মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ - একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer
মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ - একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর

Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer : মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBCHSE Class 11th Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer, Suggestion, Notes | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – থেকে রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI Political Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন (মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer) গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

 তোমরা যারা মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

রাজ্য (State) পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)
বোর্ড (Board) WBCHSE, West Bengal
শ্রেণী (Class) একাদশ শ্রেণী (WB Class 11th)
বিষয় (Subject) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Class 11 Political Science)
অধ্যায় (Chapter) মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ (Maulik Adhikar o Kortobbo)

[একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBCHSE Class 11th Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer 

সংক্ষিপ্ত | মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo  SAQ Question and Answer :

  1. নেতিবাচক মৌলিক অধিকার কাকে বলে?

Ans: যে অধিকারগুলি রাষ্ট্রের ওপর বাধানিষেধ আরোপের মাধ্যমে নাগরিকদের স্বাধীনতা ভোগে সাহায্য করে তাদের নেতিবাচক অধিকার বলা হয়। যেমন-রাষ্ট্র কোনোভাবেই জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নিতে পারে না।

  1. নির্দেশমূলক নীতিগুলি রাষ্ট্রের প্রতি কী নির্দেশ দান করে? সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী মৌলিক অধিকার বিরোধী আইন বাতিল হয়ে যায়?

Ans: নির্দেশমূলক নীতিগুলি রাষ্ট্রকে ইতিবাচক নির্দেশ দেয়।

  • সংবিধানের 13নং ধারা অনুযায়ী মৌলিক অধিকার বিরোধী আইন বাতিল হয়ে যায়।
  1. সুপ্রিমকোর্ট কত খ্রিস্টাব্দে প্রণীত নিবর্তনমূলক আটক আইনের একটি অংশকে মৌলিক অধিকার বিরোধী বলে বাতিল করে দিয়েছিল? 1976 খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের 42 তম সংশোধনের ফলে কটি নতুন নির্দেশমূলক নীতি অন্তর্ভুক্ত হয়?

Ans: 1950 খ্রিস্টাব্দে প্রণীত নিবর্তনমূলক আটক আইনের একটি অংশকে সুপ্রিমকোর্ট মৌলিক অধিকার বিরোধী বলে বাতিল করে দিয়েছিল।

  • 1976 খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের 42 তম সংশোধনের ফলে 4টি নতুন নির্দেশমূলক নীতি অন্তর্ভুক্ত হয়।
  1. কোনো রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়? ইতিবাচক মৌলিক অধিকার কাকে বলে?

Ans: কোনো রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিরুদ্ধে 365 নং ধারা প্রয়োগ করা যায়।

  • যে অধিকারগুলির মাধ্যমে নাগরিকদের সুস্পষ্টভাবে কয়েকটি সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়েছে সেগুলি ইতিবাচক মৌলিক অধিকার। যেমন-মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার প্রভৃতি।
  1. নির্দেশমূলক নীতিগুলি স্থিতিশীল না গতিশীল? ভারতীয় সংবিধানে কিছু অধিকারকে কেন মৌলিক বলা হয়?

Ans: নির্দেশমূলক নীতিগুলি গতিশীল।

  • ভারতীয় সংবিধানে কিছু অধিকারকে মৌলিক বলা হয়, কারণ এগুলি শাসন ও আইন বিভাগের কর্তৃত্বের বাইরে।
  1. সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্ট মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য কী জারি করতে পারে? ভারতীয় নাগরিকদের শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার সংবিধানের কোন্ কোন্ ধারায় স্বীকৃতি পেয়েছে?

Ans: সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্ট মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য লেখ জারি করতে পারে।

  • ভারতীয় নাগরিকদের শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার সংবিধানের 23 ও 24 নং ধারায় স্বীকৃতি পেয়েছে।
  1. ভারতীয় নাগরিকদের সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকার সংবিধানের কোন্ কোন্ ধারায় লিপিবদ্ধ রয়েছে? ভারতীয় নাগরিকদের সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার সংবিধানের কোন্ কোন্ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে?

Ans: ভারতীয় নাগরিকদের সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার সংবিধানের 29 ও 30নং ধারায় লিপিবদ্ধ রয়েছে।

  • ভারতীয় নাগরিকদের সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার সংবিধানের 32 ও 226 নং ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
  1. ভারতীয় সংবিধানের 14নং ধারায় নাগরিকদের কোন্ কোন্ অধিকার প্রদান করা হয়েছে? ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী ‘নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য’ দিতে বাধ্য করা যায় না?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 14নং ধারায় নাগরিকদের আইনের দৃষ্টিতে সমতা ও আইন কর্তৃক সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

  • ভারতীয় সংবিধানের 20 (3) নং ধারা অনুযায়ী ‘নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য’ দিতে বাধ্য করা যায় না।
  1. ভারতীয় সংসদ কি সংবিধানে সংরক্ষিত মৌলিক অধিকার পরিবর্তন করতে পারে?

Ans: হ্যাঁ, 24 তম সংবিধান সংশোধনী অনুযায়ী ভারতীয় সংসদ সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার-সহ সংবিধানের যে- কোনো অংশের পরিবর্তন করতে সক্ষম। তবে সংসদকে সংবিধানের মৌল কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

  1. পৌর অধিকার কাকে বলে? ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী 3-14 বছর বয়স পর্যন্ত বালকবালিকাদের শিক্ষা প্রদান করা বাধ্যতামূলক?

Ans: যেসব সুযোগসুবিধা ছাড়া মানুষ সভ্য ও সামাজিক জীবনযাপন করতে পারে না, সেই সব সুযোগসুবিধাকে পৌর অধিকার বলে।

  • ভারতীয় সংবিধানের 21(ক) ধারা অনুযায়ী 6-14 বছর বয়স পর্যন্ত বালকবালিকাদের শিক্ষা প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
  1. ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কোন্ কোন্ ধারা কোনো অবস্থাতেই স্থগিত রাখা যায় না? 39 (খ) ও 39(গ) ধারায় বর্ণিত নির্দেশমূলক নীতিগুলি মৌলিক অধিকার-সংক্রান্ত কোন্ কোন্ ধারার ওপর প্রাধান্য লাভ করেছে?

Ans: ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের 20নং ও 21 নং ধারা কোনো অবস্থাতেই স্থগিত রাখা যায় না।

  • 39(খ) ও 39(গ) ধারায় বর্ণিত নির্দেশমূলক নীতিগুলি মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত 14নং ও 19 নং ধারার ওপর প্রাধান্য লাভ করেছে।
  1. ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে বিচারপতি পাতগুলি শাস্ত্রী কী অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন? বিচারপতি পি বি গজেন্দ্রগাদকার মৌলিক অধিকারগুলিকে কী বলে চিহ্নিত করেছেন?

Ans: পাতঞ্জলি শাস্ত্রী ব্যক্ত করেছিলেন যে, মৌলিক অধিকারগুলি হল মৌলিক।

  • বিচারপতি পি বি গজেন্দ্রগাদকার মৌলিক অধিকারগুলিকে গণতান্ত্রিক জীবনধারার যথার্থ ভিত্তি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশ বলে চিহ্নিত করেছেন।
  1. ভারতীয় সংবিধানের 21 নং ধারায় বর্ণিত ‘আইন-নির্দিষ্ট পদ্ধতি’ বলতে কী বোঝায়?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 21 নং ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘আইন-নির্দিষ্ট পদ্ধতি’ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে তার জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আইন-নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী কোনো আইন ন্যায়নীতিবিরোধী কি না আদালত তা বিচার করতে পারে না, শুধু যে আইন অনুযায়ী ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হবে সেই আইনটি বিধিসম্মতভাবে আইনসভা কর্তৃক প্রণীত কি না তা বিচারের ক্ষমতা আদালতের রয়েছে।

  1. ভারতের সংবিধান-প্রণেতাগণ কোন্ কোন্ সংবিধানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংবিধানে মৌলিক অধিকার লিপিবদ্ধ করেছিলেন? মূল ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের ক-টি মৌলিক অধিকারের উল্লেখ ছিল?

