ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা
Bhartiya Nari – Bangla Rachana
ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana : আজকের এই পোস্টে ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। এই ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা – Bhartiya Nari – Bangla Rachana আগামী দিনের West Bengal Board Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এই বাংলা রচনা কমন আসার সম্ভাবনা খুব বেশি । আপনারা যারা ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana খুঁজে চলেছেন, তারা ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের পরীক্ষার জন্য Bhartiya Nari – Bangla Rachana | ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা নিচে দেওয়া রয়েছে।
বোর্ড (Board) | WBBSE, WBCHSE, West Bengal |
শ্রেণী (Class) | পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী (WB Class 5th to 12th All) |
বাংলা রচনা (Bangla Rachana) | ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে (Bhartiya Nari Karma o Monone) |
[বাংলা রচনা সমগ্র Click Here]
ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari Karma o Monone – Bangla Rachana
ভারতীয় নারী – ভূমিকা:
প্রকৃত ও পুরুষের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্কে গড়ে ওঠে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ভারতবর্ষ তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও এই অঙ্গাঙ্গী সম্পর্কের স্বরূপ সর্বত্র সুলভ নয়। তার কারণ দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নারীরা স্বভাব প্রকৃতিতে কোমল ও সহানুভূতিশীল হওয়ায় তারা তাদের সৃষ্টিশীলতাকে সর্বত্র মেলে ধরতে সক্ষম হয়নি। সেজন্য প্রাচীন ও মধ্যযুগে নারী ছিল অসূর্যস্পশ্যা, পুরুষের নর্মসহচরী এবং অশিক্ষা ও সংস্কারের চাপে তারা দাসীত্বকে বরণ করে নিয়েছিল। সতীমাহাত্ম্য, তালাকপ্রথা, পণপ্রথা, কন্যাভ্রূণ হত্যা, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রেখে অধিকারবোধকে পিছিয়ে দেওয়া নানা প্রকার বিধি-নিষেধের বেড়া তুলে ভারতীয় সমাজে নারীদের সৃষ্টিশীলতাকে অবদমিত করে রাখা হত। ফলে আঁতুড় ঘর, রান্না ঘর আর ঠাকুরঘরে বদ্ধ থেকে অধিকাংশ ভারতীয় নারী দাসীবৃত্তিকে বরণ করে নিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষা ও চেতনার প্রকারে সেই নারী আজ বিভিন্ন পেশায়, কর্মে ও চিন্তনে মননে নিজেদের সত্তাকে প্রমাণ করে দিতে অনেকাংশে সক্ষম হয়েছে।
অতীত:
ইংরেজ আগমনের পূর্বে অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার প্রভৃতির দ্বারা ভারতীয় নারী হয়ে উঠেছিল অসহায়, ভাগ্যকে মেনে নিয়ে, যুক্তি দিয়ে কোন কিছু বিচার না করে নারীরা নিজেদের জীবন অতিবাহিত করত। সেইসঙ্গে বাল্যবিবাহ, দেবদাসী প্রথা, জহর প্রথা, পর্দাপ্রথা, বহুবিবাহ, কৌলিন্য প্রথার চাপে নারীরা নিজেদের অসহায় বোধ করত। মুখ বুজে সহ্য করতে হত সমস্ত নিপীড়ন ও অত্যাচার। এমনকি আধুনিক যুগেও অনেক ক্ষেত্রে নারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। তারা অথনৈতিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়ে বাধ্য হয়ে পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে বাধ্য হয়। আমাদের দেশে মনীষীরা পথ দেখিয়েছেন নারীদের, তাই নারীরা আজ সমাজের বহু ক্ষেত্রে নিজ নিজ অঙ্গীকার নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। কারণ আজকের নারী অনেক বেশি সুশিক্ষিত, বলিষ্ঠ, সাহসী; শুধু সেবা ও ত্যাগে নয় বরং বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায়, বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে, খেলাধূলায়, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তারা তাদের নয় বরং সৃষ্টিশীলতাকে প্রমাণ করেছে। এমনকি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নারীরা উল্লেখযোগ্য ভাবে এগিয়ে এসেছিল।
আইনগত সুবিধা:
