
Ans: (C) জানুয়ারি
- উত্তর গোলার্ধের শীতলতম মাস হল
(A) মার্চ
(B) জানুয়ারি
(C) জুলাই
(D) ডিসেম্বর
Ans: (C) জুলাই
- বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে যে গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় সেটি হল –
(A) CO²
(B) CFC
(C) NH³
(D) NO²
Ans: (A) CO²
- উত্তর গোলার্ধের উষ্ণতম মাস –
(A) ডিসেম্বর
(B) মার্চ
(C) জুলাই
(D) জানুয়ারি
Ans: (C) জুলাই
- এল নিনোর সর্বাধিক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় –
(A) প্রশান্ত মহাসাগরে
(B) ভারত মহাসাগরে
(C) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে
(D) দক্ষিণ কুমেরু মহাসাগরে
Ans: (A) প্রশান্ত মহাসাগরে
- কোন্টি এল নিনো অবস্থায় দেখা যায় ?
(A) প্রশান্ত মহাসাগরের
(B) প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে প্রবল বৃষ্টি
(C) প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে খরা
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (B) প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে প্রবল বৃষ্টি
- অন্যতম গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের প্রধান উৎস হল –
(A) কয়লা
(B) রেফ্রিজারেটর
(C) খনিজ তেল
(D) ধানজমি
Ans: (D) ধানজমি
- ভারতের কোন্ শহরটিতে বার্ষিক উষ্ণতার প্রসার বেশি ?
(A) দিল্লি
(B) মুম্বাই
(C) কোচিন
(D) চেন্নাই
Ans: (A) দিল্লি
- কোন্ পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডল সর্বাধিক উত্তপ্ত হয় ।
(A) পরিচলন
(B) অ্যাডভেকশন
(C) পরিবহণ
(D) বিকিরণ
Ans: (D) বিকিরণ
- নিম্নলিখিত কোন্ মৃত্তিকায় তাপবিকিরণ সর্বাধিক ?
(A) পলি
(B) রেগুর
(C) পডজল
(D) বালি
Ans: (D) বালি
- সূর্যের বহিঃপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রায় –
(A) ৬০০ ° C
(B) ৬oooºC
(C) ৬০,০০০০ ° C
(D) ৬০,০০০ ° C
Ans: (B) ৬oooºC
- নিষ্ক্রিয় সৌরতাপ বলতে কাকে বোঝায় ?
(A) কার্যকারী সৌরবিকিরণ
(B) নিটবিকিরণ
(C) পার্থিব বিকিরণ
(D) পৃথিবীর অ্যালবেডো
Ans: (D) পৃথিবীর অ্যালবেডো
- পার্থিব বিকিরণের পরিমাণ কত ?
(A) ৩৪ %
(B) ৪৮ %
(C) ৬৬ %
(D) ৭৮ %
Ans: (B) ৪৮ %
- নিম্নলিখিত কোন্ অক্ষাংশে গড় তাপমাত্রা বেশি হবে ?
(A) ১০ ° উত্তর
(B) ২০ ° দক্ষিণ
(C) ৮০ ° উত্তর
(D) ৬০ ° দক্ষিণ
Ans: (A) ১০ ° উত্তর
- পশ্চিমবঙ্গের কোন্খানটিতে বার্ষিক গড় উষ্ণতা কম হবে ?
(A) কলকাতা
(B) শিলিগুড়ি
(C) কৃষ্ণনগর
(D) দার্জিলিং
Ans: (D) দার্জিলিং
- কোন অক্ষরেখায় সারাবছর গড় লম্বসূর্যরশ্মি সর্বাধিক –
(A) 0 °
(B) 23 1/2°
(C) ৯০ উত্তর
(D) ৬৬1/2°
Ans: (A) 0 °
- পৃথিবীর চিরবসন্তের শহর কাকে বলা হয় –
(A) লন্ডন
(B) প্যারিস
(C) কুইটো
(D) সিডনি
Ans: (C) কুইটো
- কোন্ অঞ্চলে বার্ষিক গড় উষ্ণতার প্রসর সবচেয়ে কম –
(A) উপকূল অঞ্চল
(B) পার্বত্য অঞ্চল
(C) মরুভূমি অঞ্চল
(D) মালভূমি অঞ্চল
Ans: (A) উপকূল অঞ্চল
- ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা হ্রাসের হার হল –
(A) ২.৪ ° C / কিমি
(B) ৪.৬ ° C / কিমি
(C) / ৬.৪ ° C / কিমি
(D) ৮.৬ ° C / কিমি
Ans: (C) / ৬.৪ ° C / কিমি
- নিম্নলিখিত কোন্ মাটির তাপবিকিরণ ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি—
(A) রেগুর মাটি
(B) ল্যাটেরাইট মাটি
(C) পলি মাটি
(D) পডজল মাটি
Ans:
- উপকূল সমভাবাপন্ন হওয়ার কারণ –
(A) লম্ব সূর্যরশ্মি
(B) তির্যক সূর্যরশ্মি
(C) সারাবছর বৃষ্টি পড়ল
(D) সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর প্রভাব
Ans: (D) সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর প্রভাব
- কোন্ বায়ু বসন্তকালে উত্তর আমেরিকার প্রেইরি অঞ্চলের উষ্ণতাকে হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় –
(A) চিনুক
(B) রিজার্ড
(C) ফন
(D) সান্টাআনা
Ans: (A) চিনুক
- কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস – এর অন্তর্গত নয় –
(A) অক্সিজেন
(B) কার্বন ডাইঅক্সাইড
(C) নাইট্রাস অক্সাইড
(D) মিথেন
Ans: (A) অক্সিজেন
- সর্বনিম্ন উষ্ণতা রেকর্ড হয় কোন্ সময়ে ?
(A) সকাল ১০ টায়
(B) দুপুরবেলা
(C) সন্ধ্যাবেলা
(D) ভোরবেলা
Ans: (D) ভোরবেলা
- কোন্খানে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় ?
(A) দৈনিক গড় উষ্ণতা
(B) দৈনিক উষ্ণতার প্রসর
(C) সর্বনিম্ন উষ্ণতা
(D) সর্বোচ্চ উষ্ণতা
Ans: (D) সর্বোচ্চ উষ্ণতা
- প্রশান্ত মহাসাগরের জলবায়ুগত কোন অবস্থায় ভারতে খরা দেখা দেয় –
(A) লা – নাদা
(B) লা – নিনা
(C) এল নিনো
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (C) এল নিনো
- বিকিরণ পদ্ধতি সর্বাধিক কার্যকর হয় কোন সময়ে ?
(A) সকাল ১০ টায়
(B) দুপুর ২ টোয়
(C) বিকাল ৪ টায়
(D) রাত্রি ৮ টায়
Ans: (D) রাত্রি ৮ টায়
- কোনটি সমোষ্ণরেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় ?
(A) সমোষ্ণরেখার মান নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে কমে
(B) সমোষ্ণরেখার প্রায় অক্ষরেখার সমান্তরালে থাকে
(C) সমোষ্ণরেখা সমুদ্রে একে অপরের প্রায় সমান্তরাল
(D) স্থলভাগে সমোষ্ণরেখা একে অপরকে ছেদ করে ।
Ans: (D) স্থলভাগে সমোষ্ণরেখা একে অপরকে ছেদ করে ।
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion Click here ]
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer :
- কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে বায়ুমণ্ডলের অবস্থাকে কী বলে ?
Ans: আবহাওয়া ।
- কোনো অঞ্চলের ৩০-৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড়কে কী বলে ?
Ans: জলবায়ু ।
- দিনের কোন সময়ে তাপমাত্রা সবথেকে বেশি হয় ?
Ans: দুপুর ২ টোর সময় ।
- ফারেনহাইট স্কেলের স্ফুটনাঙ্ক কত ?
Ans: ২১২ ° F
- কোন্ থার্মোমিটারের সাহায্যে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা পরিমাপ করা হয় ?
Ans: সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটার ।
- উষ্ণতা মাসের মোট দিনের সংখ্যা কোন্ তাপমণ্ডলে শীতঋতু বেশি পরিলক্ষিত হয় না ?
Ans: উষ্ণমণ্ডলে ।
- কোন্ তাপমণ্ডলে উষ্ণতা সারাবছরই ০ ° C- এর কম থাকে ?
Ans: হিমমণ্ডলের ।
- গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়াকে কী বলে ?
Ans: বিশ্ব উষ্ণায়ন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং ।
- যে – কোনো দুটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো ।
Ans: কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ।
- কোন্ তাপমণ্ডলে সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান ।
Ans: উষ্ণমণ্ডল ।
- বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার প্রধান পদ্ধতিগুলি কী কী ?
Ans: বিকিরণ , পরিচলন এবং পরিবহণ পদ্ধতি ।
- কোনো স্থানের দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উদ্ধৃতার পার্থক্যারে কী বলে ?
Ans: দৈনিক উষ্ণতার প্রসর ।
- মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ?
