বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়)
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer : বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer, Suggestion, Notes – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
শ্রেণী | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10) |
বিষয় | মাধ্যমিক ইতিহাস (Madhyamik History) |
বিষয় | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (Bis Sataker Bharote Krishok) |
অধ্যায় | ষষ্ঠ অধ্যায় (6th Chapter) |
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer
MCQ | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer :
- যে বড়োলাট বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করেন –
(A) লর্ড রিপন
(B) লর্ড কার্জন
(C) লর্ড ডাফরিন
(D) লর্ড চেমসফোর্ড
Ans: (B) লর্ড কার্জন
- বঙ্গভঙ্গ যেদিন ঘোষিত হয়েছিল , তা হল ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের –
(A) ১৯ জুলাই
(B) ১৬ অক্টোবর
(C) ১৬ আগস্ট
(D) ১৬ জুন
Ans: (A) ১৯ জুলাই
- বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে –
(A) ১৬ অক্টোবর
(B) ২৪ অক্টোবর
(C) ২৬ অক্টোবর
(D) ৩১ অক্টোবর
Ans: (A) ১৬ অক্টোবর
- বঙ্গভঙ্গকে ‘ গভীর জাতীয় বিপর্যয় ‘ বলেছেন—
(A) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
(B) সুরেন্দ্রনাথ সেন
(C) অরবিন্দ ঘোষ
(D) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
Ans: (A) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল—
(A) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (C) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে
- সর্বপ্রথম বয়কট আন্দোলনের ডাক দেন –
(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(B) কৃষ্ণকুমার মিত্র
(C) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
(D) অরবিন্দ ঘোষ
Ans: (B) কৃষ্ণকুমার মিত্র
- বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকে এলিটিস্ট ( Elitist ) আন্দোলন বলেছেন , ঐতিহাসিক –
(A) জে আর ম্যাকলেন /
(B) উইল ডুরান্ট
(C) ড . সুমিত সরকার
(D) আর . এস . ত্রিপাঠী
Ans: (C) ড . সুমিত সরকার
- বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়—
(A) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
- ভারতের গান্ধিজির প্রথম সত্যাগ্রহটি হল –
(A) খেদা সত্যাগ্রহ
(B) আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ
(C) বারদৌলি সত্যাগ্রহ
(D) চম্পারণ সত্যাগ্রহ
Ans: (D) চম্পারণ সত্যাগ্রহ
- ‘ তিন কাঠিয়া ‘ প্রথার অর্থ হল –
(A) বিঘা প্রতি তিন কাঠা জমিতে নীলচাষ করা
(B) কৃষকদের বাধ্যতামূলক তিন কাঠা জমি থাকা
(C) বিঘা প্রতি তিন কাঠা জমি পতিত রাখা
(D) কাঠা প্রতি তিন পয়সা কর দেওয়া
Ans: (A) বিঘা প্রতি তিন কাঠা জমিতে নীলচাষ করা
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik History Suggestion 2024 Click here ]
- ‘ তিনকাঠিয়া প্রথা ‘ যে চাষের সঙ্গে যুক্ত ছিল তা হল –
(A) আফিং চাষ
(B) নীল চাষ
(C) পাট চাষ
(D) তুলা চাষ
Ans: (B) নীল চাষ
- তিনকাঠিয়া প্রথার অবসান ঘটে –
(A) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (A) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
- চম্পারণ কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন –
(A) দুর্গাপাল সিং
(B) মহাত্মা গান্ধি
(C) জওহরলাল নেহরু
(D) বাবা রামচন্দ্ৰ
Ans: (B) মহাত্মা গান্ধি
- ভারতে গান্ধিজির দ্বিতীয় সত্যাগ্রহটি হল –
(A) চম্পারণ সত্যাগ্রহ
(B) আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ
(C) বারদৌলি সত্যাগ্রহ
(D) খেদা সত্যাগ্রহ
Ans: (B) আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ
- আমেদাবাদ সত্যাগ্রহের ফলে মিল মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে –
(A) ১৫ শতাংশ
(B) ২৫ শতাংশ
(C) ৩০ শতাংশ
(D) ৩৫ শতাংশ
Ans: (D) ৩৫ শতাংশ
- গান্ধিজির নেতৃত্বে ভারতে তৃতীয় সত্যাগ্রহটি হল—
(A) চম্পারণ সত্যাগ্রহ
(B) বারদৌলি সত্যাগ্রহ
(C) আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ
(D) খেদা সত্যাগ্রহ
Ans: (D) খেদা সত্যাগ্রহ
- গান্ধিজির নেতৃত্বে খেদা সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয়—
(A) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
- ইন্দুলাল যাজ্ঞিক যুক্ত ছিলেন—
(A) খেদা সত্যাগ্রহে
(B) চম্পারণ সত্যাগ্রহে
(C) আমেদাবাদ সত্যাগ্রহে
(D) বারদৌলি সত্যাগ্রহে
Ans: (A) খেদা সত্যাগ্রহে
- গান্ধিজি যে সত্যাগ্রহের মাধ্যমে শহরের শিক্ষিত ও গ্রামীণ কৃষকদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটান , সেটি হল—
(A) খেদা সত্যাগ্রহ
(B) আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ
(C) অহিংস সত্যাগ্রহ
(D) চম্পারণ সত্যাগ্রহ
Ans: (D) চম্পারণ সত্যাগ্রহ
- বিজোলিয়া সত্যাগ্রহ ( ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ) সংগঠিত হয়—
(A) রাজস্থানে
(B) অযোধ্যায়
(C) গুজরাতে
(D) বাংলায়
Ans: (A) রাজস্থানে
- বিজোলিয়া সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন –
(A) বিনয় সিং পথিক ও মানিকলাল ভার্মা
(B) মদনমোহন মালব্য
(C) জয়নারায়ণ ব্যাস
(D) ভূপ সিং
Ans: (A) বিনয় সিং পথিক ও মানিকলাল ভার্মা
- দ্বারভাঙ্গা কিষাণ আন্দোলনের ( ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ) নেতৃত্ব দেন –
(A) স্বামী বিদ্যানন্দ
(B) মোতিলাল তেজবন্ত
(C) বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদ
(D) মানিকলাল ভার্মা
Ans: (A) স্বামী বিদ্যানন্দ
- রাম্পা উপজাতির বাস ছিল—
(A) কাবেরী উপত্যকায়
(B) নর্মদা উপত্যকায়
(C) গোদাবরী উপত্যকায়
(D) গাঙ্গেয় উপত্যকায়
Ans: (C) গোদাবরী উপত্যকায়
- রাম্পা উপজাতি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন–
(A) মাদারি পাশি
(B) বাবা রামচন্দ্র
(C) স্বামী বিদ্যানন্দ
(D) আপ্লুরি সীতারাম রাজু
Ans: (D) আপ্লুরি সীতারাম রাজু
- সর্বভারতীয় গণরাজনীতির রূপকার ছিলেন—
(A) মহাত্মা গান্ধি
(B) বল্লবভাই প্যাটেল
(C) গোপালকৃয় গোখলে
(D) সুভাষচন্দ্র বসু
Ans: (A) মহাত্মা গান্ধি
- অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় –
(A) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (C) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
- অসহযোগ আন্দোলনের প্রতীক ছিল –
(A) গীতা
(B) চরকা
(C) সিংহ
(D) লাঠি
Ans: (B) চরকা
- অসহযোগ আন্দোলনকালে মেদিনীপুরের কৃষক আন্দোলনের নেতা ছিলেন –
(A) ধরণী মণ্ডল
(B) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
(C) নজরুল ইসলাম
(D) সুশীল কুমার ধাড়া
Ans: (B) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
- বীরেন্দ্রনাথ শাসমল পরিচিত ছিলেন যে নামে –
(A) দেশপ্রাণ
(B) দেশপ্রিয়
(C) দেশবন্ধু
(D) দেশ দাস
Ans: (A) দেশপ্রাণ
- অসহযোগ আন্দোলনের সময় মেদিনীপুরে কৃষকদের কর বন্ধ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন –
(A) আক্রাম খাঁ
(B) ফজলুল হক
(C) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
(D) বঙ্কিম মুখার্জি
Ans: (C) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
- মোপলা বিদ্রোহ হয় –
(A) মালাবার উপকূলে
(B) কাথিয়াবাড়ে
(C) কোঙ্কন উপকূলে
(D) মাদ্রাজে
Ans: (A) মালাবার উপকূলে
- মালাবারে মোপলা সম্প্রদায় ছিল—
(A) জাঠ কৃষক
(B) হিন্দু কৃষক
(C) মুসলিম কৃষক
(D) উপজাতি কৃষক
Ans: (C) মুসলিম কৃষক
- অহিংস অসহযোগ আন্দোলনকালে যুক্তপ্রদেশে কৃষক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন –
(A) লালা লাজপত রায়
(B) বল্লভভাই প্যাটেল
(C) বাবা রামচন্দ্র
(D) মাদারি পাশি
Ans:
- বাবা রামচন্দ্র কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন—
(A) বিহারে
(B) যুক্তপ্রদেশে
(C) রাজস্থানে
(D) মহারাষ্ট্রে হয়
Ans:
- উত্তরপ্রদেশ কিষাণসভা গঠন –
(A) জওহরলাল নেহরু
(B) মাদারি পাশি করেন
(C) ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদ
(D) বাবা রামচন্দ্র
Ans: D) বাবা রামচন্দ্র
- চৌরিচ ৌরা ঘটনার কারণে যে আন্দোলন প্রত্যাহার করা –
(A) স্বদেশি আন্দোলন
(B) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন
(C) আইন অমান্য আন্দোলন
(D) ভারত ছাড়ো আন্দোলন
Ans: (B) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন
- একা কৃষক আন্দোলন হয়েছিল –
(A) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
- একা আন্দোলন ঘটেছিল—
(A) বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনের পর্যায়ে
(B) আইন অমান্য আন্দোলনের পর্যায়ে
(C) অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পর্যায়ে
(D) ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পর্যায়ে
Ans: (C) অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পর্যায়ে
- ‘ লাঙ্গল ‘ পত্রিকা কোন দলের মুখপত্র ছিল ?
(A) স্বরাজ্য দল
(B) যুগান্তর দল
(C) বাংলার শ্রমিক কৃষক দল
(D) কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল
Ans: (C) বাংলার শ্রমিক কৃষক দল
- ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার লিগ কোথায় প্রতিষ্ঠিত ?