Ans: মার্কিন, আইরিশ ও ফরাসি সংবিধানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংবিধানে মৌলিক অধিকার লিপিবদ্ধ করেছিলেন।

  • মূল ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের 7 টি মৌলিক অধিকারের উল্লেখ ছিল।
  1. কবে এবং কীভাবে মৌলিক কর্তব্যগুলিকে ভারতীয় সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়?

Ans: 1949 খ্রিস্টাব্দের 26 নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত ভারতের মূল সংবিধানে কোনো মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখ ছিল না।

1976 খ্রিস্টাব্দের 42 তম এবং 2002 খ্রিস্টাব্দে 86 তম সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানে কয়েকটি মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখ করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে চতুর্থ অধ্যায় (ক) নামে একটি নতুন অধ্যায় এবং 51(ক) নামে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়। এই ধারায় ভারতীয় নাগরিকদের 11টি মৌলিক কর্তব্য পালনের কথা বলা হয়েছে।

  1. ভারতে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের স্বপদে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত কাজের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করার জন্য কত দিনের নোটিশ দিতে হয়? ভারতীয় সংবিধানের কততম সংশোধনী অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় বিরোধের মীমাংসা করার জন্য প্রশাসনিক আদালত গঠন করা যেতে পারে?

Ans: ভারতে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের স্বপদে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত কাজের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করার জন্য 2 মাসের নোটিশ দিতে হয়।

  • 1978 খ্রিস্টাব্দের 44তম সংবিধান সংশোধনী আইন অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় বিরোধের মীমাংসা করার জন্য প্রশাসনিক আদালত গঠন করা যেতে পারে।
  1. মূল ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় ইঙ্গ-ভারতীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল? কবে থেকে ইঙ্গ- ভারতীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে?

Ans: মূল ভারতীয় সংবিধানের 336নং ধারায় ইঙ্গ-ভারতীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল।

  • 1960 খ্রিস্টাব্দের 25 শে জানুয়ারি থেকে ইঙ্গ-ভারতীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।
  1. ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে অস্পৃশ্যতা (অপরাধ) আইন প্রণীত হয়? কত খ্রিস্টাব্দে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়?

Ans: ভারতে 1955 খ্রিস্টাব্দে অস্পৃশ্যতা (অপরাধ) আইন প্রণীত হয়।

  • 1978 খ্রিস্টাব্দে 44তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
  1. ভারতীয় সংবিধানের 19(1) নং ধারায় নাগরিকদের ক-টি মৌলিক অধিকার প্রদান করা হয়েছে? ‘আইন-নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে কোনো ব্যক্তিকে তার জীবন বা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না’- ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় এটির উল্লেখ আছে?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 19(1) নং ধারায় নাগরিকদের 6টি মৌলিক অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

  • ‘আইন-নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে কোনো ব্যক্তিকে তার জীবন বা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না’- ভারতীয় সংবিধানের 21 নং ধারায় এটির উল্লেখ আছে।
  1. ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় 6-14 বছর বয়স পর্যন্ত বালক-বালিকাদের শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? ভারতীয় সংবিধানের 32নং ধারায় কোন্ আদালতের ওপর ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 21(1) নং ধারায় 6-14 বছর বয়স পর্যন্ত বালক-বালিকাদের শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • ভারতীয় সংবিধানের 32 নং ধারায় সুপ্রিমকোর্টের ওপর ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
  1. মিসা কী?

Ans: নিবর্তনমূলক আটক আইনের পরিবর্তে 1971 খ্রিস্টাব্দে পার্লামেন্টে ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা আইন’ বা ‘মিসা’ (Maintenance of Internal Security Act) প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে আটক ব্যক্তি তার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করতে পারে না। 1978 খ্রিস্টাব্দে এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

  1. ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে কী বোঝায়?

Ans: ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায়, রাষ্ট্র ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকার করে, সেই সঙ্গে ধর্ম ছাড়াও ব্যক্তির বিবেকের স্বাধীনতা স্বীকার করে। রাষ্ট্র কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না অথবা কোনো ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। ধর্মবিশ্বাস পুরোপুরি নাগরিকদের ব্যক্তিগত বিষয় বলে এক্ষেত্রে মনে করা হয়।

  1. ভারতীয় সংবিধানের 226 নং ধারায় কোন্ আদালতের ওপর ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? ‘পরমাদেশ’ কথাটির অর্থ কী?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 226 নং ধারায় হাইকোর্টের ওপর ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • ‘পরমাদেশ’ কথাটির অর্থ হল ‘আমরা আদেশ দিচ্ছি’।
  1. ‘প্রতিষেধ’ কথাটির অর্থ কী? ‘অধিকার পৃচ্ছা’ কথাটির অর্থ কী?

Ans: ‘প্রতিষেধ’ কথাটির অর্থ হল ‘নিষেধ করা’।

  • ‘অধিকার পৃচ্ছা’ কথাটির অর্থ হল ‘কোন্ অধিকারে’।
  1. ‘উৎপ্রেষণ’ কথাটির অর্থ কী? ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী বা জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত কর্মীরা কতখানি মৌলিক অধিকার ভোগ করবে তা সংসদ আইন প্রণয়ন করে স্থির করে দিতে পারে?

Ans: ‘উৎপ্রেষণ’ কথাটির অর্থ হল ‘বিশেষভাবে জ্ঞাত হওয়া’।

  • ভারতীয় সংবিধানের 33(ক) (খ) নং ধারা অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী বা জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত কর্মীরা কতখানি মৌলিক অধিকার ভোগ করবে তা সংসদ আইন প্রণয়ন করে স্থির করে দিতে পারে।
  1. ‘দণ্ড নিষ্কৃতি আইন’ কাকে বলে? আইভর জেনিংস ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশমূলক নীতির অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কী মন্তব্য করেছেন?

Ans: ভারতের কোনো অঞ্চলে সামরিক শাসন চালু থাকলে কোনো সরকারি কর্মচারী বা অন্য কেউ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কোনো অবৈধ কাজ করলে তা বৈধ করার জন্য সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে তাকে ‘দণ্ড নিষ্কৃতি আইন’ বলে।

  • আইভর জেনিংসের মতে, ফেবিয়ান সমাজতন্ত্রের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্দেশমূলক নীতি ভারতীয় সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়।
  1. দুর্গাদাস বসুর মতে ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশমূলক নীতিগুলি কোন্ সংবিধানের অনুকরণে সংযোজিত হয়েছে? কে সি হোয়ার নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে কী বলে অভিহিত করেছেন?

Ans: দুর্গাদাস বসুর মতে, আয়ার্ল্যান্ডের সংবিধানের অনুকরণে ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশমূলক নীতিগুলি সংযোজিত হয়েছে।

  • কে সি হোয়ার নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে ‘নৈতিক উপদেশ’ ও ‘রাজনৈতিক ইস্তেহার’ বলে বর্ণনা করেছেন।
  1. কে টি শাহ্ নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে কী বলে অভিহিত করেছেন? পাইলির মতে নির্দেশমূলক নীতিগুলি কী?

Ans: কে টি শাহ্ নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে ‘সদিচ্ছার প্রকাশ’ বলে অভিহিত করেছেন।

  • পাইলির মতে, নির্দেশমূলক নীতিগুলি হল ভারতীয় জনগণের ন্যূনতম আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
  1. জওহরলাল নেহরু নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে কী বলেছিলেন? গ্রেনভিল অস্টিন নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে কী বলেছিলেন?

Ans: জওহরলাল নেহরু নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে ‘গতিশীল পদক্ষেপ’ বলেছিলেন।

  • গ্রেনভিল অস্টিন নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে ‘সামাজিক বিপ্লবের অধিকতর স্পষ্ট বিকৃতি’ বলেছেন।
  1. জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলে ভারতীয় নাগরিকরা কি মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারেন?