Ans: শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার বিরাট ব্যবধান ।
- নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে প্রতি ১ ° অক্ষাংশের তফাতে উত্তাপ কত ডিগ্রি হারে কমতে থাকে ?
Ans: ০.২৮ ° C ।
- সূর্যরশ্মির পতনকোণের পার্থক্যে তাপের কী তফাৎ ঘটে ।
Ans: লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিশ্ম চেয়ে বেশি উষ্ণ হয় ।
- এল নিনো শব্দের অর্থ কী ?
Ans: স্প্যানিশ শব্দ এল নিনোর অর্থ Christ Child বা বাংলায় শিশু খ্রিস্ট ।
- সর্বাধিক এল নিনো প্রভাবিত অঞ্চল কোনটি ?
Ans: ক্রান্তীয়মণ্ডলে প্রশান্ত মহাসাগরের উভয় দিক ।
- অধঃক্ষেপণের সাথে বায়ুর উষ্ণতার সম্পর্ক নির্ণয় করো ।
Ans: অধঃক্ষেপণ বেশি হলে উষ্ণতা কমে এবং অধঃক্ষেপণ কমলে উষ্ণতা বাড়ে ।
- সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানের জলবায়ু কী প্রকৃতির হয় ।
Ans: চরমভাবাপন্ন ।
- পার্থিব বিকিরণের পরিমাণ কত ?
Ans: ৪৮ % ।
- সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটারের উদ্ভাবন কে করেন ?
Ans: James Six .
- পৃথিবীর অক্ষ মেরুরেখার সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে আছে ?
Ans: ২৩ / ২ ° ।
- চিরবসন্তের শহর কাকে বলা হয় ?
Ans: ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো ।
- মানচিত্রে কোন্ রেখার সাহায্যে উষ্ণতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ?
Ans: সমোয়রেখা ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer :
- ইনসোলেশন ( Insolation ) কাকে বলে ?
Ans: সৌরশক্তির প্রায় ২০০ কোটি ভাগের মাত্র এক ভাগ ক্ষুদ্র তরঙ্গ হিসেবে প্রতি সেকেন্ডে ২,৯৭,০০০ কিমি বেগে পৃথিবীতে আসে , একে ইনসোলেশন বা সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলে ।
- নিট বিকিরণ কাকে বলে ?
Ans: সূর্য থেকে আগত সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ এবং পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল থেকে বহির্গামী সকল তরঙ্গের বিকিরণের যে পার্থক্য তা হল নিট বিকিরণ । দিনের বেলা নিট বিকিরণ উদ্বৃত্ত বলে গরম বেশি এবং রাত্রে নিট বিকিরণে ঘাটতি দেখা যায় বলে তাপ কম ।
- পার্থিব বিকিরণ ( Terrestrial Radiation ) কাকে বলে ?
Ans: পুনঃবিকিরিত শক্তি যা দীর্ঘতর তরঙ্গরূপে ভূপৃষ্ঠ থেকে রাত্রে ফিরে যায় ( ৪৮ % ) তাকে পার্থিব বিকিরণ বলে । পার্থিব বিকিরণের ( ৪৮ % ) মধ্যে ৬ % যায় সরাসরি মহাশূন্যে এবং বাকি ৪২ % যায় বায়ুমণ্ডলে ।
- অ্যালবেডো ( Albedo ) কী ?
Ans: আগত সৌররশ্মির প্রায় ৩৪ % মেঘপুঞ্জ , ধূলিকণা , দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায় । এই রশ্মি পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে না , একে অ্যালবেডো বলে ।
- কার্যকারী সৌর বিকিরণ ( Effective Solar Radiation ) কী ?
Ans: পৃথিবীতে আগত সৌররশ্মির যে অংশ ভূমিপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে , তাকে বলে কার্যকারী সৌর বিকিরণ । এর শতকরা পরিমাণ ৬৬ % ।
- বিকিরণ ( Radiation ) কাকে বলে ?
Ans: সূর্য থেকে আগত শক্তি পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে এবং উত্তপ্ত পৃথিবী থেকে তাপ বৃহৎ তরঙ্গরূপে বেরিয়ে যায় । এই বৃহৎ তরঙ্গের তাপ বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণা শোষণ করে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে । এই পদ্ধতি হল বিকিরণ ।
- পরিচলন পদ্ধতি ( Convection ) কাকে বলে ?
Ans: উষ্ণতার প্রভাবে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ু উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং অপেক্ষাকৃত শীতল ও ভারী বায়ু নীচের দিকে নামতে থাকে । পরবর্তীকালে সেগুলিও উত্তপ্ত হয়ে উপরে উঠতে থাকে । এইভাবে বায়ুর উল্লম্ব সঞ্চালন এবং তার প্রভাবে বায়ুর উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি হল পরিচলন ।
- পরিবহণ পদ্ধতি ( Conduction ) কাকে বলে ?
Ans: যে পদ্ধতিতে দুটি বস্তু পরস্পর সংলগ্ন অবস্থায় থাকলে উষ্ণ বস্তু থেকে শীতল বস্তুতে তাপ সঞ্চালিত হয় , তাকে পরিবহণ পদ্ধতি বলে ।
- ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উষ্ণতা ( Sensible temperature ) কাকে বলে ?
Ans: যে উষ্ণতা ও শীতলতা মানবশরীরের ত্বক অনুভব করতে পারে তাকে বলে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উষ্ণতা ।
- সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটার কোন কাজে ব্যবহৃত হয় ?
Ans: সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ট থার্মোমিটার এর সাহায্যে দিনের ( ২৪ ঘণ্টা ) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা নথিভুক্ত করা হয় । James Six , 1782 খ্রিস্টাব্দে এই যন্ত্রটির উদ্ভাবন ঘটান ।
- বায়ুর উষ্ণতা কোন কোন এককে মাপা হয় ?
Ans: বায়ুর উষ্ণতা ( i ) সেলসিয়াস স্কেল ( ° C ) , ( ii ) ফারেনহাইট স্কেল ( ° F ) ও ( iii ) রোপার স্কেল ( ° R ) – এ পরিমাপ করা হয় ।
- বার্ষিক গড় উষ্ণতা ( Annual Mean Temperature ) কাকে বলে ?
Ans: কোনো নির্দিষ্ট স্থানের প্রতি মাসের গড় উষ্ণতা যোগ করে ১২ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় বার্ষিক গড় উষ্ণতা ।
- লীনতাপ ( Latent Heat ) কী ?
Ans: কোনো বস্তু বা পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের সময় ওই বস্তু বা পদার্থ যে তাপ গ্রহণ বা বর্জন করে তাকে বলে লীনতাপ ( Latent Heat ) ।
- বৈপরীত্য উষ্ণতা ( Inversion of temperature ) বলতে কী বোঝ ?
Ans: সাধারণ নিয়ম অনুসারে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা ৬.৪ ° সে . হারে হ্রাস পায় । কিন্তু কখনো – কখনো উচ্চতার বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হ্রাস না – পেয়ে বরং বেড়ে যায় । একেই বায়ুমণ্ডলের বৈপরীত্য উত্তাপ বলে ।
- উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার কাকে বলে ?
Ans: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৬.৪ ° সে . হারে উষ্ণতা কমে , একে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার বলে ।
- সমুদ্র অপেক্ষা স্থলভাগে উষ্ণতার তারতম্য বেশি কেন ?
Ans: প্রাকৃতিক নিয়মে স্থলভাগ ( মহাদেশ ) জলভাগ ( সমুদ্র ) অপেক্ষা দ্রুতহারে উষ্ণ হয় এবং দ্রুতহারে শীতল হয় । আবার , স্থলভাগ গঠনকারী উপাদানের বৈষম্য খুব বেশি থাকায় উষ্ণ ও শীতল হওয়ার হারে খুব বেশি পার্থক্য লক্ষ করা যায় । কিন্তু জলভাগ বা সমুদ্র তরল পদার্থ ( জল ) দিয়ে গঠিত হওয়ায় এই পার্থক্য লক্ষণীয় নয় ।
- পৃথিবীর তিনটি তাপমণ্ডলের নাম লেখো ।
Ans: পৃথিবীর তিনটি তাপমণ্ডলের নাম হল – ( i ) উষ্ণুমণ্ডল , ( ii ) নাতিশীতোয়মণ্ডল ও ( iii ) হিমমণ্ডল ।
- সমো রেখা ( Isotherm ) কী ?
Ans: ভূপৃষ্ঠের সম উষ্ণতা বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দিয়ে যুক্ত করা হয় , তাকে সমোয় রেখা বলা হয় ।
- সমোয় রেখার গুরুত্ব কী ?
Ans: সমোয় রেখার মানচিত্রের সাহায্যে ( i ) ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের উষ্ণতার বণ্টন সম্বন্ধে ধারণা করা যায় । ( ii ) উষ্ণতা কোন্দিকে বাড়ছে বা কমছে এবং তার পরিবর্তনের হার সম্পর্কে জানা যায় ।
- তাপবিষুব রেখা কী ?