(A) বার্লিন
(B) লন্ডন
(C) প্যারিস
(D) মস্কো
Ans: (B) লন্ডন
- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম ছিল—
(A) লাঙ্গল
(B) ইন্কিলাব
(C) গণযুগ
(D) সোশ্যালিস্ট
Ans: (A) লাঙ্গল
- ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টির আগের নাম ছিল –
(A) লেবার স্বরাজ পার্টি
(B) কংগ্রেস লেবার পার্টি
(C) কীর্তি কিষাণ পার্টি
(D) লেবার কিষাণ পার্টি অব হিন্দুস্তান
Ans: (D) লেবার কিষাণ পার্টি অব হিন্দুস্তান
- বাংলার শ্রমিক কল্যাণে সর্বপ্রথম অগ্রসর হন –
(A) কৃষ্ণকুমার মিত্র
(B) শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়
(C) উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(D) রামতনু লাহিড়ী
Ans: (B) শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ভারতের শ্রমিক আন্দোলনের সূচনাকাল ছিল—
(A) স্বদেশি আন্দোলন
(B) অসহযোগ আন্দোলন
(C) আইন অমান্য আন্দোলন
(D) ভারত ছাড়ো আন্দোলন
Ans: (A) স্বদেশি আন্দোলন
- প্রিন্টার্স অ্যান্ড কম্পোজিটার্স লিগ ‘ গঠিত হয়—
(A) বোম্বাই – এ
(B) কলকাতায়
(C) মাদ্রাজ – এ
(D) কানপুরে
Ans: (B) কলকাতায়
- মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন ‘ গঠন করেন—
(A) মুজাফ্ফর আহমেদ
(B) বি পি ওয়াদিয়া
(C) ব্যোমকেশ চক্রবর্তী
(D) এম এস যোশি
Ans: (B) বি পি ওয়াদিয়া
- ভারতে প্রথম মে দিবস পালনের উদ্যোক্তা ছিলেন –
(A) মহাত্মা গান্ধি
(B) পি সি যোশী
(C) এম এন রায়
(D) সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার
Ans: (D) সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার
- ভারতে প্রথম মে দিবস পালিত হয় –
(A) বোম্বাই – এ
(B) কলকাতায়
(C) দিল্লিতে
(D) মাদ্রাজ – এ
Ans: (D) মাদ্রাজ – এ
- নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস ‘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল –
(A) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (C) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে
- সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন—
(A) দেওয়ান চমনলাল
(B) লালা লাজপত রায়
(C) বালগঙ্গাধর তিলক
(D) ব্যোমকেশ চক্রবর্তী
Ans:
- সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন –
(A) লালা লাজপত রায়
(B) চিত্তরঞ্জন দাশ
(C) দেওয়ান চমনলাল
(D) চিত্তরঞ্জন দাশ
Ans: (A) লালা লাজপত রায়
- সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন –
(A) লালা লাজপত রায়
(B) ব্যোমকেশ চক্রবর্তী
(C) চিত্তরঞ্জন দাশ
(D) দেওয়ান চমনলাল
Ans: D) দেওয়ান চমনলাল
- গান্ধিজির নেতৃত্বে প্রথম শ্রমিক আন্দোলন ছিল—
(A) খেদা সত্যাগ্রহ
(B) আমেদাবাদের মিল শ্রমিকের আন্দোলন
(C) শোলাপুর সুতাকল শ্রমিক ধর্মঘট
(D) আইন অমান্য আন্দোলন
Ans: (B) আমেদাবাদের মিল শ্রমিকের আন্দোলন
- জাতীয় কংগ্রেসে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ছিলেন—
(A) মৌলানা আজাদ
(B) বল্লভভাই প্যাটেল
(C) মহাত্মা গান্ধি
(D) জওহরলাল নেহরু
Ans: (D) জওহরলাল নেহরু
- বহির্ভারতে সর্বপ্রথম যেখানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি স্থাপিত হয়—
(A) প্যারিস
(B) বার্লিন
(C) তাসখন্দ
(D) মস্কো
Ans: তাসখন্দ
- তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়—
(A) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (A) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
- তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন—
(A) মহঃ আলি
(B) এস এ ডাঙ্গে
(C) অবনী মুখার্জি
(D) এম এন রায়
Ans: (D) এম এন রায়
- ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের জনক ছিলেন—
(A) এস এ ডাঙ্গে
(B) মানবেন্দ্রনাথ রায়
(C) মুজাফফর আহমেদ
(D) সিঙ্গারাভেলু চেটিয়ার
Ans: (B) মানবেন্দ্রনাথ রায়
- নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ‘ মানবেন্দ্রনাথ রায় ‘ ছদ্মনাম গ্রহণ করেন—
(A) রাশিয়ায়
(B) জাপানে
(C) আমেরিকায়
(D) জার্মানিতে
Ans: (C) আমেরিকায়
- এম এন রায়ের প্রকৃত নাম হল করেন –
(A) মানবেন্দ্রনাথ রায়
(B) নরেন্দ্রনাথ রায়
(C) নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
(D) বিমলেন্দু রায়
Ans: (C) নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion 2024 Click here ]
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer :
- কবে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় ?
Ans: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় ।
- কে বঙ্গভঙ্গ করেন ?
Ans: বড়োলাট লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ করেন ।
- কবে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় ?
Ans: ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় ।
- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় কে কৃষকদের খাজনা বন্ধের তত্ত্ব বাতিল করেন ?
Ans: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় অরবিন্দ ঘোষ কৃষকদের খাজনা বন্ধের তত্ত্ব বাতিল করেন ।
- স্বদেশি আন্দোলনের প্রতি কৃষক শ্রেণির অনীহা ছিল কেন ?
Ans: জাতীয় কংগ্রেসের জোতদার ও জমিদার – ঘেঁষা নীতির কারণে স্বদেশি আন্দোলনের প্রতি কৃষক শ্রেণির অনীহা ছিল ।
- ভারতের কোন রাজনৈতিক আন্দোলনে গান্ধিজি প্রথম সত্যাগ্রহের আদর্শ অনুসরণ করেন ?
Ans: গান্ধিজি বিহারের চম্পারণে ( ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ ) প্রথম সত্যাগ্রহের আদর্শ অনুসরণ করেন ।
- মহাত্মা গান্ধির রাজনৈতিক গুরু কে ছিলেন ?
Ans: মহাত্মা গান্ধির রাজনৈতিক গুরু ছিলেন গোপালকৃষ গোখলে ।
- কত খ্রিস্টাব্দে ‘ চম্পারণ কৃষি বিল ‘ পাস হয় ?
Ans: ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ‘ চম্পারণ কৃষি বিল ‘ পাস হয় ।
- খেদা সত্যাগ্রহে গান্ধিজির সহযোগী কারা ছিলেন ?
Ans: খেদা সত্যাগ্রহে গান্ধিজির সহযোগী ছিলেন বল্লভভাই প্যাটেল এবং ইন্দুলাল যাজ্ঞিক ।
- ‘ চম্পারণ সত্যাগ্রহ হল সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে গান্ধিজির উত্থানের প্রথম পদক্ষেপ ‘ — উক্তিটি কার ?
Ans: আলোচ্য উক্তিটি ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের ।
- অসহযোগ আন্দোলনের সময় মেদিনীপুরে কার নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল ?
Ans: অসহযোগ আন্দোলনের সময় মেদিনীপুরে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল ।
- অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন মালাবার উপকূলে সংঘটিত কৃষক আন্দোলনটির নাম কী ?
Ans: অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন মালাবার উপকূলে সংঘটিত কৃষক আন্দোলনটির নাম মোপলা বিদ্রোহ ।
- গোদাবরী অঞ্চলে আদিবাসী কৃষক বিদ্রোহ ( ১৯২২-২৪ খ্রি . ) কী নামে পরিচিত ?
Ans: গোদাবরী অঞ্চলে আদিবাসী কৃষক বিদ্রোহ রাম্পা বিদ্রোহ নামে পরিচিত ।
- রাম্পা বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন ?
Ans: রাম্পা বিদ্রোহের নেতা ছিলেন আব্বুরি সীতারাম রাজু ।
- অসহযোগ আন্দোলনকালে ঝিঙ্গুরি সিং ও দুর্গাপাল সিং কোন্ অঞ্চলের কৃষক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন ?
Ans: অসহযোগ আন্দোলনকালে ঝিঙ্গুরি সিং ও দুর্গাপাল সিং রায়বেরিলি প্রতাপগড় কৃষক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন ।
- মতিলাল তেজাওয়াত কে ?
Ans: মতিলাল তেজাওয়াত মেবারের ভিল উপজাতিদের নেতা ছিলেন ।
- ‘ নিপীড়িত মানবাত্মার প্রতীক ’ কাকে বলা হয় ?
Ans: মহাত্মা গান্ধিকে ‘ নিপীড়িত মানবাত্মার প্রতীক ‘ বলা হয় ।
- একা কৃষক আন্দোলনে কে নেতৃত্ব দিয়েছিল ?
Ans: মাদারি পাশি একা কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল ।
- ‘ একা ’ আন্দোলন কোথায় হয়েছিল ?
Ans: একা আন্দোলন উত্তরপ্রদেশে হয়েছিল ।
- বারদৌলি সত্যাগ্রহ ‘ কোথায় হয়েছিল ?
Ans: বারদৌলি সত্যাগ্রহ গুজরাটের বারদৌলিতে হয়েছিল ।
- বারদৌলি সত্যাগ্রহ কবে হয়েছিল ?
Ans: বারদৌলি সত্যাগ্রহ ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল ।
- কে বারদৌলি সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেন ?
Ans: বক্সবভাই প্যাটেল বারদৌলি সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেন ।
- আইন অমান্য আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিলেন ?
Ans: আইন অমান্য আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন মহাত্মা গান্ধি ।
- কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কোথায় খাজনা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ?
Ans: কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে উত্তরপ্রদেশে খাজনা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।
- বাংলার কৃষক প্রজা পার্টি কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: বাংলার কৃষক – প্রজা পার্টি ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ( ৪ জুলাই ) প্রতিষ্ঠিত হয় ।
- বাংলায় ‘ কৃষক প্রজাপার্টি ’ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
Ans: বাংলায় ‘ কৃষক প্রজাপাটি ‘ প্রতিষ্ঠা করেন এ কে ফজলুল হক ।
- বাংলার কৃষক প্রজা পার্টির প্রতীক কী ছিল ?
Ans: বাংলার কৃষক – প্রজা পার্টির প্রতীক ছিল লাঙ্গল ।
- ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলার কৃষক প্রজা পার্টির সভাপতি কে হন ?
Ans: ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলার কৃষক প্রজা পার্টির সভাপতি এ কে ফজলুল হক ।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলন কবে শুরু হয় ?
Ans: ভারত ছাড়ো আন্দোলন ৮-৯ আগস্ট , ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় ।
- তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
Ans: তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেন সতীশচন্দ্র সামন্ত ।
- তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ( ১৭ ডিসেম্বর ) ।
- ‘ ভগিনী সেনা ’ কোথায় গঠিত হয়েছিল ?
Ans: ‘ ভগিনী সেনা ‘ মেদিনীপুরে গঠিত হয়েছিল ।
- ‘ বখস্ত ‘ আন্দোলন কোথায় হয় ?
Ans: বিহারে ‘ বখস্ত ‘ আন্দোলন হয় ।
- বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সভার নেতৃত্বে পরিচালিত ( ১৯৪৬ খ্রি . ) আন্দোলন কোনটি ?
Ans: তেভাগা আন্দোলন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সভার নেতৃত্বে পরিচালিত ( ১৯৪৬ খ্রি . ) আন্দোলন ।
- তেভাগা আন্দোলনের একজন নেতার নাম লেখো ।
Ans: তেভাগা আন্দোলনের একজন নেতার নাম চারু মজুমদার ।
- “ আধি নয় , তেভাগা চাই ” —কোন আন্দোলনের স্লোগান !
Ans: “ আধি নয় , তেভাগা চাই ” — তেভাগা আন্দোলনের ( ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ ) স্লোগান ।
- ” নিজ খামারে ধান তোলো ” স্লোগানটি কোন্ আন্দোলনের ?
