পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় - সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer
পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় - সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer : পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 7th Bengali Pagla Ganesh Question and Answer, Suggestion, Notes | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 7th Seven VII Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন (পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer) গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

 তোমরা যারা পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

রাজ্য (State) পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)
বোর্ড (Board) WBBSE
শ্রেণী (Class) সপ্তম শ্রেণী (WB Class 7th)
বিষয় (Subject) সপ্তম শ্রেণীর বাংলা (Class 7 Bengali)
গল্প (Golpo) পাগলা গণেশ (Pagla Ganesh)
লেখক (Writer) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

[সপ্তম শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBBSE Class 7th Bengali Pagla Ganesh Question and Answer 

MCQ | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 7 Bengali Pagla Ganesh MCQ Question and Answer :

  1. গণেশ লেখে ।

(A) উপন্যাস

(B) কবিতা

(C) গল্প

Ans: (B) কবিতা

2.গণেশের কবিতা _________ শুনবে বলে গণেশের বিশ্বাস ।

(A) আকাশ , বাতাস , প্রকৃতি

(B) ছাত্র , ছাত্রের মা

(C) পাঁচজন শ্রোতা

Ans: (A) আকাশ , বাতাস , প্রকৃতি

3.“ গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে । ” কাদের ? 

(A) ছাত্রদের

(B) ছেলেমেয়েদের

(C) বিজ্ঞানীদের

Ans: (B) ছেলেমেয়েদের

  1. গণেশকে কবিতায় পেলে গণেশ –

(A) কবিতা সুর দিয়ে গান করে

(B) অনেক কবিতা লেখে

(C) কবিতা লেখার পাতা ভাসিয়ে দেয়

Ans: (C) কবিতা লেখার পাতা ভাসিয়ে দেয়।

5.‘ এক সপ্তাহ পরে ’।

(A) রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের ডেরায় নামলেন

(B) সবাই হিজিবিজি ছবি আঁকছে

(C) লোকে গান গাইতে লেগেছে

Ans: (A) রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের ডেরায় নামলেন।

  1. ‘ পৃথিবী যে উচ্ছন্নে গেল ! ‘ — এই দুশ্চিন্তা হল ।

(A) পাগলা গণেশের

(B) এক ভদ্রমহিলার

(C) রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের

Ans: (C) রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের।

  1. ‘ যাঃ তাহলে আর ভয় নেই ।’— ভয় ছিল ।

(A) গবেষণার

(B) সুকুমার শিল্পে

(C) পৃথিবী মরছে — এই মরে যাওয়াতে

Ans: (C) পৃথিবী মরছে — এই মরে যাওয়াতে

  1. – “ গণেশ হোঃ হোঃ করে হেসে উঠে বলল ” – ভাবদৃষ্টির পরিচয় হল ।

(A) সাফল্য

(B) অবহেলা

(C) খোঁচা দেওয়া

Ans: (A) সাফল্য

  1. ‘ দুনিয়াটা বেঁচে যাবে …’– এই নিশ্চিন্ত ভাবটি হল।

(A) পাগলা গণেশের

(B) মৃত্যুহীন মানুষের

(C) রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের

Ans: (A) পাগলা গণেশের

  1. ‘পাগলা গণেশ’ একটি’ – বিষয়ক গল্প।

(A) বিজ্ঞান

(B) কল্পবিজ্ঞান

(C) রূপকথা

Ans: (B) কল্পবিজ্ঞান

  1. ‘অবজার্ভেটরি’- র বাংলা প্রতিশব্দ।

(A) পরীক্ষাগার

(B) গবেষণাগার

(C) নিরীক্ষণাগার

Ans: (C) নিরীক্ষণাগার

  1. সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ __________ আশ্রয় নিয়েছিলেন ।

(A) হিমালয়ের গিরিগুহায়

(B) গভীর জঙ্গলে

(C) মহাকাশে

Ans: (A) হিমালয়ের গিরিগুহায়

  1. গত এক দেড়শো বছরের মধ্যে কেউ পৃথিবীতে শিশুর কান্না শোনেনি , কার –

(A) বিজ্ঞান নিয়ে সকলে ঝুঁদ হয়ে আছে

(B) প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিজ্ঞানের বিজ্ঞানী

(C) কবিতা , গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য , নাটক , সিনেমা এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না

(D) সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন মানুষের জন্ম হচ্ছে না

Ans: (D) সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন মানুষের জন্ম হচ্ছে না

  1. ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে _______ কথা বলা হচ্ছে ।

(A) বিজ্ঞানচর্চা

(B) শিল্পচর্চা

(C) সাহিত্য – শিল্পচর্চার

Ans: (C) সাহিত্য – শিল্পচর্চার

  1. “ ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে । ” — ব্যতিক্রম চরিত্রটি কে ?

(A) পাগলা গণেশ নিজেই

(B) পাগলা গণেশের স্ত্রী

(C) পাগলা গণেশের মেয়ের কথা বলা হচ্ছে

Ans: (A) পাগলা গণেশ নিজেই

  1. অন্তহীন আয়ুতে গণেশের উপলব্ধি হল ।

(A) মৃত্যুহীন জীবনের যন্ত্রণা

(B) সুইসাইডের ইচ্ছা

(C) মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা

Ans: (A) মৃত্যুহীন জীবনের যন্ত্রণা

  1. গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল ________ সালে।

(A) ৩৫৮৯

(B) ৩৪৩৯

(C) ৩৫০০

Ans: (B) ৩৪৩৯

অতি সংক্ষিপ্ত | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 7 Bengali Pagla Ganesh SAQ Question and Answer :

  1. মাজ থেকে দেড়শো বছর আগে কী আবিষ্কার হয়েছিল ?
    Ans: আজ থেকে দেড়শো বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কৃত হয়েছিল ।
  2. গণেশ কেন অমর হয়ে গেল ?
    Ans: মৃত্যুঞ্জয় টনিক সেবন করে গণেশ অমর হয়ে গেল ।
  3. গণেশকে কীসের বাতিকে পেয়েছে ?
    Ans: গণেশকে কবিতা লিখে আকাশে উড়িয়ে দেওয়ার বাতিকে পেয়েছে ।
  4. গণেশের ক – টি ছেলে ও ক – টি মেয়ে ?
    Ans: গণেশের তিন ছেলে ও এক মেয়ে ৷
  5. গণেশের স্ত্রী কোথায় কাজ করেন ?
    Ans: গণেশের স্ত্রী ক্যালিফোর্নিয়া মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেন ।
  6. গণেশ আগে কোথায় , কী পড়াতেন ?
    Ans: গণেশ আগে কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিকস পড়াতেন ।
  7. ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পটি কার লেখা ?
    Ans:‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা ।
  8. ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?
    Ans:‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পটি লেখকের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্পগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
  9. ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পটি কী ধরনের গল্প ?
    Ans: ‘ পাগলা গণেশ ’ কল্পবিজ্ঞানের গল্প ।
  10. পাগলা গণেশের বয়স কত ?
    Ans: পাগলা গণেশের বয়স দুশো বছর ।

সংক্ষিত | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 7 Bengali Pagla Ganesh Short Question and Answer :

  1. মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কারের পর পৃথিবীতে কীসের হিড়িক পড়ে গেছে ?
    Ans: মাধ্যাকর্ষ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কারের পর পৃথিবীতে নানারকম উড়ান যন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে গেছে ।
  2. “চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না।”মানুষের মন থেকে কোন্ কোন্ অনুভূতিগুলি হারিয়ে গেছে ?