Ans: কোনো নির্দিষ্ট দিনে প্রতিটি দ্রাঘিমার সর্বোচ্চ উষ্ণতাকে রেখা দিয়ে যোগ করে প্রাপ্ত রেখা হল তাপবিষুব রেখা । এই রেখা নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থান করলেও সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সাথে সাথে স্থান পরিবর্তন করে ।
- গ্রিনহাউস প্রভাব ( Green house effect ) কী ?
Ans: যে পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সূর্যালোক পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট দীর্ঘ তরঙ্গ রশ্মি বায়ুমণ্ডলের কিছু গ্যাস দ্বারা শোষিত হয় এবং পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে তা হল । গ্রিনহাউস প্রভাব ।
- প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নাম লেখো ।
Ans: প্রধান প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি হল- ( i ) কার্বন ডাইঅক্সাইড ( CO2 ) , ( ii ) মিথেন ( CH4 ) , ( iii ) ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( CFC ) , ( iv ) নাইট্রাস অক্সাইড ( N2O ) এবং ( v ) জলীয় বাষ্প ।
- বিশ্ব উষ্ণায়ন ( Global warming ) কাকে বলে ?
Ans: গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে । ফলে জলবায়ুরও পরিবর্তন হচ্ছে । এই বিশেষ উষ্ণকরণের প্রক্রিয়াকে বলে বিশ্ব উষ্ণায়ন ।
- বৈপরীত্য উত্তাপ কোথায় কোথায় দেখা যায় ?
Ans: বৈপরীত্য উত্তাপ দেখা যায় পার্বত্য উপত্যকায় , বরফাবৃত মেরু ভূপৃষ্ঠে , দীর্ঘ শীতকালীন রাতে , শান্ত ও শুষ্ক বায়ুস্তরে এবং মেঘমুক্ত আকাশে ।
- পৃথিবীর সর্বনিম্ন ও সর্বাধিক উষ্ণতাবিশিষ্ট স্থান দুটির নাম লেখো ।
Ans: পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান হল লিবিয়ার আল আজিজিয়া ( ৫৮ ° সে . ) এবং শীতলতম স্থান হল অ্যান্টার্কটিকার ভস্টক ( −৮৮ ° সে . ) ।
- উত্তর গোলার্ধে শীতকালে স্থলভাগে সমোয় রেখাগুলি দক্ষিণে বেঁকে যায় কেন ?
Ans: শীতকালে উত্তর গোলার্ধে সমুদ্র অপেক্ষা স্থলভাগ অধিক শীতল থাকে বলে সমোয় রেখাগুলি শীতকালে সমুদ্র অপেক্ষা মহাদেশে কিছুটা দক্ষিণে বেঁকে অবস্থান করে ।
- উষ্ণতার প্রসর কাকে বলে ?
Ans: কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতার পার্থক্যকে উষ্ণতার প্রসর বলে ।
- কোনো স্থানে সর্বাধিক সূর্যালোক দুপুর ১২ টায় পেলেও বায়ুমণ্ডল দুপুর ২ টোয় সর্বাধিক উত্তপ্ত হয় কেন ?
Ans: যেসকল পদ্ধতির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় , তার মধ্যে বিকিরণ হল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ । কোনো স্থানে আগত সূর্যরশ্মি দুপুর ১২ টায় সর্বাধিক হারে পতিত হলেও বিকিরণের হার সর্বাধিক হয় দুপুর ২ টোয় । তাই বায়ুমণ্ডলও সর্বাধিক উত্তপ্ত হয় দুপুর ২ টোয় ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer :
- তাপ বাজেট ( Heat Budget ) কাকে বলে ?
Ans: যে পরিমাণ আগত সৌরবিকিরণ ক্ষুদ্রতরঙ্গ রূপে পৃথিবী পৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলে পৌঁছায় , তা দীর্ঘতরঙ্গ রূপে পুনঃবিকিরিত হয়ে আবার মহাশূন্যে ( space ) ফিরে যায় । এর ফলে পৃথিবীতে উষ্ণতার ভারসাম্য দেখা যায় । একেই পৃথিবীর উষ্ণতার সমতা বা তাপ বাজেট বলে । সূর্য থেকে আগত মোট শক্তিকে ( ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ ) যদি আমরা ১০০ % ধরি তাহলে দেখা যায় ৬৬ % ( ১৫ % বায়ুমণ্ডল , ৩ % মেঘ এবং ৪৮ % ভূপৃষ্ঠ দ্বারা শোষিত হয় ) বিভিন্ন পদ্ধতিতে বায়ুমন্ডলে উতপ্ত করে । এটি কার্যকর সৌরবিকিরণ । এর দ্বারা পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল উতপ্ত হয় । আগত ১০০ % সৌরশক্তির বাকি ৩৪ % বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা ( মেঘ দ্বারা ২৫ % , মহাকাশে বিচ্ছুরিত হয়ে ৬ % , ভূপৃষ্ঠ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে ৩ % ) , প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যায় । ইহা বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না বলে , এটি হল নিষ্ক্রিয় সৌরতাপ । একে বলে পৃথিবীর অ্যালবেডো ( Albedo ) । এইভাবেই তাপ বাজেটের হিসাবনিকাশ করা হয়ে থাকে ।
- কার্যকর সৌর বিকিরণ ও অ্যালবেডো বলতে কী বোঝ ?
Ans: কার্যকর সৌর বিকিরণ : সূর্য থেকে আগত মোট শক্তিকে ( ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ ) যদি আমরা ১০০ শতাংশ ধরি তবে দেখা যাবে এর ৬৬ শতাংশ [ ১৫ % বায়ুমণ্ডল , ৩ % মেঘ , ৪৮ % ভূপৃষ্ঠের দ্বারা শোভিত হয় । বিভিন্ন পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে । একেই কার্যকর সৌর বিকিরণ বলে ।
অ্যালবেডো : আগত সৌরশক্তির বাকি ৩৪ ভাগ বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা ( মেঘের দ্বারা ২৫ % , মহাকাশে বিচ্ছুরিত হয়ে ৬ % , ভূপৃষ্ঠ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে ৩ % ) প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যায় । ইহা বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না । একেই পৃথিবীর অ্যালবেডো ( Albedo ) বলে ।
- কার্যকর সেরোবি অক্ষাংশ অনুসারে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে ?
Ans: পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মতো ; ফলে সূর্যরশ্মি পৃথিবীর মাঝবরাবর ( নিরক্ষীয় অঞ্চলে ) লম্বভাবে পতিত হয় । অক্ষাংশ যত বাড়ে সূর্যরশ্মির পতনকোণের তির্যকতা বাড়ে । লম্বভাবে পতিত রশ্মির সূর্যতাপের পরিমাণ বেশি , তার বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার পরিমাণ বাড়ে । অপরপক্ষে ক্রান্তীয় অঞ্চলে বছরে দু – দিন সূর্যরশ্মি পুরোপুরি লম্বভাবে পড়ে ফলে উষ্ণতা তুলনামূলক কম হয় । ক্রান্তীয় অঞ্চল সূর্যের লম্বরশ্মি পতনের শেষ সীমা ; এরপর কোথাও লম্বভাবে পড়ে না তির্যকভাবে পতিত হয় সুতরাং গরমের পরিমাণ কমতে থাকে ।
- দৈনিক উষ্ণতার প্রসর ( Durinal Range of Temperature ) কাকে বলে ?
Ans: কোনো স্থানের দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতার পার্থক্য হল – দৈনিক উষ্ণতার প্রসর । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে , জুন মাসের কোনো ১ দিনের তাপমাত্রা ধরা হল , সর্বোচ্চ ৩৭ ° সে . এবং সর্বনিম্ন হল ২৯ ° সে .। এইক্ষেত্রে , তাপমাত্রার দৈনিক প্রসর হল ৩৭ ° সে -২৯ ° সে = ৮ ° সে .।
- উচ্চস্থান শীতল হয় কেন ?
অথবা , উচ্চতা বাড়লে উষ্ণতা কমে যায় কেন ?
অথবা , টুপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পায় কেন ?
Ans: উচ্চস্থান শীতল হয় কারণ- ( i ) উচ্চতা যত বাড়ে বিকিরণ পদ্ধতির প্রভাব তত কমে । ( ii ) উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধুলিকণার জলীয় বাষ্প ও অন্যান্য উপাদান কমতে থাকে বলে তাপশোষণ ও সংরক্ষণ কম । ( iii ) ঊর্ধ্বাকাশে বায়ুর চাপ কম বলে বায়ু হালকা ও পাতলা হয় , যা দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল হয় ।
- কী কী কারণে বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার বৈপরীত্য ঘটে ?