বর্তমানে দেশের জিডিপি-র ১৮ শতাংশ অবদান ভারতীয় নারীদের। আধুনিক ভারতীয় নারীরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার অধ্যক্ষ, বিরোধী দলনেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করেছেন। ভারতের সংবিধান সব ভারতীয় নারীকে সাম্য (ধারা ১৪), রাষ্ট্রের দ্বাবা কোনো বৈষম্যের মুখোমুখি না হওয়া (অনুড়ায় ১৫ [১] সমান সুযোগলাভ (ধারা ১৬) এবং একই কাজের জন্য সমান বেতন (ধারা ৩৯ডি) লাভের অধিকার দিয়েছে। এছাড়া সংবিধান ‘নারী ও শিশুদের সুবিধার্থে রাজা কর্তৃক বিধান প্রণয়নেকে মান্যতা দিয়েছে। ২০০৭ সালে তিন তালাক অসাংবিধানিক বলে স্বীকৃত হয়েছে। ২০০১ সালকে ভারতবর্ষ, নারী ক্ষমতায়ন বা স্বশক্তি বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে।
রাজনীতি :
বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি নারী রাজনীতিবিদ আছেন, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম। ভারতের বর্তমান, রাষ্ট্রপতিও। নারী। ইন্দ্রিরা গান্ধী ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। ভারতের মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, অন্ধপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, রাজস্থান ও ত্রিপুরায় নারীদের জন্য: পি. আর, আই, প্রভৃতিতে ৫০ শতাটশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে কেরালার কোদাসেরী পঞ্চায়েতের সমজ নির্বাচিত সদস্যই মহিলা। আমাদের পশ্চিমরঙ্গেও নারীরা রাজনীতিতে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন, এমনকি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ।
শিক্ষা:
ভারতবর্ষে নারী সাক্ষরতার হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়িয়ে বাল্যবিবাহ অনেকটা রোধ করা, গেছে। পশ্চিমবঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্প, প্রয়োগে শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের যোগদানের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি নারীরা শিক্ষিত, হয়ে বিভিন্ন পেশায় ও কর্মক্ষেত্রে তাদের সাফল্যকে মেলে ধরছে। অপ্রথাগত শিক্ষাদান কর্মসূচি-র অধীনে রাজাগুলির প্রায় ৪০ শতাংশ এনএ এফ. ই. কেন্দ্র এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রায় ১০ শতাংশ এন, এফ. ই. কেন্দ্র মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত।
শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন:
গ্রামীন ভারতে কৃষি ও কৃষিসংক্রান্ত শিল্পখাতে শ্রমিকদের ৮৯.৫ শতাংশ নারী। সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন ক্ষেত্রে মোট শ্রমিকের ৫৫ শতাংশ থেকে ৬৫ মাতাংশ নারী। এছাড়া দুগ্ধ উৎপাদন শিল্পে ও অরণ্য ভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্পে নিযুক্ত কর্মীদের বেশিরভাগ মহিলা। স্ত্রী মহিলা গৃই উদ্যোগ লিজ্জত পাঁপড়’ মহিলা ব্যবসায়ীদের সাফল্যের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে ৩০ শতাংশ কর্মচারী নারী। স্কুল কলেজেও নারীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।
বিভিন্ন পেশা:
বহু অইনি ও প্রথাগত কারণে ভারতীয় নারীরা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকায়, ২০০৫ সালে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধিত হয়েছে। ভারতে ধর্ষপ্ত, অ্যাসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের দাবিতে হত্যাকান্ড, পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকান্ড এবং মুরতী নারীকে জোরপূর্বক পরিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার মতো অপরাধ অনেকটা মন্দীভূত হয়েছে বলেই প্রতিরক্ষা বাহিনীতে, পুলিশ বাহিনীতেও আই এ এস, এবং আই পি এস এর মতো দায়িত্বশীল পদে নারীরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করে দিয়েছে। গার্হস্থ্য হ্য বি হিংসা, পণপ্রথা, বাল্যবিবাহ প্রথাও অনেকটা কমে গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে আজ নারীরা অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। ভারতবর্ষে ২৯ শতাংশ নারীরা খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত। পি. টি ঋষি, সাধনা, নেপাল, ম্যারি কম, সানিয়া মির্জা, ঝুলন গোস্বামী প্রভৃতিরা আজ প্রতিষ্ঠিত। সাংস্কৃতিক ও বিনোদন জগতে নারীরা আজ লব্ধপ্রতিষ্ঠিত । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীরা অনেক বেশি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। যেমন, অসীমা চ্যাটার্জী, জানকী আমাল, রাজেশ্বরী চ্যাটার্জী, কমলা , সোনি, কল্পনা চাওলী, ইন্দিরা হিন্দুরা অদিতি পন্ত, বন্দিনী হরিদাস,রীতু কবিধল,ইত্যাদি।