Ans: না, সংবিধানের 352 নং ধারা অনুযায়ী জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলে 19নং ধারায় উল্লিখিত স্বাধীনতার অধিকারগুলির ওপর যে-কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করার ক্ষমতা রাষ্ট্রের রয়েছে। এ ছাড়া 359 নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি জনগণের মৌলিক অধিকার বলবৎকরণের উদ্দেশ্যে শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারটি স্থগিত রাখার আদেশ দিতে পারেন।

  1. সাম্প্রতিককালে (86তম সংবিধান সংশোধনী, 2002) সংযোজিত 11 নং মৌলিক কর্তব্যটি কী?

Ans: 2002 খ্রিস্টাব্দে 86 তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানে সংযোজিত 11 নং মৌলিক কর্তব্যটি হল প্রত্যেক পিতা- মাতা কর্তৃক 6 থেকে 14 বছর বয়সি সন্তানের এবং অভিভাবক কর্তৃক নাবালকের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা।

  1. ভারতের সংবিধানের সম্পত্তির অধিকারের সাংবিধানিক মর্যাদা কী?

Ans: 1978 খ্রিস্টাব্দের 44তম সংবিধান সংশোধন অনুযায়ী সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের অংশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে সম্পত্তির অধিকার বর্তমানে মৌলিক অধিকারের কৌলীন্য হারালেও তা বিধিবদ্ধ সাংবিধানিক আইনের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হয়।

  1. মৌলিক অধিকারগুলি স্থিতিশীল কিন্তু নির্দেশমূলক নীতিসমূহ গতিশীল কেন?

Ans: মৌলিক অধিকারগুলি স্থিতিশীল। মূল সংবিধানে মৌলিক অধিকারগুলি যেভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছিল তা এখনও সেভাবেই রয়েছে। কোনো নতুন মৌলিক অধিকার আজ পর্যন্ত সংযোজিত হয়নি। কিন্তু নির্দেশমূলক নীতিগুলি পরিস্থিতির তাগিদে পরিবর্তিত ও সংযোজিত হয়।

  1. ভারতীয় সংবিধানের 22 নং ধারাটি কোন্ অবস্থায় নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না? ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী বিপজ্জনক কাজে 14 বছরের কম বয়সি শিশুদের নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে?

Ans: নিবর্তনমূলক আটক আইনে গ্রেপ্তার হলে ভারতীয় সংবিধানের 22 নং ধারাটি নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

  • ভারতীয় সংবিধানের 24 নং ধারা অনুযায়ী বিপজ্জনক কাজে 14 বছরের কম বয়সি শিশুদের নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে।
  1. ভারতীয় সংবিধানে ‘হিন্দু’ শব্দটি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত অথবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীসের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষিত রাখা যাবে না?

Ans: ভারতীয় সংবিধানে ‘হিন্দু’ শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

  • রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত অথবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষিত রাখা যাবে না।
  1. ‘বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ’ কথাটির অর্থ কী? ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য উল্লিখিত হয়েছে?

Ans: ‘বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ’ কথাটির অর্থ হল বন্দিকে আদালতে সশরীরে হাজির করা।

  • ভারতীয় সংবিধানের 51(ক) নং ধারায় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য উল্লিখিত হয়েছে।
  1. ভারতে নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে কীরূপ সমাজ গঠনের পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়? ভারতীয় সংবিধানের কত থেকে কত নং ধারায় মৌলিক অধিকারসমূহের বর্ণনা আছে?

Ans: ভারতে নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়।

  • ভারতীয় সংবিধানের 12-35নং ধারায় মৌলিক অধিকারসমূহের বর্ণনা আছে।
  1. ভারতীয় সংবিধানের কত থেকে কত নং ধারায় নির্দেশমূলক নীতিসমূহ বর্ণিত আছে? বিদেশি পুঁজির প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফ ডি আই) আইন কবে প্রণীত হয়?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 36-51 নং ধারায় নির্দেশমূলক নীতিসমূহ বর্ণিত আছে।

  • বিদেশি পুঁজির প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফ ডি আই) আইন প্রণীত হয় 2012 খ্রিস্টাব্দে।
  1. ভারতে নির্দেশমূলক নীতিগুলির কীরূপ তাৎপর্য নেই বলে মনে করা হয়? ভারতে নির্দেশমূলক নীতির কীরূপ মূল্যকে অস্বীকার করা যায় না?

Ans: ভারতে নির্দেশমূলক নীতিগুলির আইনগত তাৎপর্য নেই বলে মনে করা হয়।

  • ভারতে নির্দেশমূলক নীতির শিক্ষাগত মূল্যকে অস্বীকার করা যায় না।
  1. মৌলিক অধিকার রাষ্ট্রের ওপর কী আরোপ করে? মৌলিক অধিকার বিরোধী আইনকে কে বাতিল করতে পারে?

Ans: মৌলিক অধিকার রাষ্ট্রের ওপর বাধানিষেধ আরোপ করে।

  • মৌলিক অধিকার বিরোধী আইনকে আদালত বাতিল করতে পারে।
  1. নির্দেশমূলক নীতি বিরোধী আইন কি বাতিল করা যায়? মৌলিক অধিকারের উদ্দেশ্য কী?

Ans: না, নির্দেশমূলক নীতি বিরোধী আইন বাতিল করা যায় না।

  • অনেকের মতে, মৌলিক অধিকারের উদ্দেশ্য হল গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন।
  1. নির্দেশমূলক নীতিগুলির উদ্দেশ্য কী? মৌলিক অধিকারগুলির মাধ্যমে কোন্ ধরনের সাম্য প্রতিষ্ঠার ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে?

Ans: নির্দেশমূলক নীতিগুলির উদ্দেশ্য হল জনকল্যাণকামী সমাজব্যবস্থার প্রবর্তন।

  • মৌলিক অধিকারগুলির মাধ্যমে রাজনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
  1. ভারতীয় সংবিধানের কোন্ সংশোধনী নির্দেশমূলক নীতির গুরুত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে? নির্দেশমূলক নীতি ভারতীয় সংবিধানের কোন্ অংশের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 25তম সংশোধনী নির্দেশমূলক নীতির গুরুত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।

  • নির্দেশমূলক নীতি ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ অংশের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
  1. রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করার জন্য কত দিনের নোটিশ দিতে হয়? আইনের দৃষ্টিতে সমতা বলতে কী বোঝায়?

Ans: রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করার জন্য 2 মাসের নোটিশ দিতে হয়।

  • আইনের দৃষ্টিতে সমতা বলতে বোঝায় আইনের চোখে সবাই সমান।
  1. ভারতীয় সংবিধানের কততম সংশোধনী অনুযায়ী সংসদ আইনের মাধ্যমে প্রশাসনিক আদালত গঠন করতে পারে? সংসদ ও রাজ্য আইনসভার সদস্য কীরূপ অধিকার ভোগ করেন?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 44তম সংশোধনী অনুযায়ী সংসদ আইনের মাধ্যমে প্রশাসনিক আদালত গঠন করতে পারে।

  • সংসদ ও রাজ্য আইনসভার সদস্য বিশেষাধিকার ভোগ করেন।
  1. ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা কত? ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় সরকারি চাকরিতে সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে?

Ans: ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা 11টি।

  • ভারতীয় সংবিধানের 16নং ধারায় সরকারি চাকরিতে সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে।
  1. ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় অস্পৃশ্যতাকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে? ভারতীয় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আইন কত খ্রিস্টাব্দে পাস হয়?

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 17নং ধারায় অস্পৃশ্যতাকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

  • ভারতীয় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আইন 1963 খ্রিস্টাব্দে পাস হয়।
  1. 6-14 বছর বয়সি শিশুদের জন্য শিক্ষার অধিকারকে কত খ্রিস্টাব্দে মৌলিক অধিকারের তালিকাভুক্ত করা হয়? কোন্ বছর সংসদ কর্তৃক শিক্ষার অধিকার আইন প্রণীত হয়?

Ans: 2002 খ্রিস্টাব্দে 6-14 বছর বয়সি শিশুদের জন্য শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকাভুক্ত করা হয়।

  • 2010 খ্রিস্টাব্দে সংসদ কর্তৃক শিক্ষার অধিকার আইন প্রণীত হয়।
  1. ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে কী বোঝায়? ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী ধর্মের জন্য কর প্রদানে বাধ্য করা যায় না?

