মাদার তেরেসার জীবনী
Mother Teresa Biography in Bengali
মাদার তেরেসার জীবনী – Mother Teresa Biography in Bengali : মানবমুক্তি ও মানব কল্যানের মূর্ত প্রতিক মাদার তেরেসা – প্রেম , শান্তি ও আশ্রয়ের প্রতীক একটি নাম । নিপীড়ন , শশাষণ ও নিষ্ঠুরতার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেবার জন্য যে সকল সাধু মহাত্মা অশেষ কষ্ট ভােগ করেছেন আজীবন , অকাতরে প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছেন , মাদার তেরেসা তাদেরই শেষ উত্তরাধিকারী।
মানবমুক্তি ও মানব কল্যানের মূর্ত প্রতিক মাদার তেরেসা এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । মাদার তেরেসা এর জীবনী – Mother Teresa Biography in Bengali বা মাদার তেরেসা এর আত্মজীবনী বা (Mother Teresa Jivani Bangla. A short biography of Mother Teresa. Mother Teresa Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) মাদার তেরেসা এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মাদার তেরেসা কে ছিলেন ? Who is Mother Teresa ?
মাদার তেরেসা (Mother Teresa) ছিলেন একজন আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মপ্রচারক। টেরিজার জন্মস্থান অটোমান সাম্রাজ্যের আলবেনিয়া রাজ্যের স্কপিয়ে। আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত মাদার তেরেসা (Mother Teresa) সেখানেই কাটান। ১৯২৮ সালে মাদার তেরেসা (Mother Teresa) আয়ারল্যান্ড হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচার অভিযানে আসেন। জীবনের বাকি অংশ মাদার তেরেসা (Mother Teresa) ভারতেই থেকে যান।
মানবমুক্তি ও মানব কল্যানের মূর্ত প্রতিক মাদার তেরেসার সংক্ষিপ্ত জীবনী – Mother Teresa Short Biography in Bengali :
নাম (Name) | মাদার তেরেসা (Mother Teresa) |
জন্ম (Birthday) | ২৬ আগস্ট ১৯১০ (26th August 1910) |
জন্মস্থান (Birthplace) | ইউস্কুপ, অটোম্যান সাম্রাজ্য |
অভিভাবক (Parents)/পিতামাতা | নিকোলাস বােজাকসহিউ (পিতা) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত (১৯৪৭-১৯৯৭) |
পেশা (Occupation) | ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী, ধর্মপ্রচারক |
পরিচিতির কারণ | দ্য মিশনারিজ অফ চ্যারিটি |
উত্তরসূরী | সন্ন্যাসিনী নির্মলা যোশি |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | নোবেল শান্তি পুরস্কার (১৯৭৯)
ভারতরত্ন (১৯৮০) প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম (১৯৮৫) বালজান পুরস্কার (১৯৭৮) |
মৃত্যু (Death) | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ (5th September 1997) |
মাদার তেরেসার জন্ম – Mother Teresa Birthday :
তৎকালীন যুগােস্লাভিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের একটি ছােট্ট গ্রাম স্কোপজে ( Skopje ) এখানেই এক আলবেনিয় রােমান ক্যাথলিক কৃষক পরিবারে ১৯১০ খ্রিঃ ২৭ শে আগস্ট মাদার তেরেসা (Mother Teresa) এর জন্ম হয় ।
মাদার তেরেসার পিতামাতা – Mother Teresa Parents :
