একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) | Class 11 Education Boudhik o Buddha Question and Answer
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর : বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Education Boudhik o Buddha Question and Answer : একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 11 Education Boudhik o Buddha Question and Answer, Suggestion, Notes – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI Education Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) – একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Boudhik o Buddha Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th Education Boudhik o Buddha Question and Answer
MCQ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Boudhik o Buddha Question and Answer :
- বৈশ্যদের জন্য উপনয়নের বয়স ছিল –-
(A) দশ
(B) এগারো
(C) বারো
(D) তেরো
Ans: (C) বারো
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার সুযোগ লাভ করত –
(A) শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ শিক্ষার্থী
(B) ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য শিক্ষার্থী
(C) সকল বর্ণের শিক্ষার্থী
(D) ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় এবং শূদ্র শিক্ষার্থী
Ans: (B) ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য শিক্ষার্থী
- প্রব্রজ্যা অনুষ্ঠানটি পালিত হতো –
(A) বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায়
(B) ইসলামিক শিক্ষাব্যবস্থায়
(C) ভারতে ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থায়
(D) বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থায়
Ans: (A) বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায়
- কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৌদ্ধ শিক্ষার সূচনা ঘটত ?
(A) উপসম্পদা
(B) সমাবর্তন
(C) উপনয়ন
(D) প্রব্রজ্যা
Ans: (D) প্রব্রজ্যা
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষালয় হলো –
(A) ঠাকুরবাড়ি
(B) গুরুকুল
(C) বিহার
(D) মঠ
Ans: (B) গুরুকুল
- প্রাচীন ভারতে কোন স্থানটি ব্রাহ্মণ্য শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল ?
(A) তক্ষশীলা
(B) অযোধ্যা
(C) জৌনপুর
(D) নালন্দা
Ans: (A) তক্ষশীলা
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষার মাধ্যম ছিল –
(A) উর্দু ভাষা
(B) পালি ভাষা
(C) সংস্কৃত ভাষা
(D) বাংলা ভাষা
Ans: (C) সংস্কৃত ভাষা
- চতুরাশ্রমের স্তর হলো –
(A) 12 টি
(B) 4 টি
(C) 6 টি
(D) ৪ টি
Ans: (B) 4 টি
- বৌদ্ধ শিক্ষার প্রধান বা মূল লক্ষ্য ছিল –
(A) পরিনির্বাণ লাভ
(B) সন্ন্যাসধর্ম পালন
(C) ব্যাবহারিক শিক্ষাদান
(D) আত্মোপলব্ধি
Ans: (A) পরিনির্বাণ লাভ
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষা ছিল –
(A) শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক
(B) কর্মকেন্দ্রিক
(C) ধর্মকেন্দ্রিক
(D) বৃত্তিকেন্দ্রিক
Ans: (C) ধর্মকেন্দ্রিক
- ব্রাক্ষ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় ক্ষত্রিয়দের শিক্ষাগ্রহণের সময়কাল হলো –
(A) 16 বছর
(B) 11 বছর
(C) 9 বছর
(D) 13 বছর
Ans: (B) 11 বছর
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থার অবনতির অন্যতম কারণ হলো –
(A) যাগযজ্ঞের ওপর গুরুত্ব আরোপ
(B) পাঠ্যক্রমের ভার
(C) অবৈতনিক আবাসিক শিক্ষা
(D) গুরু – শিষ্যের মধুর সম্পর্ক
Ans: (A) যাগযজ্ঞের ওপর গুরুত্ব আরোপ
- বৌদ্ধদের ত্রিপিটক তিনটি হলো –
(A) সূত্রপিটক , বিনয়পিটক , শ্রবণপিটক
(B) সূত্রপিটক , শান্তপিটক , ক্ষমাপিটক
(C) সূত্রপিটক , বিনয়পিটক , ধর্মপিটক
(D) সূত্রপিটক , বিনয়পিটক , অভিধর্মপিটক
Ans: (D) সূত্রপিটক , বিনয়পিটক , অভিধর্মপিটক
- বেদের অপর নাম হলো –
(A) জ্ঞানী
(B) শ্ৰুতি
(C) শ্রমণ
(D) ব্রহ্মচারী
Ans: (B) শ্ৰুতি
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষায় নারী ঋষিদের বলা হতো –
(A) তনয়া