Ans: “ নিজ খামারে ধান তোলো ” —স্লোগানটি বাংলার তেভাগা আন্দোলনের ( ১৯৪৬ ) ।
- তেভাগা কথার অর্থ কী ?
Ans: তেভাগা কথার অর্থ উৎপন্ন ফসলের ২/৩ অংশ কৃষকদের দিতে হবে ।
- ভারতের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন কোনটি ?
Ans: মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন ( ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ ) ভারতের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন ।
- মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়নের ( ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ ) বর্ণধার কারা ছিলেন ?
Ans: বি পি ওয়াদিয়া ছিলেন মাম্রাজ লেবার ইউনিয়নের প্রধান উদ্যোক্তা ।
- লন্ডনে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার লিগ করে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয় ।
- AITUC- র বাংলা নাম কী ?
Ans: AITUC- র বাংলা নাম হল নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন ।
- AITUC কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
Ans: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে AITUC প্রতিষ্ঠিত হয় ।
- AITUC- র প্রথম সভাপতি কে ছিলেন ?
Ans: AITUC- র প্রথম সভাপতি ছিলেন লালা লাজপত রায় ।
- সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ( AITUC ) কবে গঠিত হয় ?
Ans: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয় ।
- AITUC- র প্রথম অধিবেশন কোথায় বসে ?
Ans: AITUC- র প্রথম অধিবেশন বসে বোম্বাই – এ ।
- কত জন প্রতিনিধি AITUC- র প্রথম অধিবেশনে প্রতিনিধিত্ব করেছিল ?
Ans: AITUC- র প্রথম অধিবেশনে প্রতিনিধিত্ব করেছিল ৮০৬ জন ।
- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ ) প্রথম কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ ) প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় রাশিয়ার তাসখন্দে ।
- ভারতে গান্ধিজির প্রথম অনশন সত্যাগ্রহ কোনটি ?
Ans: আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ ভারতে গান্ধিজির প্রথম অনশন সত্যাগ্রহ ছিল ।
- আমেদাবাদে বস্ত্রশিল্প ধর্মঘট করে হয় ?
Ans: আমেদাবাদে বস্ত্রশিল্প ধর্মঘট হয় ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ।
- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব কার ?
Ans: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ।
- মানবেন্দ্রনাথ রায় ( এম এন রায় ) -এর আসল নাম কী ?
Ans: মানবেন্দ্রনাথ রায় ( এম এন রায় ) -এর আসল নাম নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ।
- ভারতে কার নেতৃত্বে প্রথম মে দিবস পালিত হয় ?
Ans: সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার নেতৃত্বে মাদ্রাজে ভারতের প্রথম ‘ মে দিবস ‘ পালন করা হয় ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer :
- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন কী ?
Ans: বড়োলাট লর্ড কার্জন কর্তৃক বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণা ( ১৯ জুলাই , ১৯০৫ খ্রি . ) ও তার বাস্তবায়নের ( ১৬ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রি . ) বিরুদ্ধে মূলত বাংলা প্রদেশে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন ( ১৯০৫-১৯১১ খ্রি . ) গড়ে উঠেছিল তা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন নামে পরিচিত । এই আন্দোলনের কয়েকটি দিক হল প্রথমত , এটি প্রথমে নরমপন্থী প্রতিবাদী আন্দোলন হিসেবে শুরু হয় । পরে স্বদেশি , বয়কট ও বৈপ্লবিক পদ্ধতি কার্যকর হয় । দ্বিতীয়ত , এটি ছিল মূলত বাঙালি বুদ্ধিজীবী , জমিদার ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির আন্দোলন । তৃতীয়ত , এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামী চরিত্র ধারণ করে ।
- বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনে কৃষক শ্রেণি পিছিয়ে ছিল কেন ?
Ans: বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনে প্রথমত , কোনো কৃষিভিত্তিক কর্মসূচি ছিল না । দ্বিতীয়ত , নেতৃবর্গের সঙ্গে জমিদার – মহাজন শোষকদের যোগাযোগের ঘটনাকে কৃষকশ্রেণি সুনজরে দেখেনি । তৃতীয়ত , জমিদার ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির সাহায্যপুষ্ট এই আন্দোলন থেকে কৃষকশ্রেণি যোগদান করার বিষয়ে পিছিয়ে ছিল ।
- সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের আগে গান্ধিজি পরিচালিত তিনটি সত্যাগ্রহ কী কী ?
Ans: সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের আগে গান্ধিজির নেতৃত্বে তিনটি আঞ্চলিক সত্যাগ্রহ পরিচালিত হয়েছিল । এইগুলি হল- ( ১ ) বিহারের চম্পারণ জেলায় নীলচাষিদের স্বার্থরক্ষার জন্য চম্পারণ সত্যাগ্রহ ( ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ ) , ( ২ ) সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে গুজরাটের খেদা জেলার কৃষকদের নিয়ে খেদা সত্যাগ্রহ ( ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ ) এবং ( ৩ ) আমেদাবাদ সুতাকল শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ ( ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ ) ।
- ‘ তিনকাঠিয়া প্রথা ‘ কী ?
Ans: বিহারের চম্পারণে নীলকর সাহেবরা চাষিদের বিঘা প্রতি ( ২০ কাঠার মধ্যে তিন কাঠা অর্থাৎ , ৩/২০ অংশ ) জমিতে নীলচাষ ও নির্দিষ্ট দামে উৎপাদিত নীল নীলকর সাহেবদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য থাকত । এই ব্যবস্থাই ‘ তিনকাঠিয়া প্রথা ’ নামে পরিচিত । দ্বিতীয়ত , এখানের কৃষকদের জমি থেকে উৎখাত করা হত এবং মালিকের জমি ও খামারে বিনা মজুরিতে কৃষকদের বেগার শ্রম করতে বাধ্য করা হত । তৃতীয়ত , কংগ্রেস ও খিলাফতি নেতাদের উদ্যোগও এই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট রচনায় সাহায্য করে ।
- রাম্পা বিদ্রোহ কী ?
Ans: অসহযোগ আন্দোলনের শেষপর্যায়ে অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী অঞ্চলে আধুরী সীতারাম রাজুর নেতৃত্বে স্থানীয় উপজাতিদের বিদ্রোহকে রাম্পা বিদ্রোহ ( ১৯২২-২৪ খ্রি . ) বলা হয় । এই বিদ্রোহের কারণগুলি হল — স্থানীয় উপজাতিদের অরণ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা , ঝুম চাষের ওপর রাজস্ব আরোপ করা এবং মহাজনি শোষণ বৃদ্ধি । এই সমস্ত অন্যায়ের প্রতিবাদে সীতারাম রাজু বিদ্রোহ করলে শেষ পর্যন্ত তাকে বন্দি ও হত্যা করা হয় ( মে , ১৯২৪ খ্রি . ) ।
- চৌরিচৌরা ঘটনাটির গুরুত্ব কী ছিল ?
Ans: চৌরিচৌরা ঘটনাটি ( ফেব্রুয়ারি , ১৯২২ খ্রি . ) – র গুরুত্ব হল— প্রথমত , চৌরিচৌরার এই হিংসাত্মক ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী মহাত্মা গান্ধি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন । দ্বিতীয়ত , চৌরিচৌরা ঘটনার পূর্বে মহাত্মা গান্ধির পরিচালিত আন্দোলনে জনগণের যোগদান ক্রমেই হ্রাস পায় ও আন্দোলনকে ধরে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় । এই পরিস্থিতে ‘ চৌরিচৌরা ঘটনা গান্ধির কাছে আশীর্বাদ রূপে দেখা দেয় এবং চৌরিচৌরা ঘটনার অজুহাতে গান্ধিজী অসহযোগ আন্দোলন থামিয়ে দেন ।
- দামোদর ক্যানেল কর আন্দোলন কী ?
Ans: ১৯৩০ এর দশকে বাংলায় দামোদর ক্যানেল কর বাড়ানোর কারণে কংগ্রেস নেতা আব্দুল সাত্তার ও কমিউনিস্ট নেতা বঙ্কিম মুখার্জির নেতৃত্বে বর্ধমান জেলায় কৃষকশ্রেণি আন্দোলনে নামে । এই আন্দোলন দামোদর ক্যানেল কর আন্দোলন নামে পরিচিত ।
- ‘ পত্তনিদার ’ ও ‘ কুনবি ’ কাদের বলা হয় ?
Ans: গুজরাটের মধ্যবিত্ত চাষিদের বলা হত ‘ পত্তনিদার । সেখানকার নিম্নবর্গীয় দরিদ্র কৃষকদের ‘ কুনবি ‘ বলা হত । ২০ বারদৌলি সত্যাগ্রহ আন্দোলন কেন শুরু হয় ? ( মাধ্যমিক , ২০১৮ ) গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি অঞ্চলে সরকার ৩০ শতাংশ ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধি করে । এর প্রতিবাদে এখানকার হিন্দু – মুসলমান কৃষকেরা প্রথমে স্থানীয় নেতৃত্বে ও পরে গান্ধিবাদী নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে খাজনা হ্রাসের দাবিতে যে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করে , তা বারদৌলি সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত । আন্দোলনের চাপে সরকার খাজনা হ্রাস ( ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির পরিবর্তে ৬.০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায় ) করতে বাধ্য হয়েছিল ।
- বারদৌপি সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করেছিলেন এমন মহিলাদের নাম লেখো ।
Ans: বারদৌলি সত্যাগ্রহে স্থানীয় মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায় । মিঠুবেন প্যাটেল , মনিবেন প্যাটেল , ভক্তি বাই , শারদা মেহতা প্রমুখ ছিলেন বারগৌলি সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য মহিলা নেত্রী ।
- বারমৌলি সত্যাগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: বারমৌলি সত্যাগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য হল প্রথমত , এটি ছিল বর্ণব্যবস্থা ও সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্থানীয় নেতৃত্বে এবং হিন্দু ও মুসলিম ও নারীদের যোগদানে গড়ে তোলা একটি কৃষক আন্দোলন । দ্বিতীয়ত , এই আন্দোলন ছিল গান্ধিপন্থী কংগ্রেস নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের সুচিন্তিত ও কৌশলী নেতৃত্ব এবং সফলভাবে পরিচালিত একটি সত্যাগ্রহ আন্দোলন ।
- আইন অমান্য আন্দোলন ‘ বলতে কী বোঝ ?
Ans: মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল লবণ আইন ভঙ্গের মাধ্যমে ভারতে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তা আইন অমান্য আন্দোলন ( ১৯৩০-৩৪ খ্রি . ) নামে পরিচিত । এই আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— প্রথমত , এটি দুটি পর্যায়ে পরিচালিত হয়েছিল এবং গান্ধি ডারউইন চুক্তির মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ের অবসান ঘটেছিল । দ্বিতীয়ত , এই আন্দোলনে কৃষকদের যোগদান খুব উল্লেখযোগ্য হলেও শ্রমিকদের যোগদান আশানুরূপ ছিল না । তৃতীয়ত , এই আন্দোলন শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল ।
- আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ভারতের কোথায় কোথায় কৃষক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল ?
