উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়)
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer : উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer, Suggestion, Notes – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
শ্রেণী | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10) |
বিষয় | মাধ্যমিক ইতিহাস (Madhyamik History) |
বিষয় | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব : ১৯৪৭-১৯৬৪ (Uttar Aupniveshik Bharat) |
অধ্যায় | অষ্টম অধ্যায় (8th Chapter) |
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer
MCQ | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer :
- ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের প্রত্যক্ষ সূচনা হয়—
(A) ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয় –
(A) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (C) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
- দেশ বিভাজনের মাধ্যমে স্বাধীন ভারতের উদ্ভব হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের—
(A) ১৩ আগস্ট
(B) ২৪ আগস্ট
(C) ১৫ আগস্ট
(D) ১৬ আগস্ট
Ans: (C) ১৫ আগস্ট
- পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের—
(A) ১৩ আগস্ট
(B) ১৪ আগস্ট
(C) ১৫ আগস্ট
(D) ১৬ আগস্ট
Ans: (B) ১৪ আগস্ট
- ভারতবর্ষ ভেঙে পাকিস্তান রাষ্ট্রগঠনের মূল ভিত্তি ছিল —–—
(A) রাজনৈতিক বিন্যাস
(B) ভৌগোলিক অবস্থান
(C) খাদ্যাভ্যাস সংস্কৃতি
(D) ধর্ম ও ভাষা
Ans: (D) ধর্ম ও ভাষা
- পাকিস্তান রাষ্ট্রটির যে দুটি অংশ ছিল—
(A) পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান
(B) পূর্ব ও উত্তর পাকিস্তান
(C) উত্তর ও দক্ষিণ পাকিস্তান
(D) দক্ষিণ ও পশ্চিম পাকিস্তান
Ans: (A) পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান
- পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের ভাষা ছিল –
(A) হিন্দি
(B) বাংলা
(C) উর্দু
(D) ফারসি
Ans: (C) উর্দু
- পাকিস্তান ডোমিনিয়নের প্রথম গভর্নর জেনারেল হল –
(A) মহঃ আয়ুব খান
(B) মহম্মদ আলি জিন্না
(C) মৌলানা আব্দুল কালাম আজাদ
(D) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
Ans: (B) মহম্মদ আলি জিন্না
- ভারত বিভাজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন –
(A) লর্ড ওয়াভেল
(B) লর্ড ওয়েলিংডন
(C) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
(D) লর্ড আরউইন
Ans: (C) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
- ভারত বিভাগের পরিকল্পনা ঘোষিত হয়েছিল—
(A) ওয়াভেল পরিকল্পনায়
(B) মন্ত্রী মিশনের পরিকল্পনায়
(C) মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনায়
(D) রাজাজি সূত্রে
Ans: (C) মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনায়
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik History Suggestion 2024 Click here ]
- ভারতে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের—
(A) ২ সেপ্টেম্বর
(B) ২৫ অক্টোবর
(C) ২৪ সেপ্টেম্বর
(D) ২৮ অক্টোবর
Ans: (A) ২ সেপ্টেম্বর
- ভারতের হাতে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসের মধ্যেই স্বাধীনতা প্রদানের ঘোষণা করেন—
(A) লর্ড ওয়াভেল
(B) উইনস্টন চার্চিল
(C) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
(D) ক্লিমেন্ট এটলি
Ans: (D) ক্লিমেন্ট এটলি
- ভারতের স্বাধীনতা আইন পাস হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের—
(A) ১৮ জুলাই
(B) ১৪ আগস্ট
(C) ২৬ জুলাই
(D) ১৫ আগস্ট
Ans: (A) ১৮ জুলাই
- ভারতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের গণপরিষদের বিশেষ অধিবেশন বসেছিল –
(A) ১২-১৩ আগস্ট
(B) ১৩- ১৪ আগস্ট
(C) ১৪-১৫ আগস্ট
(D) ১৫-১৬ আগস্ট
Ans: (C) ১৪-১৫ আগস্ট
- ভারতের গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন –
(A) জওহরলাল নেহরু
(B) কে . এম . মুন্সী
(C) মহাত্মা গান্ধি
(D) ড . রাজেন্দ্রপ্রসাদ
Ans: (D) ড . রাজেন্দ্রপ্রসাদ
- ‘ রাজাকার ’ বাহিনী গড়ে তোলেন—
(A) জেনারেল জে . এন . চৌধুরী
(B) কাশেম রেজভি
(C) নওয়াজ শরিফ
(D) শেখ আবদুল্লাহ
Ans: (B) কাশেম রেজভি
- হায়দরাবাদের অধিবাসীদের সর্বাধিক সংখ্যক জনগণ ছিলেন –
(A) হিন্দু
(B) বৌদ্ধ
(C) মুসলিম
(D) খ্রিস্টান
Ans: (A) হিন্দু
- হায়দরাবাদ ভারতের সঙ্গে ‘ স্থিতাবস্থা চুক্তি করেছিল—
(A) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
- হায়দরাবাদ অধিকারকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন –
(A) জয়ন্তনাথ রায়চৌধুরী
(B) সব্যসাচী রায়
(C) এ . কে . চ্যাটার্জী
(D) জয়ন্ত রায়
Ans: (A) জয়ন্তনাথ রায়চৌধুরী
- ভারতের পণ্ডিচেরি , মাহে ও চন্দননগর ছিল –
(A) ইংল্যান্ডের অধীনে
(B) জার্মানির অধীনে
(C) ফ্রান্সের অধীনে
(D) পোল্যান্ডের অধীনে
Ans: (C) ফ্রান্সের অধীনে
- বাংলায় ফরাসিদের উপনিবেশ ছিল—
(A) চট্টগ্রাম
(B) চন্দননগর
(C) কলকাতা
(D) মুরশিদাবাদ
Ans: (B) চন্দননগর
- গোয়া ভারতভুক্ত হয়—
(A) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে
- জুনাগড় ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়—
(A) ভারতে
(B) কাশ্মীরে
(C) পাকিস্তানে
(D) হায়দরাবাদে
Ans: (C) পাকিস্তানে
- জুনাগড় রাজ্য কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ?
(A) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে
- গান্ধিবাদী নেতা আবদুল গফ্ফর খান যেখানে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন , তা হল –
(A) ভারতে
(B) পাকিস্তানে
(C) কাশ্মীরে
(D) হায়দরাবাদে
Ans: (B) পাকিস্তানে
- স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের সভাপতিত্বে দুটি সীমানা কমিশন গঠিত হয়—
(A) মার্চ , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) এপ্রিল , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(C) জুন , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(D) জুলাই , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) জুলাই , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
- সিরিল র্যাডক্লিফের সীমানা কমিশন রিপোর্ট প্রকাশিত হয় –
(A) ১৪ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৫ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৬ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৭ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (C) ১৬ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ কী ধরনের রাষ্ট্র দাবি করে ?
(A) হিন্দু রাষ্ট্র
(B) ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র
(C) মুসলমান রাষ্ট্র
(D) হিন্দু – মুসলিম জোট রাষ্ট্র
Ans: (A) হিন্দু রাষ্ট্র
- ভারতের পাঞ্জাব বিধানসভা পাঞ্জাব বিভাজনের সপক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের –
(A) ২১ জুন
(B) ২০ জুন
(C) ২৩ জুন
(D) ২৪ জুন
Ans: (C) ২৩ জুন
- ভারতের বাংলা বিধানসভা বাংলা বিভাজনের সপক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের—
(A) ২৩ জুন
(B) ২০ জুন
(C) ২৫ জুন
(D) ২৮ জুন
Ans: (B) ২০ জুন
- সীমানা কমিশনের মাধ্যমে ভারতের অন্তর্গত পূর্ব পাঞ্জাবের আয়তন ছিল—
(A) ৩০,০০০ বর্গ মাইল
(B) ৩৮,০০০ বর্গ মাইল
(C) ৩৭,০০০ বর্গ মাইল
(D) ৩৯,০০০ বর্গ মাইল
Ans: (C) ৩৭,০০০ বর্গ মাইল
- পাঞ্জাবকে বিভক্ত করে ভারতের সঙ্গে যে অংশ যোগ করা হয় তা হল –
(A) পূর্ব পাঞ্জাব
(B) উত্তর পাঞ্জাব
(C) পশ্চিম পাঞ্জাব
(D) দক্ষিণ পাঞ্জাব
Ans: (A) পূর্ব পাঞ্জাব
- সীমানা কমিশনের মাধ্যমে আয়তন ছিল –
(A) ২০,০০০ বর্গ মাইল
(B) ২৮,০০০ বর্গ মাইল
(C) ২৫,০০০ বর্গ মাইল
(D) ৩০,০০০ বর্গ মাইল
Ans: (B) ২৮,০০০ বর্গ মাইল
- ভারতের স্বাধীনতালাভের পর কোন্ সমস্যাটি তীব্র হয়ে দেখা দেয় ?
(A) খাদ্য সংকট
(B) বেকার সমস্যা
(C) উদ্বাস্তু সমস্যা
(D) শিক্ষা সংকট
Ans: (C) উদ্বাস্তু সমস্যা
- উদ্বাস্তু সমস্যা সবচেয়ে প্রকট হয়—
(A) পশ্চিমবাংলা ও বিহারে
(B) পশ্চিমবাংলা ও পাঞ্জাবে
(C) মধ্যপ্রদেশ ও কেরালায়
(D) গুজরাট ও অন্ধ্রপ্রদেশে
Ans: (B) পশ্চিমবাংলা ও পাঞ্জাবে
- উদ্বাস্তুদের মধ্যে যারা বেশি করে আক্রমণের শিকার হয়েছিল তারা হল –
(A) পুরুষ
(B) নারী
(C) শিশু
(D) বৃদ্ধ – বৃদ্ধা
Ans: (B) নারী
- জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রীসভায় পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন—
(A) বি . আর . আম্বেদকর
(B) বল্লভভাই প্যাটেল
(C) মোহনলাল সাক্সেনা
(D) চিন্তামন দেশমুখ
Ans: (C) মোহনলাল সাক্সেনা
- উদ্বাস্তুদের সরকারি সাহায্যদানের বিষয়টি যে নামে পরিচিত , তা হল—
(A) ডোল
(B) টোল
(C) ঢোল
(D) খোল
Ans: (A) ডোল
- নেহরু – লিয়াকৎ চুক্তি হয় –
(A) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে
- ‘ টোবা টেক সিং ‘ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –
(A) ভীষ্ম সাহানি
(B) খুশবন্ত সিং
(C) উকশী বুটালিয়া
(D) সাদাত হাসান মান্টো
Ans: সাদাত হাসান মান্টো
- ‘ ওয়েটিং ফর দ্য মহাত্মা ‘ গ্রন্থটি রচনা করেছেন –
(A) ভীষ্ম সাহানি
(B) কুলবন্ত সিং
(C) জ্ঞানের পাড়ে
(D) আর . কে . নারায়ণ
Ans: (D) আর . কে . নারায়ণ
- ‘ এ ট্রেন টু পাকিস্তান ‘ লিখেছেন—
(A) জওহরলাল নেহরু
(B) খুশবন্ত সিং
(C) ভি . পি . মেনন
(D) সলমন রুশদি
Ans: (B) খুশবন্ত সিং
- ‘ তমস ‘ উপন্যাসটি কে রচনা করেন ?