Ans: ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে সব ধর্মকে সমান মর্যাদা প্রদান করাকে বোঝায়।

  • ভারতীয় সংবিধানের 27 নং ধারা অনুযায়ী ধর্মের জন্য কর প্রদানে বাধ্য করা যায় না।
  1. ড. আম্বেদকর কোন্ মৌলিক অধিকারকে সংবিধানের প্রাণ বলে বর্ণনা করেছেন? ভারতের কোন্ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে পরমাদেশ জারি করা যায় না?

Ans: ড. আম্বেদকর শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারকে সংবিধানের প্রাণ বলে বর্ণনা করেছেন।

  • ভারতের রাষ্ট্রপতির ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পরমাদেশ জারি করা যায় না।
  1. ভারতে জরুরি অবস্থা জারি হলে সংবিধানে উল্লিখিত কোন্ মৌলিক অধিকার অকার্যকর হতে পারে? ভারতীয় সংবিধানের কোন্ অংশে মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখ আছে?

Ans: ভারতে জরুরি অবস্থা জারি হলে সংবিধানের 19নং ধারায় বর্ণিত মৌলিক অধিকার অকার্যকর হতে পারে।

  • ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ (ক) অংশে মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখ আছে।
  1. কর্তব্য কী?

Ans: সাধারণভাবে কর্তব্য হল সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি কয়েকটি দায়দায়িত্ব পালন। প্রকৃতি অনুসারে কর্তব্যকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-(1) নৈতিক কর্তব্য, (2) আইনগত কর্তব্য।

  1. ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য কত খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়? 1976 খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় সংবিধানের কততম সংশোধন হয়?

Ans: ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য 1976 খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়।

  • 1976 খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় সংবিধানের 42তম সংশোধন হয়।
  1. প্রতি বছর কোন্ দিনটি মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়? সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যগুলির শাসনকার্য পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী নজর রাখে?

Ans: প্রতি বছর 10 ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়।

  • সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যগুলির শাসনকার্য পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের 355 নং ধারা অনুযায়ী সেদিকে নজর রাখে।
  1. নির্দেশমূলক নীতির দুটি উৎস লেখো।

Ans: নির্দেশমূলক নীতির দুটি উৎস হল-(1) ফেবিয়ান সমাজতন্ত্রের আদর্শ, (20 1935 খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন।

  1. মৌলিক অধিকারগুলি স্থিতিশীল না গতিশীল? ভারতের কোনো রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ না মানলে রাষ্ট্রপতি কত নং ধারা অনুযায়ী অবাধ্য রাজ্যকে শাস্তি দিতে পারে?

Ans: মৌলিক অধিকারগুলি স্থিতিশীল।

  • ভারতের কোনো রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ না মানলে রাষ্ট্রপতি 365 নং ধারা অনুযায়ী অবাধ্য রাজ্যকে শাস্তি দিতে পারে।
  1. নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?

Ans: নির্দেশমূলক নীতিসমূহকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (1) আর্থসামাজিক, (2) প্রশাসনিক, ও উন্নত রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কিত এবং (4) আন্তর্জাতিক আদর্শ-সংবলিত নির্দেশমূলক নীতিসমূহ।

  1. নির্দেশমূলক নীতি বলতে কী বোঝ?

Ans: প্রকৃত জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব নীতি অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন, সেগুলি যাতে সরকার অনুসরণ করে সেজন্য প্রদত্ত নির্দেশসমূহকে রাষ্ট্রপরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি বলা হয়। ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ অংশে রাষ্ট্রপরিচালনার নির্দেশমূলক নীতিসমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্লেষণধর্মী | মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer :

1. রাজনৈতিক অধিকার কাকে বলে? রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন অধিকারগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

Ans:

রাজনৈতিক অধিকার :

রাষ্ট্র হল মানুষের রাজনৈতিক জীবনের অভিব্যক্তি। তাই রাষ্ট্রের গঠন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে জড়িত হওয়ার প্রত্যেকটি অধিকার নাগরিকের রয়েছে। এই অধিকারগুলিই নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকাররূপে পরিচিত। বার্কার বলেছেন, নাগরিক হিসেবে ব্যক্তির প্রাপ্ত বা অর্জিত অধিকারই হল রাজনৈতিক অধিকার।

রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন অধিকার :

রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত অধিকারগুলি নিম্নরূপ-

  • ভোট দানের অধিকার: ভোটদানের অধিকার ছাড়া রাষ্ট্র ও সরকারের সঙ্গে জনগণের যোগসূত্র স্থাপিত হতে পারে না। কারণ, একমাত্র স্বাধীন এবং অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করে রাষ্ট্রের পরিচালন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটদান করার অধিকার গণতন্ত্রের মৌল ভিত্তি রচনা করে।
  • নির্বাচিত হওয়ার অধিকার: নির্বাচিত হওয়ার অধিকার ছাড়া নির্বাচনের অধিকার পূর্ণ হতে পারে না। জনগণ পরোক্ষ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করতে পারে না বলেই ভোটদানের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করে। তাই এটি ভোটাধিকারের পরিপূরক এবং গণতান্ত্রিক সরকারের একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
  • সরকারি চাকুরিতে অংশগ্রহণের অধিকার: রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত আর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হল-সরকারি চাকুরিতে অংশগ্রহণের অধিকার। এর মাধ্যমে নাগরিকরা যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন সরকারি চাকুরিতে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ লাভ করে।
  • আবেদনের অধিকার: সরকারের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা থাকা দরকার। কারণ এর মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে, সরকারের কোনো বিভাগের কোনো দুর্নীতি সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং প্রতিকারের দাবি জানাতে পারে। এইজন্য প্রয়োজন নাগরিকদের আবেদন করার অধিকার।
  • সরকারের কাজকর্মের সমালোচলা করার অধিকার: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের কাজকর্মের সমালোচনা করার অধিকারের মূল্য অপরিসীম। কারণ সরকার এই সমালোচনার আলোকে নিজের কাজকর্মের ত্রুটি শুধরে নিয়ে সেগুলিকে প্রকৃত জনমুখী করতে পারে। তবে তার জন্য সমালোচনা হওয়া চাই নিরপেক্ষ এবং গঠনমূলক।
  • বিদেশে অবস্থানকালীন নিরাপত্তার অধিকার: বিদেশে বসবাসকালীন নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে। কারণ প্রবাসী জীবনে নিরাপত্তার অধিকার হল নাগরিকদের একটি রাজনৈতিক অধিকার।
  • রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার অধিকার: প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণসাধনের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হাতে ন্যস্ত থাকে। অবশ্য অনেকেই জনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার দাবিকে একটি যুক্তিসংগত রাজনৈতিক অধিকার বলে মনে করেন। কারণ রাষ্ট্রের সরকার যদি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে নাগরিকগণ সরকারের বিরোধিতা করতে পারে। তাই রাষ্ট্র এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অধিকারকে স্বীকৃতি না দিলে সরকার স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে।
  • সভাসমিতি গঠনের অধিকার: সভাসমিতি বা সংঘ গঠনের অধিকারকে রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মার্কসবাদীরা রাষ্ট্রীয় শোষণের বিরুদ্ধে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের বিপ্লবের অধিকারকে অন্যতম রাজনৈতিক অধিকাররূপে চিহ্নিত করেছেন।

উপরোক্ত আলোচনাগুলির মাধ্যমে এই কথা বলাই যায় যে, রাজনৈতিক অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত অধিকারগুলির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

2. অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করো।

Ans:

অর্থনৈতিক অধিকার :

অর্থনৈতিক অধিকার বলতে আমরা সেই সকল অধিকারকে বুঝি, যেগুলি মানুষকে দারিদ্র্য এবং অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিয়ে দৈনন্দিন জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও নিরাপদ করে গড়ে তোলে। অধ্যাপক ল্যাস্কি-র মতে, প্রাত্যহিক অন্নসংস্থানের ক্ষেত্রে মানুষের ন্যায়সংগত মজুরি পাওয়ার নিরাপত্তা ও সুযোগকে অর্থনৈতিক অধিকার বলা যায়। যাই হোক, অর্থনৈতিক অধিকারসমূহের মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি উল্লেখযোগ্য-