উপসংহার :
বর্তমানে মনন ও চিন্তায় নারীরা অন্দরে ও বাইরে, সর্বত্র তাদের স্বরূপকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। আগামীদিনে এই চিত্রটা আরও যে বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। । তবে সমাজের সবক্ষেত্রের মতো প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি যে অবক্ষয় ও দেখা যাচ্ছে তা নারীদেরকেও গ্রাস করেছে। সেদিকে দৃষ্টি রেশে নারী অগ্রগতির পক্ষকে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রসারিত করা প্রয়োজন।
FILE INFO : ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana PDF Download
PDF File Name | ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link | Click Here To Download |
Download PDF | Click Here To Download |
সমস্ত বাংলা রচনা | Bangla Rachana FREE PDF
আরও দেখুন, বিজ্ঞান ও মানবসভ্যতা – বাংলা রচনা | Bigyan o Manob Sovvota
আরও দেখুন, ১০০০ বাংলা রচনা – 1000 Bangla Rachana
আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
Info : ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে মাধ্যমিক বাংলা – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana
” ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class 1 to Class 12 / WBBSE Class 5 to 10 Exam / WBCHSE Class 11 Class 12 ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা । Bhartiya Nari / Bhartiya Nari Bengali Rachana / Bhartiya Nari Rachana / Bhartiya Nari Bangla Rachana PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা (Bhartiya Nari / Bhartiya Nari – Bangla Rachana FREE PDF Download) সফল হবে।
ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana
ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা – Bhartiya Nari – Bangla Rachana : ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে Bhartiya Nari – Bangla Rachana. দশম শ্রেণীর ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা।
বাংলা রচনা – ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে | Bangla Rochona – Bhartiya Nari
ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে Bhartiya Nari – Bangla Rochona Rachana – বাংলা রচনা । ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে রোচনা ।
Bhartiya Nari – Bangla Rachana | ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা
Bhartiya Nari – Bangla Rachana | ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা । Bhartiya Nari – Bangla Rachana | ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা।
West Bengal Class 1 to 12 Bengali Rachana Download WBBSE Class 1 to 10th Bengali and WBCHSE Class 11 & 12th Bangla Rachana . Bhartiya Nari – Bangla Rachana pdf. পশ্চিমবঙ্গ প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা রচনা ডাউনলোড। বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ বাংলা রচনা।
Get the Class 1 to 12 Bengali Bhartiya Nari – Bangla Rachana by Bhugol Shiksha .com
Class 1 to 9, 10, 11 & 12 Bengali Bhartiya Nari – Bangla Rachana prepared by expert subject teachers. This Bangla Rachana will be 100% Common in the Examination .
ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” ভারতীয় নারী: কর্মে ও মননে – বাংলা রচনা | Bhartiya Nari – Bangla Rachana ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।