(A) সতীনাথ ভাদুড়ী
(B) ঋত্বিক ঘটক
(C) মৃণাল সেন
(D) ভীষ্ম সাহানি
Ans: (D) ভীষ্ম সাহানি
- ‘ মিডনাইটস্ চিলড্রেন ‘ গ্রন্থটি লিখেছেন –
(A) খুশবন্ত সিং
(B) উর্বশী বুটালিয়া
(C) সলমন রুশদি
(D) ভীষ্ম সাহনি
Ans: (C) সলমন রুশদি
- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ‘ তৈরি করা হয়েছিল—
(A) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সভাপতি ছিলেন –
(A) এম . পানিক্কর
(B) জওহরলাল নেহরু
(C) এস . কে . দর
(D) ফজল আলি
Ans: (D) ফজল আলি
- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন –
(A) ফজল আলি
(B) ভি . পি . মেনন
(C) এম . পানিক্কর
(D) হৃদয়নাথ কুঞ্জরু
Ans: (A) ফজল আলি
- রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয়—
(A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
- ভাষাভিত্তিক ‘ রাজ্য পুনর্গঠন আইন ‘ চালু হয় –
(A) নভেম্বর , ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(B) নভেম্বর , ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে
(C) নভেম্বর , ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
(D) নভেম্বর , ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) নভেম্বর , ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে ভারতে অঙ্গরাজ্য বা প্রদেশের সংখ্যা দাঁড়ায়—
(A) ১২ টি
(B) ১৪ টি
(C) ২০ টি
(D) ২১ টি
Ans: (B) ১৪ টি
- রাজ্য পুনর্গঠন আইন কার্যকর হয়—
(A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে
- রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য গঠিত জে.ভি.পি কমিটির সদস্য ছিলেন—
(A) জওহরলাল নেহরু , বল্লভভাই প্যাটেল , পটুভি সীতারামাইয়া
(B) জওহরলাল নেহরু , বল্লভভাই প্যাটেল , পি . মেনন
(C) জে . কে . রায় , বল্লভভাই প্যাটেল , পি . মেনন
(D) জে . কে . রায় , বল্লভভাই প্যাটেল , পটুভি সীতারামাইয়া
Ans: (A) জওহরলাল নেহরু , বল্লভভাই প্যাটেল , পটুভি সীতারামাইয়া
- ‘ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ‘ ভারতে ক – টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সুপারিশ করে ?
(A) ৩ টি
(B) ৫ টি
(C) ৪ টি
(D) ৬ টি
Ans: (D) ৬ টি
- ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়—
(A) ১৯৫০-৫১ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫২-৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫৩-৫৪ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতীয় সংবিধানে প্রধান ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় —
(A) ১৪ টি ভাষাকে
(B) ১২ টি ভাষাকে
(C) ১৬ টি ভাষাকে
(D) ১৮ টি ভাষাকে
Ans: (A) ১৪ টি ভাষাকে
- সংবিধানে সরকারি ভাষা সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে—
(A) পঞ্চম তফসিলে
(B) সপ্তম তফসিলে
(C) অষ্টম তফসিলে
(D) ষষ্ঠ তফসিলে
Ans: (C) অষ্টম তফসিলে
- ভারতের রাষ্ট্রভাষা কোন্টি ?
(A) বাংলা
(B) হিন্দি
(C) ইংরেজি
(D) উর্দু
Ans: (B) হিন্দি
- প্রাথমিক পর্বে ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করেন –
(A) বল্লভভাই প্যাটেল
(B) পট্টভি সীতারামাইয়া
(C) জওহরলাল নেহরু
(D) এঁদের সকলেই
Ans: (D) এঁদের সকলেই
- তেলুগু নেতা পট্টি শ্রীরামালু স্বতন্ত্র অন্ধ্রপ্রদেশের দাবি ও অনশন শুরু করেন –
(A) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে
- ভাষার ভিত্তিতে পুনর্গঠিত ভারতের প্রথম রাজ্যের নাম হল –
(A) তামিলনাড়ু
(B) কেরালা
(C) অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ
(D) মহারাষ্ট্র
Ans: (C) অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ
- ভারতের প্রথম ভাষাভিত্তিক রাজ্যের নাম হল –
(A) কাশ্মীর
(B) পশ্চিমবঙ্গ
(C) অন্ধ্রপ্রদেশ
(D) আসাম
Ans: (C) অন্ধ্রপ্রদেশ
- স্বতন্ত্র অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হয় ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের –
(A) জানুয়ারি
(B) ১ মার্চ
(C) ১ সেপ্টেম্বর
(D) ১ অক্টোবর
Ans: (D) ১ অক্টোবর
- ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ভারতকে যে কয়টি প্রদেশে বিভক্ত করা হয় , তা হল –
(A) ১২ টি
(B) ১৬ টি
(C) ১০ টি
(D) ১৪ টি
Ans: (B) ১৬ টি
- বোম্বাই প্রদেশকে বিভক্ত করে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট প্রদেশে ভাগ করা হয় –
(A) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion 2024 Click here ]
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer :
- ভারতের স্বাধীনতা আইন করে অনুমোদিত হয় ?
Ans: ভারতের স্বাধীনতা আইন পাস করা হয় ১৮ জুলাই , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ।
- কবে স্বাধীন ভারত গঠিত হয় ?
Ans: স্বাধীন ভারত গঠিত হয় ১৫ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ।
- উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত বলতে কী বোঝায় ?
Ans: উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত বলতে বোঝায় স্বাধীনতা লাভের পরবর্তীকালের ভারতকে ।
- ভারতে কবে সংবিধান কার্যকরী হয় ?
Ans: ভারতে ২৬ জানুয়ারি , ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে সংবিধান কার্যকরী হয় ।
- কোন্ দিনটি ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস রূপে পালিত হয় ?
Ans: ২৬ জানুয়ারি দিনটি ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস রূপে পালিত হয় ।
- স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম কী ?
Ans: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম হল জওহরলাল নেহরু ।
- স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতে কতগুলি দেশীয় রাজ্য ছিল ?
Ans: স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতে ৫৬২ টি দেশীয় রাজ্য ছিল ।
- ভারতের লৌহমানব ‘ নামে কে পরিচিত ?
Ans: সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ‘ ভারতের লৌহমানব ‘ নামে পরিচিত ।
- স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে ছিলেন ?
Ans: স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ।
- দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কোন ব্রিটিশ প্রশাসক ভারতীয়দের সাহায্য করেন ।
Ans: দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতীয়দের সাহায্য করেন ।
- ভি . পি . মেনন কে ছিলেন ?
Ans: ডি . পি . মেনন ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ।
- দেশীয় রাজা দপ্তর করে খোলা হয় ?
Ans: দেশীয় রাজ্য দপ্তর খোলা হয় জুন , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ।
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে কার কৃতিত্ব ছিল সর্বাধিক ?
Ans: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে সর্বাধিক কৃতিত্ব ছিল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ।
- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মোট কয়টি দেশীয় রাজ্যকে ভারতভুক্ত করেন ?
Ans: সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মোট ৫৬২ টি দেশীয় রাজ্যকে ভারতভুক্ত করেন ।
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দলিলটির নাম কী ছিল ?
Ans: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দলিলটির নাম ‘ ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন ‘ ।
- ‘ প্রিভি পার্স ’ কী ?
Ans: ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভারতে যোগদানকারী রাজাদের রাজকীয় বৃত্তি ও খেতাব রক্ষার কথা বলা হয় । এই বৃত্তি ‘ প্ৰিভি পার্স ‘ নামে পরিচিত ।
- স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় সেনাপতি কে ছিলেন ?
Ans: স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় সেনাপতি ছিলেন জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরি ।
- কোন্ দেশীয় রাজ্য প্রথম ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করে ?
Ans: রাণা প্রতাপের বংশধর শিশোদিয়া বংশের মেবারের মহারাণা প্রথম ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন ।
- রাজপুত রাজ্যগুলি পরে কী নামে পরিচিত হয় ?
Ans: রাজপুত রাজ্যগুলি রাজস্থান নামে পরিচিত হয় ।
- যে সমস্ত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দিতে চায়নি । তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রাজ্যের নাম লেখো ।
Ans: যে সমস্ত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দিতে চায়নি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রাজ্য হায়দরাবাদ ।
- ভারতের স্বাধীনতালাভের সময় কাশ্মীর নামক দেশীয় রাজ্যের রাজা কে ছিলেন ?
Ans: ভারতের স্বাধীনতালাভের সময় কাশ্মীর নামক দেশীয় রাজ্যের রাজা ছিলেন হরি সিং ।
- হরি সিং কবে ভারতভুক্তি দলিলে স্বাক্ষর করেন ?
Ans: হরি সিং ভারতভুক্তি দলিলে স্বাক্ষর করেন ২৬ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ।
- হরি সিং – এর প্রধানমন্ত্রীর নাম কী ছিল ?
Ans: হরি সিং – এর প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল মেহেরচাঁদ মহাজন ।
- কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রজারা ছিল কারা ?
Ans: কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রজারা ছিল সাধারণত ইসলাম ধর্মাবলম্বী ।
- কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম কী ?
Ans: কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম ন্যাশনাল কনফারেন্স ।
- কাশ্মীরের ন্যাশানাল কনফারেন্সের সর্বোচ্চ নেতা কে ছিলেন ?
Ans: কাশ্মীরের ন্যাশানাল কনফারেন্সের সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন শেখ আবদুল্লাহ্ ।
- ‘ আজাদ কাশ্মীর ‘ কী ?