Ans: ‘পাগলা গনেশ’ গল্প অনুসারে মানুষের মনে ‘দয়া’, ‘মায়া’, ‘করুণা’, ‘ভালােবাসা ইত্যাদি অনুভূতি আর নেই, বিজ্ঞানের যান্ত্রিকতায় তা হারিয়ে গেছে।

  1. পাগলা গণেশের জীবনের প্রতি বিরক্তি কীভাবে গড়ে উঠেছিল ?
    Ans: দুশো বছর বয়সি পাগলা গণেশের পঞ্চাশ বছর বয়সে যে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল , তা সে সেবন করায় তার অমর হয়ে যায় । আর দেড়শো বছর আগে যে সুকুমার শিল্পবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তা পাগলা গণেশের পছন্দ হয়নি । এইভাবেই তার জীবনের প্রতি বিরক্তি গড়ে ওঠে ।
  2. “ও মশাই, এমন বিকট শব্দ করছেন কেন ?” – কার উদ্দেশ্যে কারা এ কথা বলেছিল ? কোন্ কাজকে তারা ‘বিকট শব্দ’ মনে করেছিল ?

Ans: একদিন গণেশ সন্ধ্যাবেলায় গলা ছেড়ে গান গাইছিলেন। হঠাৎ দুটো পাখাওয়ালা লােক লাসা থেকে ইসলামাবাদ উড়ে যেতে যেতে নেমে এসে গণেশকে উদ্দেশ্য করে রীতিমতাে ধমক দিয়ে মন্তব্যটি করেছিল।
গণেশের গলা ছেড়ে গান গাওয়াকেই তারা ‘বিকট শব্দ’ বলে মনে করেছিল।

  1. “গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে”— গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছেন ? তার এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তােমার মনে হয় ?

Ans: ‘পাগলা গণেশ’গল্পে গণেশ তার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মুখশ্রী ভুলে গেছেন।
গণেশের ছেলেমেয়েরা তাঁর কাছে থাকে না, গত একশাে বছরের মধ্যে তারা বাপের কাছেও আসেনি। এই দীর্ঘ বিচ্ছেদের ফলেই গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছেন।

  1. “গণেশকে সসম্রমে অভিবাদন করে বলল”—কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাকে সম্মান জানানাের কারণটি কী?

Ans: পিপে থেকে বেরিয়ে আসা একজন পুলিশম্যান সসম্রমে গণেশকে অভিবাদন করে বলেছিল, গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিকস পড়াতেন, তখন সে তার ছাত্র ছিল। তারপর গণেশের পাহাড়ময় কাগজ ছড়ানোর কারণ জানতে চেয়েছিল।
তার এভাবে সম্মান জানানাের কারণ হল, গণেশ একসময়ে সেই পুলিশ ম্যানের শিক্ষক ছিলেন।

  1. “আমি পৃথিবীকে বাঁচানাের চেষ্টা করছি” বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানাের চেষ্টা করেছিল ? তার প্রয়াস শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল কি ?

Ans: বক্তা গণেশ কবিতা লিখে, গান গেয়ে, ছবি এঁকে পৃথিবীর মানুষের ভেতরের মানবিক বােধগুলিকে জাগিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছিলেন।
হ্যাঁ,তার এই প্রয়াস শেষপর্যন্ত সফল হতে চলেছিল।গণেশ বুঝেছিলেন যে, দুনিয়াকে বাঁচানাের জন্য তার চেষ্টা সফল হতে চলেছে। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের কাছ থেকে গণেশ জানতে পেরেছিলেন যে, বর্তমানে লােকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসাে করছে, হিজিবিজি ছবি আঁকছে।

  1. ঢেঁকি থেকে নামা আর ভেলা থেকে নামা লোক দুটোর সঙ্গে গণেশের কী কথা হয়েছিল ?
    Ans: একটা ঢেঁকি আর একটা ভেলায় চড়ে আসা লোক দুটো গণেশের কাজের ফিরিস্তি থেকে জেনেছিল , গণেশ কবিতা লিখছে , কবিতার পাতা বাতাসে ভাসিয়ে দিচ্ছে — যদি কেউ কুড়িয়ে পায় আর পড়তে ইচ্ছে হয় তো পড়বে । এরপর লোক দুটো গণেশের কাজের প্রতি অবহেলার ভাব প্রকাশ করে ।
  2. ‘ একা সে পৃথিবীর গতি কিছুতেই উল্টে দিতে পারবে না ।’— গণেশের এরূপ ধারণা কেন হয়েছিল?
    Ans: গণেশ কবিতা লিখে দুটো লোকের কাছ থেকে অবহেলা পেয়েছে , আর গান গাওয়ায় দুটো পাখাওয়ালা ভদ্রলোকের কাছ থেকে কথার খোঁচা খেয়েছে এবং ছবি খোদাই করতে গিয়ে এক ভদ্রমহিলার কাছ থেকে সে উপেক্ষা লাভ করেছে । তারপরেই তার মনে হয়েছে , পৃথিবীর গতিপ্রকৃতি সে একা উলটে দিতে পারবে না ।
  3. ‘ পৃথিবীর বাঁচবার ওষুধ ।’— পৃথিবীর কী অসুখ করেছে বুঝিয়ে দাও ।
    Ans: পৃথিবীর গভীর থেকে গভীরতর অসুখ এখন । এই অসুখে পৃথিবী বিষণ্ণ ৷ বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িতে গার্হস্থ্যধর্মের মায়া – মমতার সবরকম পথ নষ্ট হয়ে গেছে । তাকে ফেরত পাওয়ার ওষুধ হল সুকুমার শিল্প । সুতরাং পৃথিবীর প্রকৃতপক্ষে গভীর অসুখ করেছে ।
  4. ‘ গণেশ হোঃ হোঃ করে হেসে উঠে বলল , ।’— গণেশের এই হাসির অর্থ লেখো ।
    উত্তরাঃ গণেশের এই হাসিতে যে উচ্চধ্বনি আছে তাতে সাফল্যের আনন্দ প্রকাশিত । গণেশের বিশ্বাস পৃথিবীর লোক তার সঙ্গে আছে , তাই দুনিয়াটা সত্যিই বেঁচে যাবে ।
  5. “তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল”— এই তিনজন কারা ? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী ?