Ans: বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার বৈপরীত্যর কারণ হল ( i ) নাতিশীতোয় অঞ্চলের পার্বত্য উপত্যকায় উচ্চ অংশের শীতল ও ভারী বায়ু ঢাল বেয়ে নেমে আসে ( ক্যাটাবেটিক বায়ু ) এবং উপত্যকার নিম্নাংশের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ বায়ু উপরে ওঠে । এই অবস্থায় উপত্যকার নিম্নাংশে উষ্ণতা কমে যায় এবং উপরের দিকে উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে । ( ii ) অধিক উচ্চতায় ঘন ও শুষ্ক বায়ুর অবনমন ঘটলে উষ্ণতা বেড়ে গিয়ে উষ্ণতার বৈপরীত্য ঘটায় । ( iii ) শীতকালে মহাদেশের কোনো কোনো স্থান অতিদ্রুত হারে তাপ বিকিরণে শীতল হয় । ফলে ওই অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চলও শীতল হয় । কিন্তু উপরের বায়ু অত দ্রুত শীতল হয় না বলে উপরে উষ্ণতা কিছুটা বেশি থাকে । এই প্রক্রিয়া রাতের বেলা হয় কিন্তু সাময়িক । ( iv ) পরস্পর বিপরীত দিক থেকে আগত উষ্ণ ও শীতল বায়ুর সম্মিলনে শীতল বায়ুর ঢাল বরাবর উষ্ণবায়ু উঠে পড়লে সীমান্ত বরাবর বৈপরীত্য উষ্ণতা ঘটে ।
- বৈপরীত্য উষ্ণতার প্রভাবে কী কী বায়ুমণ্ডলীয় আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে ?
Ans: বৈপরীত্য উষ্ণতার প্রভাবে সাধারণত ( i ) পার্বত্য উপত্যকায় শান্ত আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যায় , ( ii ) ভোরবেলায় বৈপরীত্য উত্তাপের জন্য উপত্যকাগুলি মেঘে ঢেকে যায় । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা বাড়লে উপত্যকাগুলি মেঘমুক্ত হয় । ( iii ) শীতল বায়ুর উপর উষ্ণ বায়ু উঠলে কুয়াশা সৃষ্টি হয় এবং সীমান্ত অঞ্চলে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয় । এর ফলে মধ্য অক্ষাংশে তুহিন । সৃষ্টি হয় । ( iv ) নাতিশীতোয় অঞ্চলে উপত্যকার মধ্যভাগে চাষবাস হয় , জনবসতি গড়ে ওঠে ।
- শিলিগুড়ি অপেক্ষা দার্জিলিং বা দিল্লি অপেক্ষা সিমলা শীতল হয় কেন ?
Ans: আমরা জানি উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা ৬.৪ ° সে . / কিমি হারে হ্রাস পায় । শিলিগুড়ি প্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত হলেও দার্জিলিং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত । আবার দিল্লি সমুদ্রপৃষ্ঠের নিকটে অবস্থিত হলেও সিমলা অনেক উঁচুতে অবস্থিত । অধিক উচ্চতায় অবস্থানের কারণে শিলিগুড়ি অপেক্ষা দার্জিলিং এবং দিল্লি অপেক্ষা সিমলায় সারাবছর উষ্ণতা কম থাকে ।
- পুরী বা মুম্বাই অপেক্ষা দিল্লির জলবায়ু চরম হয় কেন ?
Ans: মুম্বাই , পুরী প্রভৃতি স্থান সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত । উপকূল বরাবর ২৪ ঘণ্টায় বায়ুপ্রবাহের কারণে ( দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলবাগের দিকে সমুদ্রবায়ু এবং রাতের বেলায় স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে স্থলবায়ু ) উষ্ণতা সারাবছর সমভাবাপন্ন থাকে , অর্থাৎ বার্ষিক উষ্ণতার প্রসার খুব বেশি হয় না । পক্ষান্তরে দিল্লি সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থানের কারণে সমুদ্রবায়ুর প্রভাব এখানে থাকে না বললেই চলে । তাই উষ্ণতায় এখানে চরমভাব লক্ষ করা যায় । অর্থাৎ উষ্ণতার প্রসার এখানে খুব বেশি হয় । তাই পুরী ও মুম্বাই অপেক্ষা দিল্লির জলবায়ু চরম প্রকৃতির ।
- উচ্চতা বাড়লে বায়ুর উষ্ণতা হ্রাস পায় ।’— কেন ব্যাখ্যা করো ।
Ans: বায়ুমণ্ডলীয় নিম্নস্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা ক্রমবর্ধমান হারে কমতে থাকে ; হিসাব অনুসারে প্রতি ১০০০ মিটারে ৬.৪ ° সেলসিয়াস হারে কমে । কারণ—
( ক ) সূর্যরশ্মি প্রথমে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছোয় , ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত করে , ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপগ্রহণ করে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় ।
( খ ) ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর ঘন , যত ওপরে যাওয়া যায় বায়ুস্তর হালকা হয় ; ঘন বায়ুর উত্তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি ।
( গ ) ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী স্থানের বায়ুর চাপ বেশি ; ওপরের পাতলা হালকা বায়ুস্তর তাপের বিক্রিরণ করে শীতল হয় ।
( ঘ ) উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্যাসীয় উপাদান , ধূলিকণা , জলকণার পরিমাণ কমতে থাকে , ফলে ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ এবং সূর্য থেকে আসা তাপ শোষণ কম হয় ।
- মহাদেশের অভ্যন্তরে জলবায়ু চরম কেন ?
Ans: সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত মহাদেশের ভিতরে সমুদ্র বায়ু ও স্থল বায়ুর প্রভাব ততটা পড়ে না বলে চরমভাবাপন্ন । সহায়িকা , জলবায়ু দেখা যায় , অর্থাৎ এখানে ঠান্ডা ও গরম উভয়ই খুব বেশি হয় । এই ধরনের জলবায়ুকে মহাদেশীয় জলবায়ু বলে । শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার বিরাট ব্যবধান হল মহাদেশীয় জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
উদাহরণ : মধ্য এশিয়া , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যভাগ মহাদেশীয় জলবায়ুর অন্তর্গত ।
- শীতকালে মেঘাচ্ছন্ন অপেক্ষা মেঘমুক্ত রাত্রি অধিক শীতল হয় কেন ?
Ans: মেঘের আবরণ দিনের বেলা সূর্যরশ্মিকে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোতে বাধা দেয় এবং রাত্রিবেলা ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপকে পৃথিবীর আবহমণ্ডলের বাইরে পৌঁছোতে দেয় না । এজন্য মেঘাচ্ছন্ন রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ যে তাপ বিকিরণ করে তা মেঘের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং খুব বেশি উপরে না উঠতে পেরে গ্রিনহাউস এফেক্ট প্রক্রিয়ায় তা বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরকে উত্তপ্ত করে । এর ফলে মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি উষু হয় । অন্যদিকে , মেঘমুক্ত রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপ পৃথিবীর আবহমণ্ডলের বাইরে চলে যেতে পারে , তাই মেঘমুক্ত রাত্রি মেঘাচ্ছন্ন রাতের তুলনায় শীতল হয় ।
- শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং – এর তাপমাত্রা কম কেন ?
Ans: স্বাভাবিক অবস্থায় উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাস পায় । বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাসের হার হল প্রতি ১ কিলোমিটারে ৬.৪ ° সেলসিয়াস । শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের দূরত্ব বেশি নয় , কিন্তু যেহেতু দার্জিলিং – এর উচ্চতা শিলিগুড়ির তুলনায় অনেক বেশি সেই হেতু দার্জিলিং – এর তাপমাত্রা সবসময়েই শিলিগুড়ির তাপমাত্রার তুলনায় অনেক কম হয় ।
- লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় কেন ?
Ans: ( ক ) তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় অনেক বেশি পথ অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোয় এবং বেশি স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে , ফলে তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় ।
( খ ) লম্বভাবে পতিত রশ্মি অক্ষোকৃত কম পথ অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোয় এবং অপেক্ষাকৃত কম স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ বেশি হয় ।
- দিনের বিভিন্ন সময়ে ভূপৃষ্ঠে তাপের তারতম্য হয় কেন ?
Ans: সকালে এবং বিকালে কোনো স্থান থেকে সূর্য অনেক দূরে থাকে বলে— ( ১ ) সূর্যরশ্মি সকাল ও বিকালবেলা ভূপৃষ্ঠের সেই স্থানে তুলনামূলকভাবে বেশি তির্যকভাবে পড়ে । ( ২ ) সূর্যরশ্মি বেশি বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং ( ৩ ) বেশি স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে । এজন্য সকাল এবং বিকালে আমরা সূর্য থেকে কম তাপ পাই । অন্যদিকে , ( ১ ) দুপুরে সূর্যরশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানে লম্বভাবে পড়ে , ( ২ ) অল্প বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং ( ৩ ) অল্প স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বলে দুপুরবেলা আমরা তুলনামূলকভাবে বেশি উত্তাপ পাই । দুপুরে তুলনামূলকভাবে বেশি তাপ পাওয়ার আরও একটি প্রধান কারণ হল যে , বেলা ২ টো পর্যন্ত ভূপৃষ্ঠের তাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে , কিন্তু এই সময়ের পর থেকে ভূপৃষ্ঠ যে পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে সেই পরিমাণ তাপই বিকিরণ করে বলে সঞ্চিত তাপ আর বাড়ে না । এজন্য কোনো স্থানে বেলা ২ টোয় দিনের মধ্যে সর্বাধিক তাপ অনুভূত হয় ।
- দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে বাতাস বয় । – কেন ?
