পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer : প্রিয় ছাত্রছাত্রী, আজকে আলোচনা করা হলো পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer থেকে। দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Pather Dabi Question and Answer, Suggestion, Notes – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, Very Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X Bengali Exam – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
বোর্ড (Board) | WBBSE, West Bengal |
শ্রেণী (Class) | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10) |
বিষয় (Subject) | মাধ্যমিক বাংলা (Madhyamik Bengali) |
গল্প (Golpo) | পথের দাবী (Pather Dabi) |
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Pather Dabi Question and Answer
MCQ প্রশ্নোত্তর | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Pather Dabi [Mark-1] :
- ‘ আমি বাবু ভারী ধর্মভীরু মানুষ ‘ কথাটি বলেছে-
(ক) গিরীশ মহাপাত্র ,
(খ) নিমাইবাবু ,
(গ) অপূর্ব ,
(ঘ) রামদাস ।
উত্তরঃ (ক) গিরীশ মহাপাত্র ;
- পথের দাবী ‘ কাহিনিটি যে উপন্যাসের অংশবিশেষ , তা হল –
(ক) ‘ পল্লীসমাজ ‘ ,
(খ) ‘ পথের দাবী ‘ ,
(গ) ‘ অরক্ষণীয়া ‘ ,
(ঘ) শ্রীকান্ত ।
উত্তরঃ (খ) ‘ পথের দাবী ‘ ;
- হলঘরে মোট – ঘাট নিয়ে বসেছিল ______ বাঙালি।
(ক) জন – চারেক ,
(খ) জন – পাঁচেক ,
(গ) জন – ছয়েক ,
(ঘ) জন – সাতেক ।
উত্তরঃ (গ) জন ছয়েক
- পোলিটিক্যাল সাসপেক্টের নাম –
(ক) অপূর্ব রায় ,
(খ) সব্যসাচী চক্রবর্তী ,
(গ) সব্যসাচী মল্লিক ,
(ঘ) নিমাইবাবু ।
উত্তরঃ (গ) সব্যসাচী মল্লিক :
- পুলিশ কাকে খুঁজছিল ?
(ক) রামদাসকে ,
(খ) অপূর্বকে ,
(গ) সব্যসাচী মল্লিককে ,
(ঘ) গিরীশ মহাপাত্রকে ।
উত্তরঃ (গ) সব্যসাচী মল্লিককে ;
- সব্যসাচী মল্লিকের চোখের দৃষ্টিতে কী প্রবেশ করতে সাহস করে না ?
(ক) জরা ,
(খ) মৃত্যু ,
(গ) আনন্দ ,
(ঘ) দুঃখ ।
উত্তরঃ (খ) মৃত্যু ;
- ‘ সহাস্যে কহিলেন , বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে , কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে । কথাটি বলেছেন –
(ক) পুলিশ অফিসার ,
(খ) অপূর্ব ,
(গ) জগদীশবাবু
(ঘ) নিমাইবাবু ।
উত্তরঃ (ঘ) নিমাইবাবু :
- যাকে খুঁজছেন সে যে এ নয় , তার আমি জামিন হতে পারি । ‘ বক্তা হলেন-
(ক) রামদাস ,
(খ) অপূর্ব ,
(গ) জগদীশবাবু
(ঘ) নিমাইবাবু ।
উত্তরঃ (খ) অপূর্ব :
- সব্যসাচীর ছদ্মনাম কী ছিল ?
(ক) গিরীশ পাত্র ,
(খ) গিরীশ পূর্ণপাত্র ,
(গ) গিরীশ মহাপাত্র ,
(ঘ) গিরীশ তলওয়ারকর ।
উত্তরঃ (গ) গিরীশ মহাপাত্র ;
- ‘ গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাকে পাওয়া গিয়েছিল –
(ক) দুটি টাকা ও গণ্ডা ছয়েক পয়সা ,
(খ) একটি টাকা ও গণ্ডা – চারেক পয়সা ,
(গ) দুটি টাকা ও গণ্ডা – চারেক পয়সা ,
(ঘ) একটি টাকা ও গণ্ডা – ছয়েক পয়সা ।
উত্তরঃ (ঘ) একটি টাকা ও গণ্ডা ছয়েক পয়সা ;
- ‘ তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন ? ‘ বস্তুটি হল –
(ক) একটি টাকা ,
(খ) কাঠের পেনসিল ,
(গ) গাঁজার কলিকা ,
(ঘ) একটি স্কেল ।
উত্তরঃ (গ) গাঁজার কলিকা ;
- “ বুড়োমানুষের কথাটা শুনো । ” ” বুড়োমানুষ’টি হলেন-
(ক) জগদীশবাবু ,
(খ) গিরীশ মহাপাত্র ,
(গ) নিমাইবাবু ,
(ঘ) অপূর্ব ।
উত্তরঃ (গ) নিমাইবাবু :
- ” দয়ার সাগর ! পরকে সেজে দি , নিজে খাইনে । ” বক্তা হলেন –
(ক) জগদীশবাবু
(খ) নিমাইবাবু ,
(গ) অপূর্ব ,
(ঘ) গিরীশ মহাপাত্র ।
উত্তরঃ (ক) জগদীশবাবু ;
- ‘ অপূর্ব রাজি হইয়াছিল । ‘ অপূর্ব রাজি হয়েছিল যার অনুরোধে –
(ক) কাকিমা ,
(খ) বৌঠান ,
(গ) খ্রিস্টান মেয়ে ,
(ঘ) রামদাসের স্ত্রী ।
উত্তরঃ (ঘ) রামদাসের স্ত্রী ;
- ‘ কিন্তু বুনো হাঁস ধরাই যে এদের কাজ ; ‘ – বক্তা হলেন –
(ক) অপূর্ব ,
(খ) রামদাস ,
(গ) জগদীশবাবু ,
(ঘ) নিমাইবাবু ।
উত্তরঃ (খ) রামদাস ;
- অপূর্বর পিতার বন্ধু হলেন-
(ক) জগদীশবাবু ,
(খ) রামদাস ,
(গ) নিমাইবাবু ,
(ঘ) গিরীশ মহাপাত্র ।
উত্তরঃ (গ) নিমাইবাবু ;
- এমনি তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে । ‘ কাদের অভ্যাস হয়ে গেছে ?