Ans: এখানে মন্ত্রমুগ্ধ যে তিনজনের কথা বলা হয়েছে, তারা হল গণেশের প্রাক্তন ছাত্র এক পুলিশম্যান, তার স্ত্রী আর তার মা।
  গণেশ তাদের কবিতা পড়ে আর গান গেয়ে শােনান, নিজের আঁকা ছবি দেখান। এই সব দেখে পুলিশম্যান, তার স্ত্রী এবং মা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে থেকেছিল।

  1. “সালটা ৩৫৮৯”—এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে?

Ans: সালটা ৩৫৮৯, ইতিমধ্যে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরােধকারী মলম আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। চাঁদ, মঙ্গল ও শুক্রগ্রহে মানুষ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে, সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং জানা গেছে সৌরজগতে আর কোনাে গ্রহ নেই। মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কারের কারণে পৃথিবীতে মানুষ আর মারা যায় না। আলাের চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন মহাকাশযান ইতিমধ্যেই আবিষ্কৃত হয়ে গেছে।

  1. “ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না”— ‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? তাকে সত্যিই তােমার অনাবশ্যক বলে মনে হয় কি?

Ans: ‘পাগলা গণেশ’ গল্পে ‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে কবিতা, গান, ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা ইত্যাদির চর্চাকে বােঝানাে হয়েছে।
না, এগুলির কোনােটিকেই আমার অনাবশ্যক বলে মনে হয় না। কারণ এগুলি চর্চা করলে মানুষের মনকে সতেজ, অনুভূতিশীল ও সৃষ্টিশীল রাখে।

  1. ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পে সভ্যতার কোন সমস্যার দিকে ইঙ্গিত রয়েছে ?
    Ans: আলোচ্য ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞানধর্মী গল্পে দেখা যায় , মানবসভ্যতা বিজ্ঞানের হাত ধরে সুদূর ভবিষ্যতে উন্নতির শিখরে পৌছেছে । এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানের বাড়াবাড়ি এবং মানবমনের সৃষ্টিশীলতার মৃত্যু হওয়ার সমস্যাটিকে ইঙ্গিতবাহী করে তোলা হয়েছে।
  2. ‘ পাগলা গণেশ ‘ গল্পে যেসকল উড়ানযন্ত্রের উল্লেখ আছে সেগুলির পরিচয় দাও ।
    Ans: ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধী মলম আবিষ্কারের ফলে নানারকম উড়ানযন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে যায় । সেগুলি হল — ডাইনিদের বাহন ডান্ডাওলা ঝাঁটার মতো , নারদের ঢেঁকির মতো , কার্পেটর মতো , কার্তিকের বাহন ময়ূরের মতো সব উড়ানযন্ত্র ।

17.“ খামোখা সময় নষ্ট । ” — এমন ভাবনার কারণ কী ?
Ans: ঘরে ঘরে মানুষ বিজ্ঞান নিয়ে এমন ঝুঁদ হয়ে আছে যে , প্রতি ঘরের প্রত্যেকেই কোনো – না – কোনো বিজ্ঞানী । ফলে বিজ্ঞান চর্চা ছাড়া অন্য কোনো চর্চায় কেউ মাথা ঘামায় না ৷ কবিতা , গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য , নাটক সিনেমা এসব নিয়ে মাথা ঘামানো মানে খামোখা সময় নষ্ট করা । কারণ চারদিকে বিজ্ঞানচর্চার মধ্যে এসব চর্চা কোনো কাজে লাগে না ।

  1. “ খেলাধুলোর পাটও চুকে গেছে । ” — কীভাবে বোঝা গেল ?
    Ans: বিজ্ঞানের চরমতম সাফল্য ও প্রসারের যুগেও খেলাধুলোর বল থাকতেই পারে , কেন – না বিজ্ঞান মস্তিষ্কের বিষয় , খেলাধুলো শরীরচর্চা ও বিনোদনের ব্যাপার । তবুও যখন ‘ পাগলা গণেশ ’ সাহিত্য বিচিত্রা গল্পে ৩৫৮৯ সালের প্রেক্ষাপটে দেখা গেল — মানুয বিজ্ঞানে বুদ , খেলাধুলোর সের – জনপ্রিয় আসরগুলি , অর্থাৎ অলিম্পিক – বিশ্বকাপ উঠে গেছে , তখনই বোঝা যায় খেলাধুলোর পাট চুকে গেছে ।
  2. “ আছে শুধু বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান । ” — পৃথিবীতে আর কী কী থাকার কথা ?
    Ans: বিজ্ঞান মানুষের কাজে এক আশীর্বাদস্বরূপ শক্তির উৎস সন্দেহ নেই ৷ কিন্তু বিজ্ঞানই যে মানুষের জীবনের একমাত্র বিষয় , তা কখনো হতে পারে না । মানবমনের সুকুমার শিল্পবোধের নান্দনিক প্রকাশ কবিতা – গান – কবির মতো বিষয়গুলিও তাই মানবসভ্যতার অঙ্গ হওয়ার কথা ছিল । সেইসঙ্গে ক্রীড়া ও দয়া মায়া – করুণা – ভালোবাসার মতো আবেগ – অনুভূতিও থাকা জরুরি ।
  3. “ গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে । ” — গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে ? তার এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?
    Ans: প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ‘ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । গণেশের তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে । তাদের মুখশ্রী তিনি একেবারে ভুলে গেছেন । গণেশ নিজে যেমন কৃতী মানুষ , তেমনই তার ছেলেমেয়েরাও প্রত্যেকেই এক – একজন কৃতী বিজ্ঞানী । বিগত একশো বছর ধরে ছেলেমেয়েদের দেখতে না পাওয়ার জন্যই পাগলা গণেশ ছেলেমেয়েদের মুখশ্রী ভুলে গেছেন ।

ব্যাখ্যাভিত্তিক | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 7 Bengali Pagla Ganesh Short Question and Answer :

  1. “লােকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে‌ ? সে কী বলল ? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী ?