Ans: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর বলা হয় ।
- ভারতের বৃহত্তম দেশীয় রাজ্য ছিল কোন্টি ?
Ans: ভারতের বৃহত্তম দেশীয় রাজ্য হায়দরাবাদ ।
- হায়দরাবাদের শাসক কী নামে পরিচিত ?
Ans: হায়দরাবাদের শাসক ‘ নিজাম ‘ নামে পরিচিত ।
- ভারতের স্বাধীনতাকালে হায়দরাবাদের শাসকের নাম কী ছিল ?
Ans: ভারতের স্বাধীনতাকালে হায়দরাবাদের শাসকের নাম ছিল ওসমান আলি খান ।
- হায়দরাবাদের ‘ রাজাকার ’ বাহিনী কে গঠন করেন ?
Ans: হায়দরাবাদের ‘ রাজাকার ’ বাহিনী গঠন করেন কাসেম রেজভি ।
- হায়দরাবাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রজারা ছিল কারা ?
Ans: হায়দরাবাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রজারা ছিল মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বী ।
- হায়দরাবাদ কবে ভারতের সঙ্গে স্থিতাবস্থা চুক্তি করে ?
Ans: হায়দরাবাদ নভেম্বর , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সঙ্গে স্থিতাবস্থা চুক্তি করে ।
- ভারত কবে সমগ্র হায়দরাবাদ দখল করে ।
Ans: ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সমগ্র হায়দরাবাদ দখল করে ।
- হায়দরাবাদ দখলকালে ভারতের সামরিক জেনারেল কে ছিলেন ?
Ans: হায়দরাবাদ দখলকালে ভারতের সামরিক জেনারেল ছিলেন জয়ন্তনাথ চৌধুরি ।
- ভারতের হায়দরাবাদ অভিযানের নাম কী ছিল ?
Ans: ভারতের হায়দরাবাদ অভিযানের নাম ছিল অপারেশন পোলো ।
- দেশভাগ সম্পর্কিত হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় – এর রচিত গ্রন্থটির নাম কী ?
Ans: দেশভাগ সম্পর্কিত হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় – এর রচিত উ গ্রন্থটি হল ‘ উদ্বাস্তু ‘ ।
- ছেড়ে আসা গ্রাম ‘ কী ধরনের সাহিত্য ?
Ans: ‘ ছেড়ে আসা গ্রাম ‘ স্মৃতিকথামূলক সাহিত্য ।
- ‘ কমিউনিটি স্টেট অ্যান্ড জেন্ডার …. ‘ গ্রন্থটির লেখক কে ?
Ans: ‘ কমিউনিটি স্টেট অ্যান্ড জেন্ডার … ‘ গ্রন্থটির লেখক উর্বশী বুটালিয়া ।
- দেশভাগ – কেন্দ্রিক কয়েকটি ভারতীয় সাহিত্যের নাম বলো ।
Ans: দেশভাগ – কেন্দ্রিক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ভারতীয় সাহিত্য হল অমৃতা প্রীতমের ‘ পিঞ্জর ’ , ভীষ্ম সাহানির ‘ তমস ‘ , খুশবন্ত সিং – এর ‘ এ ট্রেন টু পাকিস্তান ’ এবং হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ উদ্বাস্তু ।
- দেশভাগ – কেন্দ্রিক দুটি বাংলা চলচ্চিত্রের নাম লেখো ।
Ans: ঋত্বিক ঘটকের ‘ মেঘে ঢাকা তারা ‘ এবং নিমাই ঘোষের ‘ ছিন্নমূল ’ দুটি দেশভাগ – কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র ।
- ‘ জে . ডি . পি . রিপোর্ট করে প্রকাশিত হয় ?
Ans: ‘ জে . ভি . পি . রিপোর্ট ‘ প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ।
- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে গঠিত হয় ?
Ans: ‘ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ‘ গঠিত হয় ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে ।
- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সদস্য কারা ছিলেন ?
Ans: রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ফজল আলি , কে . এম . পানিকর , হৃদয়নাথ কুষ্ণৰু প্রমুখ ।
- পৃথক অল্প রাজ্যের জন্য কে আন্দোলন শুরু করেন ?
Ans: অস্ত্রের জনপ্রিয় গান্ধিবাদী নেতা পটি শ্রীরামালু । পৃথক অস্ত্র রাজ্যের জন্য আন্দোলন শুরু করেন ।
- পট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন ?
Ans: পট্টি শ্রীরামালু ছিলেন জনপ্রিয় তেলুগু নেতা ।
- কে স্বতন্ত্র অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে দীর্ঘদিন অনশন করেন ?
Ans: তেলুগু নেতা পট্টি শ্রীরামালু স্বতন্ত্র অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে দীর্ঘদিন অনশন করেন ।
- স্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশ কবে গঠিত হয় ?
Ans: ১ অক্টোবর , ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হয় ।
- ভারতের কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষার নাম করো ।
Ans: ভারতের কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষা হল বাংলা , ওড়িয়া , তামিল , তেলুগু , মারাঠি প্রভৃতি ।
- ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য গঠিত জে . ভি . পি . কমিটির সদস্য কারা ছিলেন ?
Ans: ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিটির সদস্য ছিলেন জওহরলাল নেহরু , সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং পট্টভি সীতারামাইয়া ।
- কবে বোম্বাই প্রদেশ বিভক্ত করে মহারাষ্ট্র ও বোম্বাই প্রদেশ তৈরি করা হয় ?
Ans: ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই প্রদেশ বিভক্ত করে মহারাষ্ট্র ও বোম্বাই প্রদেশ তৈরি করা হয় ।
- নাগাদের জন্য পৃথক নাগাল্যান্ড কবে বাস্তবায়িত হয় ।
Ans: নাগাদের জন্য পৃথক নাগাল্যান্ড বাস্তবায়িত হয় ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে ।
- ভারতের কনিষ্ঠতম রাজ্য কোনটি ?
Ans: ভারতের কনিষ্ঠতম রাজ্য হল তেলেঙ্গানা ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer :
- উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত বলতে কী বোঝায় ?
Ans: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে । এরপর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ভারত – নির্মাণ শুরু হয় । তাই সাধারণত ১৯৪৭-১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময় পর্ব উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত ’ বা ‘ নেহরু যুগ ‘ নামে পরিচিত ।
- ‘ মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব কী ?
Ans: ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা ছিল মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব । এই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল প্রথমত , ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে এবং পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশকে খণ্ডিত করে পাকিস্তান নামক পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে ; দ্বিতীয়ত , উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালুচিস্তান ও আসামের অন্তর্গত সিলেট জেলা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হবে কিনা তার জন্য গণভোটের ব্যবস্থা করা ; তৃতীয়ত , ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পর্কে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক স্বাধীনতা আইন প্রণয়ন করা ।
- ভারতীয় স্বাধীনতা আইন কী ?
Ans: লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ‘ ভারত বিভাজন ‘ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ ভারতীয় স্বাধীনতা বিল ’ পাস হয় ( জুলাই ১৯৪৭ ) । এ সম্পর্কে যে আইন তৈরি করা হয় তা ভারতীয় স্বাধীনতা আইন নামে পরিচিত । এই আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল ( ১ ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করবে ; ( ২ ) দুটি রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট পৃথক এলাকা স্বতন্ত্র শাসনতন্ত্র থাকবে ; ( ৩ ) ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর থেকে ব্রিটিশ কর্তৃত্বের অবসান ঘটবে এবং দেশীয় রাজ্যগুলি হয় স্বাধীন অথবা ভারত বা পাকিস্তান যে – কোনো রাষ্ট্রে যোগদান করতে পারবে ।
- ভারত বিভাজন কী অবশ্যম্ভাবী ছিল ?
Ans: ভারত বিভাজন অবশ্যম্ভাবী ছিল না , কারণ— ( ১ ) মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারত বিভাজন স্পষ্ট হলেও চূড়ান্ত হয়নি ; ( ২ ) মাউন্টব্যাটেন আরেকটু ধৈর্য ধরে অগ্রসর হলে হয়তো ভারত বিভাজন এড়ানো যেত ; ( ৩ ) ইতিপূর্বের মন্ত্রীমিশন পরিকল্পনা গৃহীত হলে ভারতের ঐক্য ও শান্তি বজায় থাকত ; ( ৪ ) মৌলানা আজাদসহ কিছু নেতা ভারত বিভাজনের পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ করলেও সামগ্রিকভাবে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিবাদ না করে ভারত বিভাজন মেনে নিয়েছিল । ভারত বিভাজন অবশ্যম্ভাবী ছিল , কারণ— ( ১ ) মুসলিম লিগের পাকিস্তান আন্দোলন ও মহম্মদ আলি জিন্নার অনমনীয় মনোভাব ; ( ২ ) ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাজনিত পরিস্থিতি ভারত বিভাজনকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল ।
- পাকিস্তান ডোমিনিয়ন কী ?
Ans: ধর্ম ও ভাষার ভিত্তিতে ভারত বিভাগ করে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে এবং পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশকে খণ্ডিত করে যে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র বা ডোমিনিয়ন তৈরি করা হয় ( ১৪ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ) তা পাকিস্তান ডোমিনিয়ন নামে পরিচিত । এর রাজধানী হয় করাচি এবং এর প্রথম গভর্নর জেনারেল হল মহম্মদ আলি জিন্নাহ । পাকিস্তান ডোমিনিয়নের দুটি অংশ ছিল , যথা— পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান ।
- কোন্ কোন্ ভুখণ্ড নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয় ?
Ans: সিন্ধু , বেলুচিস্তান , উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ , পশ্চিম পাঞ্জাব , পূর্ব বাংলা ও আসামের শ্রীহট্ট জেলার কিছু অংশ নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয় । এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে প্রথমত , স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের নেতৃত্বে গঠিত সীমানা কমিশন পাঞ্জাব ও বাংলাকে দুভাগে বিভক্ত করেছিলেন । দ্বিতীয়ত , মহম্মদ আলি জিন্না চেয়েছিলেন কলকাতা বন্দরসহ পূর্ব বাংলা , কিন্তু তিনি তা না পেয়ে এই পাকিস্তানকে ‘ পোকায় কাটা , বিবর্ণ পাকিস্তান ‘ বলে অভিহিত করেন ।
- স্বাধীন ভারতের আপাত সমস্যাগুলি কী ছিল ?
