চিত্তরঞ্জন দাসের জীবনী
Chittaranjan Das Biography in Bengali
চিত্তরঞ্জন দাসের জীবনী – Chittaranjan Das Biography in Bengali : দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ আসল নাম চিত্তরঞ্জন দাশ । কিন্তু দেশবাসীর শ্রদ্ধা ভালবাসা চিত্তরঞ্জন দাসকে (Chittaranjan Das) দেশবন্ধু আখ্যায় ভূষিত করেছিল । চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) ছিলেন দেশবাসীর প্রাণের মানুষ । দেশবাসীর দুঃখদুর্দশাকে তিনি অন্তর দিয়ে নিজের বলেই উপলব্ধি করতেন আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন প্রতিকারের , অকাতরে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ।
শ্রদ্ধায় – কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত দেশবাসী চিত্তরঞ্জন দাসকে (Chittaranjan Das) তাই দেশবন্ধু নামে আপনার করে নিয়েছে।
অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী চিত্তরঞ্জন যে সময়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন , সেটা ছিল ভারতের নবজাগরণের যুগ ।
বিদেশী শাসক ইংরাজের পদানত জাতির অন্তরে জেগে উঠতে শুরু করেছে জাতীয় চেতনা , স্বাধীনতার মূল্যবোেধ । পরিবেশগত সমস্ত প্রভাব নিয়েই যেন চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) জন্মেছিলেন ।
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি ও লেখক চিত্তরঞ্জন দাস এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । চিত্তরঞ্জন দাস এর জীবনী – Chittaranjan Das Biography in Bengali বা চিত্তরঞ্জন দাস এর আত্মজীবনী বা (Chittaranjan Das Jivani Bangla. A short biography of Chittaranjan Das. Chittaranjan Das Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) চিত্তরঞ্জন দাস এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
চিত্তরঞ্জন দাস কে ছিলেন ? Who is Chittaranjan Das ?
চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) ছিলেন একজন বাঙালি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি ও লেখক। চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) স্বরাজ্য পার্টি-র প্রতিষ্ঠাতা। চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) এর সময়ের অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের আয় অর্জনকারী উকিল হওয়া সত্ত্বেও চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) তার সম্পদ অকাতরে সাহায্যপ্রার্থীদের কাছে বিলিয়ে দিয়ে বাংলার ইতিহাসে দানবীর হিসাবে সুপরিচিত হয়ে আছেন। চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) “দেশবন্ধু” নামেতে জগৎ বিখ্যাত হয়ে আছেন।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের জীবনী – Chittaranjan Das Biography in Bengali :
নাম (Name) | চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) |
জন্ম (Birthday) | ৫ নভেম্বর ১৮৭০ (5th November 1870) |
জন্মস্থান (Birthplace) | দার্জিলিং, ব্রিটিশ ভারত |
অভিভাবক (Parents)/পিতা ও মাতা | ভুবনমোহন দাশ (বাবা)
নিস্তারিণী দেবী (মা) |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
শিক্ষা | বি. এ |
পেশা (Occupation) | আইনজীবী, রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্ব |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | মালঞ্চ, সাগরসঙ্গীত, অন্তর্যামী, ডালিম |
উপাধি | দেশবন্ধু |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী (Spouse) | বাসন্তী দেবী |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রেসিডেন্সী কলেজ |
মৃত্যু (Death) | ১৬ জুন ১৯২৫ (16th June 1925) |
চিত্তরঞ্জন দাসের জন্ম – Chittaranjan Das Birthday :
চিত্তরঞ্জনের জন্ম হয়েছিল ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে ৫ ই নভেম্বর কলকাতার বুকে পূর্ব বাংলার বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় বিক্রমপুরের তেলিরবাগেতার পৈতৃক নিবাস ।
চিত্তরঞ্জন দাসের পিতামাতা – Chittaranjan Das Parents :
চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) এর বাবা ভুবনমােহন দাশ ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এটনী । ধনী হলেও তিনি সহজ সরল জীবনযাপন করতেন । তখনকার দিনে এমনি মনের পরিচয় খুব কমই পাওয়া যেত । তিনি কেবল আইনজ্ঞই ছিলেন না । তিনি ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ । গান গাইতে তিনি ভালােবাসতেন এবং সকলকে গান শুনিয়ে তিনি তাদের মুগ্ধ করতেন । পিতার এই সব গুণ চিত্তরঞ্জনকেবিশেষ ভাবে প্রভাবিত করেছিল । চিত্তরঞ্জনের মায়ের নাম ছিল নিস্তারিণী দেবী । সত্যি , তার নাম ছিল সার্থক । অনেক মানুষকে তিনি অনেকভাবে সাহায্য করতেন । কোনাে দিন তার কাছ থেকে কোনাে প্রার্থী খালি হাতে ফিরে যায়নি , তাছাড়া সংসারের প্রতিটি কাজে তার নিপুণতা ছিল ।
চিত্তরঞ্জন দাসের শৈশবকাল – Chittaranjan Das Childhood :
চিত্তরঞ্জনের গৃহপরিবেশ এত সুখ ও শান্তির ছিল তবুও তার মন যেন মাঝে মাঝে কেঁদে উঠতাে । ভারতমায়ের মুখে বিষাদের ছায়া দেখে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) দুঃখ পেতেন । মনে হতাে কেমন করে তিনি এই দুঃখ ঘােচাবেন । মাঝে মাঝে তাই চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) বলতেন , – “ আমি সর্বাঙ্গে লৌহশৃঙ্খল – এর ঝনঝনানি শুনছি । আমার সর্বাঙ্গে আমি বেদনা অনুভব করছি । পরাধীনতার শৃঙ্খল আমাদের ভাঙতে হবে । ইহাতে আমার যদি মৃত্যু ঘটে তাতেই বা কি ? ” তাই চিত্তরঞ্জন দেশের দুঃখ দৈন্য ও লােকের অভাব অভিযােগ দূর করার জন্যে সংকল্প নিলেন । চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) নিজের জীবনকে উৎসর্গ করলেন দেশের কাজে । একদিকে তার নিজের কাজকর্ম , অন্যদিকে দেশসেবা । আইনজীবী হিসাবেতখন তার যথেষ্ট সুখ্যাতি ছিল । প্রচুর আয় ও প্রতিপত্তি , যেন লক্ষ্মীর বরপুত্র কিন্তু তাতে তার মন ভরেনি । চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করতেন । সেই আইন ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে সর্বহারার দলে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) নাম লেখালেন , নিজের যা কিছু সঞ্চয় ছিল সবকিছু চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) দান করলেন দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যে । তখন থেকে তার নাম হল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন । সার্থকতার নাম , আর তার জীবনের ব্রত তার জয়গানে আকাশ বাতাস মুখর হয়ে উঠলাে ।
চিত্তরঞ্জন দাসের শিক্ষাজীবন – Chittaranjan Das Education Life :
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের লেখাপড়া শুরু হয়েছিল লন্ডন মিশনারী বিদ্যালয়ে । ছেলেমানুষ হলেও তার মধ্যে ছিল একটি দৃঢ়তা ও তেজস্বিতা । তাই চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) অন্যায়ের সঙ্গে কোনােদিন আপস করতেন । একবার এক গর্বিত লােকের কথার প্রতিবাদে তিনি বলে ওঠেন “ কি বললেন ? ছােটলােক ! ছােটলােক কারাের গায়ে লেখা থাকে না । মানুষই হয় গরীব মানুষই হয় ধনী । মানুষের প্রতি এই দরদ চিত্তরঞ্জনের আচরণে প্রকাশ পেত ।
চিত্তরঞ্জন দাসের কলেজ জীবন – Chittaranjan Das College Life :
ইংরাজী ১৮৮৬ খ্রিঃ তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হন।তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়ে বি . এ . পাশ করেন । চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) এর বাবা তখন তাকে আই . সি এস পড়ার জন বিলাত পাঠান । সেই অজানা দেশে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) ক্রমশ পরিচিতি লাভ করেন । প্রবাসী ভারতীয় ছাত্র আন্দোলনে যােগ দেন । বিদেশে নানা কাজে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) লিপ্ত হয়ে পড়েন । ফলে আই সি এস পরীক্ষায় তিনি বিফল হন । কিন্তু ব্যারিস্টার হয়ে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) দেশে ফেরেন । পরে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) হাইকোর্টে যােগ দেন । তারপর ১৮৯৭ খ্রিঃ বাসন্তী দেবীকে বিবাহ করেন ।
চিত্তরঞ্জন দাসের কাব্য – Chittaranjan Das Poetry :