(ক) ভারতীয়দের ,
(খ) ইংরেজদের ,
(গ) ইউরোপীয়দের ,
(ঘ) জার্মানদের ।
উত্তরঃ (ক) ভারতীয়দের ;
- গিরীশ মহাপাত্রের সাথে অপূর্বর পুনরায় কোথায় দেখা হয়েছিল ?
(ক) পুলিশ – স্টেশনে ,
(খ) জাহাজ ঘাটায় ,
(গ) রেল স্টেশনে ,
(ঘ) বিমান বন্দরে ।
উত্তরঃ (গ) রেল স্টেশনে ;
- ‘ আপাতত ভামো যাচ্চি ‘ বক্তা হল –
(ক) গিরীশ ,
(খ) রামদাস ,
(গ) অপূর্ব ,
(ঘ) নিমাইবাবু ।
উত্তরঃ (গ) অপূর্ব ;
- ‘ তুমিতো ইউরোপিয়ান নও । ‘ কে অপূর্বকে কথাটি বলেছিলেন ?
(ক) বর্মার জেলাশাসক ,
(খ) বর্মার সাব – ইনস্পেক্টর ,
(গ) রেঙ্গুনের সাব – ইনস্পেক্টর ,
(ঘ) বড়োসাহেব ।
উত্তরঃ (খ) বর্মার সাব – ইনস্পেক্টর ;
- ‘ রাত্রের মেল ট্রেনটার প্রতি একটু দৃষ্টি রেখো , সে যে বর্মায় এসেছে এখবর সত্য । ‘ বক্তা –
(ক) জগদীশবাবু ,
(খ) নিমাইবাবু ,
(গ) রামদাস তলওয়ারকর ,
(ঘ) অপূর্ব ।
উত্তরঃ (খ) নিমাইবাবু
[আরোও দেখুন:- Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here]
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Pather Dabi SAQ [Mark-1] :
- আমার ইচ্ছা তুমি একবার সবগুলো দেখে আস । ‘ কী দেখে আসার কথা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী পাঠ্যাংশে অপূর্বর বড়োবাবু তাদের ভামো , ম্যান্ডালে , শোএবো , মিকথিলা এবং প্রোমে – এর অফিসগুলির বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগের কথা বলেছেন । সেগুলি অপূর্বকে দেখে আসার কথা বলেছেন ।
- ‘ ইহা যে কত বড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল ।’- ‘ ভ্রম ‘ টি বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ভামো যাত্রাকালে ট্রেনে প্রথম শ্রেণির টিকিট থাকায় অপূর্ব রাত্রের ঘুমটা ভালোই হবে ভাবলেও পুলিশি তদন্ত ও ভারতীয় বলে তাকে অসম্মানিত হতে হয় । তার ধারণা ভ্রমে ‘ পরিণত হয় ।
- গিরিশ মহাপাত্রের গায়ে কোন্ ধরনের পোশাক ছিল ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী রচনাংশ অনুসারে গিরীশ মহাপাত্রের গায়ে ছিল জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি আর তার বুকপকেট থেকে একটি বাঘ আঁকা রুমালের কিছুটা দেখা যাচ্ছিল । তবে কাঁধে উত্তরীয়ের কোনো বালাই ছিল না ।
- “ পরকে সেজে দি , নিজে খাইনে কখন এমন উক্তি করা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে খানাতল্লাশির সময় গিরীশ মহাপাত্রের কাছে একটি গাঁজার কলকে পাওয়া যায় । গিরীশ জানায় যে , সে বন্ধুবান্ধবদের গাঁজা দিলেও নিজে খায় না । তার এ কথায় চটে গিয়ে জগদীশবাবু প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন ।
- ‘ জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন ‘ – জগদীশবাবুর চটে ওঠার কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী রচনাংশ অনুসারে গাঁজা খাওয়ার সমস্ত লক্ষণ গিরীশ মহাপাত্রের আচার – আচরণে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সে গাঁজা খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছিল । এ জন্যেই জগদীশবাবু চটে গিয়েছিলেন ।
- কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এমন উক্তি করেছেন ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে বর্মা পুলিশের বড়োকর্তা নিমাইবাবু পুলিশের চোখে সন্দেহভাজন হিসেবে ধৃত গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষার বাহার ও পরিপাট্য দেখে ; সহাস্যে অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমন মন্তব্য করেছিলেন ।
- ” তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন ? ‘ – কোন বস্তুটি পকেটে ছিল ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে পাওয়া গাঁজার কলকের কথা নিমাইবাবু বলেছেন ।
- রামদাস ও অপূর্ব কেন একসঙ্গে জলযোগ করত?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে , অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর – এর স্ত্রী অপূর্বকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করেছিল যতদিন না পর্যন্ত মা বা অন্য কোনো মহিলা এদেশে এসে তার বাসায় উপযুক্ত ব্যবস্থাদি করছে , ততদিন এই ছোটোবোনের কাছেই সামান্য জলযোগ গ্রহণ করতে হবে ।
- অপূর্ব সহাস্যে কহিল ‘ কী কহিল ?