Ans: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতালাভের পর স্বাধীন ভারতের আপাত সমস্যাগুলি ছিল অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক । অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রের সমস্যাগুলি হল- ( ১ ) পশ্চিম পাঞ্জাব ও পূর্ববঙ্গ থেকে ভারতে আগত উদ্বাস্তু সমস্যা : ( ২ ) দেশবিভাগজনিত হিংসা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের সমস্যা : ( ৩ ) দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণ সমস্যা এবং ( ৪ ) বেকার সমস্যা ও খাদ্য সমস্যা । অন্যদিকে বৈদেশিক সমস্যার মধ্যে প্রধানতম দিক ছিল ধনতান্ত্রিক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াইজনিত কারণে বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত সমস্যা ।
- দেশীয় রাজ্য বলতে কী বোঝায় ?
Ans: ভারতের স্বাধীনতালাভের প্রাক্কালে ভারতে কাশ্মীর , হায়দরাবাদ , জুনাগড় প্রভৃতি ৫৬২ টিরও বেশি যে রাজ্য ছিল তা দেশীয় রাজ্য নামে পরিচিত । এর উল্লেখযোগ্য দিক হল— প্রথমত , এগুলির মধ্যে বেশ কিছু রাজ্য স্বাধীন হলেও অধিকাংশ রাজ্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে প্রজাস্বার্থ বিরোধী শাসনব্যবস্থা চালু রেখেছিল । দ্বিতীয়ত , এগুলি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোটো বা বড়ো আকারে ছড়িয়ে ছিল এবং এগুলির অধিকাংশই ছিল ভারতের তুলনায় পশ্চাদপদ ।
- দেশীয় রাজ্যগুলির প্রতি এট্লির ঘোষণা কী ছিল ?
Ans: ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ‘ সংক্রান্ত বিলটি ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে আলোচনাকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এট্লি ঘোষণা করেছিলেন যে— প্রথমত , ব্রিটিশ সরকার কোনোভাবেই দেশীয় রাজ্যগুলির অস্তিত্ব মেনে নেবে না । দ্বিতীয়ত , ভারত ও পাকিস্তান এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থিত দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া স্বাভাবিক মনে করে তিনি দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারত অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন ।
- দেশীয় রাজ্য দপ্তর কেন খোলা হয় ?
Ans: স্বাধীনতা লাভের আগে বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে দেশীয় রাজ্য দপ্তর প্রতিষ্ঠার ( ২৭ জুন , ১৯৪৭ খ্রি . ) কারণগুলি হল প্রথমত , দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করে দেশীয় রাজ্যগুলিকে বিধিবদ্ধভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা । দ্বিতীয়ত , দেশীয় রাজ্যগুলির রাজাদের ভাতা , খেতার ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা । তৃতীয়ত , দেশীয় রাজ্যগুলিকে ‘ ভারতভুক্তির দলিল ’ – এ স্বাক্ষরের জন্য কুটনৈতিক অথবা সামরিক চাপ সৃষ্টি করা এবং ভারতভুক্তির প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করা ।
- দেশীয় রাজাগুলির ভারতভুক্তির দুটি কারণ লেখো ।
Ans: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দুটি কারণ হল প্রথমত , দেশীয় রাজ্যগুলি ছিল ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা এলাকা । তাই তা ভারতের ভৌগোলিক অখন্ডতা ও জাতীয় সংহতির পক্ষে ছিল বিপজ্জনক । দ্বিতীয়ত , ভারতের স্বাধীনতা আইনে বলা হয় যে , দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত বা পাকিস্তানে যোগদান বা স্বাধীন থাকা তাদের উপরেই নির্ভরশীল । তাই বেশ কিছু রাজ্য ভারতে যোগ না দিয়ে পাকিস্তানে যোগ দিতে অগ্রসর হলে ভারতের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি প্রয়োজন হয়ে পড়ে ।
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি দলিল বলতে কী বোঝায় ?
অথবা , ইনস্ট্রুমেন্ট অব্ অ্যাকসেশন ‘ ( IOA ) কী ?
Ans: ভারতের দেশীয় রাজ্য দপ্তরের প্রধান সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্তির জন্য কয়েকটি শর্তযুক্ত যে চুক্তিপত্র তৈরি করেন তা ‘ ভারতভুক্তির দলিল ‘ বা ‘ ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাক্সেশন ‘ নামে পরিচিত । প্রথমত , এই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরকারী দেশীয় রাজারা নিজ রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হত এবং ভারত সরকারের কাছ থেকে ভাতা , খেতাব ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা লাভ করত । দ্বিতীয়ত , কয়েকটি দেশীয় রাজ্য ব্যতীত অধিকাংশ দেশীয় রাজ্যের রাজারা এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ।
- কাকে , কেন ভারতের ‘ লৌহ মানব ‘ বলা হয় ?
অথবা , কাকে , কেন ‘ ভারতের বিসমার্ক ‘ বলা হয় ?
Ans: স্বাধীন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলকে ভারতের ‘ লৌহ মানব ’ বা ‘ ভারতের বিসমার্ক ‘ বলা হয় , কারণ প্রথমত , তিনি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ভি . পি . মেনন ও বড়োলাট লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সহযোগিতায় কুটনীতি ও যুদ্ধনীতির মাধ্যমে ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করে ভারতকে রাজনৈতিক সংকটমুক্ত করেন । দ্বিতীয়ত , তাঁর এই পদক্ষেপে ভারতের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে – ছিটিয়ে থাকা বা পাকিস্তানের পক্ষে যোগদানে ইচ্ছুক দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করে ভারতের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেন ।
- মহারাজা হরি সিং বিখ্যাত কেন ?
Ans: ভারতের দেশীয় রাজ্য কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং বিখ্যাত ছিলেন , কারণ প্রথমত , তিনি ঐতিহ্যগত কারণ এবং আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে ভারতে যোগ না দিয়ে কাশ্মীর রাজ্যকে স্বাধীন রাখতে চেয়েছিলেন । দ্বিতীয়ত , তাঁর রাজ্য পাক – মদতপুষ্ট হানাদার বাহিনী ও সেনাদল দ্বারা আক্রান্ত হলে ( ২২ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রি . ) তিনি ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন ( ২৪ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রি . ) । ভারতীয় সেনাবাহিনী শর্তসাপেক্ষে পাক হানাদারদের বিতাড়িত করলে কাশ্মীর রাজ হরি সিং ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করলে ( ২৬ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রি . ) কাশ্মীর ভারতভুক্ত হয় ।
- ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে কাশ্মীরের রাজা হরি সিং – এর দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল ?
Ans: কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারত বা পাকিস্তানে যোগদান না করে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলেন , কারণ— প্রথমত , কাশ্মীরের স্বাধীন ঐতিহ্যের ভিত্তিতে কাশ্মীরকে স্বাধীন রাখা ছিল তাঁর প্রধান কর্তব্য । দ্বিতীয়ত , গণতান্ত্রিক ভারতে যোগদান করলে তাঁর রাজকীয় মর্যাদার বিলোপ ঘটত । তৃতীয়ত , সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম প্রজারা কাশ্মীর রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্বের সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াত ।
- কী পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন ?
Ans: কাশ্মীর রাজ্যের ভারতভুক্তির প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়— প্রথমত , স্বাধীন রাজ্যরূপে উপস্থিতি কাশ্মীর রাজ্যের ঐতিহ্য হওয়ায় কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারত অথবা পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলেন । দ্বিতীয়ত , ইতিমধ্যে পাক – মদতপুষ্ট হানাদারগণ কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করলে হরি সিং ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন ( ২৪ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রি . ) । তৃতীয়ত , ভারত সরকার শর্তসাপেক্ষে হরি সিং – কে সামরিক সাহায্য করলে হরি সিং ভারতের সঙ্গে যোগ দেন ( ২৬ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) ।
- ‘আজাদ কাশ্মীর ’ কী ?
Ans: কাশ্মীরের রাজা হরি সিং – এর সামরিক সাহায্যের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীর থেকে পাক – হানাদারদের বিতাড়ন করে । এরপর পাকিস্তান সুপরিকল্পিতভাবে ছদ্মবেশে পাক সেনাবাহিনীকে কাশ্মীরে প্রেরণ করলে ভারত – পাক যুদ্ধ শুরু হয় । শেষ পর্যন্ত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি ( ৩১ ডিসেম্বর , ১৯৪৮ খ্রি . ) ঘটলেও কাশ্মীরের একটি অংশ পাকিস্তানের দখলে রয়ে যায় , যা আজাদ কাশ্মীর ‘ নামে পরিচিত ।
- L.O.C কী ?
Ans: ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর দেশীয় রাজ্য কাশ্মীরে শেখ আবদুল্লার নেতৃত্বে ভারতীয় সরকার এবং পাক – হানাদারদের নেতৃত্বে ‘ আজাদ কাশ্মীর ‘ গঠিত হয় । কিন্তু বিভিন্ন কারণে পাকিস্তান ভারতের অন্তর্গত কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ করতে থাকলে যখন ভারত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দ্বারস্থ তখন পাকিস্তান কাশ্মীরে গণভোটের দাবি জানায় । এই পরিস্থিতিতে জাতিপুঞ্জ কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে যে যুদ্ধবিরতি সীমারেখা ‘ ( ৩১ ডিসেম্বর , ১৯৪৮ খ্রি . ) নির্ধারণ করে তা নিয়ন্ত্রণ রেখা ‘ বা LOC ( Line of Control ) নামে পরিচিত ।
- ‘রাজাকার ‘ কারা ?
Ans: দেশীয় রাজ্য হায়দরাবাদের প্রায় ৮৫ শতাংশই ছিল হিন্দু , অথচ হায়দরাবাদের শাসক নিজাম ওসমান আলি খান ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে রাজি ছিলেন না । তাই তিনি কাশিম রেজভি নামক একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তির প্রভাবাধীনে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাহিনী গড়ে তোলেন যা রাজাকার নামে পরিচিত । এই বাহিনী হায়দরাবাদের অভ্যন্তরে হিন্দু জনসাধারণের ওপর অত্যাচার করত এবং হায়দরাবাদকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তির জন্য জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করত ।
- হায়দরাবাদ কীভাবে ভারতভূক্ত হয় ?
