জন কিটস এর জীবনী
John Keats Biography in Bengali
জন কিটস এর জীবনী – John Keats Biography in Bengali : মাত্র পাঁচিশ বছর চার মাস আয়ুষ্কাল পেলেও জন্য কাট বছর । সাহিত্যে রােমান্টিক ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি বলে বিবেচিত নন । জন কিটস (John Keats) আজকাল গণ্য হন মুষ্টিমেয় মাত্র কয়েজন কবিদের মধ্যে , সারা । তাদের কল্পনাশক্তির দক্ষতা ও ক্ষমতার কারণে একমাত্র লেন্সপীয়রের সঙ্গেই তুলনীয় হতে পারেন ।
জন কিটস বিভিন্ন ধারার চমকপ্রদ অনেকগুলাে কবিতা রচনা করতে সক্ষম হয়েছিলেন । জন কীটস জীবিতকালে ৫৪ টি কবিতা প্রকাশিত হতে দেখেছিলেন । তার মৃত্যুর পর আরাে ১৯৬ টি সৃষ্টিকর্ম প্রকাশিত হয়েছিলাে । জন কিটস (John Keats) এর রচনাসমূহের মধ্যে আছে একটা মহাকাব্যের খণ্ডাংশ ‘ হাই পেরিয়ান ‘ , কয়েকটি রােমান্টিক কবিতা যার মধ্যে গণ্য হবে । এনডাইমিওন এবং ইভ অব সেট এগনেস , ক্ষুদ্রাকৃতির কয়েকটি গীতিকবিতা , যার অধিকাংশ ছিলোেসনেট জাতীয় রচনা এবং কয়েকটি বড় গাথা ।
ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক কবি জন কিটসের একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । জন কিটস জীবনী – John Keats Biography in Bengali বা জন কিটসের আত্মজীবনী বা জন কিটস (John Keats Jivani) জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জন কিটস কে ছিলেন ? Who is John Keats ?
জন কিটস (John Keats) এর সাহিত্য জগতের উপর তার প্রভাব ছিলাে ব্যাপক । পরবর্তীকালে যারা তার লেখনীর প্রশংসা করতেন এবং তার কর্ম ও শৈলীর অনুকরণ করতেন তাদের মধ্যে কবি টেনিসন , ব্রাউনিং ও ইটেস অন্যতম । জন কিটস (John Keats) কবিদেরও কবি বলে বিবেচিত হয়েছিলেন । জন কী বিভিন্ন অনেককে অনেক পত্র লিখেছিলেন । পরবর্তীকালে ইংরেজ কবি সমালােচক টি , এস , ইল্যিাট জন কাটুস – এর পত্রাবলী সম্বন্ধে বলেছিলেন ‘ সর্বাপেক্ষা উল্লেখযােগ্য এবং সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ , যা একজন ইংরেজ কবির পক্ষে লেখা সম্ভব হতে পারে । কাটসের তিনশত পত্রাবলী এখনাে টিকে আছে , যার মধ্যে তার জীবনের ঘটনাবলী এবং তার শিল্পকর্ম ও চিন্তাধারার সর্বোচ্চ প্রতিফলন দেখা যায় ।
ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক কবি জন কিটস এর জীবনী – John Keats Biography in Bengali :
নাম (Name) | জন কিটস (John Keats) |
জন্ম (Birthday) | ৩১ অক্টোবর ১৭৯৫ (31st October 1795) |
জন্মস্থান (Birthplace) | লন্ডন, ইংল্যান্ড |
অভিভাবক (Parents)/পিতামাতা | টমাস কিটস ও ফ্রান্সেস কিটস |
পেশা (Occupation) | কবি |
সাহিত্য আন্দোলন | রোমান্টিকতা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলী | Ode To A Nightingale, Ode On A Gracian Urn, Ode To Autumn |
মৃত্যু (Death) | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮২০ (23 February 18২০) |
মৃতুষ্ঠান (Deathplace) | রোম, ইতালি |
জন কিটস এর জন্ম – John Keats Birthday :
জন কী ১৭৯৫ সালের ৩১ শে অক্টোবর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন ।
জন কিটস এর পিতামাতা : John Keats Parents :
তার বাবার নাম টমাস কিটস । মায়ের নাম ফ্রান্সেস কিটস । জন কস্এির পিতা একআস্তাবলের ম্যানেজার ছিলেন , পরে ১৮০৩ সালে তার মালিক হয়েছিলেন । কক্সি পাঁচ ভাই – বােনের মধ্যে ছিলেন সবার বড় ।
জন কিটস এর শিক্ষাজীবন – John Keats Education Life :
জন কীটস্ লন্ডনের এনফিল্ড – এর ক্লার্ক একাডেমিতে ভর্তি হন । ৮ বছর বয়সে পড়াশুনার জন্য । স্কুলটির খ্যাতি ছিল শৃঙ্খলা রক্ষায় , প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি এবং এর দয়া প্রধান শিক্ষকের জন্য । স্কুলের পাঠ্যজীবনের শেষ দিকে জন কী হাতের কাছে যে বই পেতেন সেগুলাে গােগ্রাসে পাঠ করতেন ।
[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]
জন কিটস এর শ্রেষ্ঠ কীর্তি :
শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের কারণে তিনি কতকগুলাে পুরস্কার লাভ করেন । তিনি মহাকাবি ভার্জিলের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘ এনিড ’ – এর অনুবাদ করা শুরু করেন ।