Ans: আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ভারতে যেখানে যেখানে কৃষক আন্দোলন সংগঠিত হয় তা হল— ( ১ ) গুজরাটের খেদা ও সুরাট জেলায় কৃষকদের খাজনা বন্ধ আন্দোলন , ( ২ ) পাঞ্জাবের কিষাণসভার আন্দোলন , ( ৩ ) অন্ধ্রে অরণ্য সত্যাগ্রহ , ( ৪ ) কৃয়া জেলায় খাজনা বন্ধ আন্দোলন , ( ৫ ) কেরালায় কিষাণ সত্যাগ্রহ , ( ৬ ) বাংলার কিশোরগঞ্জের কৃষক আন্দোলন ।
- ‘ বখস্ত ‘ আন্দোলন কী ?
Ans: ঔপনিবেশিক শাসনপর্বে বিহারে খাজনা অনাদায়ে যে জমি জমিদাররা বাজেয়াপ্ত করত তা বখস্ত জমি নামে পরিচিত । বিহারের এই জমি থেকে কৃষকদের উচ্ছেদ করা হলে যে আন্দোলন সংগঠিত হয় ( ১৯৩০ খ্রি . – ১৯৩৭ খ্রি . ) তা ‘ বখস্ত আন্দোলন ‘ নামে খ্যাত । বামপন্থীরা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল ।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলন কেন হয় ?
Ans: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি ক্রিপস মিশনে উপেক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ভারতে ইংল্যান্ডের উপস্থিতির কারণে জাপানের আক্রমনের সম্ভাবনা দেখা দেয় ।
- তেভাগা আন্দোলন কী ?
Ans: ভারতের স্বাধীনতালাভের প্রাক্কালে ( ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দে ) বঙ্গীয় কৃষক সভার উদ্যোগে এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে ভাগচাবি আন্দোলন শুরু হয় তা ‘ তেভাগা আন্দোলন ‘ নামে খ্যাত । এই আন্দোলনের মূল কথা ছিল বর্গাদারগণ যে জমিতে চাষ করে সেই জমিতে তাদের স্বত্ত্ব প্রদান করা , যতদিন না তা সম্ভব ততদিন উৎপন্ন ফসলের ২/৩ ভাগ ( দুই তৃতীয়াংশ ) তাদের প্রদান করা । সমগ্র বাংলার প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল ।
- তেভাগা আন্দোলনের কয়েকজন নেতা – নেত্রীর নাম লেখো ।
Ans: তেভাগা আন্দোলনের কয়েকজন নেতা – নেত্রীর নাম হল- গুরুদাস তালুকদার , অবনী রায় , সুনীল সেন , গজেন মালি , সময় গাঙ্গুলি , জলপাইগুড়ির রাজবংশী মহিলা বুড়িমা , চারু মজুমদার , মহম্মদ দানেশ প্রমুখ ।
- তেলেঙ্গানা আন্দোলন কেন সংগঠিত হয়েছিল ?
Ans: ভারতের অন্যতম দেশীয় রাজ্য হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানা অঞ্চলে জমিদারের জমিতে বাধ্যতামূলক বেগার শ্রম ( বেটি প্রথা ) ও সামন্ততান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট দল পরিচালিত এক দীর্ঘস্থায়ী সশস্ত্র বিদ্রোহ তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ নামে খ্যাত । নিজামের স্বৈরাচারী শাসন ও সামন্ততান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার গ্রামের কৃষক সম্প্রদায় এই আন্দোলনে শামিল হয়েছিল । পিসি সুন্দরাইয়া , রবিনারায়ণ রেড্ডি , ইয়েলো রেড্ডি প্রমুখ ছিলেন এই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী উল্লেখযোগ্য নেতা ।
- ‘ হালি প্রথা ‘ ও যজমানি প্রথা কী ?
Ans: জমিদারের জমিতে চাষি কর্তৃক বিনা পারিশ্রমিকে নিজের গোরু – লাঙল দ্বারা আবাদ করে দেওয়াকে ‘ হালিপ্রথা ‘ বলা হত । অন্যদিকে , নিম্নবর্গের চাষিদের বড়ো জমিদার বা উচ্চবর্ণের তালুকদারদের বাজার অপেক্ষা কম দামে ঘি , চামড়া , কাঠ , কাপড় সরবরাহ করার প্রথাকে যজমানি প্রথা বলে । এই দুই প্রথা উত্তরপ্রদেশে বহুল প্রচলিত ছিল ।
- শশীভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিখ্যাত কেন ?
Ans: শশীভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , তিনি ছিলেন একজন ব্রাষ্মনেতা , মানবতাবাদী ও শ্রমিকদরদি । দ্বিতীয়ত , তিনি কলকাতার বরাহনগরের পাট – শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য ‘ শ্রমজীবী সমিতি ‘ ( ১৮৭০ খ্রি . ) গঠন ও ‘ ভারত শ্রমজীবী ’ ( ১৮৭৪ খ্রি . ) নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করে শ্রমিকদের আত্মনির্ভর ও মিতব্যয়ী হয়ে ওঠার পরামর্শ দেন । তৃতীয়ত , শ্রমিক উন্নতির জন্য তিনি একাধিক নৈশ বিদ্যালয় এবং সুরাপান নিবারণী সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন ।
- শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বদেশি আন্দোলনকে দিকচিহ্ন বলা হয় কেন ?
Ans: শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বদেশি আন্দোলনকে দিকচিহ্ন বলা হয় , কারণ প্রথমত , ১৯০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী বা স্বদেশি আন্দোলনকালে বাংলার কলকারখানার ধর্মঘট , তামিলনাড়ুতে সরকারি কারখানার ধর্মঘট , জামালপুর রেল কারখানার ধর্মঘটের মাধ্যমে সংগঠিত শ্রমিক আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ ছিল শ্রমিক আন্দোলনের প্রকৃত সূচনাকাল । দ্বিতীয়ত , অর্থনৈতিক দাবিদাওয়ার পাশাপাশি শ্রমিক শ্রেণি বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী জাতীয় আন্দোলনে শামিল হয় এবং এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই শ্রমিকদের মধ্যে জাতীয় চেতনার বিকাশ ঘটে । তৃতীয়ত , ঐতিহাসিক বিপান চন্দ্র স্বদেশি আন্দোলনকে শ্রমিক আন্দোলনের দিক্চিহ্ন বলেছেন ।
- স্বদেশি আন্দোলনের যুগে কয়েকজন নেতার নাম লেখো , যাঁরা শ্রমিক সংগঠনে এগিয়ে এসেছিলেন ?
Ans: স্বদেশি আন্দোলনের যুগে কয়েকজন শ্রমিক নেতা হলেন — প্রভাতকুসুম রায়চৌধুরী , অপূর্ব কুমার ঘোষ , অশ্বিনীকুমার ব্যানার্জি ও প্রেমতোষ বসু । এঁরা সকলেই ব্যারিস্টার ছিলেন ।
- শ্রমিক শ্রেণি স্বদেশি আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল কেন ?
Ans: শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক দাবিসমূহের যথার্থতা সম্পর্কে জাতীয়তাবাদী নেতারা মান্যতা দেওয়ায় জাতীয় আন্দোলনের প্রতি শ্রমিক শ্রেণির আস্থা বাড়ে । তাই শ্রমিক শ্রেণি হরতাল , শিল্প ধর্মঘট দ্বারা স্বদেশি আন্দোলনে সমর্থন জানায় ।
- স্বদেশি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভারতের কোথায় কোথায় শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয় ?
Ans: স্বদেশি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয় । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ( ১ ) বাংলায় কলকারখানায় ধর্মঘট , ( ২ ) তামিলনাড়ুতে সরকারি কারখানায় ধর্মঘট , ( ৩ ) জামালপুর রেল কারখানায় ধর্মঘট ।
- নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস ‘ কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
Ans: নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল প্রথমত , সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরোধিতা করা , অর্থাৎ রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করা । দ্বিতীয়ত , বিচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকা শ্রমিক আন্দোলনগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধন করে শ্রমিক স্বার্থকে সুরক্ষিত করা ও শ্রমিক শ্রেণিকে সংগঠিত করা । তৃতীয়ত , জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিক শ্রেণির অংশগ্রহণ করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে জোরদার করা ।
- বাংলায় শ্রমিক – কৃষক দলের উদ্যোল্কা কারা ?
Ans: মুজাফ্ফর আহমেদ বাংলায় ‘ শ্রমিক কৃষক দল ‘ গঠন করেন । তাঁর সঙ্গে ছিলেন কবি নজরুল ইসলাম , কুতুবউদ্দিন আহামেদ ও হেমন্তকুমার সরকার ।
- মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা কী ?
Ans: ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কমিউনিস্ট তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য ব্রিটিশ সরকার জন নিরাপত্তা আইনে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ২০ মার্চ প্রথমে ৩১ জন কমিউনিস্ট শ্রমিক নেতা ও সংগঠককে গ্রেপ্তার করে এবং পরে এইচ এল হ্যাচিনসনকে গ্রেপ্তার করে । এভাবে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে যে মামলা রুজু করা হয় — তা মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত । এই মামলা চার বছর ধরে চলেছিল ।
- মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন কমিউনিস্ট নেতার নাম লেখো ।
Ans: মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ৩১ জন কমিউনিস্ট নেতা ও কর্মীকে এবং পরে এল . হ্যাচিনসনকে গ্রেপ্তার করা হয় । এঁদের মধ্যে অভিযুক্ত কয়েকজন উল্লেখযোগ্য কমিউনিস্ট নেতা হলেন— মুজাফ্ফর আহমেদ , এস ভি ঘাটে ( সহ সম্পাদক , ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস , ১৯২৭ খ্রি . ) , কে এন যোগলেকর ( জি জে পি রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ) , এস এ ডাঙ্গে ( গিরনি কামগার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ) , শৌকত উসমানি ( বোম্বাইয়ের উর্দু – শ্রমজীবী পত্রিকার সম্পাদক ) , পি সি যোশী ( সংযুক্ত প্রদেশের ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টির সহ সম্পাদক ) , ধরণী গোস্বামী , সামসুল হুদা , গঙ্গাধর অধিকারী প্রমুখ ।
- মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতাদের নাম লেখো ।
Ans: মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ভারতীয় কমিউনিস্ট নেতাদের সঙ্গে দুজন ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতাও অভিযুক্ত হন । এঁরা হলেন বেন ব্রাডলি ও ফিলিপ স্প্লাট । এ ছাড়াও হিউ লেস্টার হ্যাচিনসন নামে একজন ব্রিটিশ সাংবাদিকও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ।
- মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিক্রিয়া কী ছিল ?
Ans: মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিক্রিয়া ছিল এরকম প্রথমত , এই ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ৩২ জনের প্রত্যেকেই কমিউনিস্ট ছিলেন না , ঘটনাচক্রে আটজন ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য । তাই জাতীয় কংগ্রেসসহ রাজনৈতিক দলগুলি ব্রিটিশ সরকারের এই কমিউনিস্ট দমন প্রচেষ্টাকে ভারতজুড়ে তীব্র ধিক্কার জানায় । দ্বিতীয়ত , ভারতে কমিউনিস্ট প্রভাব দূর করতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু হলেও তা পরোক্ষভাবে কমিউনিস্ট প্রভাব বৃদ্ধি করে , কারণ এই মামলার বিচারকালে আত্মপক্ষ সমর্থনের মাধ্যমে কমিউনিস্টরা কমিউনিস্ট মতাদর্শের প্রচার করেছিল ।
- দত্ত – ব্রাডলে থিসিস কী ?