প্রথমে ব্যারিস্টার হিসাবে খুব সুনাম হয়নি । তখন তিনি কাব্য রচনা করতেন । চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) এর লেখা অন্তর্যামী , মালা , সাগর সংগীত প্রভৃতি কাব্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । অনেকেই তার কাব্যপ্রতিভায় মুগ্ধ হন । অরবিন্দের মতাে সুকবিও তার কাব্য পাঠে তৃপ্তি পেতেন । ক্রমে তিনি নিজেকে জনসেবায় ও দেশের কাজে উৎসর্গ করলেন । সব ভােগ – বিলাস তিনি ত্যাগ করলেন ।
আলিপুর বোমার মামলা :
১৯০৮ খ্রিঃ আলিপুর বােমার মামলা শুরু হল । এই মামলার আসামী ছিলেন শ্রীঅরবিন্দ । তাকে রক্ষা না করলে দেশের সর্বনাশ । চিত্তরঞ্জনের আইন জ্ঞান , প্রতিভা ও বাক্শক্তির বলে অরবিন্দ সব অভিযােগ থেকে মুক্তি পেলেন । সারা বাংলাদেশ চিত্তরঞ্জনের সেই অলৌকিক প্রতিভায় মুগ্ধ হয় । ভারতবাসী জেগে উঠলাে জাগরণের মন্ত্রে । চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) এর নাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়লাে । কেবল বুদ্ধিইনয় , চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) এর হৃদয়ও ছিল উদার । একদিকে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) ছিলেন কঠোর অন্যায়কে তিনি কখনও সহ্য করতেন না । সেখানে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) ছিলেন অচল – অটল আবার অসহায় দীনের প্রতি তার দয়ার শেষ ছিলাে না।
চিত্তরঞ্জন দাসের জাতীয় কংগ্রেসের সম্মেলন :
১৯২০ খ্রিঃ ৪ ঠা সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সম্মেলন । চিত্তরঞ্জনের জীবনে সে এক স্মরণীয় দিন । ঘরছাড়া দেবতার ডাকে চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) পা বাড়ালেন । নাগপুরের এই অধিবেশনে তার সঙ্গে মহাত্মাজীর দেখা হলাে । উভয়ের এই পরিচয় তার জীবনে এক পরিবর্তন আনলাে । চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) যখন কলকাতার বাড়িতে ফিরলেন তখন তার মনে এক অপরূপ ভাব । অর্থ , যশ , ক্ষমতা সব কিছুরই যেন কোনাে মূল্য নেই । তিনি দেশ সেবায় সবকিছু উৎসর্গ করলেন ।
[আরও দেখুন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali]
সুভাষচন্দ্রের চিত্তরঞ্জন দাসের শিষ্যত্ব গ্রহণ :
ইতিপূর্বে বিলেতে আই.সি.এস পরীক্ষায় যােগ না দিয়ে দেশসেবার ব্রতকে জীবনের লক্ষ্য স্থির করে দেশে ফিরে এসেছেন সুভাষচন্দ্র । চিত্তরঞ্জনের স্বদেশ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ তিনি । গ্রহণ করলেন চিত্তরঞ্জনের শিষ্যত্ব ।
কলকাতার আইন অমান্য আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠনের দায়িত্ব পেলেন সুভাষচন্দ্র ।
চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজদল গঠন – Formation of Swaraj Dal :
চিত্তরঞ্জন দাস (Chittaranjan Das) এর নেতৃত্বে এক নতুন সেনাবাহিনী গড়ে উঠলাে । তার নাম দেওয়া হল ‘ স্বরাজদল । এবার তার জীবনে জয়ের পালা শুরু হলাে । দেশের জনপ্রিয়তম নেতা বলে সকলে তাকে স্বীকার করে নিল । এদিকে তাকে কলকাতা কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র করা হলাে । সুভাষচন্দ্র হলেন প্রথম প্রধান অফিসার । তার আদর্শ ছিল প্রকৃত জনসেবা । সমাজের অনাচার ও আবর্জনা দূর করাই ছিল তার লক্ষ্য । দীনের সেবা , জনগণের মধ্যে জ্ঞানের আলাে ছড়ানােইতার জীবনের ব্রত ছিল । সরকারের অনাচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে আবার অভিযান শুরু হল । সরকার তখন তাকে কারারুদ্ধ করলাে । এইসঙ্গে আরও অনেক কর্মী কারাবরণ করলেন । এই অন্যায় ও অবিচার তাকে ক্ষুব্ধ করলাে । সেই ক্ষোভ গােপন করে তিনি স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে দার্জিলিং – এ গেলেন । সেখানে তার স্বাস্থ্যের উন্নতিও দেখা দিল ।
[আরও দেখুন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জীবনী | Sarat Chandra Chattopadhyay Biography in Bengali]
দেশবন্ধু নামাঙ্কিত চিত্তরঞ্জন সেবাসদন – Chittaranjan Das SebaSodon :
মৃত্যুর পূর্বে দেশবন্ধু তার পৈতৃক বসতবাড়িটি জনসাধারণকে দান করেন । এখন সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশবন্ধু নামাঙ্কিত চিত্তরঞ্জন সেবাসদন ।
রবীন্দ্রনাথ :
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এই মহান নেতার প্রয়াণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে লিখলেন –
“ এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান । ”
কাজীনজরুল ইসলাম :
বাংলার বিদ্রোহী কবি নজরুল প্রশস্তি রচনা করলেন –
“ দীনের বন্ধু , দেশের বন্ধু , মানব বন্ধু তুমি , চেয়ে দেখ আজ লুটায় বিশ্ব তােমার চরণ চুমি । ”
চিত্তরঞ্জনের শেষ যাত্রায় কলকাতায় যে লােক সমাগম হয়েছিল তা আজও ইতিহাস হয়ে আছে ।
রাজনীতির কর্মব্যস্ততার মধ্যে থেকেও চিত্তরঞ্জন নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করতেন সাহিত্য প্রতিভা ছিল তার সহজাত ।
চিত্তরঞ্জন দাসের গ্রন্থ সমূহ – Chittaranjan Das Books :
তার প্রতিষ্ঠিত নারায়ণ পত্রিকা তৎকালীন সময়ে খ্যাতি লাভ করেছিল । “ মালঞ্চ , “ সাগরসঙ্গীত ” ও “ অন্তর্যামী ” প্রভৃতি গ্রন্থ কবি ও লেখক হিসাবে তাকে বাংলা সাহিত্যে অমরত্ব দান করেছে ।
চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যু – Chittaranjan Das Death :
তারপর ঘনিয়ে এল বিদায়ের করুণ মুহূর্ত । ১৯২৫ খ্রিঃ ১৬ ই জুন তার জীবনের শেষলগ্ন ঘনিয়ে এল, নেমে এল বিষাদের অন্ধকার । স্বাধীনতার স্বপ্ন যেন মিলিয়ে গেল এই দেশনেতার তিরােধানের সঙ্গে ।
দেশবন্ধুর মৃত্যু ছিল ইন্দ্রপতনের মত এক ভয়াবহ দুঃসংবাদ । দাবানলের মত সেই মৃত্যু সংবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল । শােকে বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গেল ভারতবাসী ।
মহাত্মা গান্ধী সহ দেশের বিশিষ্ট নেতারা ছুটে এলেন দেশের মহান নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ।
চিত্তরঞ্জন দাসের জীবনী (প্রশ্ন ও উত্তর) – Chittaranjan Das Biography in Bengali (FAQ):
- চিত্তরঞ্জন দাসের জন্ম কবে হয় ?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাসের জন্ম হয় ৫ নভেম্বর ১৮৭০ সালে।
- চিত্তরঞ্জন দাসের জন্ম কোথায় হয় ?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাসের জন্ম হয় পূর্ব বাংলার বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় বিক্রমপুর ।
- চিত্তরঞ্জন দাসের পিতার নাম কী ?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাসের পিতার নাম ভুবনমোহন দাস ।
- চিত্তরঞ্জন দাসের মায়ের নাম কী ?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাসের মায়ের নাম নিস্তারিনী দেবী ।
- কত সালে আলিপুর বোমার মামলা শুরু হয় ?
Ans: আলিপুর বোমার মামলা শুরু হয় ১৯০৮ সালে ।
- জাতীয় কংগ্রেসের সম্মেলন কবে হয় ?
Ans: জাতীয় কংগ্রেসের সম্মেলন হয় ১৯২০ খ্রিঃ ৪ ঠা সেপ্টেম্বর ।
- চিত্তরঞ্জন দাসের উপাধি কী ?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাসের উপাধি দেশবন্ধু ।
- চিত্তরঞ্জন দাসের গ্রন্থের নাম কী কী ?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাসের গ্রন্থের নাম “ মালঞ্চ , “ সাগরসঙ্গীত ” ও “ অন্তর্যামী ” প্রভৃতি গ্রন্থ ।
- চিত্তরঞ্জন দাস কবে জন্মগ্রহণ করেন?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাস জন্মগ্রহণ করেন ৫ নভেম্বর ১৮৭০ সালে ।
- চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যু কবে হয় ?
Ans: চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যু হয় ১৯২৫ খ্রিঃ ১৬ ই জুন ।
[আরও দেখুন, সূর্য সেনের জীবনী – Surya Sen Biography in Bengali
আরও দেখুন, জহরলাল নেহেরু জীবনী – Jawaharlal Nehru Biography in Bengali
আরও দেখুন, বাল গঙ্গাধর তিলকের জীবনী – Bal Gangadhar Tilak Biography in Bengali
আরও দেখুন, শ্রী অরবিন্দ এর জীবনী – Sri Aurobindo Biography in Bengali
আরও দেখুন, ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী – Khudiram Bose Biography in Bengali]
চিত্তরঞ্জন দাস এর জীবনী – Chittaranjan Das Biography in Bengali
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” চিত্তরঞ্জন দাস এর জীবনী – Chittaranjan Das Biography in Bengali ” পােস্টটি পড়ার জন্য। চিত্তরঞ্জন দাস এর জীবনী – Chittaranjan Das Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই চিত্তরঞ্জন দাস এর জীবনী – Chittaranjan Das Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।