উত্তরঃ রেঙ্গুন রেলস্টেশনে অপূর্বর সঙ্গে গিরীশ মহাপাত্রের দ্বিতীয়বার উত্তর দেখা হয় । গিরীশের প্রশ্নের উত্তর অপূর্ব তার ভামো যাওয়ার কথা জানায় এবং গিরীশ কোথায় যাচ্ছে তা জানতে চায় ।
- রামদাস হাসিয়া কহিল ‘ – রামদাস কী বলেছিল?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে রামদাস হেসে অপূর্বকে বলেছিল যে , পুলিশ চোর – ডাকাত ধরার পরিবর্তে বর্তমানে ‘ বুনো হাঁস ‘ তথা দেশপ্রেমিক বিপ্লবীদের ধরতেই বেশি তৎপর ।
- পোলিটিক্যাল সাসপেক্টের নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে পোলিটিক্যাল সাসপেক্টের নাম ছিল সব্যসাচী মল্লিক ।
- ‘ পুলিশ – স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল ‘ কী দেখা গেল ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ পথের দাবী পাঠ্যাংশের আলোচ্য অংশে দেখা গেল , পুলিশ স্টেশনের সামনের হলঘরে জনা ছয়েক বাঙালি বসে আছে আর পুলিশ তাদের মালপত্র তল্লাশি করছে ।
- লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল ।’— লোকটির পরিচয় দাও ।
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী – তে লোকটি বলতে গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশধারী রাজবিদ্রোহী সব্যসাচীর কথা বলা হয়েছে । সন্দেহবশত পুলিশ তাকে আটক করলেও পরে আচার – আচরণ ও বেশভূষা দেখে পুলিশ গিরীশকে ছেড়ে দেয় ।
- ‘ ভয় হয় এখানে খেলা চলিবে না , ‘ উক্তিটি পরিস্ফুট করো ।
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী রচনাংশে সব্যসাচী বিচিত্র পোশাকের ও অসুস্থতার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখলেও তার বুদ্ধিদীপ্ত চোখ দুটিকে সে লুকোতে পারেনি । সে চোখের সামনে কপটতার চেয়ে সরে দাঁড়ানো ভালো ।
- ‘ দেখি তোমার ট্যাঁকে এবং পকেটে কী আছে ? ” – গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁকে ও পকেটে কী কী পাওয়া গিয়েছিল ?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁক থেকে পাওয়া যায় একটি টাকা ও গণ্ডার ছয়েক পয়সা । পকেট থেকে পাওয়া যায় একটা লোহার কম্পাস ও ফুটরুল । এ ছাড়া বিড়ি – দেশলাই ও গাঁজার কলকেও পাওয়া যায়।
- ‘ বুড়োমানুষের কথাটা শুনো । বুড়ো মানুষ কোন্ কথা বলেছিলেন ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ পথের দাবী পাঠ্যাংশে আলোচ্য অংশে বুড়ো মানুষ অর্থাৎ প্রৌঢ় নিমাইবাবু , গিরীশ মহাপাত্রকে তার স্বাস্থ্যের কথা মনে রেখে গাঁজা না – খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ।
- ‘ বাবুজি , এসব কথা বলার দুঃখ আছে । ‘ – কোন্ সব কথা বললে দুঃখ হতে পারে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটির বক্তা অপূর্বর সহকর্মী তলওয়ারকার । দুঃখ ঘটার মতো কথাগুলি হল ইংরেজ পুলিশ নিমাইবাবু অপূর্বর আত্মীয় হলেও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মনিয়োগকারী সব্যসাচীই তার বেশি আপন ।
- ‘ মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই । – কোন্ কথা মনে করে অপূর্বের এই মনোবেদনা ?