(B) শিক্ষিকা
(C) ব্রহ্মবাদিনী
(D) গায়ত্রী
Ans: (C) ব্রহ্মবাদিনী
- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল –
(A) পড়ানির্ভর
(B) যুক্তিনির্ভর
(C) লেখানির্ভর
(D) আবৃত্তিনির্ভর
Ans: (D) আবৃত্তিনির্ভর
- মধ্যযুগে যেটি হিন্দু শিক্ষালয় হিসেবে স্বীকৃত ছিল না , তা হলো –
(A) পাঠশালা
(B) মক্তব
(C) টোল
(D) চতুষ্পাঠী
Ans: (B) মক্তব
- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল –
(A) মধ্যযুগেও
(B) সেনযুগে
(C) পালযুগে
(D) গুপ্তযুগে
Ans: (D) গুপ্তযুগে
- ন্যায়দর্শন তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন –
(A) পতঞ্জলি
(B) গৌতম
(C) কপিলমুনি
(D) কণাদ
Ans: (B) গৌতম
- যারা একবার শুনেই মন্ত্র মনে রাখতে পারত , তাদের বলা হতো—
(A) শ্রবণশ্রুতি
(B) শ্রুতিঋষি
(C) শ্রুতিমান
(D) শ্রুতিধর
Ans: (D) শ্রুতিধর
- প্রাচীন কালের ব্রাহ্মণ্য শিক্ষায় নিয়মিত পাঠ বন্ধ থাকলে তাকে বলা হতো –
(A) নৈমিত্তিক অধ্যায়
(B) সাধারণ ছুটি
(C) নিত্য অনধ্যায়
(D) নিত্যপাঠ বন্ধ
Ans: (C) নিত্য অনধ্যায়
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Boudhik o Buddha SAQ Short Question and Answer :
- বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার যেকোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।
Ans: বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো— এটি গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা । জাতি , ধর্ম , বর্ণ , ধনী , দরিদ্র ইত্যাদি নির্বিশেষে এই শিক্ষা সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল ।
- ব্রাক্মণ্য শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো ।
Ans: ব্রাহ্মণ্য শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য ছিল প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সুব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা ।
- প্রব্রজ্যা কী ?
Ans: প্রব্রজ্যা হলো বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় বৌদ্ধসংঘ বা বিহারে প্রবেশের ক্ষেত্রে পালনীয় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান ।
- নালন্দার একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদের নাম লেখো ।
Ans: নালন্দার একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদের নাম নাগার্জুন ।
- অপরাবিদ্যা কী ?
Ans: প্রাচীন যুগের বৈদিক ব্রাহ্মণ্য শিক্ষায় যাবতীয় বিজ্ঞান ও শিল্পকলাভিত্তিক বিদ্যাকে অপরাবিদ্যা বলে ।
- ব্রাক্মণ্য যুগে কোন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিদ্যাগ্রহণ শুরু হতো ?
Ans: ব্রাহ্মণ্য যুগে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিদ্যাগ্রহণ শুরু হতো ।
- বৈদিক শিক্ষার যুগ উল্লেখ করো ।
Ans: আনুমানিক 2000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে 300 খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ।
- অষ্টাঙ্গিক মার্গের আটটি বিষয় কী কী ?
Ans: অষ্টাঙ্গিক মার্গের আটটি বিষয় হলো- ( i ) সম্যকদৃষ্টি , ( ii ) সম্যকসংকল্প , ( iii ) সম্যগ্বাক্য , ( iv ) সম্যককর্ম , ( v ) সম্যকজীবিকা , ( vi ) সম্যকব্যায়াম , ( vii ) সম্যগ্দান ও ( viii ) সম্যকধ্যান ।
- প্রাচীন যুগে পরাবিদ্যার লক্ষ্য কী ছিল ?
Ans: প্রাচীন যুগে পরাবিদ্যার লক্ষ্য ছিল ব্যক্তিকে ভাবজগতের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া ।
- আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থায় ব্রক্মস্থান বলতে কী বোঝাত ?
Ans: আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থায় ব্রহ্মস্থান বলতে পড়াশোনার স্থানকে বোঝাত ।
- আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থায় মহেন্দ্রস্থান বলতে কী বোঝাত ?
Ans: আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থায় মহেন্দ্রস্থান বলতে যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষার স্থানকে বোঝাত ।
- আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থায় গরুড়স্থান বলতে কী বোঝাত ?