Ans: এখানে অসহায়ভাবে মাথা নাড়া লােকটি হল একজন পুলিশম্যান। গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে শিক্ষকতা করতেন, তখন সে ছিল তার ছাত্র।
  পুলিশম্যানটি গণেশের কবিতা লেখা আছে এমন একটি কাগজ কুড়িয়ে নিয়ে ছিল। সেই কাগজটির দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে সে বলেছিল যে, সে কিছুই বুঝতে পারছে না, কোনােদিনও সে সেসব পড়েনি এবং তাদের আমলে শিক্ষানিকেতনে সেসব পড়ানােও হত না। একইসঙ্গে সে জানায় যে, আরও আগে কবিতা নামে কী যেন একটা ছিল বলে সে শুনেছে।
  গণেশের কবিতা পড়ে সে অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে তার কবিতা বােঝার অক্ষমতার কথা জানিয়েছিল।

2.‘ গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল , ” – কে , কী বলেছিল ? তার এভাবে তাকে সম্মান জানানোর কারণটি কী ?
Ans: প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । একজন পুলিশম্যান গণেশকে সম্ভ্রমের সঙ্গে অভিবাদন জানিয়ে বলেছিল — তিনি যে পাহাড়ময় এত কাগজ ছড়িয়ে দিচ্ছেন , তার কারণ কী ? এটা কী নতুন কোনো বিষয়ে গবেষণা ?
একদিন গণেশ যখন আপন মনে কবিতা লিখে বাতাসে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন , তখন আকাশ থেকে একটা পিপে মাটিতে নেমে আসে । তার মধ্য থেকে একজন পুলিশম্যান বেরিয়ে এসে গণেশকে ‘ স্যার ’ বলে অভিবাদন জানায় । গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স পড়াতেন , তখন তার ছাত্র ছিল ওই পুলিশম্যান । তাই মাস্টারমশাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সে সসম্ভ্রমে তাকে ‘ স্যার ‘ অভিবাদন জানিয়ে সম্মান জানিয়েছে ।

  1. “ আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি । ” — বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল ? তার প্রয়াস শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল কি ?
    Ans: প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । উক্তিটির বক্তা হলেন গণেশ নিজেই । গণেশ ছবি এঁকে , কবিতা লিখে , গান গেয়ে পৃথিবীকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন ।
    গণেশের প্রয়াস যে শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল , গল্পশেষে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে । রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের একক প্রচেষ্টার খবর পেয়ে তাঁর বিমান থেকে গনেশের ডেরায় নেমে যে উক্তি করেছিলেন , তাতেই সেই ইঙ্গিত রয়েছে । তিনি বলেছিলেন — ‘ লোকে গান গাইতে লেগেছে , কবিতা মকসো করছে , হিজিবিজি ছবি আঁকছে । ‘ অর্থাৎ গণেশের প্রয়াস যে ব্যর্থ হয়নি , তা নিঃসন্দেহে বোঝা যায় ।
  2. “ লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল , ” — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? সে কী বলল ? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী ?
    Ans: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পের উদ্ধৃত অংশে ‘ লোকটা ’ অর্থাৎ পুলিশম্যানের কথা বলা হয়েছে , যে একসময় পাগলা গণেশের ছাত্র ছিল ৷
    সে গণেশের কবিতা পড়ে অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল যে , সে কিছুই বুঝতে পারছে না । কোনোদিনই সে এ জিনিস পড়েনি এবং তাদের সময়ে শিক্ষানিকেতনে এসব পড়ানো হত না । এ আসলে উক্ত পুলিশম্যানের আমলে শিক্ষানিকেতনে কবিতা পড়ানো হত না । ফলে কবিতার সঙ্গে পুলিশম্যানের কোনো সম্পর্কই ছিল না । গণেশের কবিতা পড়ে সে কিছুই বুঝতে পারেনি । গণেশের কবিতার ভাব বা আবেদন তার মাথাতেই ঢোকেনি । এই কারণেই সে অসহায়ভাবে মাথা নেড়েছিল ।
  3. “ তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল । ” — এই তিনজন কারা ? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী ?
    Ans: প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে । আলোচ্য অংশের তিনজন হলেন গণেশের প্রাক্তন ছাত্র পুলিশম্যান , পুলিশম্যানের মা এবং স্ত্রী ।
    পুলিশম্যান গণেশের কবিতা পাঠ করে কিছুই বুঝতে না পেরে চলে গেলেও পরের দিনই সে তার স্ত্রী এবং মা – কে নিয়ে আসে গণেশের কাছে , গণেশের কবিতা শোনার জন্য । গণেশ তাদের দেখে খুশি হয় এবং তাদের কবিতা শোনায় । তবে শুধু তাই নয় , গণেশ তাদের গান শোনায় এবং ছবিও দেখায় । গণেশের এই শিল্পকর্মে পুলিশম্যান , তার মা ও স্ত্রী মোহিত হয়ে পড়ে । তারা যেন কোনো অনাস্বাদিত বস্তুর রস আস্বাদন করতে থাকে । তাই তারা গণেশের কবিতা , গান শুনে এবং ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল ।

6.“ সালটা ৩৫৮৯। ” –সমসময়ের কেমন ছবি গল্পে ফুটে উঠেছে লেখো ।
Ans: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কল্পবিজ্ঞান – গল্প ‘ পাগলা গণেশ’ এর পটভূমিতে উল্লিখিত সালটি সুদূরতম ৩৫৮৯। স্বভাবতই কল্পনা করে নিতে হয় বিজ্ঞানের অকল্পনীয় উন্নতির যুগ সেটা । সে – যুগে মানুষ পৃথিবীর উপগ্রহ চঁাঁদে ছাড়াও অন্য দুই গ্রহ মঙ্গল ও শুক্রে ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে । আবিষ্কার করেছে সূর্যের আরও দুটি গ্রহ এবং নিশ্চিত হয়ে গেছে সূর্যের আর কোনো গ্রহ অনাবিষ্কৃত নেই । হাজার হাজার মানুষ মহাকাশের নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে আলোর চেয়েও দ্রুতগতির মহাকাশযানে ১০০-১৫০ বছর আগে রওনা হয়ে গেছে বা যাচ্ছে । কাছেপিঠে যাওয়া মানুষেরা ফিরবে ফিরবে করবে । তবে তাদের আসার সময়টি নিশ্চিত নয় । এ পৃথিবীতে মানুষ মরণশীল নয় । পুরাণ কালের মানুষেরা আজও জীবন্ত । তাই মহাকাশগামী মানুষেরা ফিরে এলে সেই আমলের লোকেদের দেখতে পাবে । নতুন মানুষেরও আর জন্ম হচ্ছে না , তাই নবজাতকের কান্নাও আর শোনা যায় না । ঘরে ঘরে বিজ্ঞানী , মানুষ বিজ্ঞানে বুঁদ হয়ে আছে ৷