মাদার তেরেসা (Mother Teresa) এর পিতার নাম নিকোলাস বােজাকসহিউ , পেশায় ছিলেন মুদি । তিনি মেয়ের নামকরণ করেছিলেন অ্যাগনেস গােনজহা জোকসহিউ ( Agenes Gonxha Bojaxhiu ) ।
আলবেনিয়ার এই দরিদ্র দম্পতি কোনও দিন ভাবতে পারেননি । তাদের অতি শান্ত কন্যাটি একদিন পৃথিবীর যাবতীয় দুঃখ মােচনের স্বপ্নকে রূপ দেবার জন্য নিজের জীবনকেই উৎসর্গ করবেন ।
ছােট্ট মেয়েটি করুনাময় যিশু আর মাতা মেরির ছবির সামনে চোখবন্ধ করে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে যে শক্তির প্রার্থনা করতেন তা ছিল তাদের অজানা । ঈশ্বরের কাছে এইনীরব প্রার্থনাই ছিল মাদারের যাবতীয় শক্তির উৎস ।
মাদার তেরেসার শৈশবকাল – Mother Teresa Childhood :
পরবর্তী জীবনেও যতই কাজ থাক প্রার্থনার সময়টি মাদার তেরেসা (Mother Teresa) প্রায় সামরিক নিয়মের কঠোরতায় রক্ষা করেছেন।
অ্যাগনেসরা ছিলেন দুইবােন ও এক ভাই, তার একটা পা ছিল কৃশ । শারীরিক এই বিকৃতির জন্য একটি লজ্জার আবরণ তাকে ঘিরে থাকতাে সবসময় ।
সাত বছর বয়সে অ্যাগনেস পিতৃহীন হন । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত যুগােস্লাভিয়ায় তার মা অনেক কষ্টে লালন পালন করেন সন্তান কটিকে । মায়ের প্রেরণাতেই দরিদ্রের প্রতি দয়া ও ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি বিশ্বাস লাভ করেছিলেন অ্যাগনেস । অল্প বয়স থেকেই ধর্মীয় কাজকর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন মাদার তেরেসা (Mother Teresa) ।
মাদার তেরেসার শিক্ষাজীবন – Mother Teresa Education Life :
স্কোপজের পাবলিক স্কুলে পড়বার সময়েই সােডালিটি সংঘের মিশনারিদের কাজকর্মের প্রতি অ্যাগনেসের মন আকৃষ্ট হয় । সঙ্গের পত্রপত্রিকাগুলি নিয়মিত পড়তেন তিনি ।
ওই পত্রিকাতেই ভারতের নানা খবর প্রকাশিত হত । তার নিজের কথায় , “ At the age of twelve I first knew I had a vocation to help the poor . I wanted to be a missionary .
স্কোপজে পাবলিক স্কুলের ক্লাসে যুগােস্লাভিয়ার জেসুইটদের চিঠি পড়ে শােনানাে হতাে । ওই সব চিঠিতে কোলকাতার কথাও বিশেষভাবে থাকতাে । সে সব শুনে শুনেই কলকাতার প্রতি একটা আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল অ্যাগনেসের মনে ।
মাদার তেরেসার লরেটা সংঘে যোগদান – Mother Teresa Joined Loreta :
খবর নিয়ে জানতে পারলেন আয়ারল্যান্ডের লরেটো সঙঘ ভারতে কাজ করছে । লরেটো সঘের প্রধান কার্যালয় ডাবলিনে যােগাযােগ করলেন মাদার তেরেসা (Mother Teresa) । তারপর মায়ের অনুমতি নিয়ে যােগ দিলেন লরেটো সঙেঘ । গেলেন আয়ারল্যান্ডের বাথানহামে । তখন মাদার তেরেসা (Mother Teresa) এর বয়স মাত্র আঠারাে বছর ।
সেই বছরেই , ১৯২৮ খ্রিঃ অ্যাগনেস জাহাজে ভেসে চলে এলেন কলকাতায় । যােগ দিলেন আইরিশ সন্ন্যাসিনীদের প্রতিষ্ঠান সিস্টারস অব লরেটোতে ।
মাদার তেরেসার এন্টালি সেন্ট মেরিজ স্কুলের বাংলা বিভাগে শিক্ষয়িত্রী নিযুক্ত – Mother Teresa Joined Sent Merry School :
সেই প্রথম বাংলার মাটি মাদার তেরেসাকে (Mother Teresa) বরণ করে নিল । সেই শুরুর দিন থেকেই অ্যাগনেস মনে প্রাণে হয়ে গেলেন বাংলারই মানুষ ।