Ans: ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টিসহ বেশ কয়েকটি বামপন্থী দল ও ট্রেড ইউনিয়নকে নিষিদ্ধ করা হলে রজনীপাম দত্ত ও বেন ব্রাডলে নামক দু’জন কমিউনিস্ট নেতা ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে একটি ইস্তেহার প্রকাশ করেন এবং ‘ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুক্ত ফ্রন্ট ’ গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন । এটি ‘ দত্ত – ব্রাডলে থিসিস ‘ নামে পরিচিত । এই থিসিস অনুযায়ী পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সাম্রাজ্য বিরোধী সংগ্রাম ও বৃহত্তর যুক্তফ্রন্ট গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় ।
- ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত কেন বিখ্যাত ?
Ans: ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত ( ১৮৮০-১৯৬১ খ্রি . ) বিখ্যাত ছিলেন , কারণ প্রথমত , তিনি ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের ভাই এবং স্বামী বিবেকানন্দের শূদ্র জাগরণ তত্ত্ব ’ ও ‘ মার্কসবাদ – লেনিনবাদ ’ – এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন । দ্বিতীয়ত , কমিউনিস্ট নেতা বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি ‘ ইন্ডিয়ান প্রোলেটারিয়ান রেভেলিউশনারি পার্টি ‘ গঠন করেন এবং এই দলের মুখপত্র ‘ গণনায়ক ’ পত্রিকার মাধ্যমে ভাবাদর্শ প্রচারের পাশাপাশি তরুণ বিপ্লবীদের এই সংগঠনে যুক্ত করেন । তৃতীয়ত , তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই দল পরবর্তীকালে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে মিশে যায় ।
- ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা কী ছিল ?
Ans: ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে সোভিয়েত রাশিয়া নাৎসি জার্মানির দ্বারা আক্রান্ত হলে ভারতীয় কমিউনিস্ট দল সোভিয়েত রাশিয়ার মিত্র ব্রিটেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানায় । ভারতছাড়ো আন্দোলন দ্বারা যুদ্ধরত ব্রিটেনকে বিব্রত করা উচিত হবে না বলে তারা মনে করে । ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে তারা ব্রিটেনের যুদ্ধকেই ‘ জনযুদ্ধ ’ বলে অভিহিত করে এবং নীতিগত কারণেই ভারতীয় কমিউনিস্ট দল ভারতছাড়ো আন্দোলন থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখে ।
- কিষাণ আন্দোলনে বামপন্থী প্রভাব বৃদ্ধির কারণ কী ?
Ans: কিষাণ আন্দোলনে বামপন্থী প্রভাব বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য কারণগুলি হল— ( ১ ) কিষাণ আন্দোলনের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের উদাসীনতা ; ( ২ ) রুশ বিপ্লবে শ্রমিক – কৃষকদের সাফল্য ; ( ৩ ) কংগ্রেসের আপসমূলক নীতি ; ( ৪ ) অধিকাংশ ক্ষেত্রে জমিদার জোতদার – ঘেঁষা নীতি ; ( ৫ ) উপযুক্ত কৃষক – কর্মসূচি গ্রহণে অনীহা । প্রশ্ন ৬৪ সর্বভারতীয় কিষাণসভা গঠনে ( ১৯৩৬ খ্রি . ) কাদের নাম জড়িয়ে গেছে ? উত্তর ) এন জি রঙ্গ , স্বামী সহজানন্দ , ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদ , ইন্দুলাল যাজ্ঞিক প্রমুখ কিষাণ নেতার নাম সর্বভারতীয় কিষাণ সভা গঠনে জড়িয়ে আছে ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer :
1. গান্ধিজি কোন্ দুটি কৃষক আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ?
Ans: প্রথম অংশ : স্থানীয় কৃষক আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে ভারতের জাতীয় আন্দোলনের শীর্ষ নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধির রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল । এইরকম দুটি উল্লেখযোগ্য আন্দোলন ছিল চম্পারণ ও খেদার কৃষক আন্দোলন ।
চম্পারণ আন্দোলন : রাসায়নিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম নীল আবিষ্কারের পর ভারতে নীলচাষ উঠে গেলেও বিহারের চম্পারণসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘ তিনকাঠিয়া ‘ ( ২০ কাঠার মধ্যে ৩ কাঠা বা জমির ৩/২০ অংশ ) প্রথায় নীলচাষ করা হত । তাই চম্পারণে বলপূর্বক নীলচাষ করানো এবং নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীলচাষিরা স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল ।
গান্ধিজির যোগদান : চম্পারণের কয়েকজন মানুষের আবেদনে গান্ধিজি রাজেন্দ্র প্রসাদ , আচার্য কৃপালনী , মহাদেব দেশাই প্রমুখ তরুণ জাতীয়তাবাদী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে চম্পারণে পৌঁছান ( ১৯১৭ খ্রি . ) । সেখানে পৌঁছে তিনি কৃষকদের দুর্দশা ও নীলকরদের অত্যাচার সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করেন । এভাবে নীলচাষিদের স্বার্থরক্ষার জন্য ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি যে সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন , তা চম্পারণ সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত । এই সত্যাগ্রহের চাপেই সরকার ওই বছরই ‘ চম্পারণ কৃষি বিল ’ পাস করে এবং তিনকাঠিয়া প্রথা তুলে দেয় ।
চম্পারণের গুরুত্ব : ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে , চম্পারণের আন্দোলনের ফলে কৃষকদের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং গান্ধিজির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে । এই আন্দোলনের সাফল্য জাতীয় রাজনীতিতে কৃষকদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করে ।
দ্বিতীয় অংশ : খেদা সত্যাগ্রহ : গুজরাটের খেদা জেলার কৃষকদের নিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি খেদা সত্যাগ্রহ শুরু করেন । এখানকার কৃষকরা ধান ও গমচাষের পাশাপাশি তামাক ও তুলোচাষ করত । ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের খাজনা হ্রাসের দাবিতে সরকার সাড়া না দেওয়ায় গান্ধিজি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মোহনলাল পান্ডা , বল্লভভাই প্যাটেল , ইন্দুলাল যাজ্ঞিক প্রমুখ নেতাকে নিয়ে খেদার কৃষকদের একত্রিত করে বয়কট সত্যাগ্রহ শুরু করে । এর ফলে খাজনা দেওয়ার জন্য কৃষকদের ওপর চাপ বন্ধ হয় ।
গুরুত্ব : ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে , খেদা আন্দোলন একটি আঞ্চলিক আন্দোলন হলেও তা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে চরিত্রগত পরিবর্তন আনে । অধ্যাপিকা জুডিথ ব্রাউনের মতে , মহাত্মা গান্ধি এই আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রামের নিরক্ষর কৃষকের সঙ্গে শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সঙ্গে যোগসূত্র রচনা করেছিল ।
2. বিশ শতকের ভারতে কৃষক আন্দোলন প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করো ।
Ans: ভূমিকা : ঊনবিংশ শতকের ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষিপ্তভাবে কৃষক আন্দোলন শুরু হলেও বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে বলিষ্ঠ কৃষক আন্দোলন আত্মপ্রকাশ করে ।
কৃষক আন্দোলন : বিশ শতকের কৃষক আন্দোলনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
চম্পারণ সত্যাগ্রহ : বিহারের চম্পারণে তিনকাঠিয়া প্রথার বিরুদ্ধে সংগঠিত কৃষক আন্দোলনে গান্ধিজি যোগদান করেন । ( ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ ) ও তা সাফল্যমণ্ডিত করেন ।
খেদা সত্যাগ্রহ : গুজরাটের খেদা জেলার কৃষকরা ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে খাজনা হ্রাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে গান্ধিজি খেদার কৃষকদের নিয়ে খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে খেদা সত্যাগ্রহ ( ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ ) শুরু করেন ।
মোপলা বিদ্রোহ : অসহযোগ আন্দোলন পর্বে কেরালার মালাবার অঞ্চলে মোপলা নামক মুসলিম কৃষকরা স্বরাজের সমর্থনে জমিদার – বিরোধী ব্যাপক কৃষক আন্দোলন শুরু করে ।
একা আন্দোলন : ১৯২১-২২ খ্রিস্টাব্দে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস ও খিলাফতি নেতাদের উদ্যোগে এবং মাদারি পাশির নেতৃত্বে কৃষকরা একতা বা ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ গ্রহণ করে হরদোই , সীতাপুর , বারাচ , বারবাঁকি জেলায় ব্যাপক কৃষক আন্দোলন শুরু করে ।
বারদৌলি সত্যাগ্রহ : গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি তালুকে সরকার ৩০ শতাংশ খাজনা বৃদ্ধি করলে বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে কৃষকরা খাজনা না দেওয়ার আন্দোলন শুরু করে । শেষপর্যন্ত খাজনা বৃদ্ধিতে আটকানো সম্ভব হয় ।
বখস্ত আন্দোলন : বিহারে খাজনা বাকি পড়ায় জমিদাররা কৃষকদের জমিগুলি বাজেয়াপ্ত করে ‘ বখস্ত ’ বা খাসজমিতে পরিণত করে কৃষকদের উচ্ছেদ করতে থাকলে বিহারের কিষান নেতা স্বামী সহজানন্দের নেতৃত্বে কৃষকরা সংগঠিত হয় । গয়া , মুঙ্গের , দ্বারভাঙ্গা , সরন প্রভৃতি জেলায় আন্দোলন ব্যাপকতা লাভ করে ।
তেভাগা আন্দোলন : দ্বিতীয় যুদ্ধোত্তরকালে বঙ্গীয় কৃষক সভার উদ্যোগে এবং কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন শুরু হয় । কৃষকরা যে জমিতে চাষ করে তার ওপর দখলি স্বত্ত্বপ্রদানের দাবি করে বাংলার প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিল । চারু মজুমদার , ভবানী সেন , সমর গাঙ্গুলী , গুরুদাস তালুকদার , সুনীল সেন প্রমুখ এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ।
পুন্নাপ্রা – ভায়লার গণ আন্দোলন : ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের কৃষক ও শ্রমিকরা সেখানকার দেওয়ান রামস্বামী আয়ারের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে যে গণসংগ্রাম পরিচালিত করেছিলেন তা পুন্নাপ্রা – ভায়লার গণসংগ্রাম নামে খ্যাত । তেলেঙ্গানা আন্দোলন : হায়দরাবাদের নিজামের স্বৈরাচারী শাসন ও সামন্ততান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে ৯ টি তেলুগু ভাষাভাষীর জেলার তিন হাজার গ্রামের প্রায় ৩০ লক্ষ কৃষক কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে তেলেঙ্গানা আন্দোলনে শামিল হয়েছিল ।
মূল্যায়ন : এভাবে দেখা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে যেসব কৃষক আন্দোলন হয়েছিল সেগুলির ওপর কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল । কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কৃষক আন্দোলনগুলি ছিল পুরোপুরি কমিউনিস্ট পরিচালিত । ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী অভ্যুত্থান হিসেবে কৃষক আন্দোলনগুলির গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না ।
3. ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বিহার ও বাংলার কৃষক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো । অন্যান্য রাজ্যে এই আন্দোলনের বিস্তার কেমন ছিল ?