উত্তরঃ অপূর্ব বিনাদোষে ফিরিঙ্গি যুবকদের হাতে মার খাওয়া সত্ত্বেও উপস্থিত ভারতীয়রা অভ্যেসবশত এর কোনো প্রতিবাদ করেনি । এই কথা মনে করেই অপূর্বর এই মনোকষ্ট ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Pather Dabi [Mark-2/3] :
- কেবল আশ্চর্য সেই রোগা মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি । কার চোখের কথা বলা হয়েছে ? চোখদুটির বর্ণনা দাও ।
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে শরৎচন্দ্রের ‘ পথের দাবী’র কেন্দ্রীয় চরিত্র সব্যসাচী ওরফে গিরীশ মহাপাত্রের চোখের কথা বলা হয়েছে । অদ্ভুত বেশভূষাধারী ও রুগ্ গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তার চোখ দুটি । সে চোখ ছোটো কী বড়ো , টানা কী গোল , দীপ্ত কী প্রভাহীন সে বিচার করতে যাওয়া বৃথা । অত্যন্ত গভীর জলাশয়ের মতো চোখ দুটিতে এমন কিছু আছে যেখানে কোনো খেলা } চলবে না , যেখান থেকে সাবধানে দুরে দাঁড়ানোই শ্রেয় । আসলে গিরীশ মহাপাত্রের চোখ ছদ্মবেশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অসাধারণ সব্যসাচী মল্লিককেই প্রকাশ করে ।
- ‘ বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে , কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে।— ‘ বাবুটি ‘ কে ? তার শখ যে বজায় আছে , তা কীভাবে বোঝা গেল ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্রের ‘ পথের দাবী’র আলোচ্য অংশে নিমাইবাবুর কথায় বাবুটি হল ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্র । গিরীশ মহাপাত্রের মাথার বাহারি ছাঁট , চুলে সুগন্ধি তেল , পরনে রামধনু রঙের জাপানি সিল্কের পাঞ্জাবি ও বিলিতি মখমল পাড়ের সূক্ষ্ম কালো শাড়ি , পকেটে বাঘ আঁকা রুমাল , পায়ে হাঁটু পর্যন্ত লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা সবুজ মোজা ও বার্নিশ করা পাম্প শু , হাতে হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি তার ‘ শখ ‘ বজায়ের পরিচয় দেয় ।
- তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন ? ‘ – কোন্ বস্তুর কথা বলা হয়েছে ? তা পকেটে থাকার সপক্ষে যে যুক্তিটি দেওয়া হয়েছিল , তা কতখানি সন্তোষজনক ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্রের ‘ পথের দাবী ‘ উপন্যাস থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে যে বস্তুর কথা বলা হয়েছে তা হল একটি গাঁজার কলকে । পুলিশ – স্টেশনে তল্লাশির সময় গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে গাঁজার কলকেটি পাওয়া যায় । দারোগা নিমাইবাবু কলকেটির সম্পর্কে জানতে চাইলে । মহাপাত্র জানায় সে গাঁজা খায় না , কিন্তু পথে কুড়িয়ে পেয়ে সেটি বন্ধুদের প্রয়োজনার্থেই পকেটে রেখেছে । অভিজ্ঞ দারোগা নিমাইবাবুর কাছে এই বক্তব্য যুক্তিগ্রাহ্য লাগেনি । কেননা গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার মধ্যে গাঁজা সেবনের লক্ষণ স্পষ্ট ছিল ।
- বুড়োমানুষের কথাটা শুনো।— ‘ বুড়োমানুষ ‘ কে ? তাঁর কোন্ কথা শুনতে বলা হচ্ছে ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী’র উদ্ধৃতাংশে ‘ বুড়োমানুষ ‘ বলতে দারোগা নিমাইবাবু নিজেকে বুঝিয়েছেন । ] গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে বিপ্লবী সব্যসাচী বর্মায় আসেন । সন্দেহভাজন সেবে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে । তল্লাশিতে তাঁর কটে গাঁজার কলকে পাওয়া গেলেও তিনি গাঁজা খাওয়ার কথা অস্বীকার বন । দারোগা নিমাইবাবু তাঁর অভিজ্ঞতার জোরে মহাপাত্রের চেহারার গাঁজা খাওয়ার সুস্পষ্ট লক্ষণ প্রত্যক্ষ করেন । তাই ভগ্ন স্বাস্থ্যের পাত্রকে নিমাইবাবু গাঁজা না খাওয়ার পরামর্শ দেন । –
- অপূর্ব কিছু আশ্চর্য হইয়া কহিল – অপূর্ব কেন আশ্চর্য হল । তার আশ্চর্য হওয়ার প্রকৃত কারণটি কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ পথের দাবী’তে অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর অপূর্বকে অন্যমনস্ক ভাবে বসে থাকতে দেখে সে বাড়ির চিঠি পেয়েছে কিনা এবং বাড়ির সবাই ভালো আছে কি না — এমন প্রশ্ন করে বসে । হঠাৎ এমন প্রশ্ন শুনে অপূর্ব আশ্চর্য হয় । রাজদ্রোহী সব্যসাচীর বর্মায় আসার খবর পেয়ে পুলিশ খানাতল্লাশি বাড়িয়েও তাকে ধরতে ব্যর্থ হন । সব্যসাচীর ধরা না পড়া বা কোনো দুর্ঘটনা না ঘটার মতো সৌভাগ্যকে অপূর্বর অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল । তাই দৈনন্দিন কাজের মাঝে অপূর্ব কোথাও যেন অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল ।
- কিন্তু পুলিশের দল এমন কাণ্ড করলে , এমন তামাশা দেখালে যে ও – কথা আর মনেই হল না ।’- ‘ ও – কথা ‘ বলতে কোন্ কথার উল্লেখ করা হয়েছে ? পুলিশের দল কী কাণ্ড করেছিল ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্রের ‘ পথের দাবী উপন্যাস থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে – ‘ ও – কথা ‘ বলতে অপূর্বর ঘরের চুরির অভিযোগের কথা বলা হয়েছে । – রাজদ্রোহী সব্যসাচীর বর্মায় আসার খবরে সরকারি পুলিশ বর্মা ও । রেঙ্গুনে কর্মরত ও কর্মপ্রার্থী বাঙালিদের আটক করে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন । এই সময় গিরীশ মহাপাত্ররূপী সব্যসাচী ধরা পড়লেও তাঁর অদ্ভুত পোশাক ও চেহারা দেখে খানিকটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গেই পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় । একজন বিপ্লবীকে ধরতে পুলিশের কাণ্ডকারখানা দেখে অপূর্ব তার অভিযোগটি জানাতেই ভুলে গিয়েছিলেন ।