তখনাে পর্যন্ত মাদার তেরেসা (Mother Teresa) পুরাে সন্ন্যাসিনী হন নি । শিক্ষানবিশী পর্ব শেষ করার জন্য তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল দার্জিলিঙে ।
দুবছরের পাঠক্রম শেষ করে গ্রহণ করলেন সন্ন্যাসিনী ব্রত সিস্টার । অ্যাগনেস হয়ে ফিরে এলেন কলকাতায় । এন্টালি সেন্ট মেরিজ স্কুলের বাংলা বিভাগে শিক্ষয়িত্রী নিযুক্ত হলেন । মাদার তেরেসা (Mother Teresa) এর পড়াবার বিষয় ছিল ভূগােল ও ইতিহাস ।
মাদার তেরেসার সেন্ট মেরিজ স্কুলের অধ্যক্ষা :
কুড়ি বছর মাদার তেরেসা (Mother Teresa) ওই স্কুলের শিক্ষয়িত্রী ছিলেন । ১৯৪২ খ্রিঃ হন ওই স্কুলের অধ্যক্ষা । স্কুলে শিক্ষকতার সময়েই নিকট মতিঝিল বস্তির বাসিন্দাদের দাবি , শিসে কষ্ট মাদার তেরেসাকে (Mother Teresa) গারাবে বিচলিত করে ।
মাদার তেরেসা দুর্ভিক্ষের সময় :
সেটা ছিল দ্বিতীয় শিশুকের চাল । মানুষের সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে শহর কলকাতার তখন নাতিপাস । দুমুঠো ভাতে ‘ আশা , একটি ফ্যানের আশায় দলে দলে গ্রামের মানুষ ভিড় করছে কলকাতায় , অনাহারে কুখাদ্য খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে মারা যাচ্ছে ।
সিস্টার অ্যাগনেস এই সময়েই শুরু করলেন তাঁর কাজ । অচিরেই তিনি বুঝতে পারলেন পেছনে বঙ্গন রেখে দরিদ্র ‘ আর্তের সেবা হয় । এখানকার অতি দীন ক্ষুধার্ত মানুষদের পাশে ‘ আশা – ভরসার ঝুলি নিয়ে দাঁড়াতে হলে তাকে চার দেওয়ালের গণ্ডির নিশ্চিত জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ।
১৯৪৬ খ্রি : ১০ ই সেপ্টেম্বর দার্জিলিং যাওয়ার সময় এক অলৌকিক উপলব্ধি হল তার । মাদার তেরেসা (Mother Teresa) যেন ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ শুনতে পেলেন ।
[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]
মাদার তেরেসার বাণী – Mother Teresa’s words :
এই উপলব্ধির কথা বলতে গিয়ে মাদার নিজেই বলেছেন , “ … a call within a call …… The message was clear . 1 was to leave the convent and help the poor , while living among them . ”
গরিবের সেবা করতে হলে গরিব হয়ে তাদের মধ্যে থেকেই তা করতে হবে । ঈশ্বরের এই আদেশ লাভের দিনটিকে আমৃত্যু স্মরণ । করতেন মাদার । তিনি বলতেন দ্য ডে অব ডিসিশন — অনুপ্রেরণার দিন ।
সিস্টার অ্যাগনেস থেকে মাদার তেরেসায় রূপান্তরিত হবার সেই ছিল সূত্রপাত । মাদার প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটি এই দিনটিকে অনুপ্রেরণা দিবস হিসেবে পালন করে । সংঘ মনে করে ১০ ই সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ খ্রিঃ তাদের সম্মের গােড়াপত্তন হয়।
মাদার সুপিরিয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অ্যাগনেস । ললারেটোর কাজ ছেড়ে দিলেন । লােরেটো সন্ন্যাসিনীদের আলখাল্লা । ছেড়ে তুলে নিলেন মােটা নীলপাড় শাড়ি ।
সেদিন তার সম্বল বলতে ছিল পাঁচটি টাকা , একটি বাইবেল , ক্রন্স গাথা একটি জপের মালা । আর সঙ্গে ছিল অকল্পনীয় মনােবল ও ঈশ্বরে নির্ভরতা ।
মাদার তেরেসার মিশনারী অব চ্যারিটি স্থাপন – Mother Teresa Establish Missionary Of charity :