Ans: আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থায় গরুড়স্থান বলতে পরিবহণের স্থানকে বোঝাত ।
- অপরাবিদ্যা কী কী নিয়ে গঠিত ?
Ans: অপরাবিদ্যা চতুর্বেদ , কল্প , ব্যাকরণ , ছন্দ , নিরুক্ত , জ্যোতিষ , শিক্ষা প্রভৃতি নিয়ে গঠিত ।
- ব্রাক্মণ্য শিক্ষায় বিদ্যাস্নাতক উপাধি কাদের দেওয়া হতো ?
Ans: যিনি সমগ্র বেদ অধ্যয়ন করেছেন , কিন্তু সমস্ত ব্রত সমাপন করেননি , তাঁকে = বিদ্যাস্নাতক উপাধি দেওয়া হতো ।
- উপনয়ন কী ?
Ans: উপনয়ন – এর অর্থ শিক্ষার জন্য কোনো শিশুকে গুরুর কাছে নিয়ে যাওয়া ।
- বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার একটি লক্ষ্য উল্লেখ করো ।
Ans: বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার একটি লক্ষ্য হলো পরিনির্বাণ ও যাবতীয় জাগতিক দুঃখের অবসান ।
- তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কোথায় ছিল ?
Ans: বর্তমান পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নিকটবর্তী অঞ্চলে তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ।
- বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রথিতযশা অধ্যাপকের নাম উল্লেখ করো ।
Ans: বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন প্রথিতযশা অধ্যাপক হলেন — অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান , অভয় করগুপ্ত , প্রভাকরমতি , জ্ঞানপদ ইত্যাদি ।
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় নৈষ্ঠিক কাদের বলা হতো ?
Ans: ব্রাক্ষ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় যেসকল শিষ্য গুরুগৃহে পঠনপাঠন শেষ করে চিরকৌমার্য ব্রত অবলম্বন করে আচার্যগৃহে বাস করত , তাদের নৈষ্ঠিক বলা হতো ।
- প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষায় কত প্রকার স্নাতকের উল্লেখ আছে ও কী কী ?
Ans: প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষায় তিন প্রকার স্নাতকের উল্লেখ আছে । যথা — বিদ্যাস্নাতক , ব্রতস্নাতক ও বিদ্যারত স্নাতক ।
- ঋগ্বেদ সংহিতা কাকে বলে ?
Ans: যে গ্রন্থে ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলি সংকলিত হয়েছে তাকেই ঋগ্বেদ সংহিতা বলে ।
- বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকের দু’টি গুণ লেখো ।
Ans: বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকের দু’টি গুণ হলো- ( i ) প্রাচীন যুগে আচার্যগণ বিদ্যাদানকে জীবনের মহান ব্রত বলে মনে করতেন । ( ii ) বিভিন্ন শাস্ত্র সহ শিক্ষাদান কার্যে যথেষ্ট পারদর্শী হতেন ।
- মহাভারতের যুগের কয়েকটি শিক্ষাকেন্দ্রের নাম বলো ।
Ans: মহাভারতের যুগের কয়েকটি শিক্ষাকেন্দ্রের নাম- ( i ) মিথিলার বিদ্যাপীঠ , ( ii ) C বদ্রিকাশ্রম , ( iii ) কম্বের আশ্রম , ( iv ) অযোধ্যা ।
- প্রাচীন যুগে শিক্ষার পর্বগুলি কী ছিল ?
Ans: প্রাচীন যুগে শিক্ষার পর্বগুলি ছিল— আদিবৈদিক শিক্ষা , ব্রাহ্মণ্য শিক্ষা , মহাকাব্যের যুগের শিক্ষা ও বৌদ্ধ শিক্ষা ।
- চারটি আর্যসত্য কী কী ?
Ans: চারটি আর্যসত্য হলো মানুষের জীবনে দুঃখ আছে , দুঃখের কারণ আছে , দুঃখ নিবারণের উপায় আছে ও দুঃখ নিবারণের জন্য সঠিক পথের প্রয়োজন আছে ।
- বৈদিক শিক্ষায় ক্ষত্রিয়দের কী কী বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হতো ?
Ans: বৈদিক শিক্ষায় ক্ষত্রিয়দের যুদ্ধবিদ্যা , অস্ত্রবিদ্যা , নীতিশাস্ত্র , রাজনীতি , দণ্ডনীতি , আয়ুর্বেদ প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হতো ।
- বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থাকে সর্বজনীন শিক্ষা বলার কারণ কী ?