অর্থনৈতিক অধিকারের বিভিন্ন রূপ :

  • কর্মের অধিকার : অর্থনৈতিক অধিকারের মধ্যে প্রথমেই কর্মের অধিকারের (Right to work) উল্লেখ করা যায়। যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকটি নাগরিকের কর্মের সুযোগ থাকা দরকার। শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা এবং প্রবণতা অনুযায়ী কর্ম নির্বাচন করার সুযোগসুবিধাও এইরূপ অধিকারেরই অঙ্গ।
  • কর্মের উপযোগী বেতন লাভের অধিকার: কর্মে নিযুক্ত প্রতিটি ব্যক্তির বেতন বা বেতনক্রম এমনভাবে নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন, যাতে তার ন্যূনতম জীবনযাত্রার মানকে সুনিশ্চিত করা যায়। যদি তা না হয় তাহলে মানুষ তার উপরি উপার্জনকে বেছে নিতে পারে। এতে রাষ্ট্রের এবং পক্ষান্তরে সমগ্র জনগণেরই ক্ষতি হাতে পারে।
  • বিশ্রামের অধিকার: কাজের অধিকারের পাশাপাশি বিশ্রামের অধিকারও (Right to Leisure) অত্যন্ত জরুরি। নিরবচ্ছিন্ন কাজের পরে অবসর যাপনের অবকাশ না থাকলে মানুষের পক্ষে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। বস্তুত অবকাশের সুযোগ না থাকলে কর্মরত মানুষের জীবন যান্ত্রিক হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের পক্ষে নতুন কিছু চিন্তাভাবনা করা বা উদ্ভাবন করাও সম্ভব নয়।
  • ভরণ-পোষণের অধিকার: বার্ধক্যে এবং কর্মাবসানে ভরণ-পোষণের অধিকার অর্থনৈতিক অধিকারের একটি অঙ্গ। অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের ভরণ-পোষণের দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই গ্রহণ করতে হয়।
  • শ্রমিক সংঘ গঠনের অধিকার: শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য শ্রমিক সংঘ গঠন করা প্রয়োজন। পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শ্রমিক স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে শ্রমিক সংঘে যোগদান করার অধিকার অর্থনৈতিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
  • শ্রমিক আন্দোলনে সামিল হওয়ার অধিকার: মালিকশ্রেণি কর্মচারীদের অর্থনৈতিক অধিকারের থেকে নিজেদের লাভ-লোকসানের প্রশ্নটিকে বড়ো করে দেখে, এর ফলে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য মালিকশ্রেণির সঙ্গে বেতন, ভাতা, কাজের শর্তাবলি, অবসরকালীন সুযোগসুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে শ্রমিকদের দরকষাকষি লক্ষ করা যায়। তখনই দরকার হয় শ্রমিক আন্দোলনে সামিল হওয়ার অধিকারের, যা অর্থনৈতিক অধিকারের একটি অন্যতম রূপ বলে বিবেচিত।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, অধিকারের অন্যতম রূপ হিসেবে অর্থনৈতিক অধিকারগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

3. সামাজিক ও কৃষ্টিগত অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করো।

Ans:

সামাজিক অধিকার :

ব্যক্তিজীবনের পূর্ণতার পাশাপাশি সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ যদি অধিকারের উদ্দেশ্য হয়- তবে যে অধিকারগুলি ছাড়া তা হতে পারে না, তাই হল সামাজিক অধিকার। এই অধিকারের | অন্তর্ভুক্ত অধিকারগুলি হল –

  • শিক্ষার অধিকার: সামাজিক অধিকারগুলি হল সমষ্টিগত অধিকার। এই অধিকারের মধ্যে প্রথমেই শিক্ষার অধিকার স্থান পেয়েছে। ল্যাস্কি বলেন, শিক্ষার অধিকার নাগরিকদের জ্ঞানপ্রসূত বিচারবুদ্ধির প্রয়োগে সাহায্য করে। নিজের জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করার জন্য শিক্ষার অধিকার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
  • সাংস্কৃতিক অধিকার: কোনো মানুষের, দেশ বা জাতির সাংস্কৃতিক বিকাশ একমাত্র শিক্ষার উন্নতির উপরই নির্ভরশীল। তা ছাড়া খেলাধুলা, নাটক, সংগীত প্রভৃতিতে নাগরিকদের স্বাধীন অংশগ্রহণের প্রশ্নটিও সাংস্কৃতিক অধিকাররূপে পরিচিত।
  • স্বাস্থ্য সংরক্ষণের অধিকার : সুস্থ ও সবল দেহের অধিকারী হতে না পারলে নাগরিকতার প্রকৃত বিকাশ ঘটতে পারে না। এই কারণেই দরকার অপুষ্টি দূরীকরণের ব্যবস্থা, সমাজের সকলের জন্য স্বাস্থ্য সংরক্ষণের সুযোগসুবিধা প্রভৃতি। এরজন্য ওষুধ, চিকিৎসা, প্রতিষেধক ব্যবস্থা, হাসপাতাল প্রভৃতির সুযোগসুবিধা গ্রাম-শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
  • সুখ পরিবেশে বাস করার অধিকার: সুস্থ ও সুন্দর সামাজিক পরিবেশে বসবাস করার অধিকার (Right to Reside in a Healthy Environment) একটি তাৎপর্যপূর্ণ সামাজিক অধিকার। তাই জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রের পক্ষে সুস্থ ও সামাজিক পরিবেশ গড়ে তোলা একটি অপরিহার্য কর্তব্য। সুস্থ সামাজিক পরিবেশে সুস্থ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, যা নাগরিকদের জীবনের অন্তর্নিহিত সত্তার বিকাশে একান্ত উপযোগী।
  • মর্যাদাপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার: সুস্থ সামাজিক পরিবেশে মর্যাদাপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই রয়েছে। সুস্থ সামাজিক পরিবেশেই মানুষ তার শরীর ও মনের সর্বোত্তম বিকাশসাধনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সুযোগ্য নাগরিক হয়ে উঠতে পারে।
  • সামাজিক সাম্যের অধিকার: সামাজিক সাম্যের অধিকার (Right to Social Equality) একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। ধর্ম, বর্ণ, জাতি, স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সমস্ত নাগরিকের সামাজিক দিক থেকে সাম্যের অধিকার থাকা বাঞ্ছনীয়। অস্পৃশ্যতা বা জাতিভেদের মতো মানবিক অভিশাপ সমাজ থেকে দূর করা দরকার। মানুষের মধ্যে কোনোপ্রকার ভেদাভেদ করা উচিত নয়। বস্তুতপক্ষে, সামাজিক বৈষম্য বিদ্যমান থাকলে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সঠিকভাবে রূপায়িত হতে পারে না।
  • সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার: সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার হল অপর একটি সামাজিক অধিকার। যারা বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত তাদের বার্ধক্যে এবং অবসরকালীন অবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হাতেই ন্যস্ত থাকে। তাছাড়া যারা কর্মক্ষম অথচ কর্মের কোনো সংস্থান নেই তাদের সহযোগিতা করা রাষ্ট্রেরই অন্যতম কর্তব্য। তবে বর্তমানে সব রাষ্ট্রেই সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গৃহীত হয়, যেমন-বিমা প্রকল্প, সরকারি অনুদান, অবসরকালীন ভাতা প্রভৃতি।
  • শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির অধিকার: শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির অধিকার একটি সামাজিক অধিকাররূপে পরিচিত। তাছাড়া কলকারখানায়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অল্প মাইনের বিনিময়ে নারী ও শিশুদের শ্রম নিয়ে অপব্যবহার করা হয়। তাই কঠোর আইন প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের কাজের শর্তাবলি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য।
  • কৃষ্টিগত অধিকার: প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের অধিকারকেই কৃষ্টিগত অধিকার বলে। সুস্থ সংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল প্রকার ঐতিহ্য, ভাষা- সংস্কৃতি, কৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য এবং বৈচিত্র্য রক্ষণাবেক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এরই পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিক বা গোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি ও অতীত ঐতিহ্য রক্ষার ব্যাপারে রাষ্ট্রকেই বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়, যাতে দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি আগামী প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পারে।