১৯৫০ খ্রি : একান্ত নিঃস্ব অবস্থায় শুরু করলেন মাদার তেরেসা (Mother Teresa) এর প্রথম সেবাব্রতের কাজ । স্থাপন করলেন তাঁর মিশনারী অব চ্যারিটি ।
এভাবেই কলকাতায় মাদার তেরেসা (Mother Teresa) আত্মনিয়ােগ করলেন মানুষ ও মানবতার সেবায় । মনপ্রাণ ঢেলে দিলেন নিপীড়িত দুইদরিদ্র অসহায় গণদেবতার সেবায় । তিলে তিলে গড়ে তুলতে লাগলেন তার সেবা প্রতিষ্ঠান । দুঃখী দুঃস্থ আর্ত জর্জরিত মানুষকে তিনি একান্ত মায়ের স্নেহ – মমতায় বুকে তুলে নিতে লাগলেন ।
মাত্র পাঁচ টাকা মূলধন নিয়ে মাদার তেরেসা (Mother Teresa) যে মিশনারিজ অব চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন , তা আজ সারা বিশ্বে সম্প্রসারিত হয়েছে শত শাখা – প্রশাখায় । মানবতার সেবা ও শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য তিনি বহুদেশে বহু শিশুভবন , মহিলা কর্মকেন্দ্র , ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র , খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ কেন্দ্র এবং কুষ্ঠাশ্রম ইত্যাদি স্থাপন করেছেন ।
[আরও দেখুন, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর জীবনী – Sarvepalli Radhakrishnan Biography in Bengali]
মাদার তেরেসার রোগীদের জন্য চিকিৎসা ও সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলা :
মাদার তেরেসা কুষ্ঠ রােগীদের জন্য গড়ে তােলেন একটি চিকিৎসা ও সেবাকেন্দ্র । এই মহীয়সী নারী বৃদ্ধ বয়সেও সেবাব্রতের কাজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে – দেশে অক্লান্তভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন । মাঝে মাঝে মাদার তেরেসা (Mother Teresa) অসুস্থ হয়ে পড়েন ও আবার সুস্থ হয়ে মানবতার সেবায় আত্মনিয়ােগ করেন । মুমূর্যদুস্থ দরিদ্রকে বুকে জড়িয়ে ধরেন । মাতৃত্বের এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল ।
মানুষকে ভালবাসার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাদার তেরেসা । গােটা বিশ্ব তা স্বীকার করেছে আনত মস্তকে , দুহাত ভরে পুরস্কার দিয়েছে তাকে ।
মাদার তেরেসার পুরস্কার সমুহ – Mother Teresa’s Prizes :
১৯৬২ খ্রিঃ ভারত সরকার পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেছে । সে বছরই মাদারকে দেওয়া হয় ম্যাগসেসে পুরস্কার । সেবছরই ষষ্ঠ পােপ পলের হাত থেকে গ্রহণ করেন ২৩ তম পােপ জন শান্তি পুরস্কার । একই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বােস্টনে তাকে দেওয়া হয় গুডসামারিটান পুরস্কার ।
একমাস পরেই পান জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং পুরস্কার । আধ্যাত্মিকতা বিকাশের স্বীকৃতি হিসেবে ইংলন্ডের প্রিন্স ফিলিপ ১৯৭৩ খ্রিঃ মাদারের হাতে তুলে দেন টেম্পলটন অ্যাওয়ার্ড ফর প্রগ্রেস ইন রিলিজিয়ন ।
নোবেল পুরস্কার জয়ী মাদার তেরেসা – Mother Teresa’s Nobel prize :
১৯৭৯ খ্রিঃ মাদারকে শান্তির জন্য দেওয়া হল নােবেল পুরস্কার । ১৯৮০ খ্রিঃ মাদার তেরেসা (Mother Teresa) পেলেন ভারত সরকারের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ভারতরত্ন ।
[আরও দেখুন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali]