Ans: বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় মেধার ভিত্তিতে ধর্ম – বর্ণ – জাতি নির্বিশেষে সবধরনে মানুষকে পঠনপাঠনের সুযোগ দেওয়াকে সর্বজনীন শিক্ষা বলা হয় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Boudhik o Buddha Broad Question and Answer :
- প্রাচীন ভারতের শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
Ans: প্রাচীন ভারতবর্ষে শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে যে কয়েকটি শিক্ষাকেন্দ্র ছিল তার মধ্যে সর্বাধিক খ্যাতনামা এবং সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় । বৈদিক যুগে স্থাপিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি খ্রিস্টপূ ব ষষ্ঠ শতকে বৌদ্ধ যুগে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল । এটি ছিল সমকালীন ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অনন্য ক্ষেত্র ।
ভৌগোলিক অবস্থান : প্রাচীন কালে ভারতবর্ষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও বর্তমানে এটি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে 20 মাইল উত্ত র – পশ্চিমে গান্ধারে অবস্থিত । এটি প্রাচীন গাধার রাজ্যের রাজধানী তক্ষশীলার নামে বিশ্বদরবারে আজও জনপ্রিয় । প্রায় 12 বর্গ মাইল স্থানব্যাপী তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত ছিল ।
সময়কাল : মনে করা হয় , তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম থেকে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় অব্দ পর্যন্ত প্রায় 400 বছর ধরে গৌরবের সাথে তার অস্তিত্ব বজায় রেখেছে ।
শিক্ষাকাল : তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের বয়সকাল ছিল 16 বছর অর্থাৎ 16 বছর বয়সে শিক্ষার্থীরা এখানে প্রবেশের সুযোগ পেত এবং 4 বছর ধরে তারা শিক্ষাগ্রহণ করত । এই শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি আবাসিক ছিল না । গুরুগৃহে বা পৃথকভাবেও থাকা যেত , শূদ্ররা এখানে পঠনপাঠনের সুযোগ না পেলেও ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যরা পঠনপাঠনের সুযোগ পেত ।
শিক্ষার খরচ : তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার খরচ হিসেবে গুরুকে সহস্র স্বর্ণমুদ্রা দিত । তবে দুস্থ ছাত্র – ছাত্রীদের বিনা মূল্যে দৈহিক পরিশ্রমের বিনিময়ে শিক্ষাদান করা হতো ।
পাঠ্যক্রম : তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বেদ ও আঠারোটি কলাবিদ্যা শেখানো হতো । এছাড়াও জ্যোতির্বিজ্ঞান , কারিগরিবিদ্যা , সমরবিদ্যা , কৃষিবিদ্যা , হস্তশিল্প ইত্যাদি বিষয়েও পাঠদান করা হতো ।
শিক্ষকমণ্ডলী : তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গুরু , আচার্য ও উপাধ্যায় এই তিনটি বিশেষণে ভূষিত করা হতো । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিলেন ক্রম । একাধিক শাস্ত্রে পণ্ডিত ।
কৃতী ছাত্র : তক্ষশীলার কৃতী ছাত্রদের মধ্যে অর্থশাস্ত্রের রচয়িতা কৌটিল্য , গৌতম বুদ্ধের চিকিৎসক জীবক প্রসেনজিৎ , ব্যাকরণের পণ্ডিত পাণিনি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ।
শিক্ষাদান পদ্ধতি : তৎকালীন সময়ে তক্ষশীলায় শিক্ষণ পদ্ধতি হিসাবে আবৃত্তির উপর গুরুত্ব দেওয়া হতো । একই জিনিস বারবার শিক্ষার্থীরা জোরে জোরে উচ্চারণের মাধ্যমে আয়ত্ত করত । এছাড়া ব্যক্তিগত এবং দলগত শিক্ষণ পদ্ধতিরও প্রচলন ছিল । অন্যদিকে , উচ্চশ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে নিম্নশ্রেণিতে পাঠদান প্রক্রিয়ার রীতি চালু ছিল ।
প্রকৃতি : এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি বহুদুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল । ফলে সারা ভারতবর্ষ এমনকী বহির্ভারত থেকে শিক্ষর্থীরা জ্ঞানার্জনের জন্য এখানে ভিড় করত । এখানকার কৃতী ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিখ্যাত চিকিৎসক জীবক , বৈয়াকরণ পাণিনি , অর্থশাস্ত্রের লেখক কৌটিল্য বা চাণক্য প্রমুখ ।
পরিচালনা : তক্ষশীলায় শিক্ষা একেবারে অবৈতনিক ছিল না । অবস্থাপন্ন ঘরের শিক্ষার্থীরা নিজ ব্যয়ভার বহন করত । দরিদ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কায়িক শ্রম , গুরুসেবা ইত্যাদির বিনিময়ে শিক্ষালাভ করার সুযোগ পেত । আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ভার মূলত অধ্যাপকদের হাতেই ন্যস্ত ছিল ।
- প্রাচীন ভারতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আলোচনা করো ।
অথবা , প্রাচীন ভারতের যেকোনো একটি শিক্ষাকেন্দ্রের বর্ণনা দাও ।