Ans: হায়দরাবাদের শাসক বা নিজাম ওসমান আলি খান ভারতে যোগদান না করে বিভিন্নভাবে নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখতে ও ভারত সরকারের নির্দেশ অমান্য করতে সচেষ্ট হয় । এই পরিস্থিতিতে— প্রথমত , ভারতের সামরিক বাহিনীর জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনী সমগ্র হায়দরাবাদ দখল করে । ( ১৮ সেপ্টেম্বর , ১৯৪৮ খ্রি . ) । দ্বিতীয়ত , পরের বছর নিজাম একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দরাবাদ ভারতভুক্ত হয় ।
- হায়দরাবাদের ভারতভুক্তির গুরুত্ব কী ?
Ans: আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দরাবাদের ভারতের অন্তর্ভূক্তির গুরুত্বগুলি হল প্রথমত , হায়দরাবাদের মুসলিম জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ ও ভারতের অন্যান্য স্থানের মুসলিমরা নিজাম – বিরোধী আন্দোলনে ভারত সরকারের নীতিকে সমর্থন জানায় । তাই হায়দরাবাদের অন্তর্ভুক্তি জাতীয় স্তরে ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার সূচনা করে । দ্বিতীয়ত , ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজামের সেনাদল ও ‘ রাজাকার ‘ বাহিনীকে দমনের পাশাপাশি তেলেঙ্গানার সংগ্রামী কৃষকদের দমন করার ফলে এই অঞ্চল পূর্বাপেক্ষা নিরাপদ হয়ে ওঠে ।
- দেশীয় রাজ্য হায়দ্রাবাদ সম্পর্কে কী জানো ?
Ans: ঔপনিবেশিক ভারতে সর্বাপেক্ষা বৃহৎ দেশীয় রাজ্য ছিল । হায়দরাবাদ এবং স্বাধীনতার সময় এর শাসক ছিলেন নিজাম ওসমান আলি খান । প্রথমত , হায়দরাবাদের মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ ছিল । হিন্দু , অথচ এখানের শাসক ছিলেন মুসলিম । দ্বিতীয়ত , হায়দরাবাদের শাসক বিভিন্নভাবে হায়দরাবাদের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখতে চাইলেও জাতীয় সংহতি ও ভারতের ভৌগোলিক ঐক্যের স্বার্থে জেনারেল জয়ন্তনাথ মুখার্জীর নেতৃত্বে হায়দরাবাদকে দখল করে ভারত ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
- জুনাগড়ের নবাব পাকিস্তানে চলে যান কেন ?
Ans: জুনাগড়ের রাজ্যের নবাব ছিলেন মুসলিম , কিন্তু তাঁর ৮০ শতাংশ প্রজা ছিল হিন্দু । এ সত্ত্বেও প্রথমত , জুনাগড়ের নবাব পাকিস্তানে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্যজুড়ে গণবিক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের অন্যান্য রাজ্য ভারত সরকারের হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানায় । দ্বিতীয়ত , ভারতের জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব সামালদাস গান্ধির নেতৃত্বে জুনাগড়ে এক অস্থায়ী সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করলে জুনাগড়ের নবাব সপরিবারে পাকিস্তানের করাচি চলে যান ।
- ফরাসি ও পোর্তুগিজ অধ্যুষিত ভারত এলাকা কীভাবে ভারতভুক্ত হল ?
Ans: ভারত স্বাধীন হলে ফ্রান্সের প্রভাবাধীন পণ্ডিচেরি , মাহে ও চন্দননগর এবং পোর্তুগাল অধ্যুষিত গোয়া , দমন , দিউ ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে উৎসুক হয়ে পড়ে । দীর্ঘ আলাপ , আলোচনা ও পর্যালোচনার পর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স এই অঞ্চল ত্যাগ করলে তা ভারতভুক্ত হয় । কিন্তু পোর্তুগাল তার দখলীকৃত এলাকা পরিত্যাগে অরাজি হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী তা দখল করে ( ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ ) ।
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ফলাফল কী ছিল ?
Ans: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ফলাফলগুলি হল প্রথমত , ভারত সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ ও জটিল রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পায় । দ্বিতীয়ত , ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোটো – বড়ো দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ফলে ভারতের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক ঐক্য সম্পন্ন হয় । তৃতীয়ত , অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পশ্চাদপদ এবং রাজতান্ত্রিক দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দিলে ভারতের সর্বত্র একই ধরনের অর্থনৈতিক নীতি ও গণতান্ত্রিক শাসন পরিব্যাপ্ত হয় ।
- স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ বিখ্যাত কেন ?
Ans: স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , বড়োলাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন কর্তৃক ভারত – বিভাজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে বঙ্গ ও পাঞ্জাবের সীমানা বিভাজনের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় দুটি সীমানা কমিশন । স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ ছিলেন এই দুই সীমানা কমিশনের সভাপতি । দ্বিতীয়ত , তিনি মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই কমিশনের রিপোর্ট পেশ করেন ( ১৬ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) এবং তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই পাঞ্জাব ও বঙ্গ বিভাজন সম্পন্ন হয় ।
- ভারত বিভাজনের জন্য গঠিত ‘ সীমানা কমিশন ‘ কী ?
Ans: ভারত বিভাজনের জন্য শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাব ও মুসলমান অধ্যুষিত বঙ্গ – কে বিভাজন করে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এই উদ্দেশ্যে— প্রথমত , স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের নেতৃত্বে পাঞ্জাব ও বঙ্গ বিভাজন সংক্রান্ত দুটি পৃথক সীমানা কমিশন গঠিত হয় । দ্বিতীয়ত , ভৌগোলিক অবস্থান , জনসংখ্যা , প্রাকৃতিক সম্পদ , যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে সীমানা কমিশন বঙ্গ ও পাঞ্জাব বিভাজন করে ।
- র্যাডক্লিফ কীসের ওপর ভিত্তি করে সম কমিশনের রিপোর্ট তৈরি করেন ?
Ans: স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ – এর নেতৃত্বে গঠিত সীমানা কমিশন বঙ্গ ও পাঞ্জাব সীমানা বিভাগের জন্য মাত্র ছয় সপ্তাহ সময় পেয়েছিল । এই স্বল্প সময়ে রিপোর্ট তৈরির জন্য তিনি প্রথমত , ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর বসবাস ও প্রাকৃতিক সীমারেখারূপে নদীকেই বিভাজনরেখারূপে গুরুত্ব দেন । দ্বিতীয়ত , প্রাকৃতিক সম্পদ , রেল ও বাস যোগাযোগ , প্রশাসনিক কেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অবস্থার ওপরেও ভিত্তি করে তিনি তাঁর রিপোর্ট তৈরি করেন ।
- কোন্ ঘটনা কেন বিশ্ব ইতিহাসে ‘ বৃহত্তম গণ পরিযান ‘ নামে পরিচিত ?
Ans: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ধর্ম ও ভাষার ভিত্তিতে ভারত বিভাজন করে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি এবং স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের সীমানা কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে বঙ্গ ও পাঞ্জাব বিভাজন করা হয় । এভাবে দেশভাগজনিত কারণে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও নির্যাতন , লুঠ ও ধর্ষণ , অগ্নি সংযোগ প্রভৃতি ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত ও পাকিস্তানের প্রায় ১ কোটি মানুষ নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তুরূপে ভারতে অথবা পাকিস্তানে চলে যায় । এই ঘটনা বিশ্ব – ইতিহাসে বৃহত্তম গণ পরিযান ’ বা ‘ অভিপ্রয়াণ ‘ নামে পরিচিত ।
- উদ্বাস্তু ’ বলতে কী বোঝায় ?
Ans: দেশভাগ কথাটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত কথাটি হল উদ্বাস্তু । দেশভাগের ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণ বা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বা অন্য কোনো কারণে যখন নাগরিকরা মাতৃভূমি পরিত্যাগ করে অন্য দেশে আশ্রয় নেয় তখন তারা উদ্বাস্তু নামে পরিচিত হয় । ছিন্নমূল এই মানুষগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জাতিবিদ্বেষের শিকার হয় বা বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয় ।
- ভারতে আগত উদ্বাস্তু’রা মূলত কোথায় আশ্রয় নেয় ?