- ‘ আমি ভীরু , কিন্তু তাই বলে অবিচারের দণ্ডভোগ করার অপমান আমাকে কম বাজে না । বক্তা কাকে এ কথা বলেছিলেন ? কোন্ অবিচারের দণ্ডভোগ তাঁকে ব্যথিত করেছিল ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র অপূর্ব তার সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকরকে এ কথা বলেছিলেন ।
ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা বিনাদোষে অপূর্বকে তার নিজের দেশে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দিয়েছিল । অপূর্ব এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে ইংরেজ স্টেশনমাস্টার শুধুমাত্র ভারতীয় হওয়ার অপরাধে তাকে স্টেশন থেকে তাড়িয়ে দেয় । এই অকারণ লাঞ্ছনাই অপূর্বকে মনে মনে ব্যথিত করেছিল ।
- ‘ এমন তো নিত্যনিয়তই ঘটছে । — কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ “ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে উদ্ধৃতাংশে অপূর্বর জীবনের এক অপমানজনক ঘটনার কথা বলা হয়েছে । অকারণে কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক অপূর্বকে লাথি মেরে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল । এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে সাহেব স্টেশনমাস্টার অপূর্বকে স্টেশন থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল । যদিও স্টেশনটি ছিল ভারতবর্ষেরই এবং সেখানে যদিও বহু ভারতীয় উপস্থিত ছিল , তবু অপমানিত হওয়া অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় তারা এর কোনো প্রতিবাদ করেনি । এই ঘটনা পরাধীন ভারতের অত্যাচার ও অপমানের দৈনন্দিন চিত্র ।
- নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন । – নিমাইবাবু কে ? তার চুপ করে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশে নিমাইবাবু হলেন পুলিশের বড়োকর্তা বা দারোগাবাবু ।
পুলিশের প্রধান লক্ষ্য ছিল বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে গ্রেপ্তার করা । তিনি ছিলেন চিকিৎসাবিদ্যায় সুপণ্ডিত বহুভাষাবিদ ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব । কিন্তু সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে আটক গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা , আচার – আচরণ ও কালচার – এসব কোনো কিছুই সব্যসাচীর সঙ্গে মেলে না । তা দেখে থানায় উপস্থিত অপূর্ব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে ; এই ব্যক্তি যে সব্যসাচী মল্লিক নয় তার সে জামিন হতে পারে । অপূর্বর এ কথায় খানিক দ্বিধাগ্রস্ত নিমাইবাবু চুপ করে ছিলেন । 10. ‘ রামদাস চুপ করিয়া রহিল , কিন্তু তাহার দুই চোখ ছলছল করিয়া আসিল ।’- রামদাস কে ? তার এমন অবস্থা হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে অপূর্বর রেঙ্গুনের অফিসের সহকর্মী ছিল রামদাস তলওয়ারকর ।
অপূর্ব তাঁর জীবনের একটি বেদনাদায়ক ঘটনার কথা রামদাসকে বলে । একদিন অকারণে কয়েকজন ফিরিঙ্গি ছোঁড়া অপূর্বকে লাথি মেরে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের বাইরে বের করে দেয় । অথচ এর প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় সাহেব স্টেশন মাস্টারও তাকে তাড়িয়ে দেয় । ভারতের একটি রেল – স্টেশনে আরেক ভারতীয় এমন অসহ্য অপমানে উপস্থিত কেউই এগিয়ে আসে না । এ ঘটনার কথা শুনে দুঃখে ও লজ্জায় এক অব্যক্ত অপমানে সহমর্মী রামদাসের দুচোখ ছলছল করে উঠেছিল ।
- গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার বর্ণনা দাও ।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্রের ‘ পথের দাবী’র মূল চরিত্র বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে বর্মা আসেন । পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট হিসেবে তাকে আটক করলেও বেশভূষা ও চেহারার বিভ্রান্তিতে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয় । বছর বত্রিশের সব্যসাচীর গায়ের ফর্সা রং রোদে পুড়ে তামাটে হয়েছে । রোগা চেহারার মানুষটি সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপাতে ও কাশতে থাকেন । দেখে আশঙ্কা হয় সংসারের মেয়াদ বুঝি তার ফুরিয়ে এসেছে । তাকে আলাদাভাবে চোখে পড়ে তার রোগামুখের দুটি চোখের অদ্ভুত দৃষ্টির জন্য ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Pather Dabi [4/5] :
1. ‘ কই এ ঘটনা তো আমাকে বলেননি । — কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে ? এ ঘটনা বক্তাকে না বলার কারণ কী ছিল?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্রের ‘ পথের দাবী ‘ উপন্যাসের অংশবিশেষ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটির বক্তা হল অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর । ঘটনাটি হল , উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র অপূর্ব ফিরিঙ্গি যুবকদের হাতে কোনো এক প্ল্যাটফর্মে অপমানিত ও শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন । সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন অপূর্ব । কিন্তু তিনি ভারতীয় বলে স্টেশনমাস্টার তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন ।