Ans: ভূমিকা : মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হলেও তা ছিল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত এবং কৃষকসহ জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত আন্দোলন ।
কয়েকটি আন্দোলন কেন্দ্র : ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে ভারতের সবজায়গায় কৃষক আন্দোলন একইভাবে পরিচালিত হয়নি , কারণ—
বিহার : বিহারে কিষান সভার নেতৃত্বে পরিচালিত কৃষক আন্দোলন ছিল উগ্র এবং তা বিহারের সব জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছিল । রেলওয়ে স্টেশন , পৌরভবন ও ডাকঘরে অগ্নিসংযোগ ছিল আন্দোলনের বিভিন্ন দিক ।
বাংলা : বাংলার কলকাতা , দিনাজপুর , বাঁকুড়া , পুরুলিয়া , মেদিনীপুর ছিল কৃষক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র । মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমা , পটাশপুর থানা , খেজুরি থানা এলাকায় কৃষকেরা জমিদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় ।
অন্যান্য রাজ্যে বিস্তার ছাড়ো আন্দোলনের সূচনার পর কৃষকদের যোগদান : ভারত বাংলা , বিহার , উড়িষ্যা , আসাম , উত্তরপ্রদেশ , মধ্যপ্রদেশ , অন্ধ্রপ্রদেশ , গুজরাট , কেরালা প্রভৃতি স্থানে কৃষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছিল ।
গুজরাট : গুজরাটের সুরাট , আমেদাবাদ , রাজকোট , পোরবন্দর , খান্দেশ , ব্রোচ প্রভৃতি স্থানে কৃষকরা গেরিলা কায়দায় আন্দোলন পরিচালনা করেছিল । সুরাট : সুরাটের কৃষকরা রেল অবরোধ করে , যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন করার পাশাপাশি সরকারি নথিপত্রও পুড়িয়ে দেয় ।
অন্যান্য স্থান : উড়িষ্যার তালচের , পাঞ্জাবের পাতিয়ালা , আসামের তেজপুর , মধ্যপ্রদেশের নাগপুর , বোম্বাই – এর খান্দেশ প্রভৃতি অঞ্চলের কৃষকদের যোগদান ছিল খুব উল্লেখযোগ্য ।
নেতৃত্ব : এই আন্দোলনগুলি সংগঠিত করার ক্ষেত্রে কৃষকদের উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন নেতা ও কৃষক সংগঠনের উদ্যোগও ছিল , যেমন পাঞ্জাবের আন্দোলনে ‘ নওজোয়ান ভারত সভা ‘ বা ‘ কীর্তি কিষান ’ , উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে সমাজবাদী কংগ্রেস নেতা নবকৃয় চৌধুরীর নাম করা যায় ।
উপসংহার : ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ও মুসলিম লিগ অংশগ্রহণ না করায় কৃষকদের যোগদান ছিল সীমিত । তথাপি ভারতের বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের যোগদান ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ।
4. বিশ শতকের কিয়ান আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থীদের সম্পর্ক আলোচনা করো ।
Ans: ভূমিকা : বিশ শতকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে যে কিষান আন্দোলনগুলি ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সংগঠিত হয়েছিল , সেগুলির ওপর জাতীয় কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব থাকলেও চল্লিশের দশকে এই কিষান আন্দোলনগুলি কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে পড়ে ।
কিষান আন্দোলনের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক : কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে দ্বিমুখী নীতি : জাতীয় কংগ্রেস কৃষক আন্দোলনকে জাতীয় সংগ্রামের মূল স্রোতের সঙ্গে বেঁধে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল । কৃষকদের জন্য এবং কৃষকদের নেতৃত্বে কোনোরকম শ্রেণি সংগ্রাম গড়ে তোলার ইচ্ছা কংগ্রেস নেতাদের ছিল না ।
কৃষক আন্দোলনের নিয়ন্ত্রক : কৃষক আন্দোলনে সামান্যতম হিংসার প্রকাশ পেলে কংগ্রেস কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপন রাশ টেনে ধরত । এর ফলে ভারতের কৃষক আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ।
গান্ধিজির চিন্তাধারা : অনেকে মনে করেন , শ্রেণিসংগ্রামের পরিবর্তে শ্রেণি – সহযোগিতায় বিশ্বাসী গান্ধিজি শ্রেণিসংগ্রামের পথ এড়িয়ে গ্রাম পুনর্গঠন ও খাদি আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষকদের স্বনির্ভর করে তুলতে চেয়েছিলেন ।
গান্ধিজির প্রতি কৃষকদের আস্থা : কৃষকরা অন্তর থেকে বিশ্বাস করত যে , ইংরেজ শাসনের অবসানের পর ভারতে গান্ধিরাজ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তাদের দুঃখের দিন শেষ হবে । এজন্য গান্ধিজি পরিচালিত আন্দোলনগুলিতে কৃষকদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল ।
মূল্যায়ন : কংগ্রেস কৃষক আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বপ্রণোদিত ধারাকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করলেও কংগ্রেসি নেতাদের আপস নীতি ও অহিংসা নীতি কৃষক সমাজকে কংগ্রেসের প্রতি বিমুখ করে তোলে । গান্ধিবাদী বাবা রামচন্দ্র কংগ্রেসি নীতিতে বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত লেনিন ও রাশিয়ার প্রশংসা করতে থাকেন ।
কিষান আন্দোলনের সঙ্গে বামপন্থীদের সম্পর্ক : কংগ্রেসি আন্দোলনে হতাশ হয়েই অনেক কৃষক নেতা বামপন্থীদের দিকে ঝুঁকলেও কমিউনিস্টদের পক্ষে কৃষকদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করা কঠিন কাজ ছিল । শ্রেণিসংগ্রাম গড়ে তোলার প্রতিবন্ধকতা : আদিবাসী কৃষক , বর্গাদার , দরিদ্র ও ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে কমিউনিস্টদের ব্যাপক প্রভাব থাকলেও আঞ্চলিক বৈষম্য , ধর্মীয় বিভেদ , জাতিভেদ প্রথা অর্থাৎ , গ্রামীণ সমাজের কাঠামোগত জটিলতা শ্রেণিসংগ্রাম গড়ে তোলার পথে অন্তরায়ের সৃষ্টি করেছিল ।
কমিউনিস্টদের কর্মাবিধি নিয়ন্ত্রণ : সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি প্রভাবিত কমিন্টার্নের নির্দেশে ভারতীয় কমিউনিস্টদের কর্মবিধি নিয়ন্ত্রিত হত বলে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারত না ।
কৃষকদের ওপর কমিউনিস্টদের প্রভাব : বাংলা ও বিহারে কমিউনিস্টরা কংগ্রেসের কিষান আন্দোলনের বিকল্প হিসেবে নিজেদের একটা ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল — যা কংগ্রেসের কাছে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায় । এই কারণে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেস তাদের কর্মীদের কিষান সভার কার্যাবলি থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল ।
বিশ্বযুদ্ধোত্তর কৃষক আন্দোলন নেতৃত্ব : বিশ শতকের চল্লিশের দশকে স্বাধীনতার প্রাক্কালে যেসব কৃষক আন্দোলন ( যেমন- তেভাগা , তেলেঙ্গানা , পুন্নাপ্রা – ভায়লার ) সংগঠিত হয়েছিল সেগুলি কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীন পরিচালিত হয়েছিল ।
মুল্যায়ন : পরিশেষে বলা যায় যে , কৃষক আন্দোলনকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষকদের অনেকেই কিষান সভা ও কংগ্রেসের সদস্যপদ নিয়েছিল — যা আন্দোলনকে দীর্ঘস্থায়ী ও মজবুত করতে সাহায্য করেছিল ।
5. তেভাগা আন্দোলনের সূচনা ও পরিণতি আলোচনা করো ।
Ans: ভূমিকা : ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কিষানসভার উদ্যোগে এবং কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন শুরু হয় ।
তেভাগা কেন ? : কমিউনিস্ট দলের নেতৃত্বে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কিষানসভা ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে তেভাগা আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ করে ।
মূল দাবি ছিল— ( ১ ) উৎপন্ন ফসলের ২/৩ ভাগ কৃষকের প্রাপ্য এবং মালিক পারে ১/৩ অংশ ; ( ২ ) জমিতে ভাগচাষিকে দখলিস্বত্ব দিতে হবে ; ( ৩ ) ১২ শতাংশ – এর বেশি সুদ মহাজন বা জমিদাররা দাবি করতে পারবে না ; ( ৪ ) কোনো কাজে কর ( আবওয়াব ) আদায় করা যাবে না ; ( ৫ ) ফসলের ভাগ নিয়ে রসিদ দিতে হবে ; ( ৬ ) ভাগচাষির খামারে ধান তুলতে হবে ; ( ৭ ) আধি নয় , তেভাগা চাই , কজ ধানের সুদ নাই ; এবং ( ৮ ) ১ মণে ৫ সের – এর বেশি সুদ নেওয়া যাবে না ।
প্রসার : তেভাগা আন্দোলন বাংলার প্রায় সব জেলায় শুরু হয়েছিল — দিনাজপুর , ময়মনসিং , কাকদ্বীপ , রংপুর , বগুড়া , জলপাইগুড়ি , যশোর , খুলনা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম । বাংলার প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল । এই বিদ্রোহের চরিত্রগত স্বাতন্ত্র্য উল্লেখ করে ঐতিহাসিক ধনাগারে লিখেছেন , ‘ It was the first consciously attempted revolt by a politicised Peasantry in Indian History . ”
নেতৃবৃন্দ : তেভাগা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য নেতা , নেত্রীরা হলেন– গুরুদাস তালুকদার , ভবানী সেন , অবনী রায় , ভবানী সেন , চারু মজুমদার , সমর গাঙ্গুলী , সুশীল সেন , জলপাইগুড়ির রাজবংশী বৃদ্ধা মহিলা বুড়িমা প্রমুখ । পরিণতি : সরকারের কঠোর দমননীতি , সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা , সার্বিক ঐক্যের অভাব ইত্যাদি কারণে আন্দোলন ব্যর্থ হলেও পরবর্তীকালে বর্গাদার আইন , বাংলা ভূমিস্বত্ব আইন , জমিদারি উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তেভাগা আন্দোলনের প্রভাবকে অস্বীকার করা যায় না । এগুলি হল –
দাবির স্বীকৃতি : তেভাগা আন্দোলনের ব্যাপকতায় পশ্চিমবঙ্গা সরকার একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে তেভাগার দাবি মেনে নেয় ( অক্টোবর , ১৯৪৯ খ্রি . ) ( ২ ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এই আন্দোলনে হিন্দু তথাকথিত নিম্নবর্গের হিন্দু ( রাজবংশী , নমঃশূদ্র ) , আদিবাসী ও মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির সৃষ্টি করেছিল ।