Ans: ভারতে আগত উদ্বাস্তুদের স্রোত ছিল পূর্ব পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গমুখী । ব্যাখ্যা করে বলা যায়— প্রথমত , পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা উদ্বাস্তুরা পূর্ব পাঞ্জাব , দিল্লি , রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয় । দ্বিতীয়ত , পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তুরা কলকাতা ও কলকাতা সন্নিহিত চব্বিশ পরগনা , নদিয়া , মুরশিদাবাদ , মালদহ , দিনাজপুর প্রভৃতি স্থানে আশ্রয় নেয় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer :
1. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ও দেশভাগ সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো ।
Ans: ভূমিকা : ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও দেশভাগের মূল ভিত্তি ছিল মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ( ৩ জুন , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) । ব্রিটিশ নি প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এট্লির ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত ঘোষণার পরেই লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতের বড়োলাট পদে নিযুক্ত হয়ে আসেন ( ২৪ মার্চ , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) ।
পরিকল্পনা : জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ – সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ – আলোচনার পর মাউন্টব্যাটেন ‘ ভারত বিভাগ ’ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ঘোষণা করেন , যা মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা নামে পরিচিত ( ৩ জুন , ১৯৪৭ = খ্রিস্টাব্দে ) ।
মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা : মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল—
পাকিস্তান গঠন : ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে এবং পাঞ্জাব ও বাংলাদেশকে খণ্ডিত করে পাকিস্তান নামক একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে । বাংলা ও পাঞ্জাবের খণ্ডিতকরণের জন্য একটি সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠিত হবে ।
গণভোট : উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালুচিস্তান , আসামের অন্তর্গত সিলেট জেলা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হবে কিনা তা গণভোটের মাধ্যমে ঠিক করা হবে ।
স্বাধীনতা আইন : ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট শীঘ্রই আইন প্রণয়ন করবে এবং ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জুনের পরিবর্তে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই আগস্ট এই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে ।
উপসংহার : মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারত বিভাজনের মাধ্যমে ‘ পাকিস্তান ’ রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল । স্বাভাবিক কারণেই কম ক্ষতিকর বিকল্প রূপে মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনাকে মুসলিম লিগ ও জাতীয় কংগ্রেস মেনে নিয়েছিল ।
2. ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি টীকা লেখো ।
Ans: ভূমিকা : লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভারত বিভাজন পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট হলেও চূড়ান্ত হয়নি । তা চূড়ান্ত হয়েছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আইনে ( ১৮ জুলাই , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) ।
ভারতীয় স্বাধীনতা আইন : ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারতীয় স্বাধীনতা বিল পাস হয় এবং ইংল্যান্ড রাজ ষষ্ঠ জর্জের স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে তা আইনে পরিণত হয় । ( ১৮ জুলাই , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) । এই আইনের বিভিন্ন দিকগুলি হল –
( 1 ) দুটি রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ : ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র ( বা ডোমিনিয়ন ) আত্মপ্রকাশ করবে এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবে ।
[ ২ ] দুটি রাষ্ট্রের এলাকা : ভারত ডোমিনিয়নের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বোম্বাই , মাম্রাজ , উত্তরপ্রদেশ , মধ্যপ্রদেশ , বিহার , পূর্ব – পাঞ্জাব , পশ্চিমবঙ্গ এবং মুসলমান অধ্যুষিত জেলাগুলি ভিন্ন আসাম , দিল্লি , আজমির ও কুর্গ । অন্যদিকে পাকিস্তানের মধ্যে থাকবে ভারতের অবশিষ্ট অঞ্চল , যথা — সিন্ধুপ্রদেশ , উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ , পশ্চিম – পাঞ্জাব , পূর্ব বাংলা , বেলুচিস্তান ও আসামের শ্রীহট্ট জেলা ।
- স্বতন্ত্র – শাসনতন্ত্র গঠন উভয় ডোমিনিয়নের গণ – পরিষদ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র বা সংবিধান রচনা করবে এবং যতদিন পর্যন্ত নতুন শাসনতন্ত্র বলবৎ হচ্ছে না , ততদিন দুইটি রাষ্ট্রই ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন দ্বারা ( কিছু রদবদল করে ) শাসিত হবে ।
- দেশীয় রাজে ভবিষ্যৎ : ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট থেকে ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর ব্রিটিশ সার্বভৌমত্বের অবসান হবে । এই রাজ্যগুলি নিজেদের পছন্দমতো ভারত অথবা পাকিস্তান রাষ্ট্রে যোগদানের অধিকার পাবে অথবা স্বাধীন থাকবে । উপসংহার অনেকে বলেছেন যে , লর্ড মাউন্টব্যাটেন একটু ধৈর্য ধরে অগ্রসর হলে হয়তো ভারত বিভাজন এড়ানো যেত । কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মধ্যে একমাত্র মৌলানা আজাদ ভারত বিভাগের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ।
তাঁর India Wins Freedom ‘ গ্রন্থে তিনি মন্তব্য করেছেন যে , দেশবিভাগের ফলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভবপর ছিল না এবং মন্ত্রী – মিশন পরিকল্পনা গৃহীত হলে ভারতের ঐক্য ও শান্তি উভয়ই বজায় থাকত ।
2. ভারতবিভাগের অনিবার্যতা বিচার করো ।
Ans: ভূমিকা : ভারতবিভাগ অনিবার্য ছিল কিনা তা ভারত ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত বিষয় । যদিও অনেকে ভারত বিভাজনের জন্য ব্রিটিশ সরকারের কূটনীতিকে দায়ী করেন তবু জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ – উভয়েই এ ব্যাপারে সমান দায়ী ছিল বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন । ভারত বিভাগের অনিবার্ধতা :
১ কংগ্রেসের ব্যর্থতা : জাতীয় কংগ্রেসের ভ্রান্ত নীতি ও দোদুল্যমানতার ফলে মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রসার ঘটে । এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কংগ্রেস ব্রিটিশ – বিরোধী আন্দোলনে নিবন্ধ হওয়ায় মুসলিম লিগ শক্তিবৃদ্ধির সুযোগ পেল ।
২ প্রত্যক্ষ সংগ্রাম মুসলিমরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ না দিলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় এবং মুসলিম লিগ তথা জিন্নার প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এক গৃহযুদ্ধ জনিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ।
দেশভাগ : এই বীভৎসতা থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যই কংগ্রেস ভারত বিভাজন মেনে নেয় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশভাগকে মেনে নেওয়া ছাড়া কংগ্রেসের অন্য কোনো বিকল্প ছিল না । অনিবার্য নয় : ভারত বিভাজন অবশ্যম্ভাবী ছিল না , কারণ –
( ১ ) মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারত বিভাজন স্পষ্ট হলেও চূড়ান্ত হয়নি ;
( ২ ) মাউন্টব্যাটেন আরেকটু ধৈর্য ধরে অগ্রসর হলে হয়তো ভারত বিভাজন এড়ানো যেত ;
( ৩ ) ইতিপূর্বের মন্ত্রীমিশন পরিকল্পনা গৃহীত হলে ভারতের ঐক্য ও শান্তি বজায় থাকত ;
( ৪ ) মৌলানা আজাদসহ কিছু কংগ্রেস নেতা ভারত বিভাজনের প্রতিবাদ পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ করলেও সামগ্রিকভাবে জাতীয় কংগ্রেস ভারত বিভাজন মেনে নিয়েছিল ।
4. দেশীয় রাজ্য বলতে কী বোঝায় ?
Ans: ঔপনিবেশিক ভারতে প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশ শাসিত এলাকা ছাড়াও এদেশীয় রাজা বা শাসক দ্বারা স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল । এই রাজ্যগুলিই দেশীয় রাজ্য নামে পরিচিত ছিল , যেমন হায়দরাবাদ , কাশ্মীর , জুনাগড় , মহীশূর , বরোদা রাজ্য ।
বৈশিষ্ট্য : দেশীয় রাজ্যগুলির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ছিল , যেমন— স্বৈরাচারী শাসন : এই রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন ধর্মী উপাধিধারী শাসকদের ( ‘ নিজাম ‘ বা ‘ রাজা ‘ বা ‘ ‘ নবাব ’ বা ‘ মহারাজা ‘ বা ‘ ঠাকুর ‘ ) স্বৈরশাসন ছিল এবং ব্রিটিশ সরকার দ্বারা এইসব শাসকরা ‘ প্রিন্স ‘ বা ‘ রাজকুমার ‘ নামে অভিহিত হতেন ।
আয়তনগত দিক : দেশীয় রাজ্যগুলির আকার ছিল ছোটো , বড়ো , মাঝারি বা বিভিন্ন ধরনের এবং এগুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ ছিল হায়দরাবাদ ।
তোপধ্বনি : দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে ১২০ টি রাজ্যের জন্য ‘ তোপধ্বনি ’ বা ‘ গান – স্যালুট ’ – এর ব্যবস্থা ছিল এবং সাধারণত ৩ থেকে ২১ টির মধ্যে যে – কোনো বিজোড় সংখ্যক তোপধ্বনি দ্বারা দেশীয় রাজা সম্মানিত হতেন ।
পরিসেবা দান : দেশীয় রাজ্যগুলির অধিকাংশ রাজ্য ব্রিটিশ সেনাদল , ভারতীয় সেনাদল অথবা আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনীতে পরিসেবা দান করত এবং এর পরিবর্তে দেশীয় রাজ্যের শাসকরা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সাম্মানিক পদলাভ করত ।
অনগ্রসরতা : বেশিরভাগ দেশীয় রাজ্য অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ছিল পশ্চাদপদ এবং অধীনস্থ প্রজাদের ওপর ছিল করের বোঝা ।
ব্রিটিশ অনুগামী গোষ্ঠী : দেশীয় রাজ্যগুলির অধিকাংশই ছিল ব্রিটিশ সরকারের অনুগত এবং স্বাভাবিক কারণেই ব্রিটিশ সরকার এদের স্বার্থ রক্ষায় যত্নবান ছিল ।
উপসংহার : ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতীয় সীমানার মধ্যে অবস্থিত দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারত অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দেওয়া বা স্বাধীন রাখার ব্যবস্থা করা হয় ।
5. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির পিছনে ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য কী ছিল ?
Ans: ভূমিকা : ব্রিটিশ সরকার নিরঙ্কুশভাবে ভারতকে স্বাধীনতা দান করেনি । তারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্বাধীনতার সময় যে আইন রচনা করে তার মধ্যে নিশ্চিতভাবে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করেছিল ।
ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির পিছনে ব্রিটিশ উদ্দেশ্যগুলি হল দেশীয় রাজ্যের গুরুত্ব স্বীকার : ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনে দেশীয় রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের স্বাধীনতা আইনে সেই গুরুত্ব যথাযথ বহাল ছিল ।
জটিলতা তৈরি : দেশীয় রাজাদের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করে এই অধিকারও তাদের দেওয়া হয়েছিল যে , তারা তাদের ইচ্ছেমতো ভারত বা পাকিস্তান যে কোনো ডোমিনিয়নে যোগ দিতে পারবে ।
ভারতীয় ঐক্য বিপন্ন করার চেষ্টা : ভারত ভাগের সময় দেশীয় রাজ্যের সংখ্যা ছিল ৫৬২ টি । অতএব ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পেলে আলাদা ৫৬২ টি রাজ্য তৈরি হবে এবং ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে বিভক্ত হলে ভারতের রাজনৈতিক , ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য বিপন্ন হবে বলে মনে করা হয়েছিল ।
দুর্বল ভারত : ব্রিটিশরা মনে করেছিল যে , ছিন্নবিচ্ছিন্ন ভারতবর্ষ দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে । ভারতকে এইভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ – এর স্বার্থরক্ষা করার কথা ভাবা হয়েছিল ।
6. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকার ও ভারতীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ভূমিকা : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকার ও ভারতীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে –
ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি : ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছিল যে , দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর ব্রিটিশ সার্বভৌমত্বের অবসান হবে এবং এই রাজ্যগুলি নিজেদের পছন্দমতো ভারত বা পাকিস্তান ডোমিনিয়নে যোগদানের অধিকার পাবে অথবা স্বাধীন থাকবে ।
এটলির দৃষ্টিভঙ্গি : ‘ ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ‘ সংক্রান্ত বিলটি ইংল্যান্ডে আলোচনাকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এট্লি ঘোষণা করেছিলেন যে— প্রথমত , ব্রিটিশ সরকার কোনোভাবেই দেশীয় রাজ্যগুলির অস্তিত্ব মেনে নেবে না । দ্বিতীয়ত , ভারত ও পাকিস্তান এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থিত দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া স্বাভাবিক মনে করে তিনি দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারত অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন ।
জাতীয় কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি : ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল যে , স্বাধীনতার পর ভারতে কোনো দেশীয় রাজ্যের স্বাধীন অস্তিত্ব স্বীকার করা হবে না । মহাত্মা গান্ধি দেশীয় রাজ্যের স্বাধীন থাকার ইচ্ছাকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য ঘটনা বলে মত প্রকাশ করেন ।
ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য : ভারতের স্বাধীনতা আইনের অনেক আগে থেকেই ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহ – সভাপতি জওহরলাল নেহরু ঘোষণা করেন যে , দেশীয় রাজ্যগুলির কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে : এক তারা ভারত ইউনিয়নে যোগদান করতে পারে , নতুবা তাদের ভারতের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে হবে ।
উপসংহার : দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্বকে অস্বীকার করে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করতে ভারত সরকার ‘ দেশীয় রাজ্যদপ্তর ’ প্রতিষ্ঠা করে ( জুন , ১৯৪৭ খ্রি . ) । এই দপ্তরের মন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শেষপর্যন্ত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতভুক্ত হয় ।
7. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি কী ছিল ?