4. কর্তব্য বলতে কী বোঝ? নাগরিকদের যেকোন চারটি কর্তব্য সম্বন্ধে আলোচনা করো।

অথবা, কর্তব্য বা নাগরিক কর্তব্য বলতে কী বোঝো? ভারতের সংবিধানে উল্লেখিত নাগরিকদের কর্তব্যগুলি উল্লেখ করো।

Ans:

কর্তব্যের সংজ্ঞা :

কর্তব্য বলতে কোনো কিছুর প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করাকে বোঝায়। যেমন- দেশের অভ্যন্তরে আইন মেনে চলা একটি কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। অধিকার তখনই ভোগ করা যায়, যখন তার পূর্বে কোনো কর্তব্য পালন করা হয়। একইভাবে জনগণের কাছ থেকে রাষ্ট্র কিছু কর্তব্য আশা করে থাকে। একজন ব্যক্তির চেতনা (Civic Sense) জাগ্রত হওয়ার উপরে অন্য ব্যক্তিদের অধিকারভোগ ও কর্তব্যপালনের বিষয়টি নির্ভর করে চলে। বিভিন্ন দেশ, যেমন-ভারত, চিন ও জাপানের সংবিধানে নাগরিকদের কর্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।

নাগরিকদের কর্তব্যকে ব্যাপক ও সংকীর্ণ অর্থে আলোচনা করা যেতে পারে।

  • ব্যাপক অর্থে কর্তব্য: ব্যাপক অর্থে বা ইতিবাচক অর্থে কর্তব্যকে দুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। একটি হল নৈতিক কর্তব্য, যা মূলত ব্যক্তির বিবেকবোধ ও ন্যায়-অন্যায়বোধ থেকে তৈরি হয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনো বলপূর্বক আইন প্রয়োগ করে না। অপরটি হল আইনগত কর্তব্য, অর্থাৎ রাষ্ট্র ও সরকারের মহৎ কোনো লক্ষ্যপূরণে বা দেশরক্ষার কার্যে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটদান ইত্যাদিকে বোঝায়।
  • সংকীর্ণ অর্থে কর্তব্য: কোনো ব্যক্তি যদি অপরের জীবনহানি করে থাকে, নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য সেবন বা পাচার-সহ জাতীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করে থাকে, তবে সেগুলি নেতিবাচক বা সংকীর্ণ কর্তব্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। আইন প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্র এহেন ক্রিয়াকলাপ থেকে নাগরিকদের বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। প্রয়োজনে তা গুরুতর অপরাধ বলেও গণ্য হয় ও বিচারে ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পর্যন্ত হয়।

ভারতের সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিকদের কর্তব্যসমূহ :

ভারতের সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিকদের কর্তব্যগুলিকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা-

[1] নিজের প্রতি কর্ত্তব্য: সমাজ এবং সমষ্টির বিকাশের গুণগত মান ব্যক্তির জীবন বিকাশের গুণগত মানের উপর নির্ভরশীল। তাই নাগরিকদের প্রথম কর্তব্য হল- নিজের শারীরিক, মানসিক এবং নৈতিক বিকাশসাধন করে সমাজ এবং সমষ্টির যোগ্যতম অংশরূপে নিজেকে গড়ে তোলা।

[2] পরিবারের প্রতি কর্তব্য: গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনের একক হল পরিবার। পরিবারই সমাজের প্রতি শিক্ষা জাগ্রত করে, সমাজের সঙ্গে শিশুর পরিচয় ঘটায়। তাই নাগরিকের পরিবারের প্রতি কর্তব্য দেশের প্রতি তার বৃহত্তম কর্তব্যেরই একটি অংশ।

[3] সমাজের প্রতি কর্তব্য: মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজ ব্যতীত মানুষ তার অধিকার ভোগ করতে পারে না এবং তার জীবনের পূর্ণতম বিকাশসাধন করতে পারে না। এই কারণেই সমাজের প্রতি নাগরিকের কর্তব্য হল তার অধিকার ভোগের আর একটি দিক।

[4] রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য: মানুষের কোনো অধিকারই রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ব্যতীত আইনগত মূল্য অর্জন করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রের সভ্য হিসেবে নাগরিকেরও কতকগুলি কর্তব্য রয়েছে, সেগুলি পালন না করলে রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা শক্ত হয়ে পড়ে।

5. রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের কর্তব্যসমূহ আলোচনা করো।

Ans:

রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের কর্তব্যসমূহ :

রাষ্ট্রের প্রতি ব্যক্তির কিছু কর্তব্য রয়েছে, সেগুলি পালন না করলে রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের কর্তব্যগুলি হল-

[1] আনুগত্য মেনে চলা: রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের কর্তব্য সম্বন্ধে দুটি ধারণা প্রচলিত আছে। যেমন- অনেকে মনে করেন শক্তির ভয়েই নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে, আবার কেউ কেউ মনে করেন, মানুষ নীতিগতভাবেই রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত। রাষ্ট্রের আদর্শের প্রতি অনুগত থাকা, রাষ্ট্রের মর্যাদা, ঐক্য এবং অখণ্ডতাকে উচ্চমূল্য দেওয়া, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতা করা, গুপ্তচরবৃত্তি করে দেশের সর্বনাশ না করা- এই সমস্তই হল রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের আনুগত্যের বিভিন্ন প্রকাশ।

[2] আইন মান্য করা: রাষ্ট্রের নির্দেশ আইনের মধ্য দিয়েই প্রকাশিত হয়ে থাকে। তাই আইন মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য, আইন না মানার অর্থ হল- অনাচার, বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্য। সুতরাং কেউ আইন মানতে অস্বীকার করলে রাষ্ট্র তাকে আইন মানতে বাধ্য করতে পারে।

[3] নিয়মিত কর প্রদান করা: রাষ্ট্রের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন। রাষ্ট্র বিভিন্ন করের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে এই অর্থের একটা বিপুল পরিমাণ অংশ সংগ্রহ করে থাকে। কাজেই জনগণ যদি নিয়মিত কর প্রদান না করে তবে রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা শক্ত হয়ে ওঠে।

[4] সৎভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা: পরোক্ষ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে জনগণের প্রতিনিধিগণই সরকার পরিচালনা করে থাকে। তাই জনগণের উচিত সতর্কভাবে এবং সঠিকভাবে তাদের পরম মূল্যবান ভোটাধিকারকে প্রয়োগ করে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা। এটি নাগরিকদের পরম পবিত্র কর্তব্য।

[5] সেনাবাহিনীতে যোগদান: রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার্থে প্রতিটি রাষ্ট্রেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীতে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ এবং সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ প্রত্যেকটি দেশপ্রেমিক নাগরিকেরই কর্তব্য।

পরিশেষে বলা যায় কোনো নাগরিক যদি সরকারি কাজে শিথিলতা দেখায়, ঘুষ নেয়, ভোট কেনাবেচা করে, আইনভঙ্গকারীকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে সে নাগরিক কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে। তাই প্রত্যেক নাগরিকেরই উচিত রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্যগুলি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা।

6. অধিকারের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করো?