সংগ্রামী চেতনা : এই আন্দোলন কৃষকদের সংগ্রামী চেতনাকে তুলে ধরে কৃষক আন্দোলন ও শ্রেণি সংগ্রামের নজির তুলে ধরেছিল ।
কমিউনিস্ট দলের প্রভাব : কমিউনিস্ট পার্টি এই আন্দোলনের কর্মসূচি ও রণকৌশল নির্ধারণ করে আন্দোলনকে সফল করেছিল এবং বাংলার কৃষক সমাজের ওপর প্রভাব স্থাপনে সমর্থ হয়েছিল ।
6. বিশ শতকের শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট দলের সম্পর্ক আলোচনা করো ।
Ans: ভূমিকা : সাম্রাজ্যবাদ – বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে নতুন ধারার সংযোজন হল – শ্রমিক আন্দোলন । বিশের দশকে শ্রমিক আন্দোলনের রাশ কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও , কালের বিবর্তনে রুশবিপ্লব , প্রথম বিশ্বজনিত অর্থনৈতিক মন্দা শ্রমিক আন্দোলনের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছিল ।
শ্রমিক আন্দোলনের প্রতি কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি : কংগ্রেস পরিচালিত জাতীয় আন্দোলনের স্বার্থে দেশীয় শিল্পপতিদের সক্রিয় সমর্থন ও আর্থিক সহযোগিতা অপরিহার্য ছিল । তাই শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করে কংগ্রেস শিল্পপতিদের সমর্থন হারাতে চায়নি । অন্যদিকে , শ্রমিক শ্রেণির কাছে স্বাধীনতা অপেক্ষা নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নই বেশি কাম্য ছিল ।
শ্রমিক আন্দোলন সম্পর্কে গান্ধিজির দৃষ্টিভঙ্গি : গান্ধিজি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে আমেদাবাদ সুতিকল শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের পক্ষে অনশন সত্যাগ্রহ শুরু করে সফল হল এবং শ্রমিকদের কাছে গান্ধিজির ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায় । কিন্তু গান্ধিজি শ্রেণিসংগ্রামের পরিবর্তে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহাবস্থানে বিশ্বাসী ছিলেন , শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করার পক্ষপাতী তিনি ছিলেন না ।
গঠন : ১৯১৯ এবং ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের অমৃতসর ও গয়া অধিবেশনে শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গৃহীত উদ্যোগের ফলশ্রুতি হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে গঠিত হয় সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন AITUC লালা লাজপত রায় ছিলেন এই সংগঠনের প্রথম সভাপতি । ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতিরূপে জওহরলাল নেহরুর নির্বাচন শ্রমিক আন্দোলনকে কংগ্রেসের কাছাকাছি নিয়ে আসে ।
বামপন্থী ও শ্রমিক আন্দোলন : অসহযোগ আন্দোলন পরবর্তীকালে শ্রমিকদের মধ্যে কমিউনিস্ট ভাবধারার বিস্তার ছিল শ্রমিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য । ( 1 ) বামপন্থী আদর্শের প্রতি শ্রমিকদের ঝোঁক রুশবিপ্লব , প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জনিত অর্থনৈতিক মন্দা , জাতীয় আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা শ্রমিক শ্রেণিকে কমিউনিস্ট আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে । কমিউনিস্টদের ঘোষিত নীতিই ছিল শ্রেণি সংগ্রাম । শ্রমিক আন্দোলনে কমিউনিস্ট প্রভাব কমিউনিস্ট নেতারা রাজনৈতিক দাবির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার প্রশ্নটি সকলের সামনে তুলে ধরলে কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীনে সংগঠিত হতে থাকে নানা শ্রমিক সংগঠন । বোম্বাই – এর গিরনি কামগার ইউনিয়ন ছিল পুরোপুরি কমিউনিস্ট প্রভাবাধীন ।
মূল্যায়ন : শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনার ক্ষেত্রে শ্রমিকরা কংগ্রেস বা কমিউনিস্ট নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও কংগ্রেসের মধ্যে নানা মতভেদ ও কমিউনিস্টদের পরিবর্তনশীল নীতি অনেক সময় শ্রমিক আন্দোলনকে বিপথগামী করে তোলে ।
7. ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের বিবর্তন উল্লেখ করো ।
Ans: উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে মূলত ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের উদ্যোগে ভারতে চা , কফি , নীল , রেল , চটকল , সুতিকল , লৌহ – ইস্পাত শিল্প গড়ে উঠলে ভারতে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব ঘটে । উনিশ শতকের শেষে সপ্তাহে একদিন ছুটি , মজুরি বৃদ্ধি , কারখানা আইনের প্রবর্তন প্রভৃতি দাবিকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ধর্মঘট সংঘটিত হত ।
শ্রমিক আন্দোলনের বিবর্তন : উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তীকালে ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের বিবর্তন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে উনিশ
শতকের ধর্মঘট : হাওড়া রেলস্টেশনে ১২০০ রেল শ্রমিকের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন ( ১৮৬২ খ্রি . ) ছিল ভারতের শিল্প শ্রমিকদের প্রথম ধর্মঘট । ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে নাগপুর এমপ্রেস মিলের শ্রমিক ধর্মঘট এবং ১৮৮২-১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ের ২৫ টি ধর্মঘট ছিল খুব উল্লেখযোগ্য ।
স্বদেশি আন্দোলনকালে শ্রমিক ধর্মঘট : বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী বা স্বদেশি আন্দোলন ( ১৯০৫-১৯১১ খ্রি . ) ছিল ভারতে পেশাদারি শ্রমিক আন্দোলনের সময়পর্ব , কারণ—
বাংলা : বঙ্গভঙ্গের দিন ( ১৬ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ ) হাওড়ার বার্ন কোম্পানির ১২ হাজার শ্রমিক বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করে । এ ছাড়া কলকাতায় ‘ প্রিন্টার্স অ্যান্ড কম্পোপ্রিন্টার্স লিগ ‘ গঠিত হয় , ইস্ট ইন্ডিয়া রেলপথের কর্মীরা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে আন্দোলনে শামিল হয় , বাংলায় পাটকলগুলিতেও ধর্মঘট শুরু হয় ।
তামিলনাড়ু : তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে বাড়তি মজুরির দাবিতে চিদাম্বরম পিল্লাই – এর নেতৃত্বে ধর্মঘট চলাকালীন চিদাম্বরম পিল্লাই গ্রেপ্তার হলে শ্রমিকরা দাঙ্গা বাধায় ।
বোম্বাই : বোম্বাইয়ে কংগ্রেস নেতা বালগঙ্গাধর তিলকের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বস্ত্রকলগুলিতে ধর্মঘট শুরু হয় , পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের খণ্ডযুদ্ধ হয় । ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই – এ ৮ হাজার শ্রমিক ধর্মঘটে শামিল হয় ।
অন্যান্য স্থানে কানপুর , আমেদাবাদ , জামালপুরে রেলওয়ে ওয়ার্কশপে ধর্মঘটের দ্বারা শ্রমিকরা আন্দোলনকে সমর্থন জানায় ।
বঙ্গভঙ্গ পরবর্তীকালের শ্রমিক আন্দোলন : বঙ্গভঙ্গ রদের ( ১৯১১ খ্রি . ) পরবর্তীকালে উল্লেখযোগ্য ধর্মঘট না হলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ( ১৯১৪-১৯১৮ ) ভারতে বেশ কিছু শ্রমিক ধর্মঘট হয়েছিল । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল – করাচির নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে কারখানা ( ফেব্রুয়ারি , ১৯১৭ খ্রি . ) , গ্রেট ইন্ডিয়া পেনিনসুলার রেলওয়ের কারখানার ধর্মঘট ( ফেব্রুয়ারি , ১৯১৭ খ্রি . ) , বোম্বাইয়ের ডক শ্রমিকদের ধর্মঘট ( সেপ্টেম্বর , ১৯১৭ খ্রি . ) এবং আমেদাবাদ বস্ত্রশিল্পের ধর্মঘট ( ১৯১৮ খ্রি . ) । ৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ধর্মঘট : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে শ্রমিক স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে শ্রমিক সংগঠন গড়ে উঠতে থাকে । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বি পি ওয়াদিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘ মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন ‘ ( ১৯১৮ খ্রি . ) । এই বছরের উল্লেখযোগ্য শ্রমিক ধর্মঘট ছিল – কলকাতা পৌরসভা , বোম্বাইয়ের বস্ত্রশিল্প , খড়গপুর রেল কারখানা , মাদ্রাজের বস্ত্রশিল্প ও লক্ষ্ণৌর রেল কারখানার শ্রমিক ধর্মঘট ।
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ধর্মঘট : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে ১৯১৯ ও ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের শ্রমিক ধর্মঘট ছিল খুব উল্লেখযোগ্য । ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই বস্ত্র শিল্পের দেড় লক্ষ শ্রমিকের ধর্মঘট এবং মাদ্রাজ , বাংলা , বিহার , আসামের রেল কারখানার বস্ত্রশিল্প ও পাটশিল্পের ধর্মঘট । ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে সারা ভারতে ধর্মঘটের সংখ্যা ছিল ২০০ ।
সর্বভারতীয় শ্রমিক আন্দোলন : ১৯১৯ এবং ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের অমৃতসর ও গয়া অধিবেশনে শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গৃহীত উদ্যোগের ফলশ্রুতি হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে গঠিত হয় সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন AITUC লালা লাজপত রায় ছিলেন এই সংগঠনের প্রথম সভাপতি । ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতিরূপে জওহরলাল নেহরুর নির্বাচন শ্রমিক আন্দোলনকে কংগ্রেসের কাছাকাছি নিয়ে আসে ।
8. ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের পর শ্রমিক আন্দোলনের প্রসার কীভাবে ঘটেছিল ?