Ans: ভূমিকা : ভারতে প্রাক্ – স্বাধীনতা পর্বে দু’ধরনের রাজ্য ছিল , যথা — ব্রিটিশশাসিত প্রদেশ এবং ব্রিটিশ কর্তৃত্বাধীন দেশীয় রাজ্য । বিভিন্ন সমস্যা অতিক্রম করে ভারত দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করতে হয়েছিল । সমস্যাসমূহ : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি ছিল—
বিক্ষিপ্ত অবস্থান : ভারতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে ভূপাল , হায়দরাবাদ , ত্রিবাঙ্কুর – সহ বেশ কিছু রাজ্য স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল ।
জাতীয়তাবাদী আদর্শে বাধা : অখণ্ড ভারতীয় জাতীয়তাবাদের আদর্শ দ্বারা পরিচালিত ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন থাকার মনোভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে । এই পরিপ্রেক্ষিতে জওহরলাল নেহরু ঘোষণা করেন যে , ভারতের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে কোনো স্বাধীন দেশীয় রাজ্যের অস্তিত্ব স্বীকার করা যাবে না ।
প্রজা বিদ্রোহের আশঙ্কা : দেশীয় রাজ্যগুলি ছিল রাজতান্ত্রিক , স্বৈরতান্ত্রিক ও পশ্চাদপদ এই রাজ্যগুলির প্রজারা গণতান্ত্রিক ও উন্নত ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে উৎসুক ছিল । দেশীয় রাজ্যগুলিতে প্রজা বিদ্রোহের আশঙ্কাও দেখা দেয় ।
বিশেষ সমস্যা : ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে হায়দরাবাদ ও জুনাগড় ছাড়া অন্য রাজ্যগুলি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় । বিভিন্ন জটিলতার কারণে সমগ্র কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত সরকার ব্যর্থ হয় ; কাশ্মীর সমস্যা আজও বর্তমান ।
উপসংহার : উপরোক্ত সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মূলত কুটনীতি ও আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ করে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করেন ।
8. দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তি ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা কী ছিল ?
Ans: ভূমিকা : ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা , জাতীয় ঐক্য এবং প্রগতি ও পুনর্নির্মাণের জন্য দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করতে জাতীয় কংগ্রেস ও স্বাধীন ভারত সরকার বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল । কংগ্রেসের ভূমিকা প্রাক – স্বাধীনতা পর্বে ৫৬২ টিরও অধিক দেশীয় রাজ্যগুলির অস্তিত্ব ও স্বাধীন মনোভাব ভারতে এক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে । এই পরিস্থিতিতে –
[ 1 ] নেতাদের ভূমিকা : স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সংকট বিষয়ে ভারতের নেতারা যথেষ্ট সচেতন ছিলেন এবং বিশেষ করে জওহরলাল নেহরু ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এই সংকটমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন ।
[ 2 ] প্রজা উন্নতি দেশীয় রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ প্রশাসন মধ্যযুগীয় ভাবধারা দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় রাজ্যের প্রজারাও ছিল অবহেলিত । তাই তারা যে কোনো মূল্যে এমনকি সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেও দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি সম্পর্কে সোচ্চার হন । ‘ লৌহমানব ‘ নামে খ্যাত সর্দার বল্লভভাই বিষয়টি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেন ।
- দেশীয় রাজ্য দপ্তর : স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে দেশীয় রাজ্য দপ্তর প্রতিষ্ঠার ( ২৭ জুন , ১৯৪৭ খ্রি . ) কারণগুলি হল
প্রথমত , দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করে দেশীয় রাজ্যগুলিকে বিধিবদ্ধভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা ।
দ্বিতীয়ত , দেশীয় রাজ্যগুলির রাজাদের ভাতা , খেতাব ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পর্যালোচনা করে তার ব্যবস্থা করা ।
তৃতীয়ত , দেশীয় রাজ্যগুলিকে ক্তির দলিল ’ – এ স্বাক্ষরের জন্য কূটনৈতিক অথবা সামরিক চাপ সৃষ্টি করা এবং ভারতভুক্তির প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করা ।
- কূটকৌশল : পররাষ্ট্র মন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল কূটকৌশল প্রয়োগ করে ভারত রাষ্ট্রে যোগদানের জন্য দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর প্রবল চাপ প্রয়োগ করেন । তিনি রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ব্যাপারে ভারতের নৈতিক দাবির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন । এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব ভি . পি . মেনন ।
লর্ড মাউন্টব্যাটেনও তাঁদের অল্পবিস্তর সাহায্য করেন ।
9. ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্যগুলি কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ?
Ans: ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতালাভের প্রাক্কালে ৫৬২ টিরও বেশি দেশীয় রাজ্য ছিল এবং এদের স্বাধীন অস্তিত্ব ও স্বাধীন থাকার মনোভাব ভারতে এক রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করেছিল । এই পরিস্থিতিতে দেশীয় রাজ্য দপ্তর ভারতভুক্তির দলিলের মাধ্যমে এই রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করে । ভারতভূক্তি : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির পদ্ধতি প্রায় সকলেই মেনে নেয় ।
( 1 ) সামান্য কিছু গোলযোগের পর জুনাগড় এবং আরও কয়েকটি সন্নিহিত রাজ্য কাথিয়াবাড় ( সৌরাষ্ট্র ) -এর সঙ্গে ( ৩১ ডিসেম্বর , ১৯৪৮ ) যুক্ত হয় ।
( ২ ) ময়ূরভঞ্জ উড়িষ্যার সঙ্গে , কোলাপুর বোম্বের সঙ্গে , রামপুর ও বেনারস উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে , কোচিন ত্রিবাঙ্কুর – এর সঙ্গে যুক্ত হয় ।
( ৩ ) এদের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অংশ ছিল ‘ বৃহত্তর রাজস্থান ইউনিয়ন ‘ , যার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয় ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ মার্চ । এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রাচীন ১৫ টি ক্ষুদ্র রাজপুত রাজ্য , যেগুলির মোট আয়তন ছিল । এক লক্ষ কুড়ি হাজার মাইল এবং জনসংখ্যা ছিল এক কোটি ৩০ লক্ষ । এখানকার বার্ষিক রাজস্ব ছিল দশ কোটি টাকা ।
( ৪ ) বোম্বাইয়ের সঙ্গে বরোদার সংযুক্তি ঘটে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১ মে ।
( ৫ ) ভূপাল , কুচবিহার , ত্রিপুরা ও মণিপুরকে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসা হয় ।
উপসংহার : এইভাবে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসের আগেই দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয় , শুধু বাকি থাকে হায়দরাবাদ ও কাশ্মীর ।
10. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ভূমিকা : ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা , জাতীয় ঐক্য এবং প্রগতি ও পুনর্নির্মাণের জন্য দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণ করা হয় । ভারতের ‘ লৌহ মানব ‘ রূপে পরিচিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ছিলেন ভারতের একতার মূল কাণ্ডারি ।
প্রক্রিয়া : সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হল _ সংযুক্তিকরণ : বেশ কিছু দেশীয় রাজ্যকে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয় । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি , বোম্বাইয়ের সঙ্গে দাক্ষিণাত্য ও গুজরাটের রাজ্যগুলি , আবার উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে গাড়োয়াল , রামপুর ও বেনারস , পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কুচবিহার , আসামের সঙ্গে খাসি পার্বত্য অঞ্চলকে , মাদ্রাজের রাজ্যগুলিকে মাদ্রাজের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় ।
বৃহৎ যুক্তরাজ্য গঠন : দেশীয় রাজ্যগুলির বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সংযুক্ত করে এক একটি বৃহৎ যুক্তরাজ্য গ্রহণ করা হয় , যেমন— রাজস্থানের যুক্তরাজ্য , পাঞ্জাবের যুক্তরাজ্য , বিন্ধ্যপ্রদেশের যুক্তরাজ্য প্রভৃতি । সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ৩ কেন্দ্রীয় শাসনাধীন বেশ কিছু রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার শাসিত এলাকার সঙ্গে যুক্ত করা হয় বা কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয় । হিমাচলপ্রদেশ , কচ্ছ , বিলাসপুর , ভোপাল , ত্রিপুরা ও মণিপুরকে কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয় ।
উপসংহার : সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করে দেখা যায় ২১৬ টি দেশীয় রাজ্যকে পার্শ্ববর্তী প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয় , ২৭৫ টি দেশীয় রাজ্যকে পাঁচটি রাজ্যে পরিণত করা হয় এবং ৬১ টি রাজ্যকে সাতটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগ করে কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয় ।
11. দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে জুনাগড় , হায়দরাবাদ ও কাশ্মীর রাজ্য কীভাবে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ভূমিকা : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যা ছিল জুনাগড় , হায়দরাবাদ রাজ্যের ভারতভুক্তির সমস্যা এবং কাশ্মীর সমস্যা ।
বিশেষ সমস্যা : এই তিনটি রাজ্য প্রাথমিকপর্বে ভারতে যোগ দিতে না চাওয়ায় যে সমস্যা তৈরি হল তা হল –
জুনাগড় রাজ্য : কাথিয়াবাড় উপদ্বীপে অবস্থিত জুনাগড় রাজ্যের নবাব মুসলিম হলেও তার ৮০ শতাংশ প্রজা ছিল হিন্দু । জুনাগড় নবাব পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ( ১৪ আগস্ট , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) গ্রহণ করলে জুনাগড় রাজ্যে বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ সৃষ্টি হয় ।
কাথিয়াবাড়ের কয়েকটি রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে ভারত সেখানে সৈন্যদল পাঠায় ; শেষ পর্যন্ত গণভোটের ভিত্তিতে ( ফেব্রুয়ারি , ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ ) জুনাগড় রাজ্য ভারতে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে মত দেয় এবং তা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ( ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ ) ।
হায়দরাবাদ : হায়দরাবাদের শাসক ওসমান আলি খান বিভিন্নভাবে নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখতে ও ভারত সরকারের নির্দেশ অমান্য করতে সচেষ্ট হয় । হায়দ্রাবাদের এজেন্ট জেনারেল কে . এম . মুন্সী নীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা নেন ।
শেষপর্যন্ত ভারতের সামরিক বাহিনীর জেনারেল জয়ন ্তনাথ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনী সমগ্র হায়দরাবাদ দখল করে ( ১৮ সেপ্টেম্বর , ১৯৪৮ খ্রি . ) । হায়দরাবাদ অভিযান ‘ অপারেশন পোলো ‘ নামে পরিচিত । পরের বছর নিজাম একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারতচুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করে এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দরাবাদ ভারতভুক্ত হয় ।
জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরী কাশ্মীর : স্বাধীন রাজ্যরূপে কাশ্মীর রাজ্যের উপস্থিতির ঐতিহ্য থাকায় কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারত অথবা পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকতে চাইলেও পাক – মদতপুষ্ট হানাদারগণ কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করলে হরি সিং ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন । ভারত সরকার শর্তসাপেক্ষে হরি সিং – কে সামরিক সাহায্য করলে হরি সিং ভারতের সঙ্গে যোগ দেন ( ২৬ অক্টোবর , ১৯৪৭ ) ।
উপসংহার : দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে এই তিনটি রাজ্যের মধ্যে জুনাগড় ও হায়দরাবাদ সমস্যার সমাধান করা গেলেও কাশ্মীর আজও জটিল সমস্যার জালে আবদ্ধ ।
12. কাশ্মীরের ভারতভুক্তিকরণ সমস্যাকে তুমি কীভাবে বিশ্লেষণ করবে ?