Ans: অধিকারের সংজ্ঞা: মানুষ সাধারণত সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করতে চায়, আর সেইসঙ্গে চায় তার ব্যক্তিত্বের পূর্ণতম বিকাশ সাধন করতে। কিন্তু সুখী জীবনযাপন করার জন্য বা ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য এমন কিছু সুযোগসুবিধা মানুষের থাকা দরকার যেগুলি তার পক্ষে একান্তভাবেই অপরিহার্য। কারণ, সেগুলি ছাড়া তার ব্যক্তিত্ব বিকাশ সম্পূর্ণ হয় না। ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী বাহ্যিক এই সুযোগসুবিধাগুলিই হল অধিকার।

অধিকারের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ তাঁদের বক্তব্য রেখেছেন-

  • অ্যারিস্টট্ট্ল: অ্যারিস্টটলের মতে, মানুষ হল প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ জীব। সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে মানুষ যে-সমস্ত সুযোগসুবিধা ভোগ করে সেগুলিকে অধিকার বলে। অধিকার কোনো নেতিবাচক ধারণা নয়।
  • হ্যারল্ড ল্যাস্কি : হ্যারল্ড ল্যাস্কির মতে, অধিকার হল সামাজিক জীবনের সেইসমস্ত শর্তাবলি, যা ছাড়া কোনো ব্যক্তির পক্ষে সর্বোচ্চ আত্মোপলব্ধি সম্ভব নয়।
  • গিলক্রিস্ট: গিলক্রিস্ট মনে করেন, অধিকার হল রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত এবং সংরক্ষিত সেইসমস্ত সুযোগসুবিধা, যার সাহায্যে ব্যক্তির বিকাশ ও সমাজের কল্যাণ সাধিত হয়।
  • টমাস হিল গ্রিন: টমাস হিল গ্রিন বলেছেন, সাধারণের কল্যাণের প্রয়োজনে যে ক্ষমতা দাবি করা হয় এবং অনুমোদিত হয়, তাকে অধিকাররূপে অভিহিত করা হয়।
  • আর্নেস্ট বার্কার: আর্নেস্ট বার্কার মনে করেন, রাষ্ট্র ও তার আইন কর্তৃক স্বীকৃত দাবিই হল অধিকার। অবশ্য রাষ্ট্র বা আইন অধিকারের প্রাথমিক উৎস নয়। অধিকারের প্রধান কথা হল ব্যক্তির অন্তর্নিহিত নৈতিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ।
  • হবহাউস: হবহাউসের মতে, আমরা একে অপরের থেকে যা প্রত্যাশা করি, সেটাই অধিকার। অধিকারের পিছনে সামাজিক অনুমোদন থাকে।

উপরোক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের সংজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে অধিকারের সংজ্ঞা সম্পর্কে একটি মূল্যবান ধারণা পাওয়া যায়।

7. অধিকারের প্রকৃতি আলোচনা করো এবং অধিকার সম্পর্কে মাকর্সীয় ধারণা কী?

Ans:

অধিকারের প্রকৃতি :

প্রকৃতিগত বিচারে অধিকার প্রসঙ্গে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির অবতারণা করা যায়-

  • সামাজিক ধারণা: অধিকার বলতে কিছু দাবি বা স্বত্বকে বোঝায় যেগুলি সমাজের মধ্যেই স্বীকৃত ও সংরক্ষিত হয়। তাই অধিকারকে একটি সামাজিক ধারণা বলা হয়। যেমন- মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজের মধ্যে থেকেই সকল অধিকার ভোগ করতে পারে। কিন্তু মানুষ এমন কোনো অধিকার ভোগ করতে পারে না, যাতে সমাজের ক্ষতি হয় বা অন্যরা অসুবিধায় পড়ে।
  • আইনগত ধারণা: মানুষের অধিকার যত শাশ্বত ও চিরন্তনই হোক-না-কেন, রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত না হওয়া পর্যন্ত তার আইনগত কোনো মূল্য নেই। তাই অধিকারের প্রতি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রকাশ পায় আইনের মধ্য দিয়ে, আর এই আইনের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র মানুষের অধিকারকে রক্ষা করে।
  • ন্যায্য ধারণা: আইন এবং রাষ্ট্র উভয়ই ন্যায় ব্যবস্থার উপর প্রতিষ্ঠিত এবং এই ব্যবস্থারই ফল হল অধিকার। তাই অধিকারকে একটি ন্যায্য ধারণারূপেও অভিহিত করা যায়।
  • স্থিতিশীল নয়: কোনো কোনো অধিকার সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে, আবার সমাজের চাহিদা বা দাবির সঙ্গে কোনো অধিকার হ্রাসও পেতে পারে। যেমন-ভারতের সংবিধানে প্রথমে সম্পত্তির অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও পরবর্তীকালে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

অধিকার সম্পর্কে মার্কসীয় ধারণা :

মার্কসবাদ অধিকারকে কোনো বিমূর্ত বা কাল্পনিক ধারণা বলে মনে করে না। মার্কসবাদীদের ধারণা হল, সমাজের শ্রেণিকাঠামো এবং সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে অধিকারের ধারণা জড়িত রয়েছে। তবে মার্কসবাদীরা মনে করেন বুর্জোয়া শাসনব্যবস্থায় অধিকার সাধারণ মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে না। তাই শ্রেণিশাসিত ও শোষণমূলক সমাজে অধিকারের ধারণাটি বৈষম্যমূলক। উৎপাদনের উপাদান যেখানে সংখ্যালঘুর হাতে কেন্দ্রীভূত, অর্থনৈতিক অসাম্য যে ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত, সেখানে শোষকের স্বার্থেই অধিকারের ধারণাটি গড়ে ওঠে। তাই একমাত্র

 বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাতেই জনগণের প্রকৃত অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত হতে পারে।

8. অধিকারের রূপগুলি বা প্রকারভেদ আলোচনা করো।

Ans:

অধিকারের বিভিন্ন রূপ বা প্রকারভেদ :

অধিকারকে মূলত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়, যথা- (1) নৈতিক অধিকার (Moral Rights) এবং (2) আইনগত অধিকার (Legal Rights)। আবার এই আইনগত অধিকারগুলিকে প্রকৃতি অনুযায়ী চার ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- পৌর অধিকার (Civil Rights), সামাজিক অধিকার (Social Rights), রাজনৈতিক অধিকার (Political Rights) ও অর্থনৈতিক অধিকার (Economic Rights)|

(1) নৈতিক অধিকার: মানুষের নৈতিক সত্তার বিবেকসম্মত দাবিই হল নৈতিক অধিকার। এ অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত নয় বা অধিকার ভঙ্গ করলে রাষ্ট্র কোনো শাস্তি দিতে পারে না। এখানে একজনের নৈতিক অধিকার অপর একজনের নৈতিক কর্তব্যপালনের উপর নির্ভরশীল।

(2) আইনগত অধিকার: রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সরকার দ্বারা স্বীকৃত ও সংরক্ষিত যেসকল সুযোগসুবিধা নাগরিকগণ ভোগ করে, তাকে আইনগত অধিকার বলে। রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত এই অধিকারকে ভঙ্গ করার অর্থ রাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করা।

আইনগত অধিকারের আরও চারটি রূপ হল-

(I) পৌর অধিকার: পৌর বা নগরজীবনে বসবাসের জন্য মানুষ যেসকল অধিকার ভোগ করে থাকে তাকে পৌর অধিকার বলা হয়। মানুষের বাঁচার জন্য যে ন্যূনতম সুযোগসুবিধাগুলি থাকা প্রয়োজন তা পৌর অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।

(ii) সামাজিক অধিকার: ব্যক্তিজীবনের পূর্ণতার পাশাপাশি সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ যদি অধিকারের উদ্দেশ্য হয়, তবে যে অধিকারগুলি ছাড়া ব্যক্তিজীবন পূর্ণ হতে পারে না, তাই হল সামাজিক অধিকার। 

(iii) রাজনৈতিক অধিকার: রাষ্ট্র হল মানুষের রাজনৈতিক জীবনের অভিব্যক্তি। তাই রাষ্ট্রের গঠন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে জড়িত হওয়ায় প্রত্যেকটি অধিকারই নাগরিকরা ভোগ করে থাকে। এই অধিকারগুলিই নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকাররূপে পরিচিত।

(iv) অর্থনৈতিক অধিকার: অর্থনৈতিক অধিকার ছাড়া পৌর, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকারগুলি নিতান্তই অর্থহীন হয়ে পড়ে। তাই অর্থনৈতিক অধিকারকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। অর্থনৈতিক অধিকার বলতে আমরা সেই সকল অধিকারকে বুঝি, যেগুলি মানুষকে দারিদ্র্য এবং অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিয়ে দৈনন্দিন জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও নিরাপদ করে গড়ে তোলে।

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অধিকারগুলি সম্বন্ধে জানা গেলেও মনে রাখতে হবে যে, অধিকারের শ্রেণিবিভাগগুলি কোনো ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত নয়। একটি অধিকার অপর একটি অধিকারের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত যে অনেকসময় তাদের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে।

9. অধিকারের বৈশিষ্টসমূহ আলোচনা করো?