  1. “ বিজ্ঞান ছাড়া কোন চর্চাই নেই । ” –বিজ্ঞান বিষয়টি কীভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে ? বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কোনো বিষয়গুলি কী কী ?
    Ans: ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞান গল্পে সালটি তখন ৩৫৮৯। অভাবনীয় উন্নতিতে বিজ্ঞান মানুষের মনের সবটুকু আবিষ্কার করে নিয়েছে । ঘরে ঘরে মানুষ এত বেশি বিজ্ঞান নিয়ে ঝুঁদ হয়ে আছে যে , ‘ প্রতিঘরের প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিজ্ঞানের বিজ্ঞানী । ‘ তাই বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের বিজ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞান বিষয়টি সর্বক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে । চারদিকে শুধু বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান । বিজ্ঞান ছাড়া অন্য যে যে বিষয়গুলি চর্চাহীন হয়ে পড়েছে , সেগুলির মধ্যে মূলত পড়ে কবিতা , গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য , নাটক , সিনেমা ইত্যাদি । এসব নিয়ে কেউ যেমন মাথা ঘামায় না , তেমনই কোনো কাজে লাগে না বলে এসব বিষয়কে মানুষ ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলে মনে করে । অন্যদিকে খেলাধুলোর পাটও চুকে গেছে । ‘ অলিম্পিক ’ ও ‘ বিশ্বকাপ ’ – এর মতো জনপ্রিয় ক্রীড়াবাসর অবলুপ্ত , দয়া – মায়া – করুণা – ভালোবাসা এসবের প্রয়োজন না থাকায় বা চর্চার অভাবে মানুষের মন থেকে এই আবেগ – অনুভূতিগুলিও মুছে গেছে ।
  2. “ তা বলে হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা তা নয় । ” –হিমালয়ের প্রসঙ্গ এল কেন ? হিমালয়ও যে নির্জন জায়গা নয় তা কীভাবে প্রমাণিত হয় ?
    Ans: ২০০ বছর বয়সি গণেশ বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িকেই ‘ সভ্যতার সংকট ’ বলে মনে করেছিলেন । তাই অনেক চেষ্টা করেও তিনি যখন দেখলেন কালের চাকার গতি উলটো দিকে ঘোরানো যাবে না , তখন তিনি সভ্যসমাজ থেকে দূরে থাকার জন্য হিমালয়ের এক গিরিগুহায় আশ্রয় নেন । তাই গল্পে হিমালয়ের প্রসঙ্গ এসেছে ।
    আপাতদৃষ্টিতে হিমালয়কে খুব নির্মল জায়গা বলে মনে হলেও গণেশ জানেন তা সহজ সত্য নয় । কেন – না তখন এভারেস্টের চূড়া চেঁছে সেখানে হয়েছে অবজার্ভেটরি । রূপকুণ্ডে বায়োকেমিস্ট্রির ল্যাবরেটরি তৈরি হয়েছে , নামকরা অনেক নির্জন জায়গাই এখন মানুষের চলাচলে নির্জনতা হারিয়েছে । কে টু , কাঞ্চনজঙ্ঘা , যমুনেত্রী , গঙ্গোত্রী , মানসসরোবর সব জায়গাতেই কোনো – না – কোনো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । সমুদ্রতলেও চলেছে নানান পরীক্ষানিরীক্ষা । তাই পরিষ্কার বোঝা যায় , ভূপৃষ্ঠে – ভূগর্ভে – অন্তরীক্ষে কোথাও নিবিড় – নির্জনতা নেই ।
  3. ‘ যাঃ তাহলে আর ভয় নেই । দুনিয়াটা বেঁচে যাবে … ‘ —কখন গণেশ নিশ্চিত হলেন দুনিয়াটা বেঁচে যাবে ?
    Ans: খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞান গল্পে দেখা যায় , বিজ্ঞানের সর্বগ্রাসী কামড় থেকে গণেশ দুনিয়াটাকে বাঁচানোর চেষ্টায় রত । তাই তার এক সময়ের ছাত্র পুলিশম্যানের কাছে তার সহজ স্বীকারোক্তি — ‘ আমি পৃথিবীটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি । ‘ হিমালয়ের নিভৃত কোলে তিনি কবিতা লেখেন , উদাত্ত কণ্ঠে গান গেয়ে থাকেন , পাথর কেটে ছবি আঁকেন । অনেকে ব্যঙ্গ – বিদ্রুপ করলেও , ওই পুলিশম্যান একদিন তার মা ও স্ত্রীকে নিয়ে এসে গণেশের কবিতা শুনিয়ে নিয়ে গেল । পরদিন ওই পুলিশের সঙ্গে তার চার সহকর্মী গণেশের দ্বারস্থ হয় কবিতা – গান – ছবি বুঝতে । পরদিন আরও জনাদশেক ব্যক্তি উপস্থিত হয় । অবশেষে একদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের ডেরায় এসে খেদ প্রকাশ করেন — ‘ এ আপানি কী কাণ্ড করেছেন ? পৃথিবী যে উচ্ছন্নে গেল ! ’ গণেশ জানতে পারলেন , লোকে আবার গান গাইছে , কবিতা চর্চা করছে , হিজিবিজি ছবি আঁকছে । তখনই গণেশ নিশ্চিত হলেন ‘ দুনিয়াটা বেঁচে যাবে … ’ ।
  4. ‘ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে”- ব্যতিক্রমী মানুষটি কে ? কীভাবে তিনি ব্যতিক্রম হয়ে উঠেছিলেন ?

Ans: প্রশ্নে উল্লিখিত ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিজ্ঞানী গণেশ।
৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দের দেড়শাে বছর আগে যখন মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কৃত হয়, তখন সকলের মতাে গণেশও টনিকটি খেয়েছিলেন। ফলে তিনি অমর হয়ে যান। সেই সময় থেকেই সুকুমার শিল্পবিরােধী আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ফলে শিল্প, সংগীত, সাহিত্য ইত্যাদি চর্চার পাট ক্রমশ উঠে যেতে থাকল। গণেশের সেটা পছন্দ হল না। তা ছাড়া, বিজ্ঞানের বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা দরকার বলেও তার মনে হল। চেষ্টা করে যখন গণেশ দেখলেন কালের চাকার গতি উলটো দিকে ফেরানাে যাবে না, তখন তিনি নিজে এই সভ্যসমাজ ছেড়ে একাই হিমালয়ের এক গুহায় আশ্রয় নিলেন। সেখানে তিনি তাঁর কবিতাচর্চা, ছবি আঁকা, গানের চর্চা বজায় রাখলেন। এভাবেই গণেশ একজন ব্যতিক্রমী মানুষ হয়ে উঠলেন।

৪. “ ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে । ” — ব্যতিক্রমী মানুষটি কে ? কীভাবে তিনি ‘ ব্যতিক্রম ’ হয়ে উঠেছিলেন ?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে । এখানে ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন স্বয়ং পাগলা গণেশ । এই গল্পে বর্ণিত ৩৫৯৮ সালেরও ১৫০ বছর পূর্বে যখন ‘ মৃত্যুঞ্জয় ‘ টনিক ’ আবিষ্কৃত হয় , তখন অন্য অনেকের মতো গণনাও তার ৫০ বছর বয়সে তা পান করেন এবং তার আর মৃত্যু হয় না । প্রায় সমসময় থেকেই শিল্পবিরোধী আন্দোলনও শুরু হয় । মানুষের কাছে তখন থেকেই বিজ্ঞান হয়ে ওঠে চর্চার একমাত্র বিষয় । চর্চার বিষয় থেকে অনিবার্যভাবে বাদ পড়ে যায় সাহিত্য , শিল্প , সংগীত । বিষয়গুলিকে মানুষ অনাবশ্যক বলে বিবেচিত করে । সমকালীন ঘটনার এই গতিপ্রকৃতি গণেশের পছন্দ হয় না । বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও যে একটা সীমা থাকা দরকার এ তার মনে হয় । তাই একক প্রচেষ্টায় কালের গতিকে উলটো দিকে ফেরানোর ব্যর্থ চেষ্টা না করে গণেশ আশ্রয় নেন সভ্যসমাজ থেকে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহায় । একান্ত নির্জনে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টায় গণেশ করতে শুরু কবিতাচর্চা , গান গাওয়া , ছবি আঁকার সাধনা । এভাবেই তিনি বেগের যুগে আবেগনির্ভরতার পথে , যুগবিরুদ্ধ কাজ করে ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠেন ।