Ans: সাধারণত দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে সমুদ্রবায়ু বলে । সমুদ্রবায়ুর প্রবাহের কারণ : ( ১ ) সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে দিনের বেলায় স্থলভাগ জলভাগের তুলনায় বেশি গরম হয়ে পড়ে । গরম স্থলভাগের সংস্পর্শে এসে স্থলভাগসংলগ্ন বায়ু ও গরম এবং হালকা হয়ে উপরে উঠে যেতে থাকে , ফলে সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । স্থলভাগের তুলনায় সমুদ্রের জলভাগ অপেক্ষাকৃত কম উত্তপ্ত হওয়ায় সেখানে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় । স্থলভাগ ও জলভাগের বায়ুচাপের তারতম্যের ফলে সমুদ্রসংলগ্ন ঠান্ডা ও উচ্চচাপের বায়ু তখন উপকূলের উত্তপ্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়ে আসতে থাকে । সমুদ্র থেকে প্রবাহিত হওয়ায় এই বায়ুকে সমুদ্রবায়ু বলে ।
( ২ ) সমুদ্রবায়ু সাধারণত দিনের বেলায় প্রবাহিত হলেও দুপুরবেলায় সর্বাধিক বেগে প্রবাহিত হয় ।
- সমোয়রেখাগুলি সমুদ্রে পরস্পর সমান্তরাল কিন্তু মহাদেশে এঁকেবেঁকে অবস্থান করে । কারণ ব্যাখ্যা করো ।
Ans: সমুদ্রভাগ সমাকৃতি ( Honogeneous ) অঞ্চল হওয়ায় উষ্ণতার বণ্টনে তেমন বৈচিত্র্য ঘটে না । সাধারণ নিয়মে অক্ষাংশ পরিবর্তনে উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটে । কিন্তু স্থলভাগে উচ্চতা , ভূমির ঢাল , বায়ুপ্রবাহ মৃত্তিকার পার্থক্য , বনভূমির বন্টন প্রভৃতির তারতম্যজনিত কারণে উষ্ণতার আঞ্চলিক বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট । তাই সমুদ্রে সমোয় রেখাগুলি একে অপরের সমান্তরালে বা অক্ষরেখার সমান্তরালে অবস্থান করলেও স্থলভাগে বা মহাদেশে সমোয় রেখাগুলি একে অপরের সমান্তরালে অবস্থান করে না ।
- ‘ পার্বত্য অঞ্চলে অধিবাসীরা উপত্যকা ছেড়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করে ।’— কেন ?
Ans: উষ্ণতার স্বাভাবিক হ্রাস হার অনুসারে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ১ ° সেলসিয়াস হারে উষ্ণতা কমে । পার্বত্য অঞ্চলে মাঝে মাঝে এর ব্যতিক্রমও ঘটে অর্থাৎ উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা বেড়ে যায় । একে বলে বৈপরীত্য উত্তাপ । রাতের বেলায় তাপ বিকিরণ করে উঁচু পর্বতের ঢাল খুব ঠান্ডা হয়ে পড়ে ; বাতাস শীতল ও ভারী হয় । মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে তা উচ্চ পর্বতগাত্রের ঢাল বৈপরীত্য উত্তাপ বেয়ে নেমে আসে । উপত্যকার নীচের অংশের উষ্ণতা কমিয়ে দেয় । পর্বতগাত্র কিন্তু তখনও উষ্ণ থাকে ।
- এল নিনো ও লা নিনা বলতে কী বোঝ ?
Ans: সাধারণ অবস্থায় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে পেরু , ইকুয়েডর উপকূল বরাবর হামবোল্ড স্রোত আসে । কোনো কোনো বছর এই অঞ্চলে উত্তর দিক থেকে গরমজলের স্রোত ( এল নিনো স্রোত ) এসে অঞ্চলটিকে ঢেকে ফেলে উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় । ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে হয় নিম্নচাপ এবং পশ্চিমে উচ্চচাপ । এই অবস্থায় পেরু , ইকুয়েডরে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা দেখা দেয় এবং পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হয় খরা । এই অবস্থা হল এল নিনো ( অর্থ ‘ শিশু খ্রিস্ট ‘ ) ।
কোনো কোনো বছর পেরু , ইকুয়েডর উপকূলের উষ্ণতা সাধারণ অবস্থার থেকে অনেকটা কমে যায় । এই সময়ে নিরক্ষরেখা বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে হয় উচ্চচাপ এবং পশ্চিমে নিম্নচাপ । এই অবস্থায় পেরু , ইকুয়েডর অঞ্চলে হয় খরা এবং পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হয় বন্যা । এই অবস্থা হল লা নিনা ( অর্থ “ ছোট্ট বালিকা ‘ ) । যে বছর সাধারণ অবস্থা বিরাজ করে তা হল লা না ( অর্থ ‘ কিছুই নয় ‘ ) । এল নিনো বছরে আমাদের দেশে খরা এবং লা নিনা বছরে বন্যা দেখা দেয় ।
- এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব ব্যাখ্যা করো ।
Ans: এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব : এলনিনোর প্রভাবে ( ১ ) দক্ষিণ পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পেরু , চিলি ও ইকুয়েডর – এ বজ্রপাতসহ ঝড়শবৃষ্টি ও বন্যা হয় । ( ২ ) উত্তর আমেরিকার উত্তর – পশ্চিম অংশ ও কানাডায় শীতের প্রকোপ কমে । ( ৩ ) দক্ষিণ – পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় যার প্রভাবে পূর্ব অস্ট্রেলিয়া , নিউগিনি , ফিলিপাইনস , ইন্দোনেশিয়া , বাংলাদেশ ও ভারতে গ্রীষ্মকালে প্রবল তাপপ্রবাহ , অনাবৃষ্টি , খরা ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব দেখা যায় । ( ৪ ) যে বছর এল নিনো প্রবাহিত হয় সেই বছর দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়াতে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ুর ( দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ) স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয় এবং কম বৃষ্টিপাতের ফলে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । অন্যদিকে লা নিনা অবস্থায় জেট প্রবাহ শক্তিশালী হয়ে , এই অঞ্চলে ( দক্ষিণ এশিয়া ) অত্যধিক মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও বন্যার সৃষ্টি করে । অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া সহায়িকা , এল নিনো ( সমুদ্রের উপরিতলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির অবস্থা ) এবং না নিনা ( সমুদ্রের উপরিতলের তাপমাত্রা হ্রাসের অবস্থা ) স্থিতাবস্থা নেই ।
- উষ্ণতার তারতম্যে বায়ুচাপের তারতম্য ঘটে কেন ?