১৮০৪ সালে ঘােড়ার থেকে পড়ে কিটসের বাবা মারা যান । ১৮১০ সালে কিটসের মা মারা যান ক্ষয় রােগে ।
জন কিটস এর কর্মজীবন – John Keats Work Life :
১৮১১ সালে স্কুল ত্যাগের পর কী সিদ্ধান্ত নিলেন চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশুনা করবেন । তাই তিনি একজন ওষুধ বিক্রেতার কাছে শিক্ষানবিশীর কাজ নিলেন ।
১৮১৫ সালে তিনি লন্ডনের গাইডস হাসপাতালে ভর্তি হন । প্রশিক্ষণের জন্য এবং এক বছর পর সার্টিফিকেট লাভ করলেন । তবে সে বছরই তিনি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি চিকিৎসা জগতে আর থাকবেন না । উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া নিজস্ব সামান্য সম্পদ নিয়ে ও কবিতা লিখেই জীবন কাটাবেন ।
[আরও দেখুন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali]
জন কিটস প্রথম বিখ্যাত কবিতা – John Keats first famous Poetry :
তার প্রথম বিখ্যাত কবিতা একটা সনেট ‘ অন ফার্স্ট লুকিং ইনটু চ্যাপম্যানস হােমার ‘ ১৮১৬ সালের অক্টোবর মাসেই লিখিত হয় । এ সময় তিনি সাহিত্য ও কাব্যজগতের তদানীন্তন কয়েকজন দিকপালের সংশ্রবে আসেন । এদের মধ্যে ছিলেন কবি শেলী , লে হান্ট , ওয়ার্ডওয়ার্থ , চার্লস ল্যাম্ব এবং উইলিয়াম হেজলিট ।
১৮১৮ সালে তার ছােটভাই টমের ক্ষয় রােগ হয় । জন কী তার সেবাশুশ্রুষা করলেন , কিন্তু তাকে বাঁচানাে যায় নি ।
জন কিটস এর যৌবনকাল – John Keats Young Age :
টমের মৃত্যুর পর কী তার এক বন্ধুর সঙ্গে উত্তর ইংল্যান্ড , স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড বেড়িয়ে এলেন । লন্ডনে ফিরে আসার অল্প পরেই তিনি হ্যাম্পটিডের একবিধবা মহিলার ১৮ বছর বয়স্কা তরুণী কন্যা ফ্যানি ব্রাউনের প্রেমে পড়েন । ১৮১৯ সাল ছিলাে । কীটসের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিধর্মী সাহিত্য রচনার সময় । এ বছর তিনি তার প্রায় সব শ্রেষ্ঠ কবিতা রচনা করেছিলেন ।
১৯২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কীসের ফুসফুস্ থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হলাে । এতে তিনি বুঝতে পারলেন , যে রােগ তার মা ও ছােটভাইকে নিঃশেষ করেছে , সেই মরণব্যাধিতে তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন ।
জন কিটস এর মৃত্যু – John Keats Death :
ডাক্তার তাকে শীত থেকে দূরে উষ্ণ আবহাওয়ায় থাকতে বললেন । জন কী ১৮২০ সালের ১৮ ই সেপ্টেম্বর ইটালীর উদ্দেশ্যে জাহাজে চাপলেন । ইটালীতে চলে গিয়েও শেষরক্ষা হলাে না । ক্ষয়রােগের চিকিৎসা তখনাে আবিষ্কৃত হয়নি । ইটালীর রাজধানী রােমেই ১৮২১ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন । রােমের প্রটেস্ট্যান্টদের সমাধিক্ষেত্রেই তিনি শেযশয্যায় শায়িত হলেন ।
জন কিটস এর জীবনী (প্রশ্ন ও উত্তর) – John Keats Biography in Bengali (FAQ):
- জন কিটস এর জন্ম কবে হয় ?
Ans : ৩১ অক্টোবর ১৭৯৫ ।
- জন কিটস এর পিতার নাম কী ?
Ans : টমাস কিটস ।
- জন কিটস এর মায়ের নাম কী ?
Ans : ফ্রান্সেস কিটস ।
- জন কিটস এর প্রথম কবিতা কী ?
Ans : ‘ অন ফার্স্ট লুকিং ইনটু চ্যাপম্যানস হােমার ‘ ।
- জন কিটস কত সালে তার প্রথম কবিতা লেখেন ?
Ans : ১৮১৬ সালে ।
- জন কিটস কী রোগে আক্রান্ত হয় ?
Ans : ক্ষয় রোগে ।
- জন কিটস কে ছিলেন ?
Ans : ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক কবি ।
- জন কিটস এর মৃত্যু কবে হয় ?
Ans : ১৮২০ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর ।
[আরও দেখুন, জেমস ওয়াট এর জীবনী – James Watt Biography in Bengali
আরও দেখুন, আগাথা ক্রিস্টি এর জীবনী – Agatha Christie Biography in Bengali
আরও দেখুন, আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনী – Albert Einstein Biography in Bengali
আরও দেখুন, জোনাথন সুইফটের জীবনী – Jonathan Swift Biography in Bengali]
জন কিটস জীবনী – John Keats Biography in Bengali
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” জন কিটস জীবনী – John Keats Biography in Bengali ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো । যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।