Ans: নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় : প্রাচীন ভারতবর্ষে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রকৃত শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম গৌরবময় শিক্ষাকেন্দ্র ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে নালন্দা তক্ষশীলা ও বিক্রমশীলার মতো জগদ্বিখ্যাত ছিল । সমকালীন ভারতবর্ষে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালনা , অধ্যাপনা , অধ্যাপক প্রভৃতি দিক থেকেই নালন্দা ছিল সেযুগের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান । বিজ্ঞানেন্দ্দ শূন্য , দশমিক , আহ্নিক গতি , বার্ষিক গতি প্রভৃতির বিশদ ব্যাখ্যা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে এসেছে । শুধু ভারতে , নয় এশিয়া মহাদেশের মধ্যেও এটি ছিল শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র । সঠিক অর্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল একটি বৃহৎ আকৃতির বৌদ্ধমঠ ।
ভৌগোলিক অবস্থান : বিহারের রাজধানী বর্তমান পাটনা ও প্রাচীন পাটলিপুত্রের চল্লিশ মাইল থেকে তেতাল্লিশ মাইল দুরে এবং মগধের রাজধানী রাজগৃহের সাত মাইল দুরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত ছিল । বর্তমানে বিহারের শরিফ মহকুমার বরগাও – এর কাছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত ছিল ।
সময়কাল : কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন আনুমানিক তিনশো খ্রিস্টাব্দে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । অন্যদিকে কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন সম্রাট অশোক এই বৌদ্ধবিহারটি নির্মাণ করেন । পরবর্তীতে গুপ্ত শাসকদের আমলে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল । বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন – সাং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ।
নামকরণ : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ ঐতিহাসিকদের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয় । ইং – সিং – এর মতে , নাগানন্দ সরোবর থেকে নালন্দা নামের উৎপত্তি হয়েছে । অন্যদিকে ফা – হিয়েন নালন্দাকে নাল নামে অভিহিত করেছেন ।
ছাত্রভর্তি : সম্পূর্ণ মেধার উপর ভিত্তি করে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তবেই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাওয়া যেত , তবে এখানে জাতি – ধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে মেধাবী ছাত্ররাই শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেত ।
পরিকাঠামো : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুরদিকে সুউচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল । এখানে প্রায় তিনশোটি শ্রেণিকক্ষ ছিল এবং সাত থেকে আটটি বৃহৎ হলঘর ছিল । প্রায় সাড়ে তিন বর্গ মাইল জুড়ে এই মহাবিহারের অবস্থান ছিল । যেখানে প্রায় এক হাজার অধ্যাপক – এর অধীনে দশ হাজার শিক্ষার্থী পঠনপাঠন করত ।
গ্রন্থাগার : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে রত্নরঞ্জক , রত্নদধি , রত্নসাগর নামে তিনটি বৃহৎ গ্রন্থাগার ছিল । গুলিতে প্রচুর গ্রন্থের সমাহার লক্ষ করা যায় ।
শিক্ষণ পদ্ধতি : জানা যায় মূলত আবৃত্তির মাধ্যমে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের পদ্ধতি প্রচলিত ছিল । এছাড়াও বিতর্ক , আলোচনা প্রভৃতি মৌখিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান ও উপাধিদানের ওপর জোর দেওয়া হতো । প্রবন্ধ রচনা , বক্তৃতা প্রভৃতি এখানে অভ্যাস করানো হতো । আলোচনা ও বিতর্কের ব্যবস্থা থাকায় অর্জিত বিদ্যাকে উপলব্ধি না করে কেউ সাফল্য লাভ করতে পারত না ।
পরীক্ষা পদ্ধতি : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কৃতিত্বের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রাজসভায় উপনীত করা হতো । এই রাজসভা থেকে বিভিন্ন বিতর্কে জয়যুক্ত হলে কৃতী ছাত্রদের উপাধি ও ভূমিদান করা হতো ।
নিয়মাবলি : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যেমন শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হতো , একইসাথে শিক্ষার্থীদেরও কঠোর শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হতো । এই কারণে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হয়েছিল ।
খ্যাতির বিস্তৃতি : কেবলমাত্র ভারতবর্ষে নয় , নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি কোরিয়া , চিন , তিব্বত , জাভা , সুমাত্রা প্রভৃতি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল । নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব দীর্ঘস্থায়ী হলেও কালের নিয়মে একদিন ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছিল । দ্বাদশ শতাব্দীতে 1193 খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘোরির সেনাপতি ইকতিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির আক্রমণে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যায় ।
- ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও । অথবা , ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যক্রম , প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাদান পদ্ধতি বিষয়ে লেখো ।