Ans: উষ্ণতার বৃদ্ধিতে বায়ু প্রসারিত হয় এবং আয়তনে বেড়ে যায় । আয়তনে বেড়ে গেলে বায়ুর চাপ কমে যায় — অর্থাৎ বায়ু উষ্ণ হলে বায়ুর চাপ কমে । নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ু উষ্ণ হওয়ায় এই অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । একইভাবে বায়ুর উষ্ণতা কমে গেলে বায়ু সংকুচিত হয় এবং বায়ুচাপ বেড়ে যায় । এইজন্য প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য দুই মেরু অঞ্চলে বায়ুচাপও বেশি হয় । সুতরাং বায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুচাপের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । বায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুর চাপ ‘ ব্যস্তানুপাতে ’ পরিবর্তিত হয় — অর্থাৎ উষ্ণতা কমলে বায়ুচাপ বাড়ে এবং উষ্ণতা বাড়লে বায়ুচাপ কমে । অর্থাৎ অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে উষ্ণতা x বায়ুচাপ ।
- সমোয় রেখার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
Ans: ভূপৃষ্ঠের যেসব স্থানে বার্ষিক উষ্ণতা একইরকম থাকে , সেইসব স্থানকে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে যুক্ত করে মানচিত্রে দেখানো হয় । একে বলে সমোয় রেখা বা Isotherm ; ISO = same . thermos = Temperature ; সমোয় রেখার বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় । যেমন – ( ক ) সমোয় রেখাগুলি মূলত পূর্ব – পশ্চিমে । বিস্তৃত থাকে ও অক্ষরেখা বরাবর পরস্পর সমান্তরালভাবে অবস্থান । করে । ( খ ) স্থলভাগ ও জলভাগের পাশাপাশি অবস্থান থাকলে সমোয় রেখাগুলি বাঁক নেয় । ( গ ) গ্রীষ্মকালে রেখাগুলি স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে নিরক্ষরেখার দিকে বাঁক নেয় । ( ঘ ) শীতকালে এর বিপরীত পরিস্থিতি দেখা যায় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer :
1. বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতিগুলির ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: বায়ুমণ্ডল বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত হয়— ( ক ) প্রধান পদ্ধতি :
( i ) বিকিরণ ( Radiation ) কোনো মাধ্যম ছাড়াই যখন তাপ এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে সঞ্চালিত ( transmission ) হয় , তখন তাকে বিকিরণ পদ্ধতি বলে । সূর্যরশ্মি ক্ষুদ্র তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গরূপে বায়ুস্তর ভেদ করে পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয় এবং পৃথিবীপৃষ্ঠ তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয় । উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ বৃহৎ তরঙ্গরূপে তাপ বিকিরণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে ।
( ii ) পরিবহণ ( Conduction ) পাশাপাশি অণুর সংস্পর্শের মাধ্যমে উষ্ণতার অপসারণ প্রক্রিয়াকে পরিবহণ বলে । এই পদ্ধতিতে বায়বীয় কণার মাধ্যমে বেশি উত্তপ্ত পদার্থ থেকে কম উত্তপ্ত পদার্থের দিকে তাপের সঞ্চালন ঘটে ।
( iii ) পরিচলন ( Con – vection ) : উষ্ণতার প্রভাবে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুর অণুগুলি উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত ও হালকা হয় । ফলে তা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে এবং ঊর্ধ্বাংশের অপেক্ষাকৃত শীতল ও ভারী বায়ু নীচের দিকে নামতে থাকে । পরবর্তীকালে সেগুলিও উত্তপ্ত উপরে উঠতে থাকে । ফলে বায়ুতে উল্লম্ব সঞ্চালন ও তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরিচলন পদ্ধতি বলে ।
( iv ) অ্যাডভেকশন ( Advection ) : ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে অনুভূমিকভাবে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে তাপের সঞ্চালন ঘটলে তাকে অ্যাডভেকশন বলে । এই পদ্ধতির মাধ্যমেই নিম্ন অক্ষাংশের উষ্ণতা উচ্চ অক্ষাংশের দিকে সঞ্চালিত হয় । ভারতের উত্তর – পশ্চিমে প্রবাহিত ‘ লু ’ অ্যাডভেকশন পদ্ধতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ । ( খ ) অপ্রধান পদ্ধতি : 018 ) বাষ্প , কার্বন ডাইঅক্সাইড
( v ) বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , প্রভৃতি সূর্য থেকে আগত শক্তিকে সরাসরি শোষণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে । JPURCU PATRES PART
( vi ) বায়ুরাশি যত উপরে ওঠে ততই প্রসারিত হয় বলে উষ্ণতা কমে এবং বায়ু যখন উপর থেকে নীচে নামে তখন সংকুচিত হয় বলে উষ্ণতা বাড়ে ।
( vii ) ভূ – অভ্যন্তরের বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের ( ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম , রেডিয়াম প্রভৃতি ) তেজস্ক্রিয়তায় উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় ।
( viii ) আগ্নেয়গিরি , প্রস্রবণ প্রভৃতির মাধ্যমে নির্গত ভূ – অভ্যন্তরীণ তাপের প্রভাবে । এবং
( ix ) কিছু কিছু শিলার ( CaCO3 ) রাসায়নিক আবহবিকারে সৃষ্ট তাপের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল সামান্য হারে উত্তপ্ত হয় ।
2. বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার তারতম্যের কারণগুলি কী কী ?
অথবা , বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের প্রধান তিনটি কারণ ব্যাখ্যা করো ।
Ans: বায়ুমণ্ডলের তাপের তারতম্যের কারণসমূহ ( Causes of variation of atmospheric temperature ) : বায়ুমণ্ডলের এই তাপের তারতম্যের কারণগুলি হল Riehote sims
( ১ ) অক্ষাংশ ( Latitude ) : সৌরশক্তি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস হলেও , অক্ষাংশ অনুসারে সূর্যকিরণ ভূপৃষ্ঠের কোথাও লম্বভাবে এবং কোথাও তির্যকভাবে পড়ে । লম্বভাবে পতিত রশ্মির তুলনায় তির্যকভাবে পতিত রশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় । নিরক্ষরেখার ওপর প্রায় সারাবছর ধরে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে । নিরক্ষরেখা থেকে যতই উত্তর বা দক্ষিণ মেরুর দিকে যাওয়া যায় ততই সূর্যরশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে তির্যকভাবে পড়তে থাকে যার ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উভয় মেরুর দিকে উত্তাপ ক্রমশ কমতে থাকে । সাধারণত , নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে প্রতি ১ ° অক্ষাংশের পার্থক্যে ০.২৮ ° সেলসিয়াস হারে উদ্বৃতা কমে যায় ।
( ২ ) উচ্চতা ( Altitude ) : সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে সরাসরিভাবে উত্তপ্ত না করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে । পরে ওই উত্তপ্ত বায়ু ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় এবং সমপৃষ্ঠ 3056 ওই তাপ ধীরে ধীরে ওপরের বায়ুস্তরে সঞ্চারিত হয় । তাই নীচের বায়ুস্তরের উষ্ণতা বেশি হয় এবং যত উপরে ওঠা যায় বায়ুর উষ্ণতা ততই কমতে থাকে । সাধারণত প্রতি ১ কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ৬.৪ ° সেলসিয়াস হারে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কমতে থাকে , একে ‘ উষ্ণতা হ্রাসের গড় ’ বা ‘ Lapse rate of temperature ” বলে । এই কারণেই একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও উচ্চস্থান অপেক্ষাকৃত শীতল হয় । উদাহরণ : জম্মু অপেক্ষা উঁচুতে অবস্থিত শ্রীনগর শীতলতর ।
( ৩ ) স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন ( Distribution of Land & Water Bodies ) : ( i ) পৃথিবীর কোনো স্থান সমুদ্র থেকে যত দূরে অবস্থিত হয় , সেখানে উষ্ণতার ততই চরমভাব দেখা যায় , কারণ : গ্রীষ্মকালে একই অক্ষাংশে অবস্থিত মহাদেশগুলির স্থলভাগের উপরিভাগ সমুদ্রের জলের চেয়ে অনেক বেশি উত্তপ্ত হয় । এইজন্য সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলে আবহাওয়া কখনোই চরমভাবাপন্ন হয় না । উদাহরণ : উত্তর গোলার্ধের ৩৫ ° থেকে ৬০ ° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত জার্মানি , পোল্যান্ড এবং আল্পস পর্বতের পাদদেশীয় দেশসমূহে এক বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক জলবায়ু পরিলক্ষিত হয় একে পশ্চিম উপকূলীয় সামুদ্রিক জলবায়ু বলে । শীত ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার স্বল্প ব্যবধান , বেশিরভাগ সময়ে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা হল সামুদ্রিক জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য । অন্যদিকে , ( ii ) সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত মহাদেশের ভিতরের দিকে সমুদ্রের প্রভাব ততটা পড়ে না বলে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় , অর্থাৎ এখানে ঠান্ডা ও গরম খুব বেশি হয় । এই ধরনের জলবায়ুকে মহাদেশীয় জলবায়ু বলে । শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার বিরাট ব্যবধান হল মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । উদাহরণ : মধ্য এশিয়া , কানাডা , রাশিয়া , ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পূর্বাঞ্চল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও পশ্চিম ভাগে মহাদেশীয় জলবায়ু দেখা যায় ।