Ans: ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতালাভের প্রাক্কালে ৫৬২ টিরও বেশি দেশীয় রাজ্য ছিল এবং এগুলির অধিকাংশই ভারতে যোগ দিলেও কাশ্মীর এক দীর্ঘসূত্রী সমস্যার সৃষ্টি করে ।
কাশ্মীর সমস্যার প্রেক্ষাপট : কাশ্মীর সমস্যার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ছ হরি সিং – এর সিদ্ধান্ত কাশ্মীর রাজ্য ছিল স্বাধীন এবং এই রাজ্যের রাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু , কিন্তু তাঁর অধিকাংশ প্রজাই ছিল মুসলিম । হরি সিং প্রথমদিকে ভারত বা পাকিস্তান কোনো রাষ্ট্রেই যোগ না দিয়ে তার স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখতে সচেষ্ট হন ।
পাকিস্তানের প্রচেষ্টা : রাজনৈতিক – ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কাশ্মীর খুব গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মহম্মদ আলি জিন্না কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে সচেষ্ট হন ।
শেখ আবদুল্লার ভূমিকা : কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি শেখ আবদুল্লা কাশ্মীরের ভারতভুক্তির পক্ষে প্রবল জনমত গড়ে তুলেছিলেন ।
পাক – আক্রমণ : পাকিস্তানের মদতপুষ্ট হানাদারগণ কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করে উরি , বারমুলা প্রভৃতি স্থান দখল করে ( ২২ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) ।
উপসংহার : এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য চেয়ে পাঠালে ভারত সরকার মহারাজা হরি সিং – কে শর্ত দেন যে , তিনি যদি ভারতভুক্তি দলিলে স্বাক্ষর করেন তবেই ভারত সামরিক সাহায্য প্রদান করবে । এই অবস্থায় মহারাজা হরি সিং শর্তসাপেক্ষে ভারতে যোগদান করেন ( ২৬ অক্টোবর , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) ।
13. কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃতি ও প্রভাব চনা করো ।
Ans: ভূমিকা : ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সমস্যাবহুল দেশীয় রাজ্যটি হয় কাশ্মীর । সমস্যার প্রকৃতি : প্রাথমিক পর্বে কাশ্মীর ভারতে যোগ দিতে না চাওয়ায় যে সমস্যা তৈরি হয় তা হল পাক – আক্রমণ : স্বাধীন রাজ্যরূপে কাশ্মীর রাজ্যের একটি ঐতিহ্য থাকায় কাশ্মীর রাজা হরি সিং ভারত অথবা পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকতে চাইলেও পাক – মদতপুষ্ট হানাদারগণ কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করলে হরি সিং ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন । ভারত সরকার শর্তসাপেক্ষে হরি সিং – কে সামরিক সাহায্য করলে হরি সিং ভারতের সঙ্গে যোগ দেন ( ২৬ অক্টোবর , ১৯৪৭ ) খ্রিস্টাব্দ ।
মহারাজা হরি সিং ২ আজাদ কাশ্মীর : কাশ্মীর রাজা হরি সিং – এর সামরিক সাহায্যের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীর থেকে পাক হানাদারদের বিতাড়ন করে । এরপর পাকিস্তান সুপরিকল্পিতভাবে ছদ্মবেশে পাক সেনাবাহিনীকে কাশ্মীরে প্রেরণ করলে ভারত – পাক যুদ্ধ শুরু হয় । শেষ পর্যন্ত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের হস্তক্ষেপে যুদ্ধ বিরতি ( ৩১ ডিসেম্বর , ১৯৪৮ ) সম্পাদিত হয় । কিন্তু কাশ্মীরের একটি অংশ পাকিস্তানের দখলে রয়ে যায় , যা ‘ আজাদ কাশ্মীর ‘ নামে পরিচিত ।
প্রভাব : পাক – অধিকৃত কাশ্মীর ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পরিপূর্ণভাবে ভারতীয় ইউনিয়নের অন্যতম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয় । অন্যদিকে কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধেরও সূচনা হয় । ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীর সমস্যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব বিস্তার করেছিল ।
14. কাশ্মীর বিতর্কে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ভূমিকা কী ছিল ?
Ans: ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর দেশীয় রাজ্য কাশ্মীরে শেখ আবদুল্লার নেতৃত্বে ভারতীয় সরকার এবং পাক – হানাদারদের নেতৃত্বে ‘ আজাদ কাশ্মীর ‘ গঠিত হয় । কিন্তু বিভিন্ন কারণে পাকিস্তানের ভারতের অন্তর্গত কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ করতে থাকলে ভারত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দ্বারস্থ হলে পাকিস্তান কাশ্মীরে গণভোটের দাবি জানায় । এই পরিস্থিতিতে জাতিপুঞ্জ কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ‘ যুদ্ধবিরতি সীমারেখা ‘ ( ৩১ ডিসেম্বর , ১৯৪৮ খ্রি . ) নির্ধারণ করে তা ‘ নিয়ন্ত্রণ রেখা ‘ বা LOC ( Line of Control ) নামে পরিচিত ।
কাশ্মীর বিতর্ক ও সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ : সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে কাশ্মীর প্রশ্নে বিতর্ক শুরু হলে পাকিস্তান প্রথমে জানায় যে বেসরকারি হানাদার বাহিনী কর্তৃক কাশ্মীর আক্রমণ করার জন্য পাকিস্তানের কোনো দায়িত্ব নেই , পাকিস্তানকে এজন্য আক্রমণকারী বলা যাবে না ।
ভারতের যুক্তি : ভারতের যুক্তি ছিল যেহেতু হানাদাররা পাকিস্তানে থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে , সেহেতু তাদের আটকানোর দায় ছিল পাকিস্তানের , এই দায়িত্ব পালন না করায় পাকিস্তান ছিল অপরাধী ।
পাকিস্তানের পালটা যুক্তি : জাতিপুঞ্জে ভারতের উপস্থিত করা যুক্তিগুলি পাকিস্তানের পছন্দ না হওয়ায় তারা পালটা যুক্তি দেয় এবং গণভোট দাবি করে ।
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ভূমিকা : আন্তর্জাতিক ঠান্ডা লড়াইয়ের ফলে ভারত জোটনিরপেক্ষ নীতি নিলে ভারত ইঙ্গ – মার্কিন শক্তির বিরাগভাজন হয় । সুতরাং জাতিপুঞ্জে পশ্চিমি শক্তিও প্রস্তাব পাস করে যে , কাশ্মীর সমস্যা গণভোটের দ্বারা সমাধান হবে । কাশ্মীরে গণভোটের জন্য অ্যাডমিরাল নিমিত্ত জাতিপুঞ্জের প্রতিনিধিরূপে নিযুক্ত হন ।
উপসংহার : ভারত বাধ্য হয়ে দাবি করে যে , ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সেনা কাশ্মীর ত্যাগ করলে তবেই গণভোট সম্ভব । কিন্তু সেনা অপসারণের কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হওয়ায় গণভোট স্থগিত ছিল । সমস্যার সমাধানের জন্য জাতিপুঞ্জ কমিশন পাঠালেও আজ পর্যন্ত তার কোনো সমাধান হয়নি ।
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here
Info : উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik History Suggestion | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) History Qustion and Answer Suggestion
” উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X / WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik History Suggestion / Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer / Class 10 History Suggestion / Class 10 Pariksha History Suggestion / History Class 10 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Madhyamik History Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik History Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th History Suggestion / Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer / Class 10 History Suggestion / Class 10 Pariksha Suggestion / Madhyamik History Exam Guide / Madhyamik History Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik History Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Madhyamik History Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
FILE INFO : উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link 1 | Click Here To Download |
Download Link 2 | Click Here To Download |
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ইতিহাস | Madhyamik Class 10 History Uttar Aupniveshik Bharat
দশম শ্রেণি ইতিহাস (Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat) – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Suggestion দশম শ্রেণি ইতিহাস – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সহায়ক – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer, Suggestion | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Notes | West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer Suggestion.
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 History Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) । Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion.
WBBSE Class 10th History Uttar Aupniveshik Bharat Suggestion | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়)
WBBSE Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestions | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 History Uttar Aupniveshik Bharat Suggestion | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 10 History Suggestion Download WBBSE Class 10th History short question suggestion . Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Suggestion download Class 10th Question Paper History. WB Class 10 History suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 History Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Ten X History Uttar Aupniveshik Bharat Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam
Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X History Suggestion is provided here. Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (অষ্টম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Uttar Aupniveshik Bharat Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।