Ans: সূচনা : ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা শাশ্বতধারায় যুগান্তরের পথে পরিবর্তিত হয়েছে । প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম স্তর হলো ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থা । এই শিক্ষা ছিল ধর্মভিত্তিক । তখন মনে করা হতো জগতের সব কিছুর মধ্যেই ব্রষ্ম বিরাজমান । উপাসনার মাধ্যমে দুঃখ পারাবার পৃথিবী থেকে মুক্তির পথ খোঁজাই এই শিক্ষার লক্ষ্য । পরবর্তী বৈদিক যুগে সমাজের উচ্চশ্রেণি হিসাবে চিহ্নিত ব্রাহ্মণদের দ্বারা এই শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল বলে একে ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থা বলা হয় ।
ব্রাক্মণ্য শিক্ষার লক্ষ্য : মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো জগতের অধিকর্তা পরমব্রহ্মকে জানা এবং উপলব্ধি করা । ব্যক্তি যখন এই পরমব্রষ্মকে উপলব্ধি করতে পারবে তখনই সে এই জড় জগতের সকল দুঃখকষ্ট , যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাবে । তাই এই শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য ছিল ব্যক্তির মধ্যে এই পরমসত্তাকে উপলব্ধি করার মধ্যে দিয়ে ব্যক্তির মোক্ষলাভে সহায়তা করা । অন্যদিকে শিক্ষার রূপসাধনের মধ্যে দিয়ে ধর্মের উদ্দেশ্যসাধন , চরিত্রগঠন , ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ , সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্বের যথাযথ অনুশীলন করা এবং বেদের চর্চা ও ধর্মাচরণের মধ্য দিয়ে জাতীয় শিক্ষা – সংস্কৃতির সংরক্ষণ এই শিক্ষার লক্ষ্য ।
ব্রাক্মণ্য শিক্ষার পাঠ্যক্রম : ব্রাহ্মণ্য যুগে পাঠ্যক্রম ছিল বর্ণভিত্তিক । এর সঙ্গে দু’টি বিদ্যা — পরাবিদ্যা ও অপরাবিদ্যার যোগ ছিল । পরাবিদ্যার শিক্ষার্থীদের আটটি বেদ , বেদাঙ্গ , পুরাণ , ইতিহাস , তর্কশাস্ত্র , ভূতবিদ্যা ইত্যাদি পড়তে হতো । ব্রাহ্মণদের পড়ার পাশাপাশি ধর্মীয় – অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করা , অধ্যাপনা এবং ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য ছাত্রদের পড়াতে হতো ।
ক্ষত্রিয়ের পাঠ্যক্রম : তির , ধনুক , তরবারি প্রভৃতি অস্ত্রের চালনা পদ্ধতি , যুদ্ধ করা , সৈন্য সাজানো , রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় ক্ষত্রিয়দের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ।
বৈশ্যদের পাঠ্যক্রম : শিক্ষার্থীদের শস্যবপন প্রণালী , পশুপালন , জমির গুণাগুণ বিচার , ধাতু ও রত্নের মূল্যবিচার শিখতে হতো । ব্যাবসার স্বার্থে বিভিন্ন ভাষা , ভৌগোলিক অবস্থান বিষয়ে জানতে হতো । কৃষি , বাণিজ্য , চিকিৎসাবিদ্যায় জ্ঞানার্জন করতে হতো । শূদ্রদের জন্য প্রথাগত কোনো শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না ।
শিক্ষাদান পদ্ধতি : ব্রাহ্মণ্য শিক্ষার রীতি অনুসারে শিক্ষাদানে যেসব পদ্ধতি ছিল , তা ছিল এইরকম—
উপক্রম : এটি ছিল শিক্ষার্জনের প্রথম পর্যায় । এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাপোযোগী প্রস্তুতি আনা হতো ।
শ্রবণ : এই পদ্ধতি অনুসারে শিক্ষাগুরুর কাছ থেকে সবকিছু শুনে শুনে শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হতো । কারণে শিক্ষার্থীরা সবকিছু মনোযোগ দিয়ে শুনত ।
মনন : এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা আলোচনা ও যুক্তির মাধ্যমে বিষয়বস্তুর তাৎপর্য উপলব্ধি করত ।
আবৃত্তি : এই স্তরে গুরুর পড়াশোনার বিষয়ে শোনার পর শিক্ষার্থীরা সমবেতভাবে আবৃত্তি করত ।
নিদিধ্যাস : ধ্যানের মাধ্যমে পরমসত্যকে উপলব্ধি করার নাম নিদিধ্যাস । ব্রাক্ষ্মণ্য শিক্ষায় কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না বুঝে মুখস্থ করাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হতো ।
আশ্রম : ব্রাহ্মণ্য শিক্ষায় গুরুর কথাই ছিল শেষকথা । শিক্ষার্থীদের কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলতে হতো । শিক্ষার্থীকে বলা হতো অন্তর্বাসী । আশ্রমে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হতো । এছাড়া এখানে দিবানিদ্রা নিষিদ্ধ ছিল । এছাড়া নিত্য , গীত , বাদ্য প্রভৃতিতে যোগদান না করার নিয়ম ছিল । প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ভিক্ষে করে অন্নসংগ্রহ , সংযত জীবনে অভ্যস্ত হওয়া , যজ্ঞের কাঠ সংগ্রহ করা এবং গুরুর দেখাশোনা করতে হতো ।
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 11 Class 11th Education Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :-
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Class 11 Suggestion 2024 | একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪
আরোও দেখুন:-
Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 English Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 History Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click Here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Education Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 All Subjects Suggestion 2024 Click here
Info : West Bengal Class 11 Education Qustion and Answer | WBCHSE Higher Secondary Eleven XI (Class 11th) Education Suggestion
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
” একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণী পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI / WB Class 11 / WBCHSE / Class 11 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11 Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন / একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ও উত্তর । Class 11 Education Suggestion / Class 11 Education Question and Answer / Class 11 Education Suggestion / Class 11 Pariksha Education Suggestion / Education Class 11 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 11 Education Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Education Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th Education Suggestion / Class 11 Education Question and Answer / Class 11 Education Suggestion / Class 11 Pariksha Suggestion / Class 11 Education Exam Guide / Class 11 Education Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / Class 11 Education Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class 11 Education Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Education Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Education Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান
বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Education Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
একাদশ শ্রেণি শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Education
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান (Class 11 Education) – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) | Class 11 Education Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Education Question and Answer Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান সহায়ক – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Education Question and Answer, Suggestion | Class 11 Education Question and Answer Suggestion | Class 11 Education Question and Answer Notes | West Bengal Class 11 Class 11th Education Question and Answer Suggestion.
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 Education Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) । Class 11 Education Suggestion.
WBCHSE Class 11th Education Suggestion | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়)
WBCHSE Class 11 Education Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) | Class 11 Education Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Class 11 Education Question and Answer Suggestions | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Education Question and Answer একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর Class 11 Education Question and Answer একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 11 Education Suggestion | একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Education Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Education Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 11 Education Suggestion Download WBCHSE Class 11th Education short question suggestion . Class 11 Education Suggestion download Class 11th Question Paper Education. WB Class 11 Education suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Class 11 Education Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Class 11 Education Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11 Education Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Eleven XI Education Suggestion | West Bengal Board WBCHSE Class 11 Exam
Class 11 Education Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBCHSE Class 11 Eleven XI Education Suggestion is provided here. Class 11 Education Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” একাদশ শ্রেণী শিক্ষা বিজ্ঞান – বৈদিক ও বৌদ্ধ শিক্ষা (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।