মাদার তেরেসার সন্ত উপাধি :
প্রয়াত মাদার তেরেসাকে ৪ ঠা সেপ্টেম্বর ২০১৬ “ সন্ত ” উপাধিতে ভূষিত করেছেন রােমান ক্যাথলিক চার্চের পােপ ফ্রান্সিস ।
মাদার তেরেসার মৃত্যু – Mother Teresa Death :
প্রেম , করুণা , মায়া – মমতা , সেবা – শুশ্রুষার এক জীবন্ত প্রতিমা মাদার তেরেসা । দুস্থ দরিদ্র অসহায় অবহেলিত রােগজর্জরিত মানুষের ত্রাণকত্রী , মানবমুক্তি ও মানবকল্যাণের মূর্ত প্রতীক মাদার তেরেসা । ১৯৯৭ খ্রিঃ ৬ ই সেপ্টেম্বর জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে পৌছে গেলেন অমৃতলােকে ।
মাদার তেরেসার জীবনী (প্রশ্ন ও উত্তর) – Mother Teresa Biography in Bengali (FAQ):
- মাদার তেরেসার জন্ম কবে হয় ?
Ans: মাদার তেরেসার জন্ম হয় ২৬ আগস্ট ১৯১০ সালে।
- মাদার তেরেসার পিতার নাম কী ?
Ans: মাদার তেরেসার পিতার নাম নিকোলাস বােজাকসহিউ ।
- মাদার তেরেসা কে ছিলেন ?
Ans: মাদার তেরেসা ছিলেন একজন আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মপ্রচারক ।
- মাদার তেরেসা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
Ans: মাদার তেরেসা জন্মগ্রহণ করেন ইউস্কুপ, অটোম্যান সাম্রাজ্য ।
- মাদার তেরেসা কবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ?
Ans: মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ।
- মাদার তেরেসা কবে ভারতরত্ন পান ?
Ans: মাদার তেরেসা ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন পান ।
- মাদার তেরেসা কবে ভারতে আসেন ?
Ans: মাদার তেরেসা ১৯২৮ সালে ভারতে আসেন ।
- মাদার তেরেসা কবে পদ্মশ্রী পান ?
Ans: মাদার তেরেসা ১৯৬২ সালে পদ্মশ্রী পান ।
- মাদার তেরেসার উত্তরসুরী কে ছিলেন ?
Ans: মাদার তেরেসার উত্তরসুরী ছিলেন সন্ন্যাসিনী নির্মলা যোশি।
- মাদার তেরেসা কবে জন্মগ্রহণ করেন?
Ans: মাদার তেরেসা জন্মগ্রহণ করেন ২৬ আগস্ট ১৯১০ সালে।
- মাদার তেরেসার মৃত্যু কবে হয় ?
Ans: মাদার তেরেসার মৃত্যু হয় ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে।
- মাদার তেরেসা কবে মারা যান?
Ans: মাদার তেরেসা মারা যান ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে।
[আরও দেখুন, জহরলাল নেহেরু জীবনী – Jawaharlal Nehru Biography in Bengali
আরও দেখুন, বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনী – Bidhan Chandra Ray Biography in Bengali
আরও দেখুন, গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের জীবনী – Gopal Chandra Bhattacharya Biography in Bengali
আরও দেখুন, হরগোবিন্দ খোরানার জীবনী – Har Gobind Khorana Biography in Bengali]
মাদার তেরেসা এর জীবনী – Mother Teresa Biography in Bengali
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” মাদার তেরেসা এর জীবনী – Mother Teresa Biography in Bengali ” পােস্টটি পড়ার জন্য। মাদার তেরেসা এর জীবনী – Mother Teresa Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই মাদার তেরেসা এর জীবনী – Mother Teresa Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।