অপূর্ব তার অপমানের কাহিনি তার সহকর্মী রামদাসকে আগে বলেনি । এই জন্য রামদাস অভিমানের সাথে অভিযোগ জানালে অপূর্ব বলে যে , নিজস্ব অপমান ব্যক্ত করা সহজ নয় । বিশেষত যেখানে শুধু নিজে নয় , সমগ্র জাতি জড়িত , তা প্রকাশ করা আরও বেশি অপমানের । ফিরিঙ্গি যুবকদের অপমান অপূর্বর কাছে বেদনার ছিল । কিন্তু তার চেয়ে বেশি বেদনার ছিল সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভারতীয়রা তার সেই অপমানকে মেনে নিয়েছিল । এই ঘটনায় শোষিত , পীড়িত , অসম্মানে অভ্যস্ত এক পরাধীন জাতির পঙ্গু ও ক্লীব ছবিটি ফুটে ওঠে । যে ছবি তরুণ দেশপ্রেমিক অপূর্বর কাছে গভীর যন্ত্রণা ও লজ্জার । পিতৃবন্ধু দারাগো নিমাইবাবুর চেয়ে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক কেন তার কাছে বেশি আপন তা বোঝাতে গিয়েই অপূর্ব মনের মধ্যে লুকানো বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার কথাগুলো বলে ফেলে ।
2. ‘ বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে , কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে – বক্তা কার সম্পর্কে এ কথা বলেছেন ? তার স্বাস্থ্য ও শখের পরিচয় দাও ।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্রের ‘ পথের দাবী উপন্যাস থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ অধীনস্থ এক বাঙালি পুলিশকর্তা নিমাইবাবু । তিনি পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট হিসেবে চিহ্নিত ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন । বছর ত্রিশ – বত্রিশের ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্রের ফরসা রং রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে । রোগা চেহারার মানুষটি যখন কাশতে কাশতে থানায় প্রবেশ করল তখন তার দেহের সামগ্রিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল সেটি । দ্রুত বেগে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে । কিন্তু তার রোগামুখের দুটি চোখের দৃষ্টি ভারী অদ্ভুত । জলাশয়ের মতো গভীর সে চোখের সাথে খেলা চলবে না । দূরে থাকতে হবে । সেই ক্ষীণ চোখের অতলে কোথাও যেন প্রাণশক্তি লুকিয়ে আছে আর সে জন্যই সে বেঁচে আছে।
গিরীশ মহাপাত্র যে অত্যন্ত সৌখিন মানুষ তা তার বেশভূষাতেই প্রমাণিত । চুলে বাহারি ছাঁট । তাতে সুগন্ধি নেবু তেল গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি । পকেটে বাঘ – আঁকা রুমাল । পরনে বিলেতি মখমল পাড়ের কালো শাড়ি । হাঁটু পর্যন্ত মোজা লাল রিবন দিয়ে বাঁধা এবং পায়ে নাল লাগানো বার্নিশ করা পাম্প শু । হাতে হরিণের শিং দিয়ে বাঁধানো বেতের শৌখিন ছড়ি । এসব দেখেই নিমাইবাবু রসিকতার ছলে কথাগুলি বলেছিলেন ।
3. রামদাস তলওয়ারকর চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো ।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ পথের দাবী ” উপন্যাসের এবং পার্শ্বচরিত্র হল রামদাস তলওয়ারকর । অপূর্বর সহকর্মী তলওয়ারকর খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র না হয়েও যথেষ্ট গুরুদায়িত্ব পালন করেছে । তাকে অবলম্বন করেই পাঠ্য অংশে অপূর্ব নিজের ভাবনাচিন্তা ব্যক্ত করেছে । রামদাস তলওয়ারকর সহকর্মীর চেয়েও অনেক বেশি সহমর্মী ও বন্ধু । ছদ্মবেশী সব্যসাচীকে দেখে আনমনা অপূর্বের বাড়ির পরিস্থিতি কুশল কিনা , তা সে জানার চেষ্টা করেছে । তার স্ত্রী প্রতিদিন অপূর্বর জলযোগ সরবরাহ করেছে । তলওয়ারকর অপূর্বর সমস্ত কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছে — তা সে অপূর্বর ঘরে চুরি ও উপরতলার ক্রিশ্চান মেয়ের দ্বারা সম্পদ রক্ষার গল্পই হোক বা ইংরেজ কর্তৃক অপূর্বর অপমানের কাহিনিই হোক । রেঙ্গুন পুলিশ স্টেশনে দেখা অদ্ভুত দর্শন গিরীশ মহাপাত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে তার সঙ্গে প্রচণ্ড হাসিতে ফেটে পড়েছে অপূর্ব । কিন্তু সঙ্গ দিতে গিয়ে তলওয়ারকর কখনোই অপূর্বর ছায়াতে পরিণত হয়নি । অপূর্বকে ট্রেনে তুলতে গিয়ে গিরীশ মহাপাত্রকে দেখে তার মনে সন্দেহ জেগেছে । প্রখর বুদ্ধিমান ছদ্মবেশী বিপ্লবী সব্যসাচীও তার মন থেকে সন্দেহ দূর করতে পারেনি । রামদাস মনে মনে গিরীশের প্রকৃত পরিচয় হাতড়ে বেরিয়েছে । এভাবেই বুদ্ধিতে , বন্ধুত্বে , সাহচর্যে এবং সমবেদনায় রামদাস স্বল্প পরিসরেও তার স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করে ।
4. নিমাইবাবু’র চরিত্রটি আলোচনা করো ।