Ans:

অধিকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ :

অধ্যাপক ল্যাস্কি এবং অন্যান্য তাত্ত্বিকগণকে অনুসরণ করে অধিকারের বৈশিষ্ট্যকে এইভাবে নির্দেশ করা যায়, যথা-

  • ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী : অধিকার হল মানুষের জীবন এবং ব্যক্তিত্বের পূর্ণতম বিকাশের উপযোগী কতকগুলি বাহ্যিক সুযোগসুবিধা বা অবস্থাবিশেষ।
  • আদালত কর্তৃক সুরক্ষিত: অধিকার একটি আইনগত ধারণা। রাষ্ট্রের আইন অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় ও আদালত তাকে সুরক্ষিত করে। তাই মানুষের বাহ্যিক সুযোগসুবিধাগুলি মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশে যত অপরিহার্যই হোক- না-কেন, রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত না হলে সেগুলির কোনো আইনগত মূল্য নেই।
  • সমাজনিরপেক্ষ বিষয় নয়: রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও সুরক্ষাই শেষ কথা নয়, অধিকারের একটি নৈতিক ভিত্তি আছে এবং অধিকার সমাজনিরপেক্ষ নয়। কারণ মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজের মধ্যে বসবাস করেই সমস্তরকম অধিকার ভোগ করতে পারে।
  • নিরঙ্কুশ নয়: সমাজের একজন সদস্য হিসেবে মানুষ অধিকার ভোগ করে বলে অধিকার নিরঙ্কুশ হতে পারে না। কারণ প্রত্যেকের অধিকার প্রত্যেকের অধিকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং সীমাবদ্ধ। তাই প্রত্যেকটি মানুষ অধিকার ভোগ করতে গিয়ে এই সীমা মেনে চলে, যা প্রত্যেকেরই কর্তব্য।
  • সমাজকল্যাণে সহায়ক: অধিকারের সঙ্গে সমাজকল্যাণের এক অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র রয়েছে। যেসমস্ত অধিকারের ক্ষেত্রে ব্যক্তিকল্যাণের সঙ্গে সমাজকল্যাণের সমন্বয় ঘটে, একমাত্র সেইসমস্ত অধিকারকেই রাষ্ট্র মেনে নেয়। তাই জনস্বার্থবিরোধী বিষয়কে অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করা যায় না।*

পরিশেষে বলা যায়, ব্যক্তিত্বের দাবিকে ক্রমাগত অগ্রাহ্য করে সামাজিক বিন্যাস গড়ে ওঠে। তাই অধিকারের দাবিকে মেনে না নিলে আনুগত্যের দাবিকেও বিসর্জন দেওয়া হয়।

10. পৌর অধিকার কাকে বলে? পৌর অধিকারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন অধিকারগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

Ans:

পৌর অধিকার :

যেসকল সুযোগসুবিধা ব্যতীত মানুষের পক্ষে সভ্য সামাজিক জীবনযাপন করা সম্ভব নয়, তাকে পৌর অধিকার (Civil Rights) বলে। ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য পৌর অধিকার একান্তভাবে অপরিহার্য। নিম্নলিখিত পৌর অধিকারসমূহ সভ্য সমাজে উল্লেখযোগ্য।

বিভিন্ন পৌর অধিকারসমূহ :

  • বাঁচার অধিকার: মানুষের বাঁচার অধিকার (Right to Life) হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌলিক অধিকার। বাঁচার অধিকার না থাকলে অন্য কোনো ধরনের অধিকার ভোগ সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত বলা যায়, বাঁচার অধিকার বলতে আত্মরক্ষার অধিকার এবং আত্মরক্ষার প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের অধিকারকেও বোঝায়।
  • স্বাধীনভার অধিকার: আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিক জীবনের অন্যতম প্রধান অধিকার হল স্বাধীনতার অধিকার (Right to Freedom)। ব্যক্তিসত্তার সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য স্বাধীনতার অধিকার অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিস্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত যেসকল অধিকারকে স্বাধীনতার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার, স্বাধীনভাবে সংঘ বা সমিতি গঠন করার অধিকার, স্বাধীন পেশা বা বৃত্তির অধিকার, স্বাধীনভাবে বসবাসের অধিকার, সভা-সমাবেশে স্বাধীনভাবে যোগদান করার অধিকার এবং বিনা বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক না হওয়ার অধিকার প্রভৃতি।
  • সম্পত্তির অধিকার: সম্পত্তির অধিকার (Right to Property) একটি অন্যতম পৌর অধিকার। সম্পত্তির অধিকার বলতে ব্যক্তির সম্পত্তি অর্জন, ভোগদখল এবং সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের অধিকারকে বোঝায়। সম্পত্তি দান ও সম্পত্তি হস্তান্তর এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। প্রসঙ্গত বলা যায়, ভারতে সম্পত্তির অধিকার বর্তমানে মৌলিক অধিকাররূপে স্বীকৃত নয়, এটি একটি সাংবিধানিক অধিকারমাত্র।
  • পরিবার গঠনের অধিকার: পরিবার গঠনের অধিকার (Right to Family) মানুষের একটি প্রাচীন পৌর অধিকার। অ্যারিস্টট্ল-এর মতে, পরিবার গঠন হল সমাজজীবনের মূল ভিত্তি। এই কারণে বিবাহের মাধ্যমে নাগরিকদের সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গঠনের অধিকার প্রতিটি রাষ্ট্রেই স্বীকৃত রয়েছে।
  • ধর্মের অধিকার: ধর্মের অধিকার (Right to Religion) আধুনিক রাষ্ট্রে একটি স্বীকৃত পৌর অধিকার। এই অধিকারের মাধ্যমে মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, ধর্মীয় আচার-আচরণ ও ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতায় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কোনোরকম হস্তক্ষেপ করে না। ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ বহুকাল থেকে স্বীকৃত রয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সব ধর্মের অধিকার সমান, রাষ্ট্র কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না।

Class 11th All Semester Question and Answer – একাদশ শ্রেণীর সমস্ত সেমিস্টার প্রশ্নউত্তর

আরোও দেখুন:-

Class 11 All Subjects 1st Semester Question and Answer Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 All Subjects 2nd Semester Question and Answer Click here

Class 11 Suggestion 2025 (Old) – একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৫

আরোও দেখুন:-

Class 11 Political Science Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 English Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Geography Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 History Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Political Science Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Education Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Philosophy Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sociology Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sanskrit Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 All Subjects Suggestion 2025 Click here

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th Political Science Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

FILE INFO : মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link  Click Here To Download
Download PDF Click Here To Download

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – অধ্যায় থেকে আরোও বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

Update

[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography]

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

Info : মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর

 Class 11 Political Science Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Eleven XI (Class 11th) Political Science Question and Answer Suggestion 

” মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI / WB Class 11 / WBCHSE / Class 11 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন / একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ও উত্তর । Class-11 Political Science Suggestion / Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer / Class 11 Political Science Suggestion / Class-11 Pariksha Political Science Suggestion / Political Science Class 11 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 11 Political Science Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Political Science Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th Political Science Suggestion / Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer / Class 11 Political Science Suggestion / Class 11 Pariksha Suggestion / Class 11 Political Science Exam Guide / Class 11 Political Science Suggestion 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030 / Class 11 Political Science Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class-11 Political Science Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর 

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান 

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সহায়ক – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer, Suggestion | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestion | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Notes | West Bengal Class 11th Political Science Question and Answer Suggestion. 

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 Political Science Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – । Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestion.

WBCHSE Class 11th Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Suggestion | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ –

WBCHSE Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Suggestion একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Suggestion একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ।

Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestions | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । 

WB Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Suggestion | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – সাজেশন 

Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – সাজেশন । Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 11 Political Science Suggestion Download WBCHSE Class 11th Political Science short question suggestion . Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Suggestion download Class 11th Question Paper Political Science. WB Class 11 Political Science suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11 Political Science Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Eleven XI Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Exam 

Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Eleven XI Political Science Suggestion is provided here. Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here. 

মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer 

  অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যসমূহ – একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Maulik Adhikar o Kortobbo Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।

Google News Follow Now
WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Channel Follow Now