Ans: ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়কাল ছিল সংগঠিত শ্রমিক আন্দোলনের সময়কাল ।
প্রসারের কারণ : ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের পর শ্রমিক আন্দোলনের প্রসারের কারণগুলি হল – প্রথমত , প্রথম বিশ্বযুদ্ধজনিত কারণে শ্রমিক ছাঁটাই , মজুরি হ্রাস , অর্থনৈতিক সংকট শ্রমিকদের মধ্যে দুরাবস্থার সৃষ্টি করে । দ্বিতীয়ত , প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী দু’বছরে ( ১৯১৮-২০ খ্রি . ) ভারতে বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠন গড়ে ওঠে এবং এগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল লালা লাজপত রায়ের উদ্যোগে গঠিত নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস বা AITUC তৃতীয়ত , ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লব এবং ১৯২০ – র দশকে ভারতের অভ্যন্তরে মুজাফ্ফর আহমদ , এস এ ভাগে , শওকত ওসমানী প্রমুখ কমিউনিস্ট নেতাদের নেতৃত্ব শ্রমিক আন্দোলনে উৎসাহের সঞ্চার করে ।
শ্রমিক আন্দোলনের প্রসার ১৯২০-২২ খ্রিস্টাব্দের ধর্মঘট : সহযোগ আন্দোলনের সময়কালে ভারতের বিভিন্ন শিল্প – কারখানা , রেলওয়ে , ট্রাম , খনি , চা বাগান প্রভৃতির শ্রমিক ও কুলিরা যোগদান করেছিল , যেমন—
বাংলা : কলকাতার উৎপাদন শিল্প , পাট শিল্প ও বাংলার চটকলগুলিতে ১৩৭ টি ধর্মঘট হয় এবং এগুলির অধিকাংশের সঙ্গেই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের যোগ ছিল ।
আসাম : আসামের চা – বাগিচা , আসাম – বাংলা রেলওয়ের শ্রমিকদের ধর্মঘট ছিল খুব উল্লেখযোগ্য ।
বোম্বাই : অসহযোগ আন্দোলনকালে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রিজ অফ ওয়েলস – এর ভারত সফরকালে দেশজুড়ে শ্রমিক ধর্মঘট হয় । শুধুমাত্র বোম্বাইয়ের সুতিকলগুলির ১,৪০,০০০ শ্রমিক ধর্মঘটে যোগ দেয় ।
বিহার : জামসেদপুরের টাটা ইস্পাত কারখানা এবং স্বামী বিশ্বানন্দ ও স্বামী দর্শনানন্দের নেতৃত্বে রানিগঞ্জের কয়লাখনিতে ব্যাপক ধর্মঘট হয় ।
১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ধর্মঘট : শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ , কারণ— ওই বছর খড়গপুরের বেঙ্গল নাগপুর রেলের ২৫ হাজার শ্রমিক ২৬ দিন ধরে ধর্মঘট করেছিল ।
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ধর্মঘট : সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে উদ্দীপনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে লিলুয়ার ইস্ট ইন্ডিয়ান ও সাউথ ইন্ডিয়ান রেলে ধর্মঘট হয় । এ ছাড়া ওই বছর বোম্বাইয়ের বস্তু শিল্প শ্রমিকরা ব্যাপক ধর্মঘট করে এবং পরের বছর বস্ত্রকল শ্রমিকদের ‘ গিরনি কামগার ইউনিয়ন ‘ – এর নেতৃত্বে ধর্মঘট ছিল খুব উল্লেখযোগ্য ।
১৯২৯–৩০ খ্রিস্টাব্দের ধর্মঘট : ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মহামন্দা দেখা দিলে বোম্বাইয়ের বস্ত্রশিল্পের শ্রমিক ধর্মঘটে নামে । সেই বছরেই কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শ্রমিক ধর্মঘট ছিল উল্লেখযোগ্য ।
উপসংহার : শ্রমিক আন্দোলনের ব্যাপকতা লক্ষ করে ব্রিটিশ সরকার শ্রমিক নেতা সহ কমিউনিস্টদের দমনের জন্য সারা ভারত জুড়ে ৩২ জন শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে । এর ফলে শ্রমিক আন্দোলন আপাতত শ্লথগতি সম্পন্ন হয়ে পড়ে ।
9. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো । 846 ( পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নমুনা প্রশ্ন , ২০১৭ ) উত্তর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা ১৯৪২ ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং একটি প্রকৃত গণআন্দোলন যেখানে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শ্রমিক শ্রেণিকে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা যায়নি । শ্রমিক শ্রেণির ভূমিকা ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকরা যেভাবে যোগদান করে তা হল –
দিল্লির ধর্মঘট : আন্দোলন শুরুর প্রাথমিক পর্বে দিল্লির ধর্মঘটী মিল শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারি প্রশাসনের সংঘর্ষ ঘটলেও শেষপর্যন্ত মিল শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে যায় ।
বিভিন্ন শহরের ধর্মঘট : গান্ধিজি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে কারারুদ্ধ করার প্রতিবাদে বোম্বাই , নাগপুর , আমেদাবাদ প্রভৃতি শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করে ।
জামসেদপুরে ধর্মঘট : জামশেদপুরে লৌহ ইস্পাত কারখানায় দুই মাস ধরে ধর্মঘট পালনের পাশাপাশি সেখানে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয় ।
ব্যাঙ্গালোর ধর্মঘট : ব্যাঙ্গালোরে জাতীয়তাবাদী নেতা কে টি ভাষ্যমের নেতৃত্বে ৩০,০০০ শ্রমিক অল্প কিছুদিনের জন্য ধর্মঘট করে ।
কলকাতা ধর্মঘট : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘট সংঘটিত হলেও কলকাতা সংলগ্ন শিল্পাঞ্চল শান্ত ছিল ।
উপসংহার : ভারত ছাড়ো আন্দোলনপর্বে শ্রমিক আন্দোলনের ব্যাপ্তি ছিল কম , কারণ এই আন্দোলনে ভারতের কমিউনিস্ট দল যোগ দেয়নি বা শ্রমিক শ্রেণিকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সমর্থনে ধর্মঘট করার নির্দেশ দেয়নি ।
দ্বিতীয় অংশ : ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি : অসহযোগ আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়লে ভারতে শ্রমিক ও কৃষকদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে গড়ে ওঠে ‘ ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি ‘ । শ্রমিক – কৃষকদের লক্ষ্যপুরণের উদ্দেশ্যে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ‘ দি লেবার স্বরাজ পার্টি অব দ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস ’ – এর নাম পরিবর্তন করে পরবর্তীকালে মুজাফ্ফর আহমেদ , কবি নজরুল ইসলাম , এস এ ডাঙ্গে , কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং হেমন্ত কুমার সরকারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘ পেজেন্টস্ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি ‘ । ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় এর নাম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি ‘ ( ‘ Workers and Peasants Party ) আত্মপ্রকাশ করে ।
উদ্দেশ্য : ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টির উদ্দেশ্যগুলি হল— ( ১ ) শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা নির্ধারণ ( ২ ) বাক্স্বাধীনতা অর্জন , ( ৩ ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অর্জন , ( ৪ ) জমিদারি প্রথার বিলোপসাধন এবং ( ৫ ) সর্বনিম্ন মজুরি আইন প্রবর্তন ইত্যাদি । বুল ইসলাম আন্দোলন পরিচালনা : এই সংগঠনটি তার উদ্দেশ্য পুরণের লক্ষ্যে যে আন্দোলনগুলি চালিয়েছিল , জাতীয় কংগ্রেসও সেইসব আন্দোলনের প্রতি পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে সহানুভূতি দেখিয়েছিল । কলকাতার ধাঁচে পরবর্তীকালে পাঞ্জাব ও বোম্বাই সমেত আরও অন্যান্য অঞ্চলে এইরূপ সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে । তবে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে সংগঠনটি সাফল্য পেলেও কৃষকদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে সাফল্য ছিল ক্ষীণ ।
10. বাংলায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূচনা ও প্রসার আলোচনা করো ।
Ans: প্রথম অংশ : সূচনা ও প্রসারে বাংলার ভূমিকা ছিল খুব উজ্জ্বল ।
আন্দোলনের সূচনা : বাংলায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূচনাপর্বে দেখা যায় যে –
এম . এন . রায়ের ভূমিকা : বাঙালি বিপ্লবী ও রাজনৈতিক তাত্ত্বিক মানবেন্দ্রনাথ রায়ের হাত ধরেই রাশিয়ার তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ( ১৯২০ খ্রি . ) । আবার তিনিই ভারতের অভ্যন্তরে কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নলিনী গুপ্ত ও শওকত ওসমানীর মাধ্যমে অনুশীলন সমিতির বিপ্লবীসহ অন্যান্য বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন ( ১৯২১ খ্রি . ) ।
বাংলার কমিউনিস্ট গোষ্ঠী : রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও তার আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতে কলকাতা , মাদ্রাজ , বোম্বাই , লাহোর প্রভৃতি শহরে সাম্যবাদী মতাদর্শযুক্ত গোষ্ঠী গড়ে ওঠে । কলকাতায় এরুপ একটি কমিউনিস্ট গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন মুজাফ্ফর আহমেদ । তিনি ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে কানপুর বলশেভিক ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত হন ও চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন ।
কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা : ভারতের বিক্ষিপ্ত কমিউনিস্ট গোষ্ঠীগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কানপুরে প্রথম সর্বভারতীয় কমিউনিষ্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং এখানেই সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার সভাপতিত্বে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয় ।
দ্বিতীয় অংশ : কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রসার : ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার পর যেভাবে এই আন্দোলনের প্রসার ঘটে তা হল –
শ্রমিক – কৃষক পার্টি : বাংলার কমিউনিস্টরা ( মুজাফ্ফর আহমেদ , কাজি নজরুল ইসলাম , হেমন্তকুমার সরকার প্রমুখ ) শ্রমিক ও কৃষককে সংগঠিত করে সাম্যবাদী আন্দোলন পরিচালনার জন্য বাংলার ‘ ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ ‘ পার্টি গঠন করে ( ১৯২৫ খ্রি . ) । এই পার্টির অনুকরণে বোম্বাই , পাঞ্জাব ও যুক্তপ্রদেশেও অনুরূপ পার্টি গড়ে ওঠে এবং ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ ’ পার্টি ।
মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্ট দমনের জন্য ৩২ জন কমিউনিস্ট নেতা বা শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করেন ( ১৯২৯ খ্রি . ) । এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে , এই অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন বাংলার মুজাফ্ফর আহমেদ , কিশোরীলাল ঘোষ , ধরণী গোস্বামী , গোপেন চক্রবর্তী , রাধারমণ মিত্র , গোপাল বসাক ও শিবনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ।
কলকাতা কমিটি : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার পর আব্দুল হালিম প্রমুখ কমিউনিস্ট নেতা বাংলায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের ধারাকে বজায় রাখেন । আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে গঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ‘ কলকাতা কমিটি ‘ ( ১৯৩১ খ্রি . ) । মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ স 8 ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের উদ্যোগ : স্বামী বিবেকানন্দের ভাই ড . ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত ও বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গড়ে ওঠে । ‘ ইন্ডিয়ান প্রোলেটারিয়ান রেভোলিউশনারী পার্টি ‘ ( ১৯৩১ খ্রি . ) । পরবর্তীকালে এই পার্টি কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় ।
উপসংহার : উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে , বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলন ছিল ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের গোড়াপত্তনের অন্যতম প্রধান অংশীদার ।
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here
Info : বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik History Suggestion | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) History Qustion and Answer Suggestion
” বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X / WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik History Suggestion / Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer / Class 10 History Suggestion / Class 10 Pariksha History Suggestion / History Class 10 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Madhyamik History Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik History Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th History Suggestion / Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer / Class 10 History Suggestion / Class 10 Pariksha Suggestion / Madhyamik History Exam Guide / Madhyamik History Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik History Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Madhyamik History Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
FILE INFO : বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link 1 | Click Here To Download |
Download Link 2 | Click Here To Download |
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ইতিহাস | Madhyamik Class 10 History Bis Sataker Bharote Krishok
দশম শ্রেণি ইতিহাস (Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok) – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Suggestion দশম শ্রেণি ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সহায়ক – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer, Suggestion | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Notes | West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer Suggestion.
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 History Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) । Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion.
WBBSE Class 10th History Bis Sataker Bharote Krishok Suggestion | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়)
WBBSE Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestions | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 History Bis Sataker Bharote Krishok Suggestion | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 10 History Suggestion Download WBBSE Class 10th History short question suggestion . Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Suggestion download Class 10th Question Paper History. WB Class 10 History suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 History Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Ten X History Bis Sataker Bharote Krishok Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam
Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X History Suggestion is provided here. Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন (ষষ্ঠ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Krishok Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।