উত্তরঃ অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা কালজয়ী রাজনৈতিক উপন্যাস ‘ পথের দাবী ‘ থেকে গৃহীত দশম শ্রেণির পাঠ্য অংশে নিমাইবাবু সম্পর্কে যা জানা যায় , তা হল – নিমাইবাবু হলেন কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র অপূর্বর পিতৃবন্ধু , সেই সূত্রে আত্মীয় । অপূর্বর পিতা কোনো এক সময়ে তাঁকে চাকরিতে ঢুকিয়েছিলেন । এই সূত্রে যে সম্বন্ধ স্থাপিত হয়েছে , তা দুই পক্ষই বহন করে নিয়ে চলেছে । রেঙ্গুনের পুলিশ – স্টেশনে বাংলা পুলিশের দারোগা নিমাইবাবুকে ছদ্মবেশী বিপ্লবী সব্যসাচী ওরফে গিরীশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় । তবে অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান নিমাইবাবুও সব্যসাচীকে চিনতে ভুল করে ফেলেন । তাকে সাধারণ গঞ্জিকাসেবক বলে ছেড়েও দেন । তবে তাঁর স্নেহপ্রবণ মন বোঝা যায় , যখন গিরীশ মহাপাত্ররূপী সব্যসাচীর রুগ্ণ দেহ দেখে তিনি কোমল স্বরে তাকে গাঁজা না খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং বলেন ” বুড়োমানুষের কথাটা শুনো । ” এক্ষেত্রে এক প্রৌঢ় স্নেহশীল পিতার প্রতিচ্ছবি নিমাইবাবুর মধ্যে ফুটে ওঠে ।
5. অপূর্ব হঠাৎ চকিত হইয়া বলিয়া উঠিল , ওই যে ।– প্রসঙ্গ কী ? চকিত হয়ে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যে কথাবার্তা হয়েছিল তা আলোচনা করো ।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ অনুসারে , অপূর্বকে অফিসের কাজে রেঙ্গুন থেকে ভামোয় রওনা হতে হয় । বড়োসাহেবের নির্দেশ পেয়ে সে পরদিন বিকেলে ভামোর উদ্দেশে ট্রেনে চেপে বসে । ট্রেন ছাড়তে যখন মিনিট পাঁচেক বাকি তখন সে আচমকা গিরীশ মহাপাত্রকে প্ল্যাটফর্মে দেখতে পায় । এর আগে গিরীশকে সে পুলিশ স্টেশনে সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে আটক অবস্থায় দেখেছিল । অদ্ভুত বেশভূষার গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে এই নিয়ে অপূর্বর দ্বিতীয়বার দেখা যায় । – অপূর্ব এবং গিরীশ মহাপাত্র পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে । অপূর্ব জানায় , সে ভামোর পথে চলেছে আর গিরীশ এনাঙ্গাং থেকে আগত দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছে । এই সময়েই গিরীশ জানায় পুলিশ তার মতো সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে অনর্থক হয়রান করছে । সে কোনোরকম কুকর্মের সঙ্গে জড়িত নয় । তখন প্রত্যুত্তরে অপূর্ব জানায় , সে কোনোভাবেই পুলিশের লোক নয় ঘটনাচক্রে কেবল ওখানে উপস্থিত ছিল । এমন পরিস্থিতিতে রামদাস গিরীশকে কোথাও দেখার কথা বললে , গিরীশ আশ্চর্য হয় না । শুধু বারবার অনুরোধ করতে থাকে ল যে তার ওপর যেন কেউ মিথ্যে সন্দেহ না রাখে । কারণ সে ব্রাহ্মণ বংশীয় , ২ ) লেখাপড়া – শাস্ত্রজ্ঞান — কিছুটা সেও জানে । কপালের দোষে আজ তার প্রে । এই অবস্থা । কিন্তু অপূর্বর মতো বড়োমানুষদের বিষনজরে পড়লে আর হয়তো একটা চাকরিও জুটবে না । এইসব বলতে বলতেই গিরীশ পুনরায় ‘ নমস্কার’- ‘ রাম রাম’ইত্যাদি জানিয়ে কাশির বেগ সামলিয়ে বিদায় নিয়েছিল ।
6. ‘ কিন্তু এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করবার দরকারনেই বড়োবাবু ।— ‘ জানোয়ারটা ‘ বলতে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ? তাকে ওয়াচ করার দরকার নেই কেন ?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটিতে ‘ জানোয়ারটা বলতে পুলিশ – স্টেশনে আটক গিরীশ মহাপাত্রকে বলা হয়েছে । বক্তা পুলিশের কর্মচারী জগদীশবাবু ।
বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে পুলিশ গিরীশ মহাপাত্রকে আটক করে । কিন্তু তার রোদে পড়া তামাটে রং , হাঁফ ধরা কাশির দমক ও অকাল বার্ধক্যের ভগ্ন – স্বাস্থ্য দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় । বিশেষত তার বেশভূষার বাহার আর পরিপাট্য দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় এই ব্যক্তিটি সব্যসাচী নয় । কারণ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সঙ্গে সন্দেহভাজন ; কারখানার মিস্ত্রি গিরীশের কোনো মিল থাকাই সম্ভব নয় । খানাতল্লাশির সময় তার ট্যাক ও পকেট থেকে বিভিন্ন মামুলি সামগ্রীর সঙ্গে একটি গাঁজার কলকেও পাওয়া যায় । গিরীশ গাঁজা খাওয়ার কথা বারবার অস্বীকার করলেও , গাঁজা খাওয়ার সমস্ত লক্ষণই তার বিদ্যমান দেখে পুলিশ নিঃসংশয় হয় । নিমাইবাবু মহাপাত্রকে ছেড়ে দিলেও , এ শহরে নজর রাখার কথা বলেন । কারণ বর্মায় সব্যসাচী এসেছে । এ খবর নির্ভুল । এ কথায় জগদীশবাবু বলেন , তবে গিরীশ মহাপাত্রকে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই ।
7. গিরীশ মহাপাত্রের চেহারা ও পোশাক – আশাকের বিস্তারিত বিবরণ দাও ।