( ৪ ) বায়ুপ্রবাহ ( Movement of winds ) বায়ুপ্রবাহ হল জলবায়ুর তারতম্যের অপর একটি কারণ । ক্রান্তীয়মণ্ডলে অপেক্ষাকৃত শীতল সমুদ্র বায়ুর প্রভাবে স্থলভাগের উদ্বৃতা কিছুটা হ্রাস পায় , অন্যদিকে উদ্ভুতর সমুদ্র থেকে আগত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে নাতিশীতোয় মণ্ডলের উপকূলবর্তী স্থলভাগের উষ্ণতা কিছুটা বৃদ্ধি পায় । এ ছাড়াও বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত উষ্ণ কিংবা শীতল স্থানীয় বায়ুপ্রবাহগুলিও ( চিনুক , ফন , সিরোক্কো , মিস্টাল , খামসিন প্রভৃতি ) স্থানীয়ভাবে উষ্ণতার তারতম্য ঘটাতে সাহায্য করে । আর্দ্রবায়ুর প্রভাবে কোথাও বৃষ্টি হয় মাবার শুষ্কবায়ুর প্রভাবে কোনো কোনো স্থানে আবহাওয়া শুষ্ক হয় ।
( ৫ ) সমুদ্রস্রোত ( Ocean currents ) : বায়ুপ্রবাহের মতো বিভিন্ন সমুদ্রস্রোতের মধ্যেও তাপমাত্রার পার্থক্য দেখা যায় যার প্রধান কারণ হল সমুদ্রস্রোতগুলির উৎস অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্য । সাধারণত কোনো অঞ্চলের কাছ দিয়ে উষ্ণুস্রোত প্রবাহিত হলে তার প্রভাবে অঞ্চলটির তাপমাত্রা বাড়ে , পক্ষান্তরে কোনো অঞ্চলের কাছ দিয়ে শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হলে সেই স্থানটির তাপমাত্রা কমে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায় , ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও ল্যাব্রাডর উপকূ ল একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের বায়ুমণ্ডল উষু হওয়ায় নিকটস্থ সমুদ্রে বরফ জমে না , কিন্তু শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে ল্যাব্রাডর উপকূলে বরফ জমে ।
( ৬ ) ভূমির ঢাল ( Inclination of the Land ) ভূমির ঢালের তারতম্যের জন্য কোনো স্থানের উত্তাপের তারতম্য ঘটতে দেখা যায় , যেমন : ( i ) উত্তর গোলার্ধে কোনো স্থানের ভূমির ঢাল দক্ষিণমুখী অর্থাৎ নিরক্ষরেখার দিকে হলে সেখানে সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ে , ফলে সেখানকার বায়ুমণ্ডল বেশি উত্তপ্ত হয় । আবার ( ii ) উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানের ভূমির ঢাল ( সাইবেরিয়া অঞ্চল ) নিরক্ষরেখার বিপরীত দিকে হলে সেখানে সূর্যকিরণ তির্যকভাবে পড়ে এবং স্থানটির উষ্ণতা তুলনামূলকভাবে কম হয় । ( iii ) দক্ষিণ গোলার্ধে কোনো স্থানের ভূমির ঢাল উত্তরমুখী —অর্থাৎ নিরক্ষরেখার দিকে হলে সেখানে সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ে , কারণ দক্ষিণ গোলার্ধের উত্তরমুখী ঢালে সূর্য প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয় ।
( ৭ ) মেঘাচ্ছন্নতা ও অধঃক্ষেপণ ( Cloud cover & precipitation ) : মেঘ সৌরকিরণকে বহুলাংশে প্রতিফলিত করে , যার ফলে সৌরতাপের অনেকাংশই ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছতে পারে না । এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলেও তাপমাত্রা কমে । বৃষ্টির জলকণা বেশ কিছুটা তাপ শোষণ করে নেয় । আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালের তুলনায় বর্ষাকালে সৌর – বিকিরণ কিছুই কমে না ; তবুও বর্ষাকালে গ্রীষ্মকালের তুলনায় তাপমাত্রা কম হওয়ার কারণ হল অধঃক্ষেপণ তথা বৃষ্টিপাত ।
( ৮ ) স্বাভাবিক উদ্ভিদ ( Natural vegetation ) : বনভূমি সৃি কার অভ্যন্তরে জলীয় বাষ্প ধরে রাখে ফলে মাটি আর্দ্র থাকে । ভূপৃষ্ঠে বনভূমির আচ্ছাদন থাকলে বায়ুমণ্ডল দিনের বেলা সহজে গরম হতে পারে না এবং রাত্রিতে খুব তাড়াতাড়ি তাপ হারিয়ে ঠান্ডা হয়ে যায় না । নিরক্ষীয় অঞ্চলের গহন বনভূমি সূর্যের তাপীয় ফল অনেকাংশে হ্রাস করে এবং এখানকার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা একই অক্ষাংশে অবস্থিত বনভূমিহীন অঞ্চল থেকে অনেকাংশে কম হয় । তা ছাড়া বনভূমির বৃক্ষসমূহ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প সংযোজন করে বৃষ্টিপাত ঘটায় ফলে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবে কমে আসে ।
( ৯ ) মৃত্তিকা ( Soil ) : পাললিক মৃত্তিকায় কাদার ভাগ বেশি থাকায় পার্বত্য মৃত্তিকা থেকে এর জলধারণের ক্ষমতা বেশি । ফলে এই মৃত্তিকা সহজে গরম বা ঠান্ডা হয় না । পার্বত্য মৃত্তিকায় জলধারণ ক্ষমতা কম তাই এই মাটি দ্রুত উত্তপ্ত হয় এবং দ্রুত শীতলও হয়ে যায় । এইজন্য পাললিক মৃত্তিকায় গড়া সমতল ভূভাগের তুলনায় পার্বত্য অঞ্চলে দৈনিক উষ্ণতার প্রসরও ( Diurnal range of temperature ) বেশি হয় । আবার মরুভূমির দৈনিক উষ্ণতার প্রসরও এই একই কারণে বেশি হয় । কালো রঙের মাটি বেশি পরিমাণে সূর্যতাপ গ্রহণে সক্ষম বলে , হালকা রঙের মৃত্তিকা অঞ্চল থেকে এখানকার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেশি হয় ।
( ১০ ) নগরায়ণ ও শিল্পায়ন ( Urbanisation & Industrialisation ) : শহরাঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা গ্রামাঞ্চল থেকে বেশি হয় । শহরের বাড়িগুলি সাধারণত ইট , লোহা , সিমেন্ট , বালি প্রভৃতি মালমশলা দিয়ে তৈরি হয় । যাদের আপেক্ষিক তাপ কম । ফলে , দিনের বেলা শহর যতটা উত্তপ্ত হয় , গ্রাম ততটা হয় না । শহরাঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ বৃদ্ধির আরও একটি কারণ হল কলকারখানার চিমনি থেকে নির্গত ধোঁয়া , ধূলিকণা প্রভৃতি — যারা শুধুমাত্র তাপের উৎসই নয় , তারা ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকিরণকেও প্রতিহত করে ।
3. অক্ষাংশ ও উচ্চতা বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে , উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।
Ans: অক্ষাংশ ও উচ্চতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার পরিবর্তনের কারণসমূহ –
( i ) অক্ষাংশের ভিত্তিতে অবস্থান ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা নির্ভর করে কোনো স্থানে আগত সূর্যরশ্মির পরিমাণের উপর এবং আগত সূর্যরশ্মির পরিমাণের ওপর এবং আগত সূর্যরশ্মির পরিমাণ নির্ভর করে সেই স্থানের অক্ষাংশের ওপর । অক্ষাংশের পরিবর্তনের সাথে সাথে সূর্যরশ্মির পতনকোপের যেমন তারতম্য হয় , তেমনি দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যেরও হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে । নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর সারাবছর গড় সূর্যরশ্মি লম্বভাবে , মধ্য অক্ষাংশে তির্যকভাবে ও উচ্চ অক্ষাংশে অতি তির্যকভাবে পতিত রশ্মি অপেক্ষা কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং কম অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে — তাই উষ্ণতা বেশি হয় । এই কারণে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিণে উষ্ণতা ক্রমশ কমতে থাকে ।
( ii ) উচ্চতার প্রভাব : উষ্ণতার নিয়ন্ত্রণে উচ্চতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতাবৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা ৬.৪ ° সে . / কিমি হারে হ্রাস পায় — একে ‘ ল্যাপস্ রেট ’ বলে । সাধারণভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিকিরণের প্রভাব কমে , ধুলিকণার পরিমাণ কমতে থাকে এবং বায়ুর চাপও কম হয় । তাই উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা হ্রাস পায় । এই কারণেই অধিক উচ্চ অঞ্চলের উষ্ণতা কম হয় । অধিক উচ্চতার কারণেই প্রায় নিরক্ষরেখা বরাবর অবস্থিত । হওয়া সত্ত্বেও কিনিয়ার মাউন্ট কিলিমাঙ্খারো পর্বতের ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে । এই কারণেই শিলিগুড়ি অপেক্ষা | দার্জিলিং এবং দিল্লি অপেক্ষা সিমলার উষ্ণতা সারাবছর কম ।
4. চিত্রসহ বিভিন্ন তাপমণ্ডলের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: অক্ষরেখার নিরিখে যেসকল অঞ্চলে উষ্ণতা মোটামুটি সমান সেগুলিকেই বলে তাপমণ্ডল । তাপমণ্ডল তিনটি—
( i ) উষ্ণুমণ্ডল : অবস্থান : নিরক্ষরেখাকে মাঝখানে রেখে উত্তরে কর্কটক্রান্তি এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তির মধ্যবর্তী অঞ্চল ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) গড় উষ্ণতা বেশি , গড়ে ২৭ ° সে . ( ii ) এখানে শীত ঋতু অতটা পরিলক্ষিত হয় না । হলেও খুব শীতল নয় । ( iii ) বাৎসরিক উষ্ণতার প্রসার কম । উৎপত্তির কারণ : ( i ) গড় সূর্যরশ্মির পতনকোণ সারাবছর বেশি ( ৯০ ° -এর কাছাকাছি ) । ( ii ) সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান । ( ii ) নাতিশীতোর মণ্ডল অবস্থান : উ . গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরুবৃত্ত এবং দ . গোলার্ধে মকরক্রান্তি থেকে কুমেরুবৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চল ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) গড় উদ্বৃতা ০ ° -২৭ ° সে . ( ii ) নিম্ন অক্ষাংশ থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে তাপমাত্রা দ্রুতহারে কমে । ( iii ) বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর বেশি । ( iv ) ক্রান্তিরেখাদ্বয় অঞ্চল হল গ্রীষ্মপ্রধান নাতিশীতোয় মন্ডল এবং মেরুবৃত্ত রেখাদ্বয় অঞ্চল হল শীতপ্রধান নাতিশীতোয় মণ্ডল ।
উৎপত্তির কারণ : ( i ) গড় সূর্যরশ্মির পতনকোণ মধ্যম প্রকৃতির । গ্রীষ্মকালে পতনকোণ বাড়ে এবং শীতকালে কমে । ( ii ) দিন ও রাতের গড় দৈর্ঘ্য সারাবছর মাঝামাঝি । ( iii )