  1. “ ও মশাই , অমন বিকট শব্দ করছেন কেন ? ” — কার উদ্দেশে কারা এ কথা বলেছিল । কোন কাজকে তারা ‘ বিকট শব্দ ‘ মনে করেছিল ?
    Ans: প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । কথাগুলি বলা হয়েছিল পাগলা গণেশের উদ্দেশে । দুটি পাখাওয়ালা লোক কথাগুলি বলেছিল । পাগলা গণেশের গানের গলা ভালোই ছিল । একদিন সন্ধেবেলা তিনি গলা ছেড়ে গান গাইতে শুরু করেন । সেইসময় দুটো লোক আকাশযানে চড়ে লাসা থেকে ইসলামাবাদ উড়ে যাচ্ছিল , যেতে যেতে তাদের কানে পাগলা গণেশের গানের শব্দ পৌঁছোয় । তারা গণেশের গানের কোনো অর্থ বা আবেগ বুঝতে পারে না , তাই তারা বিরক্ত হয় । তাদের মনে হয় ওই গানের আওয়াজ বিকট শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয় । অর্থাৎ ব্যতিক্রমী মানুষ পাগলা গণেশের গলা ছেড়ে গান গাওয়াকেই মানুষরা মনে করে ‘ বিকট শব্দ ’ ।
  2. “ সালটা ৩৫৮৯ । ” — এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে ?
    Ans: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পটি একটি কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি । আলোচ্য গল্পে ৩৫৮৯ সাল নাগাদ পৃথিবীতে কেমন অবস্থা তৈরি হতে পারে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন লেখক । উক্ত সময়ে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ঘটবে পৃথিবীতে । যেমন — ওই সময়ের মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কৃত হবে , যার ফলে পৃথিবীতে নানারকম উড়ানযন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে যাবে । মানুষ মৃত্যুঞ্জয়ী টনিক আবিষ্কার করবে , সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হবে এবং জানা যাবে যে সূর্যের আর কোনো গ্রহ নেই । ইতিমধ্যে চাঁদ , মঙ্গল , শুক্র গ্রহে মানুষ ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে ।
  3. “ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না । ” — ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তাকে সত্যিই তোমার ‘ অনাবশ্যক ‘ বলে মনে হয় কি ?
    Ans: প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে কিছু শিল্পসৃষ্টির কথা বলা হয়েছে । যেমন — কবিতা , গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য , নাটক , সিনেমা প্রভৃতির চর্চা ।
    আলোচ্য গল্পে লেখক ৩৫৮৯ সালের যে সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন , সেই সময়ে মানুষ বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছুর চর্চাই করবে না হয়তো , তাই তাদের কাছে মনের আবেগের কোনো মূল্য থাকবে না । তাই শিল্পেরও কোনো মর্যাদা থাকবে না । কিন্তু আমার মনে হয় মনের আবেগ হারিয়ে গেলে পৃথিবীটা মরুভূমির মতোই রুক্ষ হয়ে পড়বে । পৃথিবীকে তথা মানুষকে তো বাঁচিয়ে রাখবে মনের আবেগ । কবিতা , গান , ছবি আঁকা প্রভৃতি চর্চা করলে , এগুলির মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাবে । তাই কবিতা , গান , আঁকা প্রভৃতির চর্চাকে ‘ অনাবশ্যক ’ মনে করি না ।
  4. “ চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না । ” — মানুষের মন থেকে কোন্ কোন্ অনুভূতিগুলি হারিয়ে গেছে ?
    Ans: প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি ‘ পাগলা গণেশ ’ থেকে নেওয়া হয়েছে । মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে সৌন্দর্য , দয়া – মায়া – করুণা প্রভৃতির অনুভূতি । এইসব অনুভূতিগুলির আর প্রয়োজন না থাকায় , মানুষের জীবনে এসবের চর্চাও আর হয় না ।

রচনাধর্মী ও বিশ্লেষণধর্মী | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer : 

1. “ এই মৃত্যহীন জীবন , এই অন্তহীন আয়ু কি এভাবেই যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হবে ? ” — গণেশ ‘ যন্ত্রণা ’ বলেছেন কাকে ? তাঁর এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?

Ans: মৃত্যুঞ্জয় টনিক গণেশকে অস্বাভাবিক দীর্ঘজীবন দান করেছিল , তিনি অমরতা লাভ করেছিলেন । পাশাপাশি দীর্ঘজীবনে বিজ্ঞানের অস্বাভাবিক বাড়াবাড়িও তার মনকে পীড়া দিতে শুরু করে । বিশেষত , তিনি যখন লক্ষ করেন , বিজ্ঞানের বেগধর্মী যোজনায় মানুষের জীবন থেকে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে দয়া – মায়া – করুণা – ভালোবাসার মতো আবেগ – অনুভূতি এবং সাহিত্য – শিল্প – সংস্কৃতির পাটও চুকে যাচ্ছে , তখন তার মন অস্থির হয়ে ওঠে । তা ছাড়া হিমালয়ের নির্জন – পরিসরে , একান্তে , এককভাবে যে একটু চারুকলা অর্থাৎ সৃষ্টির চর্চায় তিনি ডুবে থাকবেন — তাও তিনি পারছিলেন না , সেখানেও তাকে মাঝেমধ্যে মানুষের ব্যঙ্গাত্মক উক্তি শুনতে হচ্ছিল । জীবনের এই পরিস্থিতিকে তাই গণেশ যন্ত্রণা বলে মনে করেছেন ।
বিজ্ঞান যখন সর্বগ্রাসী হয়ে সমগ্র পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে , তখন সে বিষয়ে নিতান্ত বিব্রত হয়েই যোদ্ধার মতো গণেশ সভ্যসমাজ থেকে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নেন । সেই নির্জনতার অবকাশে চলতে থাকে তার একক শিল্পচর্চা । তিনি গান গেয়ে তৃপ্তি পান , পাথর কেটে বানান ছবি , কবিতা লিখে ছড়িয়ে দেন বাতাসে — যদি কেউ পড়ে এই ভেবে । কিন্তু গণেশের ওই নিভৃত শিল্পসংগ্রাম অন্য অনেকের ভালো লাগে না । একদিন ঢেঁকি ও ভেলা – যাত্রী দুই ব্যক্তি গণেশের কবিতাচর্চাকে তীব্র ব্যঙ্গ করে । অন্য একদিন দুটো পাখাওয়ালা লোক তাকে এসে রীতিমতো ধমক লাগিয়ে জিজ্ঞাসা করে– “ ও মশাই , এমন বিকট শব্দ করছেন কেন ? ” গণেশ তার গানচর্চার ব্যাখ্যা দিলে , তারা তার গানকে ‘ বিটকেল শব্দ ’ আখ্যা দেয় । অন্য একদিন গণেশ যখন যান্ত্রিক বাটালি দিয়ে পাথর কেটে ছবি আঁকছিল , ধামায় আরোহিণী এক মহিলা তার সেই চর্চা দেখে ব্যঙ্গোক্তি করে— “ খেয়েদেয়ে কাজ নেই ! ছবি হচ্ছে ! হুঁঃ ! ” এসব ঘটনা গণেশের মনে তীব্র হতাশার জন্ম দেয় । তাই গণেশ এমন মনে করতে বাধ্য হন ।

2. ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তােমার কেমন লাগল ?

Ans: ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানের যান্ত্রিকতা গ্রাস করে ফেলল পৃথিবীকে। এর ফলে মানুষ অমরতা পেল। কিন্তু শিল্প, সংগীত, সাহিত্য ইত্যাদি সুকুমার কলা ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকল মানুষের জীবন থেকে। সেই সময় গণেশ কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে মানবিক বোধগুলিকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হলেন এবং ধীরে ধীরে তা ফিরিয়ে আনলেন। সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে লােকে গণেশকে স্বাভাবিক মনে করেনি। তাই তিনি হয়ে গিয়েছিলেন ‘পাগলা গণেশ’। তাকে তো ‘পাগলা’ বলে মনে হতেই পারে । কিন্তু গণেশ ‘পাগলা’ নন, তিনি আন্তরিক। যান্ত্রিক পৃথিবীর হৈ- হল্লার মাঝে নিঃসঙ্গ হলেও তিনি মানবতার পূজারি । বিজ্ঞাননির্ভর মানুষ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন । তাই পারস্পরিক আবেগের সূত্রে মানুষকে বাঁধতে তিনি বিজ্ঞানের পাশে মানুষের সৃষ্টিশীলতা ও মানসবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা দিতে চেয়েছেন। একক যুদ্ধের সার্থক সৈনিক গণেশ তাই এক সার্থক মানবচরিত্র হিসেবে এ গল্পে আত্মপ্রকাশ করেছেন। গল্পশেষে তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব যখন জানান লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে, হিজিবিজি ছবি আঁকছে।’ তখন গণেশের প্রাণময় উক্তি— “যাঃ তাহলে আর ভয় নেই। দুনিয়াটা বেঁচে যাবে … ”।

3.‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তোমার কেমন লাগল ?

Ans: প্রখ্যাত কথাশিল্পী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পে গণেশ মুখ্য তথা কেন্দ্রীয় চরিত্র । তিনি একাধারে অসাধারণ এবং ব্যতিক্রমী একটি চরিত্র । মৃত্যুঞ্জয় টনিক গণেশকে অমরতা দান করেছে । তিনি নিজে বিজ্ঞানের অধ্যাপক , অথচ কেবল যুগের হুজুগে না চলে , নিছক বিজ্ঞানকর্মে নিজেকে ব্যাপৃত না রেখে , মানুষের মধ্যে উপ্ত মানসবৃত্তিগুলির বিকাশে তিনি আন্তরিক সচেষ্ট হয়েছেন । যুগধর্ম অনুযায়ী তখন পৃথিবীর সর্বত্র বিজ্ঞান ছাড়া আর যেন ভাবনার কোনো বিষয়ই নেই । গত ১৫০ বছরে বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে । আবার পাশাপাশি ‘ সুকুমার শিল্পবিরোধী আন্দোলন ’ – ও চলছে । তাই মানবমন থেকে আবেগ , স্নেহ – মায়া – মমতার মতো অনুভূতিগুলি যেমন হারিয়ে যাচ্ছে , তেমনই শিল্প – সাহিত্যসংস্কৃতির পাঠও চুকে যাচ্ছে । তার তখন মনে হয়েছিল — ‘ বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও একটা সীমা থাকা দরকার । ‘ এমতাবস্থায় প্রায় একক প্রচেষ্টায় কবিতা – গান – আঁকা ইত্যাদির চর্চার জন্য গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায ডেরা বাঁধেন । সেখানে কবিতা লিখে তিনি ভাসিয়ে দেন বাতাসে , ভাবেন যদি কারও কাছে পৌছোয় , যদি কেউ পড়ে । কখনও তিনি গান করেন , ছবি আঁকেন । এমন সৃষ্টিছাড়া কীর্তিকলাপ যার , তাকে তো ‘ পাগলা ’ বলে মনে হতেই পারে । কিন্তু গণেশ ‘ পাগলা ’ নন , তিনি আন্তরিক । যান্ত্রিক পৃথিবীর হৈ – হল্লার মাঝে নিঃসঙ্গ হলেও তিনি মানবতার পূজারি । বিজ্ঞাননির্ভর মানুষ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন । তাই পারস্পরিক আবেগের সূত্রে মানুষকে বাঁধতে তিনি বিজ্ঞানের পাশে মানুষের সৃষ্টিশীলতা ও মানসবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা দিতে চেয়েছেন । একক যুদ্ধের সার্থক সৈনিক গণেশ তাই এক সার্থক মানবচরিত্র হিসেবে এ গল্পে আত্মপ্রকাশ করেছেন । গল্পশেষে তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব যখন জানান লোকে গান গাইতে লেগেছে , কবিতা মকসো করছে , হিজিবিজি ছবি আঁকছে । ‘ তখন গণেশের প্রাণময় উক্তি— “ যাঃ তাহলে আর ভয় নেই । দুনিয়াটা বেঁচে যাবে … ”।

ব্যাকরণ | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer : 

  1. নিম্নলিখিত বিশেষণগুলির পর উপযুক্ত বিশেষ্য বসাও এবং বাক্য রচনা করাে : কৃত্রিম, মেদুর, সুকুমার, যান্ত্রিক, ফিরােজা, মন্ত্রমুগ্ধ।

Ans:

বিশেষণ –কৃত্রিম
বিশেষ্য – কৃত্রিম উপগ্রহ
বাক্য – আকাশে এখন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রায়ই দেখা যায়।

বিশেষণ – মেদুর
বিশেষ্য – মেদুর আকাশ
বাক্য – মেঘে মেদুর আকাশ স্নিগ্ধ সুন্দর হয়ে উঠল।

বিশেষণ – সুকুমার
বিশেষ্য – সুকুমার শিল্পকলা
বাক্য – সুকুমার শিল্পকলা সকলেই শিল্পকলা পছন্দ করে।