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ পথের দাবী ‘ রচনাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র সব্যসাচী মল্লিকের ছদ্মবেশী রূপই হল গিরীশ মহাপাত্র । ছদ্মবেশী সব্যসাচী এই উপন্যাসে যেন সম্পূর্ণ একটি আলাদা চরিত্র রূপে আমাদের কাছে ধরা দেয় । পুলিশ – স্টেশনের মধ্যে কাশতে কাশতে তার আবির্ভাব । রোদে পুড়ে তার গায়ের অত্যন্ত ফর্সা রং প্রায় তামাটে হয়ে গেছে । বয়স ত্রিশ – বত্রিশের মধ্যে হলেও , অত্যধিক রুগ্ণতার জন্য তাকে দেখে মনে হয় যেন আয়ুর শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে । তবে এমন শারীরিক গড়ন ও চেহারার মধ্যেও উল্লেখযোগ্য তার রোগা মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি । আসলে মহাপাত্ররূপী সব্যসাচী সবকিছু লুকোলেও , অতলস্পর্শী চোখ দুটিকে তার পক্ষে লুকোনো সম্ভব ছিল না । তার মাথার সামনের চুল লম্বা । যদিও ঘাড় ও কানের কাছে প্রায় নেই । তার চোরা সিঁথি করা তেল জবজবে মাথা থেকে উগ্র নেবুর তেলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে । গিরীশের পরনে ছিল জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি , যার বুকপকেট থেকে বাঘ আঁকা একটা রুমালের কিছুটা দেখা যাচ্ছিল । যদিও তার কাঁধে উত্তরীয়ের কোনো বালাই ছিল না । সে পরনে বিলাতি মিলের কালো মকমলের সূক্ষ্ম শাড়ি পরেছিল । তার পায়ে ছিল লাল ফিতে বাঁধা সবুজ ফুল মোজা ও তলায় আগাগোড়া নাল বাঁধানো বার্নিশ করা পাম্প শু । আর তার হাতে ধরা একগাছি হরিণের শিং দিয়ে হাতল বাঁধানো বেতের ছড়ি । তবে এত শখশৌখিনতা – পরিপাট্য এ সবই জাহাজ যাত্রার ধকলে নোংরা ও মলিন এবং তার শরীরে গাঁজা খাওয়ার লক্ষণ আর ক্লান্তির ছাপ বেশ স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হচ্ছিল ।
Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন:
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Question and Answer / Suggestion / Notes Book
মাধ্যমিক বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Get the Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class 10 Bengali Pather Dabi Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE)
Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X Bengali Suggestion is provided here. Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
FILE INFO : পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link | Click Here To Download |
[বিদ্রঃ এই বইটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে কোনো অসুবিধা হলে আমাদের WhatsApp করুন 9476288780 এই নাম্বারে অথবা আমাদের WhatsApp Channel এ যুক্ত হন Join Now]
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেবী ভিডিও ক্লাস | Madhyamik Class 10th Bengali Pather Dabi Video Class on YouTube
PLAY NOW | SUBSCRIBE
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now, আমাদের Android Mobile App ডাউনলোড করুন Download Now]
Info : পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Bengali Suggestion | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) Bengali Question and Answer Suggestion
” পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X / WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী। সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন / মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর। Madhyamik Bengali Suggestion / Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer / Class 10 Bengali Suggestion / Class 10 Pariksha Bengali Suggestion / Bengali Class 10 Exam Guide / MCQ, Short, Descriptive Type Question and Answer / Madhyamik Bengali Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik Bengali Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Bengali Suggestion / Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer / Class 10 Bengali Pather Dabi Suggestion / Class 10 Pariksha Pather Dabi Suggestion / Madhyamik Bengali Exam Guide / Madhyamik Bengali Suggestion 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion MCQ, Short, Descriptive Type Question and Answer. / Madhyamik Bengali Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর | Pather Dabi Question and Answer
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর।
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – MCQ প্রশ্ন ও উত্তর মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Pather Dabi MCQ
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – Madhyamik Bengali Pather Dabi MCQ Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – MCQ প্রশ্ন উত্তর।
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণির বাংলা | Madhyamik Bengali Pather Dabi SAQ
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – Madhyamik Bengali Pather Dabi SAQ Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer Suggestion
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – | মাধ্যমিক বাংলা সহায়ক – পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর। Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer, Suggestion মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর।
পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” পথের দাবী (গল্প) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Pather Dabi Suggestion Question Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো, ধন্যবাদ।