হিমমণ্ডল : অবস্থান : উ . গোলার্ধে সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরুবিন্দু এবং দ . গোলার্ধে কুমেরুবৃত্ত থেকে কুমেরুবিন্দু হল হিমমণ্ডল ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) গড় উষ্ণতা সারাবছরই ০ ° সে . – এর কম । ( ii ) দু – একটি স্থানে কদাচিৎ উষ্ণতা হিমাঙ্কের উপরে ওঠে । ( iii ) বাৎসরিক উষ্ণতার প্রসর খুব বেশি । ( iv ) অঞ্চলটি বরফে ঢাকা । ( v ) মাঝে মাঝে অরোরা দেখা যায় । উৎপত্তির কারণ : ( i ) দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের তারতম্য খুব বেশি । ( ii ) কোনো কোনো স্থানে একটানা ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত বিরাজ করে । ( iii ) দিনের সময়কালে সূর্যরশ্মির পতনকোণ অতি তির্যক ।
5. পৃথিবীব্যাপী বিশ্বউষ্ণায়নের প্রভাব ব্যাখ্যা করো ।
Ans: বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব ( Effects of global warming ) ক্রমবর্ধমান হারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বায়ুতে নির্গত হওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা ক্রমশ বাড়ছে । যেমন- ১৮৫০-১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ১ ° সেন্টিগ্রেড বেড়েছে । বিজ্ঞানীদের অনুমান ২০৩০ খ্রিস্টাব্দে উষ্ণতা বাড়ার হার হবে ২ ° সেন্টিগ্রেড । গ্লোবাল ওয়ার্মিং – এর সম্ভাব্য প্রভাবগুলি নীচে আলোচনা করা হল –
( ১ ) মেরু অঞ্চলের বরফের গলন ও পার্বত্য হিমবাহের গলন ( Melting of polar ice caps and mountain glacier ) :
বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কুমেরু মহাদেশের গভীর পুরু বরফের স্তর এবং অন্যান্য মহাদেশীয় ও পার্বত্য হিমবাহ খুব দ্রুত গলতে থাকবে এবং বরফগলা জল সমুদ্রে যুক্ত হয়ে সমুদ্রের জলের পরিমাণকে আরও বাড়িয়ে দেবে এবং সমুদ্রজলের উষ্ণতা ও লবণতার হেরফের ঘটবে , যার পরোক্ষ ফলস্বরূপ সমুদ্রস্রোতের পরিবর্তন ও অন্যান্য সামুদ্রিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটবে । এর ফলাফল স্বরূপ- ( i ) স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র ব্যাহত হবে , ( ii ) ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটবে , ( iii ) উপকূলবর্তী এলাকার নীচু অংশ জলমগ্ন হবে , ( iv ) সমুদ্রের লবণাক্ত জলের প্রভাবে মাটি অনুর্বর হয়ে পড়বে ।
( ২ ) সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি ( Rise of sea level ) : বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মেরু ও উঁচু পার্বত্য অঞ্চলের বরফ বেশি পরিমাণে গলবে এবং সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে । বিগত শতাব্দীতে ১.৫ ° C তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০–১২ সেমি । বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা , এই হারে বিশ্ব উষ্ণায়ন চলতে থাকলে এই শতাব্দীর শেষে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা ৩০–৯০ সেমি বৃদ্ধি পাবে । এর ফলে সমুদ্র উপকূল অঞ্চল প্লাবিত হবে , জলাভূমি ও নীচুভূমি বিনষ্ট হবে , উপকূল অঞ্চলে ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়বে , ম্যানগ্রোভ বনভূমি ও বন্যপ্রাণীর বিনাশ ঘটবে এবং নদীর জলের লবণতার পরিমাণ বাড়বে । এর ফলে আগামী কয়েক দশকে সিসিলি , মালদ্বীপ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ , বাংলাদেশের উপকূলের এক বিরাট অংশ , মিশর , আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা , লুইসিয়ানা ও ক্যারোলিনা এবং ভারতের উপকূল অঞ্চল সমুদ্রে তলিয়ে যাবে ।
( ৩ ) অধঃক্ষেপণের প্রকৃতি পরিবর্তন ( Change in nature of precipitation ) : বায়ুমণ্ডলীয় উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুগত পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী । বৃষ্টিপাতের বণ্টনে সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটবে । উত্তর গোলার্ধের উত্তরদিকের দেশগুলিতে অতিবৃষ্টি এবং দক্ষিণদিকের দেশগুলিতে খরার প্রকোপ বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে ।
( ৪ ) শস্য উৎপাদনের হ্রাসবৃদ্ধি ( Over and under production of crops ) : তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঋতুগুলির সময়সীমা বৃদ্ধি পাবে , ফলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন হ্রাস পাবে । এ ছাড়া তাপমাত্রা সহায়িকা , বাড়লে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষের হার বাড়ে । এই কারণে ভুট্টা , আম , জোয়ার , বাজরা প্রভৃতি ফসলের উৎপাদন বাড়লেও ধান , গম , ওট , বার্লি , সয়াবিন , তামাক , তুলো , পাট প্রভৃতি ফসলের উৎপাদন কমে যাবে । বিজ্ঞানীদের অনুমান , প্রধান খাদ্যফসলগুলির বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের হার ১০ % – ৭০ % পর্যন্ত কমবে ।
( ৫ ) কৃষিপদ্ধতির পরিবর্তন ( Change in agricultural methods ) : বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রের স্থান পরিবর্তন ঘটবে এবং কৃষিজমির পরিমাণ ১০ % -৫০ % কমে যাবে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায় , যেসব অঞ্চলে গমচাষ হত , উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সেসব অঞ্চলে গমের পরিবর্তে অন্য শস্যের চাষ হচ্ছে । তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিবর্তনের ফলে প্রধান কৃষিকাজের এলাকা আরও উচ্চ অক্ষাংশের দিকে বিস্তৃত হবে । ভুট্টা , আখ , জোয়ার বাজরার উৎপাদন বাড়লেও ধান , গম , বার্লি , ওট , সয়াবিন , তুলো , তামাকের উৎপাদন কমে যাবে ।
( ৬ ) এল নিনো ও পৃথিবীব্যাপী তার প্রভাব ( Bl – Nine and its global effects ) : বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জল উগ্ন হয়ে উঠলে যে নিম্নচাপ তৈরি হয় তা আয়ন বায়ুপ্রবাহকে দুর্বল করে এবং দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় । অন্যদিকে , পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে স্বাভাবিকের থেকে বেশি শীতল আবহাওয়া সৃষ্টি হয় । একে এল নিনো ঘটনা বলে । এল নিনো বলতে দক্ষিণমুখী বিশেষ একটি অস্থির ও উষ্ণ সমুদ্রস্রোতকে বোঝায় , যা দক্ষিণ – পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ১০০-৩৫ ° দ , অক্ষাংশ ও ৯০ ° -১২০ ° প দ্রাঘিমায় লক্ষ করা যায় । এই স্রোত প্রতি বছর ক্রিসমাসের কাছাকাছি সময় পেরু ও ইকুয়েডরের পশ্চিম উপকূল দিয়ে প্রবাহিত হয় ।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here
Info : বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) Geography Qustion and Answer Suggestion
” বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X / WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন / মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik Geography Suggestion / Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion / Geography Class 10 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik Geography Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion / Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Suggestion / Madhyamik Geography Exam Guide / Madhyamik Geography Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik Geography Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
FILE INFO : বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link 1 | Click Here To Download |
Download Link 2 | Click Here To Download |
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ভূগোল | Madhyamik Class 10 Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan
দশম শ্রেণি ভূগোল (Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan) – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Suggestion দশম শ্রেণি ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল সহায়ক – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer, Suggestion | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Notes | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer Suggestion.
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) । Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion.
WBBSE Class 10th Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)
WBBSE Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestions | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 10 Geography Suggestion Download WBBSE Class 10th Geography short question suggestion . Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Suggestion download Class 10th Question Paper Geography. WB Class 10 Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Ten X Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam
Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X Geography Suggestion is provided here. Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।