বিশেষণ – যান্ত্রিক
বিশেষ্য – যান্ত্রিক গােলযােগ
বাক্য – যান্ত্রিক গােলযােগের জন্য
মােটরগাড়ি থেমে গেল।

বিশেষণ – ফিরােজা
বিশেষ্য – ফিরােজা রং
বাক্য – ফিরােজা রঙের শাড়ি নীনার খুব পছন্দ।

বিশেষণ – মন্ত্রমুগ্ধ
বিশেষ্য – মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা
বাক্য – রমার গান শুনে শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।

  1. রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।

(i) গণেশও আর সকলের মতাে টনিকটা খেয়েছিল।

Ans: কর্তৃকারক, শূন্য বিভক্তি।

(ii) তার গানের গলা বেশ ভালােই।

Ans: সম্বন্ধপদ, এর’ বিভক্তি।

(iii) আকাশে একটা পিপে ভাসছিল।

Ans: অধিকরণকারক, ‘এ’ বিভক্তি।

(iv) আজ সকালে গণেশকে কবিতায় পেয়েছে।

Ans: অধিকরণকারক, ‘এ’ বিভক্তি।

(v) আমি পৃথিবীকে বাঁচানাের চেষ্টা করছি।

Ans: কর্মকারক, ‘কে’ বিভক্তি।

(vi) ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করছেন কেন ?

Ans: কর্মকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

(vii) রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন।

Ans: অপাদানকারক, ‘থেকে’ অনুসর্গ।

(viii) তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।

Ans: করণকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।

  1. অর্থ অপরিবর্তিত রেখে রেখাঙ্কিত শব্দগুলির পরিবর্তে নতুন শব্দ বসাও:

(i) ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না।

Ans: ওসব অপ্রয়ােজনীয় ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না।

(ii) কেউ ঠাট্টা বিদ্রুপ করল না।

Ans: কেউ উপহাস-পরিহাস করল না।

(iii) দুনিয়াটা বেঁচে যাবে।

Ans: পৃথিবীটা বেঁচে যাবে।

(iv) মহাসচিব তার বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।

Ans: মহাসচিবতার আকাশযান থেকে নামলেন গণেশের আস্তানায়।

(v) গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।

Ans: গণেশকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।

(vi) লােকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে।

Ans: লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা অভ্যাস করছে।

(vii) হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা, তা নয়।

Ans: হিমালয় যে খুব জনহীন জায়গা, তা নয়।

(viii) ধুর মশাই, এ যে বিটকেল শব্দ। :

Ans: ধুর মশাই, এ যে বিকট শব্দ।

  1. এককথায় লেখাে : মহান যে সচিব, প্রতিরােধ করে যে, গতিবেগ আছে যার, মৃত্যুকে জয় করেছে যে, অন্ত নেই যার।

Ans:

» মহান যে সচিব— মহাসচিব

» প্রতিরােধ করে যে— প্রতিরােধী।

» গতিবেগ আছে যার— গতিশীল।

» মৃত্যুকে জয় করেছে যে— মৃত্যুঞ্জয়।

» অন্ত নেই যার— অনন্ত

  1. সন্ধি বিচ্ছেদ করাে: মাধ্যাকর্ষণ, আবিষ্কার, মৃত্যুঞ্জয়, অনাবশ্যক, গবেষণা, অন্তরীক্ষ, গণেশ, হিমালয়, নির্জন, গবেষণাগার, পরীক্ষা।

Ans:
» মাধ্যাকর্ষণ = মাধ্য + আকর্ষণ।

» আবিষ্কার = আবিঃ + কার

» মৃত্যুঞ্জয় =মৃত্যুম্ + জয়।

» অনাবশ্যক = অন্ + আবশ্যক।

» গবেষণা = গাে + এষণা।

» অন্তরীক্ষ = অন্তঃ + ঈক্ষ।

» গণেশ = গণ + ঈশ ।

» হিমালয় = হিম + আলয়।

» নির্জন = নিঃ + জন।

» গবেষণাগার = গাে + এষনা+ আগার

» পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা।

  1. সমার্থক শব্দ লেখাে : কৃত্রিম, পৃথিবী,আন্দোলন।

Ans: 

 » কৃত্রিম — নকল।
» আন্দোলন— আলােড়ন
» পৃথিবী— দুনিয়া, জগৎ

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7th Bengali Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Class 7 Suggestion 2024 – সপ্তম শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪ 

আরোও দেখুন:-

Class 7 Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 7 English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 7 Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 7 History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 7 Life Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 7 Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 7 Physical Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 7 All Subjects Suggestion 2024 Click here

FILE INFO : পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link Click Here To Download

[বিঃদ্রঃ এই পিডিফ ফাইলটি ডাউনলোড করতে কোনো সমস্যা হলে আমাদের এই নম্বরে 9476288780 WhatsApp করুন।]

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

Update

[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

Info : পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সপ্তম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

 Class 7 Bengali Suggestion | West Bengal WBBSE Class Seven VII (Class 7th) Bengali Question and Answer Suggestion 

” পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Seven VII / WB Class 7 / WBBSE / Class 7 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 7 Exam / Class 7th / WB Class 7 / Class 7 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( সপ্তম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন / সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ও উত্তর । Class 7 Bengali Suggestion / Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer / Class 7 Bengali Suggestion / Class 7 Pariksha Bengali Suggestion / Bengali Class 7 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 7 Bengali Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 7 Bengali Suggestion / West Bengal Seven VII Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 7th Bengali Suggestion / Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer / Class 7 Bengali Suggestion / Class 7 Pariksha Suggestion / Class 7 Bengali Exam Guide / Class 7 Bengali Suggestion 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2030 / Class 7 Bengali Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class 7 Bengali Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর 

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর।

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা 

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর।

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির বাংলা 

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর – সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Class 7 Bengali Pagla Ganesh 

সপ্তম শ্রেণি বাংলা (Class 7 Bengali Pagla Ganesh) – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Suggestion সপ্তম শ্রেণি বাংলা – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর।

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা সহায়ক – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর । Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer, Suggestion | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Notes | West Bengal Class 7th Bengali Question and Answer Suggestion. 

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 7 Bengali Question and Answer, Suggestion 

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় । Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion.

WBBSE Class 7th Bengali Pagla Ganesh Suggestion | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

WBBSE Class 7 Bengali Pagla Ganesh Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestions | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর । 

WB Class 7 Bengali Pagla Ganesh Suggestion | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 7 Bengali Suggestion Download WBBSE Class 7th Bengali short question suggestion . Class 7 Bengali Pagla Ganesh Suggestion download Class 7th Question Paper Bengali. WB Class 7 Bengali suggestion and important question and answer. Class 7 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 7 Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Seven VII Bengali Pagla Ganesh Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 7 Exam 

Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 7 Seven VII Bengali Suggestion is provided here. Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here. 

পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer 

  অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” পাগলা গণেশ (গল্প) শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – সপ্তম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Pagla Ganesh Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।